বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় মূল্যবোধ, আধ্যাত্নিকতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রগতিশীল একটি রাজনৈতিক দল।

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন
সভাপতিসৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী
সাধারণ সম্পাদকসৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী
প্রতিষ্ঠাতাসৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী
প্রতিষ্ঠা২০০৫
সদর দপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
ভাবাদর্শইসলামী
রাজনৈতিক অবস্থানইসলামি রাজনৈতিক দল
ধর্মইসলাম
জাতীয় সংসদের আসন
০ / ৩৫০
সিটি কর্পোরেশন
০ / ১২
নির্বাচনী প্রতীক
ফুলের মালা

ইতিহাস

সম্পাদনা

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ২০০৫ সালে সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামীর সাথে জোট থাকায় তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছেড়ে দিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে। বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ২০১৪ সালের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং দুটি সংসদীয় আসনও লাভ করে।

তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আওয়াল ২০১৭ সালে ইসলামী দলগুলোর একটি জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন।[] পরিকল্পিতী জোটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ফরায়েজি আন্দোলন, ইমাম-উলামা পরিষদ, এবং ইসলামী ওআইসি জোটের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেন দলের সভাপতি সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি। ১৭ এপ্রিল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি মহাসচিবের পদ থেকে এম এ আওয়ালকে অপসারণ করেন।[][] এম এ আওয়ালের স্থলে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীকে মনোনীত করেন। মহাজোটের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০ টি আসন চায় দলটি।

জাতীয় সংসদে আসন

সম্পাদনা

সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালে তিনি বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।[] বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী হিসাবে ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম এ আউয়াল।[]

আন্দোলন

সম্পাদনা

তরিকত ফেডারেশন বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কয়েকবার আন্দোলন করে এবং সফলতাও অর্জন করে। অতি সম্প্রতি দলের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর চাঁদপুরী শাহ দরবার শরীফের দোগাইয়া আশরাফিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার মাঠে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাতিলের দাবীতে বখশীয়া দরবার শরফের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দীন বখশীর নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলা তরিকত ফেডারেশন পদুয়ার বাজার সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এতে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করে এবং জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।[][]

সমালোচনা

সম্পাদনা

গুলশানে জঙ্গী হামলার পর সংগঠনটির প্রধান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী দাবি করেছিলেন কওমি মাদ্রাসার হাত ধরেই জঙ্গীবাদের গোড়াপত্তন হয়েছে।[]

আরো দেখুন

সম্পাদনা

বাংলাদেশের ইসলামী দলসমূহ

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "তরিকতের নেতৃত্বে আসছে নতুন ইসলামি জোট! | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৮-১২-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২ 
  2. "তরিকত ফেডারেশনের নতুন মহাসচিব রেজাউল"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২ 
  3. "আউয়ালকে তরিকত ফেডারেশন থেকে বহিষ্কার"Amadershomoy Online। ২০১৯-০৪-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২ 
  4. "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৮-০৬-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২ 
  5. "ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ তরিকত ফেডারেশনের"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৩ 
  6. "কাফনের কাপড় পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ"দৈনিক জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৪ 
  7. "কওমি মাদ্রাসার হাত ধরেই দেশে জঙ্গি সংগঠনের গোড়াপত্তন ॥ তরিকত ফেডারেশন || জাতীয়"জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]