সাগরিকা এক্সপ্রেস
সাগরিকা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং. ২৯-৩০) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল দ্বারা পরিচালিত একটি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ট্রেন। ট্রেনটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে এবং যাত্রাপথে ফেনী জেলা ও কুমিল্লা জেলাকে সংযুক্ত করে।[১][২] ২০১৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে এটি বেসরকারী মালিকানায় চলে যায় এবং বর্তমানে এটি 'এন এল ট্রেডিং' কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে[৩]।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | লম্বা-দূরত্বের কমিউটার ট্রেন |
অবস্থা | সক্রিয় |
বর্তমান পরিচালক | এন এল ট্রেডিং; বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ২১ টি |
শেষ | চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ১৮০ কিমি |
যাত্রার গড় সময় | ৫ ঘণ্টা ৫ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ২৯-৩০ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | ৯টি দ্বিতীয় শ্রেণী সুলভ |
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | নাই |
খাদ্য সুবিধা | নাই |
কারিগরি | |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
রক্ষণাবেক্ষণ | পাহারতলী ওয়ার্কশপ, পাহারতলী, চট্টগ্রাম |
সময়সূচি
সম্পাদনাবাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচি অনুযায়ী, সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- ২৯ নং সাগরিকা এক্সপ্রেস = চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে সকাল ৮টা, চাঁদপুর পৌঁছায় ১২টা ৫০ মিনিটে।
- ৩০ নং সাগরিকা এক্সপ্রেস = চাঁদপুর ছাড়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে।
যাত্রাবিরতি
সম্পাদনাকর্মক্ষমতা
সম্পাদনাসাগরিকা এক্সপ্রেস লাভজনক একটি ট্রেন, যা চট্টগ্রামের সাথে পরোক্ষভাবে মেঘনা নদীর মাধ্যমে দক্ষিনাঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। তবে এটি এর মন্থর গতি ও স্বল্প লোডের (৯/১৮) জন্য সমালোচিত। এটি 'কার্বন ডাইঅক্সাইডের জেনারেটর' ও 'টিটিই-গার্ড-ড্রাইভারের ট্রেন' হিসেবে কুখ্যাত[৪]।
দুর্ঘটনা
সম্পাদনা- ০৮/০১/২০১১: ভোর সাড়ে ৮টার দিকে ছায়াবানী সংলগ্ন এলাকায় সাগরিকা এক্সপ্রেসের একটি কোচে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় ও ট্রেন থেমে যায়। পরে মেরামত শেষ হয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এটি যাত্রা শুরু করে।[৫]
- ১৭/০৮/২০১৬: চট্টগ্রামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের সীমানা প্রাচীরের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটণা ঘটেনি।[৬]
- ০৪/০২/২০২০: বিকেলে চাঁদপুর মিশন রোডের সামনে সাগরিকা এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে কৃষি অফিসের এক ক্যাশিয়ার নিহত হন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সাগরিকা এক্সপ্রেস"। প্রথম আলো। ২০১৫-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১২।
- ↑ "'সাগরিকা এক্সপ্রেস' সীমানা দেওয়াল ভাঙলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে"। বর্তমান প্রতিদিন। ২০১৬-০৮-১৭। ২০২০-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১২।
- ↑ ":: চাঁদপুর কন্ঠ ::"। www.chandpur-kantho.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১।
- ↑ "সাগরিকা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গ | চিঠিপত্র | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চাঁদপুর-লাকসাম রুটে ট্রেন চলাচল শুরু"। bangla.bdnews24.com। ২০২০-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১।
- ↑ "'সাগরিকা এক্সপ্রেস' সীমানা দেওয়াল ভাঙলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে"। বর্তমান প্রতিদিন। ২০১৬-০৮-১৭। ২০২০-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১।
- ↑ "চাঁদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় কৃষি অফিসের ক্যাশিয়ার নিহত"। dhakatimes24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১।