সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (জন্ম ২ ডিসেম্বর ১৯৫৯) হলেন বাংলাদেশের একজন মাজার ভিত্তিক রাজনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম-২চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য[১][২] মহাজোটের অংশিদার বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান তিনি।

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী
চট্টগ্রাম-২ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৫ জানুয়ারি ২০১৪ – ৬ জানুয়ারি ২০২৪
পূর্বসূরীসালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
উত্তরসূরীখাদিজাতুল আনোয়ার
চট্টগ্রাম-৪ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ৩০ মার্চ ১৯৯৬
পূর্বসূরীমাজহারুল হক শাহ চৌধুরী
উত্তরসূরীরফিকুল আনোয়ার
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1959-12-02) ২ ডিসেম্বর ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)
আজিম নগর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দল
সন্তান২ ছেলে
পেশারাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ২ ডিসেম্বর ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আজিম নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তার ২ ছেলে দুই ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারী।

তিনি সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারীর দৌহিত্র।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

মাইজভান্ডারী মাজার ভিত্তিক ইসলামিক রাজনৈতিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান। মাজারগুলির একটি সংগঠন মাইজভাণ্ডারী বাংলাদেশ দরগাহ মাজার ফেডারেশনের তিনি সভাপতি।

তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][২][১]

এরপর বিএনপিতে যোগদান করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪][২]

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে নির্বাচন করলেও প্রয়াত সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের কাছে হেরে যান তিনি।[২][১]

২০০৫ সালে বিএনপি ছেড়ে তিনি মাজার ভিত্তিক ইসলামিক রাজনৈতিক দল তরিকত ফেডারেশন গঠন করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নিজে ঢাকা-২, ঢাকা-১৪ঢাকা-১৬ সহ আরও ৪২ আসনে তরিকত ফেডারেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল কিন্তু সংসদে কোনো আসন জয়ী হয়নি।[১]

২০১৪ সালের দশম২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হন।[৫][৬][১]

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মহাজোটের মনোনয়ন পান নাই।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী"দৈনিক প্রথম আলো। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. "নজিবুল বশরকে মন্ত্রী করার দাবি"ঢাকাটাইমস.কম। ২ জানুয়ারি ২০১৯। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  3. "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২ 
  6. "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯