ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য

ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য বলতে ১৭শ শতক থেকে ১৯৬০-এর দশকের শেষভাগ পর্যন্ত ইউরোপের বাইরের যেসমস্ত অঞ্চল ফ্রান্সের অধীনে ছিল, তাদেরকে বোঝায়। ভূমির ক্ষেত্রফলের হিসাব অনুযায়ী বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সাম্রাজ্যটি এর বিস্তারের চরমে পৌঁছেছিল; ঐ সময় সাম্রাজ্যের আয়তন দাঁড়ায় ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার।

ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য
ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের জাতীয় পতাকা
পতাকা
প্রথম (হালকা নীল) ও দ্বিতীয় (গাঢ় নীল) ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের বিস্তার
প্রথম (হালকা নীল) ও দ্বিতীয় (গাঢ় নীল) ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের বিস্তার

আবিষ্কারের যুগে স্পেনীয় এবং পর্তুগিজদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ফরাসিরাও উত্তর আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল এবং ভারতীয় উপমহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করা শুরু করে এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আধিপত্যের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। ১৮শ শতকে ও ১৯শ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের সাথে ধারাবাহিকভাবে কতগুলি যুদ্ধে পরাজিত হবার পর ফ্রান্স তার ঔপনিবেশিক অভিলাষ সাময়িকভাবে বিসর্জন দিতে বাধ্য হয় এবং এর সাথে সাথে "প্রথম" ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটে। ১৯শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে নতুন করে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য স্থাপন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও এই উপনিবেশগুলি ফ্রান্সের অনুগত ছিল।

কিন্তু যুদ্ধের পরে উপনিবেশবাদ-বিরোধী আন্দোলনগুলি ফরাসি কর্তৃত্বকে অস্বীকার করা শুরু করে। ফ্রান্স ১৯৫০-এর দশকে এবং ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে ভিয়েতনামআলজেরিয়াতে ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য যুদ্ধ করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। ১৯৬০-এর দশকে শেষ দিকে বিভিন্ন মহাসাগরে অবস্থিত কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জ বাদে ফ্রান্সের বেশির ভাগ উপনিবেশ স্বাধীনতা লাভ করে। অবশিষ্ট অঞ্চলগুলিকে ফ্রান্সের অংশ করে নেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা