স্টিভ হার্মিসন
স্টিফেন জেমস হার্মিসন, এমবিই, ডিএল (জন্ম: ২৩ অক্টোবর, ১৯৭৮) নর্দাম্বারল্যান্ডের অ্যাশিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। এছাড়াও কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম দলের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন স্টিভ হার্মিসন।[১]
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | স্টিফেন জেমস হার্মিসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অ্যাশিংটন, নর্দাম্বারল্যান্ড, ইংল্যান্ড | ২৩ অক্টোবর ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হার্মি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | বি ডব্লিউ হার্মিসন (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬১১) | ৮ আগস্ট ২০০২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ আগস্ট ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭৩) | ১৭ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ এপ্রিল ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১০ (পূর্বতন ২৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬-২০১৩ | ডারহাম (জার্সি নং ১০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | এমসিসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | হাইভেল্ড লায়ন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: CricketArchive, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা২০০২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে তার টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতেই তিনি সফলতা লাভ করতে শুরু করেন ও ইংল্যান্ডের উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিপুণ বোলিংয়ের স্বাক্ষর রাখেন। সিরিজে তিনি সর্বাধিক উইকেট লাভ করেন। এরপর ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের স্মরণীয় জয়ে ভূমিকা রাখেন। ঐ বছরেই তিনি উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ভূষিত হন। একই সময়ে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলাররূপে বিবেচিত হন।
১ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ তারিখে নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে মোহাম্মদ কাইফ, লক্ষ্মীপতি বালাজী ও আশিষ নেহরাকে আউট করে হ্যাট্রিক করার গৌরব লাভ করেন।[২]
মূল্যায়ন
সম্পাদনা৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী হার্মিসন যে-কোন ধরনের পিচে অতিরিক্ত বাউন্স করাতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি নিয়মিতভাবে বলকে সুইং করাতেন ও ঘণ্টায় ৯০ মাইলে বোলিংয়ে সক্ষম ছিলেন।[৩] তবে মাঝে-মধ্যে বাজে বোলিংয়েও সকলের কাছে বিরক্তিকর অবস্থায় নিপতিত হন। তন্মধ্যে, ২০০৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজে দ্বিতীয় স্লিপ বরাবর বোলিং করেন যা ওয়াইডে পরিণত হয়। এরফলে ধারাভাষ্যকারগণ `ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা বাজে বোলিংরূপে' আখ্যায়িত করেন।[৪] তা স্বত্ত্বেও বোলিংয়ে তার দক্ষতার বিষয়ে কোন প্রশ্নবোধক চিহ্ন অঙ্কিত হয়নি। ২০০৭ সালে সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন হার্মিসনকে ৫০ সেরা ক্রিকেটারদের একজনরূপে আখ্যায়িত করেন। [৫]
অবসর
সম্পাদনা২০০৬ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসরের ঘোষণা দেন হার্মিসন। শারীরিক যোগ্যতার অভাবে ইংরেজ দলে সুযোগ লাভের সম্ভাবনা অনেকাংশে দায়ী ছিল। ২০০৯ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নেন। ২০০৯ সালে দল থেকে বাদ পড়েন। ২০০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে তিনি তার সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।[৬] একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন।[৭] অবশেষে অক্টোবর, ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় জানান নিজেকে।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Steve Harmison joins Yorkshire on a month's loan from Durham"। BBC। ৭ জুলাই ২০১২।
- ↑ "1st Match: England v India at Nottingham, Sep 1, 2004"। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "England's unkickable habit"। Cricinfo। ৮ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ "Steve Harmison: 'If I don't play for England again I've got the memories'"। The Independent। London। ৩১ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Shane Warne's 50 greatest cricketers – Harmison has all the tools for greatness"। The Times। London। ২৮ আগস্ট ২০০৭। ২০ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "England v Australia 2009 / Scorecard"। Cricinfo। আগস্ট ২০০৯।
- ↑ "West Indies v England 2008–09 / Scorecard"। Cricinfo। ৩ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Brenkley, Stephen (৬ অক্টোবর ২০১৩)। "Former England bowler Steve Harmison announces retirement from cricket"। The Independent। London।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে স্টিভ হার্মিসন (ইংরেজি)