ব্রাজাভিল

কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী শহর
(Brazzaville থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ব্রাজাভিল (ফরাসি উচ্চারণ: ​[bʁazavil], কঙ্গো: Kintamo, Nkuna, Kintambo, Ntamo, Mavula, Tandala, Mfwa, Mfua; Teke: M'fa, Mfaa, Mfa, Mfoa[৩][৪][৫][৬]) কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। শহরটি কঙ্গো নদীর উত্তর দিকে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী, কিনশাসার বিপরীতে অবস্থিত এবং এটি দেশটির অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র।

ব্রাজাভিল
আঞ্চলিক নাম : কিনতামো
উপর থেকে ব্রাজাভিল থেকে কঙ্গো নদী এবং কিনশাসার দৃশ্য।
উপর থেকে ব্রাজাভিল থেকে কঙ্গো নদী এবং কিনশাসার দৃশ্য।
স্থানাঙ্ক: ০৪°১৬′১০″ দক্ষিণ ১৫°১৬′১৭″ পূর্ব / ৪.২৬৯৪৪° দক্ষিণ ১৫.২৭১৩৯° পূর্ব / -4.26944; 15.27139
দেশকঙ্গো প্রজাতন্ত্র
প্রধান অঞ্চলব্রাজাভিল
প্রতিষ্ঠিত১৮৮৩
প্রতিষ্ঠাতাপিয়ের সাবোর্গনিয়ান দে ব্রাৎসা
সরকার
 • মেয়রডিওডোনে বান্টসিমবা
আয়তন
 • মোট২৬৩.৯ বর্গকিমি (১০১.৯ বর্গমাইল)
উচ্চতা৩২০ মিটার (১,০৫০ ফুট)
জনসংখ্যা (2015)[১]
 • মোট১৬,৯৬,৩৯২
 • আনুমানিক (2019)২৩,০৮,০০০
 • জনঘনত্ব৬,৪০০/বর্গকিমি (১৭,০০০/বর্গমাইল)
 • দাপ্তরিক ভাষাফরাশি
 • জাতীয় ভাষাকিতুবা এবং লিংগালা
বিদেশী ভাষা : সিলাডি (লারি)
এলাকা কোড২৪২
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৮)০.৬৬২[২]
মধ্যম · ১২ টির মধ্যে ১ম
ওয়েবসাইটwww.brazzaville.cg

শহরটির জনসংখ্যা ১,৮ মিলিয়নের অধিক বলে ধারণা করা যায়, যা দেশটির জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের অপেক্ষা বেশি। প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪০-১৯৪২ সাল পর্যন্ত শহরটি মুক্ত ফ্রান্সের রাজধানী হিসেবে ছিল।

২০১৩ সালে, শহরটি ইউনেসকো কর্তৃক একটি “সিটি অব মিউজিক” হিসেবে মনোনীত হয়। তারপর থেকে শহরটি ক্রিয়েটিভ সিটিজ নেটওয়ার্কের একটি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত আছে।[৭]

ভূগোল সম্পাদনা

 
ব্রাজাভিল থেকে কিনশাসার দৃশ্য। শহর দুটির মাঝে কঙ্গো নদী।
 
মহাকাশ থেকে ব্রাজাভিল

কঙ্গো নদীর উত্তরে মালেবো জলাশয়ের পাদদেশের একটি বড় অংশ জুড়ে ব্রাজাভিল অবস্থিত। মাবামু নামক প্রশস্থ দ্বীপটি কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভূক্ত।

ব্রাজাভিল আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রায় ৪৭৪ (২৯৫ মাইল) দূরে নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত। শহরটি দেশটির অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন একটি কমিউন। জলাশয় বিভাগ কর্তৃক শহরটি ঘিরে রাখা হয়েছে। শহরটি ৩১৭ মিটার (১০৪০ ফুট) উচ্চতায় তুলনামূলক সমভূমির উপর অবস্থিত। কঙ্গো নদীর নিকটে লিভিংসটন জলপ্রপাত নামক অনেকগুলো জলপ্রপাত রয়েছে। আর এই কারণে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে জলপ্রপাতগুলো পর্যন্ত যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী, কিনশাসা কঙ্গো নদীর দক্ষিণে ব্রাজাভিলের সরাসরি বিপরীতে অবস্থিত। কঙ্গো নামক এ দুটি দেশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে কখনো কখনো কঙ্গো প্রজাতন্ত্রকে কঙ্গো-ব্রাজাভিল এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রকে কঙ্গো-কিনাশাসা নামেও অভিহিত করা হয়। কিনশাসার জনসংখ্যা ব্রাজাভিলের জনসংখ্যার পাঁচ গুণের বেশি। পৃথিবীতে শুধুমাত্র এ দুটি রাজধানী শহরই একই নদীর বিপরীত দিকে গড়ে উঠেছে এবং একটি শহর থেকে অন্যটি দৃশ্যমান।[৮]

২০১৮ সালের মার্চ মাসে, কঙ্গো নদীর অববাহিকায় অবস্থিত (বেশিরভাগ অংশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের অন্তুর্ভূক্ত) অঞ্চল, কিভেত সোথাল এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনায় উন্নতি সাধনে মনযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে ব্রাজাভিল বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়। এটি (কিভেত সোথাল) পৃথিবীর বৃহত্তম সামুদ্রিক পিটভূমি, যা জলাভূমির উপর অবস্থিত একটি বনাঞ্চল। স্থানটি সংরক্ষণ করা শুধু স্থানীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বেচেঁ থাকার জন্য নয়, বরং পৃথিবীর জলবায়ুর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পিটভূমিটি পোড়ানো হলে, অনেক বেশি পরিমাণ কার্বন উৎপন্ন হবে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীর বৃহত্তম কার্বন উৎস হওয়ায়, পিটভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং ইন্দোনেশিয়া বিবৃতিটিতে স্বাক্ষর করে।[৯]

ইতিহাস সম্পাদনা

 
১৯০৫ সালে ব্রাজাভিল বাজার
 
১৯৪১ সালে ব্রাজাভিল রেলওয়ে স্টেশন

আফ্রিকা দখলের লড়াই এর সময়ে যখন ইউরোপীয় দেশগুলো আফ্রিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করছিল, সে সময়ে ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য স্থানীয় এনকুনা নামক বিটেক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে শহরটি গড়ে তোলে।[১০] জন্মসূত্রে ইতালীয় (পরবর্তীতে, ১৮৭৪ সালে তিনি ফরাসি নাগরিকত্ত্ব লাভ করেন) অনুসন্ধানকারী, পিয়ের সাবোর্গনিয়ান দে ব্রাৎসা ১৮৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন, আর তাই শহরটিতে তার নাম স্মরণীয় রয়েছে।[১১][৩][১০]

স্থানীয় টেকে জনগোষ্ঠীর রাজা, মাকোকো পিয়ের সাবোর্গনিয়ান দে ব্রাৎসা এর সাথে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, ফলে ব্রাজাভিল ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।[১০] বেলজিয়ানদের দখলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, ১৮৮০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৮৮২ সাল পর্যন্ত সেনেগালীয় সার্জেন্ট, মালামিন কামাহা শহরটি নিজের দখলে রাখেন। কঙ্গো নদীর দক্ষিণ দিকে তার বাহিনী সক্রিয়া ছিল। অন্যদিকে, একই সময়ে দ্বিতীয় লিওপোল্ড বেলজিয়ামের অধীনে থাকা কঙ্গোর অঞ্চলগুলো ব্যক্তিগতভাবে শাসন করছিল। কঙ্গো নদীর দক্ষিণ দিকে বেলজীয়দের নির্মিত, লিওপোল্ডভিল (বর্তমান কিনশাসা) এর সাথে প্রতিযোগিমূলক মানসিকতা প্রদর্শন করে ব্রাজাভিল প্রতিষ্ঠার চার বছর পর প্রথমবারের মতো সেখানে বড় আকারের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এক্ষেত্রে ফরাশিরা কঙ্গো নদীর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত বেলজীয়দের নির্মান করা কিনশাসার সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে মানসিকতা প্রকাশ করে।[১০]

১৮৮৪ সালের বার্লিন কনফারেন্সে কঙ্গে ফরাশি নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০৪ সালে, ব্রাজাভিল ফ্রান্স নিয়ন্ত্রিত কঙ্গোর রাজধানীতে পরিণত হয়।[১২] ১৯১০ সালে, ফরাশি উপনিবেশের অধীনে থাকা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি ফেডারেশন হিসেবে ফরাশি নিরক্ষীয় আফ্রিকা গঠনের পরও ব্রাজাভিল রাজধানী হিসেবেই থাকে।[১২] ১৯১০ সাল থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে একটি বিচারালয়, বোংক দু’লাউয়েফ এবং আন্সিটিটু পাস্তো এর সদর দপ্তর সহ শহরটির গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়।[১৩]

১৯৩৪ সালে, কঙ্গো-মহাসাগর রেলওয়ে চালু হয়, ফলে আটলান্টিক সমুদ্র বন্দর, পোয়াঁত-নোয়ার এর সাথে কঙ্গো নদীর জলপ্রপাতগুলোর বাধা ছাড়াই ব্রাজাভিলের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত। রেলওয়েটির নির্মান কাজে ১৭,০০০ আফ্রিকান এবং ১৯২৮ সালে যারা ফরাশিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তারা জীবন হারান।[১৪]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, ব্রাজাভিল সহ সম্পূর্ণ ফরাসি নিরক্ষীয় আফ্রিকা নাৎসিদের পক্ষে থাকা ভিসি ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রের বাহিরে ছিল। ১৯৪০-১৯৪৩ সাল পর্যন্ত শহরটি মুক্ত ফ্রান্সের রাজধানী ছিল।[১৩] ১৯৪৪ সালে, ব্রাজাভিলে ফরাশি প্রতিরধী বাহিনী এবং ফ্রান্সের অধীনে থাকা আফ্রিকার অঞ্চলগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সংলাপ আয়জিত হয়। ফলস্বরূপ, ব্রাজাভিল ঘোষণার মাধ্যমে ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের অধীনে থাকা আফ্রিকান অঞ্চলগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করা হয়।[১২]

১৯৬০ এর দশক পর্যন্ত ব্রাজাভিল দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: ইউরোপীয় (শহরটির কেন্দ্র) এবং আফ্রিকান (পোতোপোতো, বাকঙ্গো এবং মাকেলেকেলে)। ১৯৮০ সালে, শহরটি একটি কমিউরে পরিণত হয় এবং সেটিকে ঘিরে থাকা জলাশয় বিভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই সাথে ফরাশি প্রশাসনের মডেল অনুসারে, শহরটি নয়টি “আহোডিসমো” (বরো) এ বিভক্ত।

বিংশ শতাব্দি থেকে শহরটিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যকার যুদ্ধ সহ বিভিন্ন যুদ্ধ সংঘটিত হয়। শহরটি কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং অ্যাঙ্গোলার মধ্যে যুদ্ধ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৯০ এর দশকে, গৃহযুদ্ধের কারণে হাজার হাজার বেসামরিক জনগণ নিহত হয় এবং লাখ লাখ জনগণ শহর ত্যাগ করে।

সাম্প্রতিক সময়ে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে হাজার হাজার শরণার্থী ব্রাজাভিলে প্রবেশ করে। ব্রাজাভিল থেকে তাদের হাজারো শরণার্থীকে বের করে দেওয়া হয় বলে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকার অভিযোগ দেয়[১৫][১৬][১৭]

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পুলিশ এবং স্থানীয় এবং সৈন্য দলের সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হয়।[১৫]

পরিসংখ্যান সম্পাদনা

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.±%
১৯৮৪৫,৮৫,৮১২—    
১৯৯৬৮,৫৬,৪১০+৪৬.২%
২০০৭১৩,৭৩,৩৮২+৬০.৪%
২০১৯২১,৭৫,০০০+৫৮.৪%

২০০৭ সালের আদমশুমারি অনুসারে, শহরটির জনসংখ্যা ১.৩৭ মিলিয়ন। জাতীয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র একটি অভিক্ষেপের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১.৭ মিলিয়ন হবে বলে ধারণা করে, তবে এ অভিক্ষেপটি ২০০৭ সালের আগে তৈরি এবং সেখানে সেই বছরের আদমশুমারির ফলাফলের চেয়ে জনসংখ্যা কম ধরা হয়েছে।[১৮]

জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিভাগের ধারণা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে শহরটির জনসংখ্যা ছিল ১.৮৩ মিলিয়ন। ২০১৪ সালে, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের জনসংখ্যা ১০ মিলিয়নের অধিক ছিল।[১৯]

কিনশাসা সহ কিনশাসা-ব্রাজাভিল পৌরপুঞ্জের জনসংখ্যর ১২ মিলিয়ন। রাজনৈতিক এবং অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে শহর দুটি একটি আরেকটির সাথে কোনো কার্যকর সম্পর্ক রেখে কাজ করতে পারছে না।[২০][২১]

১৯ শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে শহর দুটি বাণিজ্য, ক্রিড়া এবং ক্ষমতার দিক থেকে একে অপরের প্রতিদ্বন্দী।[৮] একটি ব্রাজাভিল-কিনশাসা ব্রিজের মাধ্যমে দুটো শহরকে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে, অঞ্চলটিতে আপেক্ষিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আফ্রিকা ৫০ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে দুই দেশের সরকারের সাথে একটি চুক্তিতে সাক্ষর করে।[২২]

সরকার সম্পাদনা

 
রাতে ব্রাজাভিল একটি দৃশ্য

পোয়াঁত-নোয়ার এর মতো, ব্রাজাভিলও একটি কমিউন (পৌরসভা) এবং বিভাগ। শহরটি একটি পৌরসভা কাউন্সিল এবং একটি বিভাগীয় কাউন্সিল দ্বারা পরিচালনা করা হয়। শহরটির মেয়র পৌরসভা কাউন্সিল এর সভাপতির দায়িত্বেও নিযুক্ত হন।[২৩]

শহরটি নয়টি “আহোডিসমো” (বরো) এ বিভক্ত[২৪]:

  1. বাকঙ্গো
  2. ডিজিরি
  3. মাডিবো
  4. মাকেলেকেলে
  5. এমফিলোউ
  6. মনগালি
  7. ওয়াজে
  8. পোতোপোতো
  9. তালাংগাই

অর্থনীতি সম্পাদনা

কঙ্গো নদীর নিকটে অবস্থিত হওয়ায়, ব্রাজাভিলে বিভিন্ন কারখানা, বাণিজ্য এবং সামুদ্রিক বন্দর গড়ে ওঠে। শহরটি জাহাজ এবং নৌকার মাধ্যমে নদীর উৎসের দিকের অঞ্চলগুলোর সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ রক্ষা করত, যেখানে ঔপনিবেশিক সময়ের শুরু থেকেই বিভিন্ন কাঁচামাল উৎপাদন করা হয়।[১২] শহরটির সাথে পোয়াঁত-নোয়ার এর সংযোগকারী রেলওয়ে নির্মাণের কারণে সমুদ্র বন্দরটিতে ব্যবসায়ীদের পণ্য নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কঙ্গো নদীর প্রধান বন্দরগুলোর একটি হওয়ায় ব্রাজাভিলে রবার, কাঠ এবং কৃষিজ দ্রব্যাদি সরবরাহ করা হয়। ব্রাজাভিল থেকে সাধারণত এ পণ্যগুলো পোয়াঁত-নোয়ারে পাঠানো হয়।

ব্রাজাভিলে বিভিন্ন কোম্পানী, সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় আছে এবং এখানে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকার আঞ্চলিক কার্যালয় ব্রাজাভিলে অবস্থিত।[২৫] ব্রাজাভিলে যেসব কোম্পানি সদর দপ্তর অবস্থিত তাদের মধ্যে রয়েছে: নিরক্ষীয় কঙ্গো এয়ারলাইনস এবং ওয়ারিদ কঙ্গো।[২৬][২৭]

সংস্কৃতি সম্পাদনা

উল্লেখযোগ্য স্থপতি, রোজার এরেল মুক্ত ফ্রান্সের নেতা হিসেবে থাকাকালীন শার্ল দ্য গোল এর জন্য ব্রাজাভিলে একটি বাসগৃহের নকশা তৈরি করেন। এখানে অবস্থিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে: পিয়ের সাবোর্গনিয়ান দে ব্রাৎসা, সংসদ ভবন এবং নাবেমবা টাওয়ার।

এছাড়াও মারিয়েন এনগৌবি সমাধি, ব্রাজাভিল চিড়িয়াখানা এবং পোতো-পোতো চিত্রকলা বিদ্যালয়ও শহরটির বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়।

উপাসনালয় সম্পাদনা

 
১৯২৬ সালে সেকরেড হার্ট ক্যাথিড্রাল

ফরাশি ঔপনিবেশিক সময়ে কঙ্গোর জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীতে পরিণত হয়। শহরটিতে খ্রিষ্টান চার্চের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তবে রোমান ক্যাথলিক চার্চের একটি আর্চডায়োসিস রয়েছে। ফরাশি ঔপনিবেশিক সময় থেকে শহরটিতে আগত প্রবাসীরা এবং প্রতিবাদী মতবাদ প্রচারকগণ বিভিন্ন চার্চ নির্মান করে, ‍যেগুলোর মধ্যে রয়েছে: সান্ত আন দু কঙ্গোর বাজিলিকা, ব্রাজাভিল এবং গাবোনের (প্যাট্রিয়াকেট অব আলেক্সান্দ্রিয়া এন্ড অল আফ্রিকা) গ্রিক অর্থোডক্স আর্চডায়োসিস, ইভেঞ্জিকাল চার্চ অব কঙ্গো (ওয়ার্ল্ড কমিউনিয়ন অব রিফর্মড চার্চেজ) এবং অ্যাসেম্বলিজ অব গড।[২৮]

শিক্ষা সম্পাদনা

 
মারিয়েন এনগৌডি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিদ্যালয়

মারিয়েন এনগৌডি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ব্রাজাভিলে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। একজন সাবেক নেতার নামানুসারে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে।[২৯] বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশটির স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে।

আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়:

  • লিসে ফোসে সান্ত এক্সুপেরি দু ব্রাজাভিল (ফরাশি)।
  • আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব ব্রাজাভিল।

জলবায়ু সম্পাদনা

ব্রাজাভিলের জলবায়ু সামুদ্রিক আদ্র এবং শুষ্ক। এখানে আদ্র মৌসূম (অক্টোবর-মে) এবং শুষ্ক মৌসূম (অক্টোবর-মে ব্যতিত বাকি সময়) সমদৈর্ঘ্য। ব্রাজাভিলের সবচেয়ে শুস্ক মাস, জুলাই এবং আগস্টে তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকে অবস্থিত হওয়ায় শহরটিতে শুস্ক মৌসূম “শীত” অয়নকালের (জুন মাস) দিকে শুরু হয়। শহরটিতে সম্পূর্ণ বছর তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে সংগতিপূর্ণ থাকে।

ব্রাজাভিল (মায়া-মায়া বিমানবন্দর) ১৯৬১-১৯৯০ এবং ১৯৩২-বর্তমান-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) ৩৭.৫
(৯৯.৫)
৩৬.৩
(৯৭.৩)
৩৭.৫
(৯৯.৫)
৩৬.৮
(৯৮.২)
৩৭.৩
(৯৯.১)
৩৪.৩
(৯৩.৭)
৩৩.৮
(৯২.৮)
৪০.২
(১০৪.৪)
৩৯.৫
(১০৩.১)
৩৮.৯
(১০২.০)
৩৫.৮
(৯৬.৪)
৪০.২
(১০৪.৪)
৪০.২
(১০৪.৪)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৩০.৫
(৮৬.৯)
৩১.৩
(৮৮.৩)
৩১.৭
(৮৯.১)
৩১.৮
(৮৯.২)
৩০.৯
(৮৭.৬)
২৮.৪
(৮৩.১)
২৭.০
(৮০.৬)
২৮.৫
(৮৩.৩)
৩০.৪
(৮৬.৭)
৩০.৮
(৮৭.৪)
৩০.৪
(৮৬.৭)
৩০.২
(৮৬.৪)
৩০.২
(৮৬.৪)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) ২৬.০
(৭৮.৮)
২৬.৪
(৭৯.৫)
২৬.৭
(৮০.১)
২৬.৮
(৮০.২)
২৬.২
(৭৯.২)
২৩.৮
(৭৪.৮)
২২.৪
(৭২.৩)
২৩.৬
(৭৪.৫)
২৫.৫
(৭৭.৯)
২৬.১
(৭৯.০)
২৫.৯
(৭৮.৬)
২৫.৮
(৭৮.৪)
২৫.৪
(৭৭.৭)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ২১.৪
(৭০.৫)
২১.৫
(৭০.৭)
২১.৭
(৭১.১)
২১.৯
(৭১.৪)
২১.৬
(৭০.৯)
১৯.৩
(৬৬.৭)
১৭.৮
(৬৪.০)
১৮.৮
(৬৫.৮)
২০.৬
(৬৯.১)
২১.৪
(৭০.৫)
২১.৪
(৭০.৫)
২১.৫
(৭০.৭)
২০.৭
(৬৯.৩)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) ১৭.০
(৬২.৬)
১৪.৫
(৫৮.১)
১৭.৭
(৬৩.৯)
১৮.৬
(৬৫.৫)
১৭.০
(৬২.৬)
১২.৭
(৫৪.৯)
১০.৫
(৫০.৯)
১০.৩
(৫০.৫)
১৫.২
(৫৯.৪)
১৩.৭
(৫৬.৭)
১৮.২
(৬৪.৮)
১৭.৭
(৬৩.৯)
১০.৩
(৫০.৫)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) ১৬০
(৬.৩)
১৩৭
(৫.৪)
১৬৭
(৬.৬)
১৯১
(৭.৫)
১১৮
(৪.৬)

(০.৩)

(০.১)

(০.২)
৩৪
(১.৩)
১৩৯
(৫.৫)
২৬১
(১০.৩)
১৭২
(৬.৮)
১,৩৯৪
(৫৪.৯)
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় (≥ ১.০ mm) ১০ ১১ ১২ ১৪ ১২ ৮৯
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) ৮১ ৮০ ৭৯ ৮১ ৮১ ৭৯ ৭৭ ৭৩ ৭১ ৭৬ ৮১ ৮২ ৭৮
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় ১৭১ ১৬৭ ১৯২ ১৮১ ১৭৭ ১৪১ ১২৭ ১৩৩ ১৪৫ ১৫২ ১৫৭ ১৫৪ ১,৮৯৭
উৎস ১: ডয়চা ভেটাডিনস্ট (উঞ্চতা, ১৯৫১-১৯৯০)[৩০][৩১][ক]
উৎস ২: মাটেও ক্লাইমেট (সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন)[৩২]

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

 
মায়া-মায়া বিমানবন্দর
 
ব্রাজাভিলের একটি রেলওয়ে

শহরটির কেন্দ্রে মায়া-মায়া বিমানবন্দর অবস্থিত এবং সেখান থেকে পোয়াঁত-নোয়ার এবং আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন বিমান চলাচল করে। ব্রাজাভিল থেকে একটি বিমান সপ্তাহে দুই বার ব্রাজাভিল এবং কিনশাসা এর মধ্যে যাত্রা করে। এ যাত্রায় সময় লাগে মাত্র পাঁচ মিনিট।[৮]

ব্রাজাভিলে কঙ্গো-সমুদ্র রেলসেবার একটি স্টেশন রয়েছে যেখান থেকে ২০১৪ সালে লা গেজেল নামক ট্রেনটি শহরটি থেকে পোয়াঁত-নোয়ার পর্যন্ত এবং তার মধ্যবর্তী স্থানগুলোর মধ্যে যাতায়াত করে।[৩৩]

ব্রাজাভিলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর রয়েছে এবং সেখান থেকে কিনশাসা এবং ইমপফোন্দো হয়ে ব্যাঙ্গিতে খেয়া চলাচল করে।[৮] খেয়া এবং দ্রুত গতির ব্যক্তি মালিকাধীন নৌকা ব্রাজাভিল এবং কিনশাসার মধ্যে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।[৮] শহরের বাহিরে জুয়ে নদীর সাথে কঙ্গো নদীর মিলিত হওয়ার স্থানে লিভিংস্টন জলপ্রপাত রয়েছে, ফলে নদীপথে গন্তব্য, সমুদ্র সৈকতে পৌছানো যায় না এবং এ কারণে পোস্টেজ রেলওয়ে ব্যবহার করা হয়।

কোনো সরকারি যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকলেও, ব্রাজাভিলে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস চলাচল করে।[৩৪]

শহরটির প্রতিটি রাস্তায়ই ট্যাক্সি চলাচল করে এবং ট্যাক্সিগুলো দেখে সহজে সনাক্ত করা যায়: ট্যাক্সির বডির রং সবুজ এবং ছাদের রং সাদা। ট্যাক্সিতে কম দূরত্ব ভ্রমণের ভাড়া CF৭০০। ব্রাজাভিলের যানবাহনের ২০ শতাংশ ট্যাক্সি। শহরটিতে সমষ্টিগত ট্যাক্সিও রয়েছে যা নির্দিষ্ট পথে চলে এবং সেগুলোর ভাড়া CF১৫০।

ব্রজাভিল এবং কিনশাসার মধ্যে একটি সড়ক-রেল সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে সেতুটির দৈর্ঘ্য উভয় দিকেই ১০৬৭ মিলিমিটার থাকবে।[৩৫]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ সম্পাদনা

 
অন্টোয়েনেট সাসু এনগেসো, 2011
  • শহরটির প্রতিষ্ঠাতা, পিয়ের সাবোর্গনিয়ান দে ব্রাৎসা।[১১]
  • ফরাশি ক্যাথলিক ধর্মযাজক, ধর্মপ্রচারক এবং অনুসন্ধানকারী, ফ্রোস্পার ফিলিপ অগওয়ার্ড, যিনি ১৮৮৭ সাল থেকে ব্রাজাভিলে বাস করেন।
  • সাবেক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী (১৯৬৬-১৯৬৮), আমবোয়াস নওমাজলায়ে।
  • কঙ্গোলীয় স্যাক্সোফোনিস্ট এবং ক্লারিনিটিস্ট, জো সের্জ এসুস।
  • কঙ্গোলীয় রসায়নবিদ এবং লেখক, এমানুয়েল দোঙ্গালা।
  • গায়ক, সঙ্গিতশিল্পী এবং গ্যাবনের ফার্স্ট লেডি (১৯৬৭-১৯৮৭) পাসিয়নস দাবানি।
  • ১৯৯৭ সাল থেকে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ফার্স্ট লেডি, অন্টোয়েনেট সাসু এনগেসো।
  • কঙ্গোলীয় গায়িকা এবং গীতিকার, ওহুলুস মাবেলে।
  • কঙ্গো আর্মড ফোর্সেস এর সেনা প্রধান (২০০২-২০১২), শার্ল রিচার্ড মঞ্জো।
  • সিনেটর, ডমিনিক এনসেতে (১৯৪০-২০১২)।
  • গ্যাবনের রাজনীতিবিদ এবং তৃতীয় রাষ্ট্রপতি, ২০০৯ সাল থেকে আলি বঙ্গো ওনডিম্বা।
  • রাজনীতি এবং শাসন বিভাগের মন্ত্রী, এলো আকুওলা চিপো।
  • দ্য নিনজাস নামক “অর্ধ-ধর্মীয়” বিদ্রোহী দলের নেতা এবং প্রতিবাদী পাদরি, ফেডরিক বিন্তসামেও।
  • কঙ্গোলীয় চিত্রশিল্পী, লেখক এবং সেট ডিজাইনার, বিল কুয়েলানি।
  • ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদ, অ্যালো মাবোনকু।
  • চিত্র ও গ্রাফিতিশিল্পী, সিরিল কঙ্গো। তিনি ১৯৮০ এর দশক থেকে ব্রাজাভিলে বসবাস করতেন।
  • সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক, এবং টিভি৫মোন্ডে -এর সংবাদ পাঠক ডমিনিক চিমবাকালা।
  • ইউক্রেনীয় সংগীতশিল্পী, হেইতানা। তিনি ব্রাজাভিলে ৫ বছর বসবাস করেন।

ক্রিড়া ক্ষেত্রে সম্পাদনা

  • ফরাশি টেনিস খেলোয়াড়, আন্দ্রে মার্লিন।
  • সাবেক ফুটবলার, ফ্রাঁসোয়া এম'পেলে। তিনি ক্লাব পর্যায়ে ৫২১ টি এবং কঙ্গোর হয়ে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন।
  • সাবেক ফুটবলার, হোল্ফ ক্রিস্টেল গিয়ে-মিয়া। তিনি ক্লাব পর্যায়ে ৩৩৮ টি এবং কঙ্গোর হয়ে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন।
  • সাবেক ফুটবলার, ওস্কার এহোলো। তিনি ক্লাব পর্যায়ে ৩৭৪ টি এবং কঙ্গোর হয়ে ৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন।
  • ক্রীড়াবিদ, লোহেন বাজোলো। তিনি ২০২২ সালের অলিম্পিকে কঙ্গোর পতাকার বহন করেন।
  • সাবেক ফুটবলার, লেডিস্লাস দুনিসামা। তিনি ক্লাব পর্যায়ে ২৫০ টি এবং কঙ্গোর হয়ে ২৮টি ম্যাচ খেলেছেন।
  • লঙ্গ এবং ট্রিপল জাম্প খেলোয়ায়, পামেলা মুয়েলে এম্বুসি। তিনি ২০০৭ সালের গ্রীস্মকালীন অলিম্পিকে কঙ্গোর পতাকা বাহক ছিলেন।
  • পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড়, সার্জ ইবাকা।
  • ফুটবলার, ফেরেবোরি ডোরে। তিনি ক্লাব পর্যায়ে ২০০ টি এবং কঙ্গোর হয়ে ৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন।

টুইন টাউন এবং সিস্টার সিটি সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

  1. Station ID for Brazzaville/ Maya–Maya is 64450 Use this station ID to locate the sunshine duration
  • Chavannes, Charles de. (1929) "Le Sergent Sénégalais Malamine." Annales de l'Académie des Sciences Coloniales, vol. 3:159–187.
  • Petringa, Maria. (2006) Brazza, A Life for Africa (2006) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪২৫৯-১১৯৮-০
  • Tiepolo, M. (1996) "City Profile: Brazzaville" in Cities v. 13, pp. 117–124
  • Brisset-Guibert, Hervé (2007) Brazzaville petit guide historique, in the site www.presidence.cg ("palais presidentiel")
  • Cultural reference: In the final scene of the 1942 film, Casablanca, it is to Brazzaville that Captain Renault (Claude Rains) suggests he and Rick (Humphrey Bogart) might escape to together for "vacation" and, as Rick counters, "the beginning of a beautiful friendship."
  • Whitehouse, Bruce (২০১২)। Migrants and Strangers in an African City: Exile, Dignity, Belonging। Bloomington: Indiana University Press। আইএসবিএন 9780253000811 

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Répartition de la population par"cnsee.org। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-৩১ 
  2. "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩ 
  3. Roman Adrian Cybriwsky, Capital Cities around the World: An Encyclopedia of Geography, History, and Culture, ABC-CLIO, USA, 2013, p. 60
  4. Sylvie Ayimpam, Vie matérielle, échanges et capitalisme sur la rive méridionale du Pool du fleuve Congo (1815-1930), Centre d'Étude des Mondes Africains (CEMAf), 2006, p. 4 and p. 9
  5. Joseph ZIDI, Brazzaville : Les enjeux de la géographie des migrations (1800-2010), Université Marien Ngouabi de Brazzaville, 2016
  6. MARTIN Phyllis M., Loisirs et société à Brazzaville pendant l'ère coloniale, KARTHALA Editions, 2006, p. 31
  7. "Brazzaville, Zahlé, Kraków and Fabriano designated UNESCO Creative Cities"UN News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২১। ৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৩ 
  8. "Face-off over the Congo: the long rivalry between Kinshasa and Brazzaville"TheGuardian.com। ১৭ জানুয়ারি ২০১৭। ১৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৭ 
  9. "Historic agreement signed to protect the world's largest tropical peatland"UNEP - UN Environment Programme। ২৩ মার্চ ২০১৮। ৩১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২০ 
  10. Pakenham, Thomas (১৯৯১)। The Scramble for Africa। Abacus। পৃষ্ঠা 150। 
  11. Goldie, George Dashwood Taubman (১৯১১)। "Brazza, Pierre Paul François Camille Savorgnan de"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ4 (১১তম সংস্করণ)। পৃষ্ঠা 464–465। 
  12. Thomas, Dominic (২০০৫)। Encyclopedia of Twentieth-Century African History। Routledge। 
  13. Jean-Jacques Youlou & Scholastique Dianzinga, "Une capitale dans l'histoire"; Chapter 1 in Ziavoula (2006).
  14. "Republic of Congo profile"। BBC। ১১ এপ্রিল ২০১৭। ৭ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮ 
  15. "Heavy gunfire in Congo-Brazzaville capital as police battle militia"The Guardian। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৭ 
  16. "Deportation comments anger Congo ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে", Independent Online (SAPA-AFP), 28 May 2014.
  17. James Butty, "DRC Threatens Legal Action over Deportations from Congo-Brazzaville ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জুলাই ২০১৭ তারিখে", VOA News, 27 May 2014.
  18. "Répartition de la population par Départements et Communes en 1984 et projetée de 2000 à 2015" (ফরাসি ভাষায়)। Centre National de la Statistique et des Études Économiques (CNSEE), Republic of the Congo। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৩ 
  19. "Monographie de la Ville de Kinshasa" (ফরাসি ভাষায়)। Unité de Pilotage du Processus d'Elaboration et de mise œuvre de la Stratégie pour la Réduction de la Pauvreté (UPPE-SRP)। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল (SWF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০০৭ 
  20. "Congo (Rep.): Departments, Major Cities & Towns - Population Statistics in Maps and Charts"citypopulation.de। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯ 
  21. "Major Agglomerations of the World - Population Statistics and Maps"www.citypopulation.de। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২০ 
  22. Siphelele Dludla, "DRC, Congo sign $500m deal to build Kinshasa-Brazzaville connecting bridge" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে, IOL, 8 November 2018
  23. Brazzaville.cg (site officiel de la commune de Brazzaville), "L'administration municipale ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জুলাই ২০১৭ তারিখে"; accessed 16 July 2017.
  24. "Les arrondissements"Brazzaville.cg (ফরাসি ভাষায়)। Commune de Brazzaville, Congo। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  25. "WHO | Regional Office for Africa"WHO। ১৪ জুলাই ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  26. "ECAir Fleet Details and History"www.planespotters.net। ২৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-০৫ 
  27. "Company Overview of Warid Congo S.A."Bloomberg News। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৭ 
  28. J. Gordon Melton, Martin Baumann, Religions of the World: A Comprehensive Encyclopedia of Beliefs and Practices, ABC-CLIO, USA, 2010, p. 773
  29. "Quick Facts"। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৭ 
  30. "Klimatafel von Brazzaville (Flugh.) / Kongo" (পিডিএফ)Baseline climate means (1961–1990) from stations all over the world (জার্মান ভাষায়)। Deutscher Wetterdienst। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  31. "Station 64450 Brazzaville/ Maya–Maya"Global station data 1961–1990—Sunshine Duration। Deutscher Wetterdienst। ২০১৭-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  32. "Station Brazzaville" (ফরাসি ভাষায়)। Meteo Climat। ৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  33. Planet, Lonely। "La Gazelle train Brazzaville to Pointe Noire"। ৪ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৪ 
  34. "Transport in Brazzaville - Lonely Planet Travel Information"। ২৫ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-২৭ 
  35. "Road-Rail Bridge"। ১৭ জুন ২০১৭। ১৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  36. "Coopération"Brazzaville.cg (ফরাসি ভাষায়)। Commune de Brazzaville, Congo। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা