সমকামিতা
সমকামিতা (হোমোসেক্সুয়ালিটি) বা সমপ্রেম[১] বলতে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি "রোমান্টিক আকর্ষণ, যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণ"কে বোঝায়। যৌন অভিমুখিতা হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি "আবেগীয়, রোমান্টিক ও/বা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী কাঠামোবিন্যাস"। এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোনো সম্প্রদায়কেও এই শব্দটি দ্বারা নির্দেশ করা হয়।"[২][৩]
উভকামিতা ও বিপরীতকামিতার সাথে সমকামিতা বিপরীতকামী-সমকামী অনবচ্ছেদের অন্তর্গত যৌন অভিমুখিতার তিনটি প্রধান ভাগের অন্যতম বলে স্বীকৃত।[২] বিজ্ঞানীরা সমকামিতার প্রকৃত কারণ জানেন না, কিন্তু তারা তাত্ত্বিকভাবে ধারণা করেন যে, জিনগত, হরমোনগত এবং পরিবেশগত কারণসমূহের এক জটিল আন্তঃক্রিয়ার ফলে এটি ঘটে থাকে[৪][৫][৬] তারা জীববিদ্যা-নির্ভর তত্ত্বগুলোকে বেশি সমর্থন করে থাকেন,[৪] এর অন্তর্গত হল জিন, মাতৃগর্ভের পরিবেশ, এই দুই প্রভাবের মেলবন্ধন অথবা এই সব কিছুর সাথে সামাজিক প্রভাবের মেলবন্ধন।[৭][৮] যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণে যে সন্তানপালন বা শৈশবের অভিজ্ঞতার কোনো ভূমিকা আছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।[৭] কেউ কেউ সমকামী যৌন আচরণকে অপ্রাকৃতিক মনে করলেও[৯] বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সমকামিতা মানব যৌনতার একটি সাধারণ ও প্রাকৃতিক প্রকরণ, এবং অন্য কোনো প্রভাবকের অস্তিত্ব ছাড়া এটি কোনো নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না।[২][১০] যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের বিভিন্ন কর্মসূচীর কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।[১১]
মহিলা সমকামীদের বোঝাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দটি হল লেসবিয়ান এবং পুরুষ সমকামীদের ক্ষেত্রে গে, যদিও গে কথাটি প্রায়শ সমকামী মহিলা ও পুরুষ উভয়কে বোঝাতেও সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়। নানা কারণে স্বঘোষিত সমকামীর সংখ্যা এবং মোট জনসংখ্যার মধ্যে সমলৈঙ্গিক সম্পর্কে আবদ্ধ মানুষের অনুপাত নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। এই কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হল সমকামভীতি ও বিপরীতকামবাদের সমর্থনজনিত বৈষম্যের কারণে অনেক সমকামী প্রকাশ্যে তাদের যৌনতা স্বীকার না করা।[১২] অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও সমকামী আচরণের নিদর্শন নথিভুক্ত হয়েছে।[১৩][১৪][১৫][১৬][১৭]
অনেক সমকামী মানুষ স্থায়ী পারস্পরিক সম্পর্কে আবদ্ধ আছেন, যদিও আদমশুমারির ফর্ম, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদির আনুকূল্যে তাদের আত্মপ্রকাশের পথ নিরাপদ হয়েছে একেবারে সাম্প্রতিক কালে।[১৮] মূল মনস্তাত্ত্বিক গঠনের দিক দিয়ে এই সম্পর্কগুলো বিপরীতকামী সম্পর্কের সমান।[১৯] নথিভুক্ত ইতিহাস জুড়ে সমকামী সম্পর্ক এবং কার্যকলাপের প্রশস্তি ও নিন্দা - উভয়েরই নিদর্শন মেলে; কেবল প্রকাশের ভঙ্গিমা ও সংশ্লিষ্ট সংস্কৃতিজনিত তারতম্য দেখা যায়।[২০] ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে, যার অন্তর্গত বিবাহ, দত্তক গ্রহণ ও সন্তানপালন, কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকার, সামরিক পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমানাধিকার, এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সমকামীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অ্যান্টি-বুলিং আইন।
শব্দতত্ত্ব
সম্পাদনাবাংলা সমকামিতা শব্দটির গঠন সংস্কৃত-সঞ্জাত। সংস্কৃত শব্দ ‘সম’-এর অন্যতম অর্থ সমান অথবা অনুরূপ[২১] এবং ‘কাম’ শব্দের অন্যতম অর্থ যৌন চাহিদা, রতিক্রিয়া তথা যৌন তৃপ্তি[২২]। অতঃপর এই দুই শব্দের সংযোগে উৎপন্ন সমকামিতা শব্দ দ্বারা অনুরূপ বা সমান বা একই লিঙ্গের মানুষের (বা প্রাণীর ক্ষেত্রে অন্য প্রাণীর) প্রতি যৌন আকর্ষণকে বোঝায়।
সমকামিতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি তৈরি হয়েছে গ্রিক ‘হোমো’ এবং ল্যাটিন ‘সেক্সাস’ শব্দের সমন্বয়ে। গ্রিক ভাষায় ‘হোমো’ বলতে বোঝায় সমধর্মী বা একই ধরনের। আর ‘সেক্সাস’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে যৌনতা।[২৩][৩]।
১৮৬৯ সালে কার্ল মারিয়া কার্টবেরি সডোমি আইনকে তিরস্কার করে ইংরেজিতে প্রথম ‘হোমোসেক্সুয়াল’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানী গুস্তভ জেগার এবং রিচার্ড ফ্রেইহার ভন ক্রাফট ইবিং ১৮৮০’র দশকে তাদের সাইকোপ্যাথিয়া সেক্সুয়ালিস গ্রন্থে হেটারোসক্সুয়াল ও হোমোসেক্সুয়াল শব্দ দুটো দ্বারা যৌন পরিচয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করেন, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী যৌন পরিচয়ের শ্রেণিবিভাজন হিসেবে ব্যাপক পরিসরে গৃহীত হয়।[২৪][২৫]
বর্তমানে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটি বিদ্বৎসমাজে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হলেও ‘গে’ এবং ‘লেসবিয়ান’ শব্দদুটি অধিক জনপ্রিয়। গে শব্দটির দ্বারা পুরুষ সমকামীদের বোঝানো হয় এবং নারী সমকামীদেরকে বোঝানো হয় লেসবিয়ান শব্দটির দ্বারা। পশ্চিমে ‘গে’ শব্দটি সমকামী অর্থে প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় সম্ভবত ১৯২০ সালে। তবে সে সময় এটির ব্যবহার একেবারেই সমকামীদের নিজস্ব গোত্রভুক্ত ছিলো। মুদ্রিত প্রকাশনায় শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে। লিসা বেন নামে এক হলিউড সেক্রেটারী ‘Vice Versa: America’s Gayest Magazine’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের সময় সমকামিতার প্রতিশব্দ হিসেবে ‘গে’ শব্দটি ব্যবহার করেন। আর ‘লেসবিয়ান’ শব্দটি এসেছে গ্রিস দেশের ‘লেসবো’ নামক দ্বীপমালা থেকে। কথিত আছে, খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে স্যাফো নামে সেখানকার এক কবি/শিক্ষিকা মেয়েদের সমকামী যৌন জীবন নিয়ে কাব্য রচনা করে ‘কবিতা উৎসব’ পালন করতেন।[২৬][২৭] এইভাবে প্রথম দিকে লেসবিয়ান বলতে ‘লেসবো দ্বীপের অধিবাসী’ বোঝালেও, পরবর্তীতে নারীর সমকামিতার সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায়।
ইতিহাস
সম্পাদনাদেশ ও কালভেদে সমকামিতার প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন স্তর পরিলক্ষিত হয়েছে। সমকামী সম্পর্ককে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক বলে মনে করা, এর প্রতি সামাজিক উদাসীনতা, সাধারণ সহনশীলতা বা তীব্র অসহনশীলতা, একে একপ্রকার লঘু পাপ হিসেবে গণ্য করা থেকে শুরু করে আইন প্রণয়ন ও বিচারব্যবস্থার সাহায্যে এর অবদমন এবং মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে সমাজ সমকামিতাকে গ্রহণ বা বর্জন করেছে।
প্রাক্-শিল্পায়ন সংস্কৃতিসমূহের ঐতিহাসিক ও জাতিতত্ত্বগত নমুনার একটি সুপরিকল্পিত সংকলনে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী "সমীক্ষাধীন ৪২ টি সংস্কৃতির ৪১ শতাংশে সমকামিতার প্রবল বিরোধিতার নমুনা পাওয়া গেছে; ২১% এর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, আর ১২% জানিয়েছে তারা এমন কোনো ধারণার সঙ্গে পরিচিত নয়। সমীক্ষাধীন ৭০ টি জাতির মধ্যে ৫৯% জানয়েছে সমকামিতা তাদের মধ্যে অনুপস্থিত বা বিরল, এবং অবশিষ্ট ৪১% এর মতে তা উপস্থিত বা 'বিরল নয়'।[২৮]
আব্রাহামীয় ধর্মসমূহের দ্বারা প্রভাবিত সংস্কৃতিসমূহে আইন ও গির্জা কর্তৃক সডোমিকে ঐশ্বরিক বিধানের পরিপন্থী তথা 'প্রকৃতির বিরুদ্ধাচার' বলে অভিহিত করা হয়েছে।এবং ইসলাম ধর্মে সমকামিতা কে হারাম ঘোষণা করা হয়ে। কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী লূতের জাতিকে সমকামিতা অপরাধে ধংস্য করা হয়[২৯][৩০] পুরুষদের মধ্যে পায়ুসঙ্গমের নিন্দা অবশ্য খ্রিস্টধর্মের চেয়েও প্রাচীন; প্লেটোর কাজকর্মেও "অপ্রাকৃতিক"-এর ধারণার প্রমাণ পাওয়া যায়।[৩১]
বহু ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যেমন সক্রেটিস, লর্ড বায়রন, দ্বিতীয় এডওয়ার্ড, হাদ্রিয়ান[৩২]-এর ক্ষেত্রে সমকামী বা উভকামীর মত পরিভাষাগুলো মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করা হয়। মিশেল ফুকোর ন্যায় কিছু দার্শনিকের মতে এই অভ্যাস ভুল, কারণ প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় সমাজে যৌনতার উক্ত ধারণাগুলির অস্তিত্ব ছিল না, তাই আধুনিক যুগে নির্ণীত শব্দ দিয়ে তৎকালীন পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গেলে কালবিভ্রাটজনিত দোষের আশঙ্কা তৈরি হয়।[৩৩] অবশ্য অন্যান্য দার্শনিক এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।[৩৪]
সমাজবিজ্ঞানে সমকামিতার প্রতি "আবশ্যকতাবাদী" ও "গঠনবাদী" দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে মতভেদ আছে। প্রথম পক্ষের মতে "স্ট্রেট" (বিপরীতকামী), "গে" প্রভৃতি শব্দগুলি দেশ, কাল তথা সংস্কৃতি-নিরপেক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়; দ্বিতীয় পক্ষের সমর্থকেরা মনে করেন এই শব্দগুলি কেবল নির্দিষ্ট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতেই প্রযোজ্য। "আবশ্যকতাবাদীরা" বলেন, যৌন অভিমুখিতা হল স্বতঃস্ফূর্ত জৈবিক ক্রিয়াবিশেষ, কিন্তু "গঠনবাদীরা" বলেন তা অর্জিত বৈশিষ্ট্য।[৩৫] বিজ্ঞানের দার্শনিক মাইকেল রুজ বলেছেন যে ফুকো প্রভাবিত সামাজিক গঠনবাদী মতবাদটি ইতিহাসের বিশেষ কিছু নিদর্শনের উপর জোর দেওয়ার ফলে এতে সমকামীদের বাস্তব অবস্থার সাথে তাদের সম্পর্কে অবশিষ্ট জনসমাজের ভ্রান্তিকে গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়।[৩৬]
আফ্রিকা
সম্পাদনা২৪০০ খ্রিঃ পূঃ মিশরের খ্নুমহোটেপ ও নিয়াঙ্খ্নুম-কে ইতিহাসে নথিভুক্ত প্রথম সমকামী যুগল বলে গণ্য করা হয়।[৩৭] এরা পরস্পরের নাক চুম্বনরত অবস্থায় চিত্রিত হয়েছে; এই ভঙ্গি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পে প্রদর্শিত সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ ভঙ্গি। চিত্রে এই যুগলের চারদিকে আরও অনেক মানব-অবয়ব দেখতে পাওয়া যায়। এদেরকে উক্ত যুগলের উত্তরাধিকারী অনুমান করা হয়। নৃতত্ত্ববিদ স্টিফেন ও. মারে এবং উইল রস্কো প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী লেসোথোর মহিলারা সমাজ-কর্তৃক অনুমোদিত "দীর্ঘমেয়াদী যৌনসম্পর্কে" লিপ্ত হন। এই ব্যবস্থার স্থানীয় নাম "মৎসোয়ালে"।[৩৮] ই. ই. ইভান্স প্রিচার্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পুরুষ আজান্দে যোদ্ধারা নিয়মিত বারো থেকে কুড়ি বছর বয়স্ক প্রেমিক নির্বাচন করত। এই প্রেমিকেরা তাদের বয়োজ্যেষ্ঠ স্বামীদের বাড়ির কাজে সাহায্য করত ও উরুমৈথুনের মাধ্যমে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করত।[৩৯]
আমেরিকা
সম্পাদনাআমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে দ্বৈত সত্তাবিশিষ্ট মানুষদের কেন্দ্র করে সমকামিতার বিশেষ একটি প্রকারের স্বীকৃতি ছিল। সাধারণত এই ধরনের মানুষদের ছোটবেলাতেই শনাক্ত করা হত, তার মা-বাবা তাকে উক্ত স্বীকৃত পথে জীবন কাটানোর প্রস্তাব দিতেন, আর সন্তান সম্মত হলে তাকে সঠিক পদ্ধতিতে পালন করে তার নির্বাচিত লিঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট আচারের শিক্ষা দেওয়া হত। দ্বৈত সত্তার মানুষেরা সাধারণত শামানের স্থান লাভ করত এবং সাধারণ শামানদের চেয়ে অধিক ক্ষমতাশালী বলে গণ্য হত। তাদের যৌনসঙ্গী হত গোষ্ঠীর অন্যান্য সমলিঙ্গের সদস্যেরা।
লাতিন আমেরিকার প্রাক্-ঔপনিবেশিক বিভিন্ন সভ্যতা, যথা: আজটেক, মায়া, কেচুয়া, মোচে, জাপোটেক এবং ব্রাজিলের টুপিনাম্বা জনজাতির মধ্যে প্রকাশ্য সমকামী ও রূপান্তরকামী ব্যক্তিবর্গের বসবাস ছিল।[৪০][৪১]
স্পেনীয় বিজেতারা স্থানীয় সমাজে অবাধ "সডোমি" উদ্যাপন দেখে ভীত হয়ে তা নির্মূল করার বিশেষ চেষ্টা করে। এই চেষ্টার মধ্যে ছিল জনসমাগমে মৃত্যুদণ্ড, পুড়িয়ে মারা এবং অভিযুক্তকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো।[৪২]
১৯৮৬ খ্রিঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ আদালত বোয়ার বনাম হার্ডউইক মামলার রায়ে জানায়, রাষ্ট্র সডোমিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে পারে। ২০০৩ খ্রিঃ এই রায় বাতিল হয়।[৪৩]
১৯৯৮ খ্রিঃ হাওয়াই রাজ্য সমলৈঙ্গিক বিবাহের বিরুদ্ধে সংবিধান সংশোধন করে।[৪৪] ২০১৩ খ্রিঃ রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল সমলৈঙ্গিক বিবাহের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাশ করান।[৪৫]
পূর্ব এশিয়া
সম্পাদনাচীন
সম্পাদনাপূর্ব এশিয়ায় ঐতিহাসিক বিবরণীর সূচনালগ্ন থেকেই সমপ্রেমের উল্লেখ আছে।
চীনে সমকামিতাকে "কাটা পীচের প্রণয়" এবং আরও বিভিন্ন উপমার মধ্য দিয়ে কমবেশি খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দ থেকেই ইতিহাসে স্থান দেওয়া হয়েছে। চীনা সাহিত্যের বহু বিখ্যাত কাজকর্মে সমকামিতার উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্তমান পর্যালোচকদের কাছে ধ্রুপদী উপন্যাস লাল ঘরের স্বপ্ন-তে বর্ণিত সমসাময়িক সমকামী ও বিপরীতকামী প্রেমের বর্ণনা সমান স্বতঃস্ফূর্ত বলে মনে হয়। কনফুসীয় ধর্ম মূলত একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্শন হওয়ার ফলে এতে সম বা বিপরীত কোনো রকম কাম সংক্রান্ত বিস্তৃত বিধিনিষেধ নেই। বিয়ান এর চাই (弁而釵/弁而钗) প্রভৃতি মিং সাহিত্যকীর্তিতে সমকামী প্রণয়কে বিপরীতকামী প্রণয় অপেক্ষা অধিক উপভোগ্য ও অধিক "সামঞ্জস্যপূর্ণ" বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[৪৬]লিউ সুং রাজবংশের আমলের লেখক ওয়াং শুনু দাবি করেছেন যে তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগে সমকামিতা বিপরীতকামিতার মতই বহুপ্রচলিত ছিল।[৪৭]
মধ্যযুগে তাং বংশের শাসনকালে চীনে সমকামিতার প্রতি বিরূপতার সূচনা হয়। এর মূলে ছিল খ্রিস্ট ধর্ম ও ইসলামের আবির্ভাব।[৪৮] তবে এই বিরূপতা প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পায় মাঞ্চু আমলে পাশ্চাত্যকরণ ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।[৪৯]
জাপান
সম্পাদনাসাম্প্রতিক কালে নবলব্ধ সামাজিক সহনশীলতা এবং টোকিও, ওসাকা প্রভৃতি মহানগরে বিকল্প যৌনতার মানুষদের তথাকথিত "মুক্তাঞ্চল" জাপানে বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও জাপানে সমকামীরা প্রায়ই তাদের যৌন পরিচয় গোপন রাখতেন; অনেকে বিপরীত লিঙ্গের সাথে বিবাহবন্ধনে সম্মতি দিতেন।[৫০] সমলৈঙ্গিক বিবাহ জাপানে আইনসম্মত নয়। জাপান টাইম্স এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিতর্কও হয় না।[৪]
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
সম্পাদনাসিঙ্গাপুর
সম্পাদনা২০১৪ এর জুন মাসে ২০,০০০ জনের একটি দল সমকামী অধিকারের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখায়।
ঐ বছরেরই ২৯ শে অক্টোবর সিঙ্গাপুর হাইকোর্ট সডোমি-বিরোধী একটি ধারা সংস্কারের দাবি বাতিল করে। ঐ ধারায় দোষীর ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।[৫১]
ইন্দোনেশিয়া
সম্পাদনাইন্দোনেশিয়ায় সমকামী বিবাহ স্বীকৃত না হলেও সমকামিতা নিজেই বৈধ।[৫২] তবে প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়ার ন্যায়[৫৩] ইন্দোনেশিয়ায় কোন সডোমি আইন নেই এবং জাতীয় অপরাধ নীতিমালায় ব্যক্তিগত, অ-প্রাতিষ্ঠানিক সমকামী সম্পর্কের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ২০০৩ সালের একটি জাতীয় বিলে সমকামিতাকে অবৈবাহিক-বসবাস, ব্যভিচার ও ডাকিনীবিদ্যা চর্চার সমান্তরালে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রকল্প ব্যর্থ হয় এবং এখন পর্যন্ত এর সমধর্মী কোন বিল পুনঃপ্রবর্তিত হয় নি।[৫৪] ইন্দোনেশীয় গে এবং লেসবিয়ান আন্দোলন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে পুরোনো ও ব্যাপক।[৫৫] ১৯৮২ তে দেশে প্রথম সমকামী অধিকার সংগঠন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে এই লক্ষ্যে কাজকর্মের সূচনা হয়। ১৯৮০ এর দশকের শেষ ও ৯০ এর দশক জুড়ে "ল্যামডা ইন্দোনেশিয়া" এবং অন্যান্য অনুরূপ সংগঠন গড়ে ওঠে।[৫৬] বর্তমানে দেশের বৃহত্তম এলজিবিটি সংগঠনগুলোর মধ্যে "গেয়া নুসান্তারা" এবং "আরুস পেলাঙ্গি" উল্লেখযোগ্য। এই ধরনের সংগঠনের মোট সংখ্যা এখন ইন্দোনেশিয়ায় ত্রিশ ছাড়িয়েছে।[৫৭] ইন্দোনেশিয়ায়, যেখানে ধর্ম সমাজ ব্যবস্থায় একটি প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে, এবং যেখানে মোট জনসংখ্যার 86 শতাংশসংখ্যা মুসলিম, সেখানে সমকামিতা আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য না হলেও ইসলামের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের দ্বারাও সমকামিতার শাস্তির দাবি উত্থাপিত হয়েছে।[৫৮][৫৯] ২০০২ সালে, ইন্দোনেশিয়ার সরকার উত্তরপশ্চিমের আচেহ প্রদেশকে ইসলামিক শরিয়া আইন প্রবর্তনের অধিকার দেয় যা মুসলিম অধিবাসীদের মধ্যে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। ২০১৪ এর সেপ্টেম্বরে আচেহ প্রদেশের সরকার একটি শরিয়াভিত্তিক সমকামিতা-বিরোধী আইন পাশ করে যা হল, যদি কেউ সমকামী যৌনাচারকৃত হিসেবে ধরা পড়ে তবে তাকে শাস্তিস্বরূপ ১০০ চাবুকাঘাত ১০০ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে আইনটি কার্যকর করা হয়।[৬০]
দক্ষিণ এশিয়া
সম্পাদনাভারত
সম্পাদনাভারতের বৃহত্তম ধর্ম হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলিতে সমকামিতার সুস্পষ্ট উল্লেখ না থাকলেও, ধর্মগ্রন্থের কোনো কোনো ব্যাখ্যাকে সমকামিতার বিরোধী মনে করা হয়।[৬১] তবে ভারতের প্রধান ধর্মবিশ্বাসে সমকামিতার অবস্থান কোথায়, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে দ্বিমত আছে। কেউ কেউ মনে করেন প্রাচীন হিন্দু সমাজে সমকামিতা শুধু প্রাসঙ্গিকই ছিল না, বরং তা গ্রহণীয়ও ছিল।[৬২] বর্তমানে ভারতে সমকামিতা বৈধতা পেয়েছে। [৬৩] অতীতে সমকামিতা ভারতীয় নাগরিক সমাজ ও সরকারের কাছে একটি নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে পরিচিত হলেও সম্প্রতি তা আইনি বৈধতা পেয়েছে। ভারতে সমকামিতা নিয়ে সাধারণ আলোচনার সুযোগ কম। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সমকামিতার প্রতি ভারতীয়দের মনোভাবে কিছু পরিবর্তন লক্ষিত হয়েছে। বিশেষত, ভারতের সংবাদমাধ্যম[৬৪][৬৫][৬৬] ও বলিউডে[৬৭] সমকামিতার প্রদর্শন ও তৎসংক্রান্ত আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালের ২ জুলাই, দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায়ে স্পষ্টত জানানো হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামিতার আচরণ অপরাধের আওতায় পড়ে না। এই রায়ে আরো বলা হয়েছে যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকার রক্ষা নীতির পরিপন্থী।[৬৮] ২০১৩ সালের ১১ই ডিসেম্বর পুনরায় সমকামিতাকে অবৈধ ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।[৬৯] ২০০৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে সমকাম নিয়ে সর্বপ্রথম গবেষণামূলক গ্রন্থ বের করা হয় যার নাম ছিলো 'সমপ্রেম' এবং এটার লেখক ছিলেন অজয় মজুমদার ও নিলয় বসু, বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম এই বইটিই ছিলো সমকাম নিয়ে গবেষণামূলক বই, দীপ প্রকাশন সংস্থা থেকে বের হওয়া বইটি ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশো কপি বিক্রী হয়েছিলো।[৭০]
বাংলাদেশ
সম্পাদনাবাংলাদেশে প্রকাশ্যে সমলিঙ্গের বন্ধুদের মধ্যে আবেগপ্রবণতা প্রচলিতভাবে স্বীকৃত, এবং এ নিয়ে কোন সমালোচনা না হলেও এর পাশাপাশি সমকামিতার প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উক্ত দেশের ৯০% ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যার ধর্মীয় ঐতিহ্য ও বাংলাদেশী সমাজের মানসিকতার ফলে উক্ত বিরোধী মনোভাব দেখা যায়। পরিবারে বাইরের ব্যক্তিবর্গ যেমন পুলিশ, বিদ্বেষী ও মুসলিম মৌলবাদী দলসমূহ এলজিবিটি (হিজড়া ব্যতীত) সদস্যদের হয়রানি, নির্যাতন ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করে থাকেন। এই নৈতিক মানদণ্ডে সরকার কোন অর্থায়ন না করলেও কোন প্রকার উদ্যোগ নিতে কোন প্রকার উৎসাহ বা সক্রিয়তাও কখনো তাদের মাঝে দেখা যায় না।
বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার দেয়া হলেও নৈতিক অবক্ষয়ভিত্তিক বিধিনিষেধ রয়েছে। ৩৭৭ ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পায়ুমৈথুন শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ, যার শাস্তি দশ বছর থেকে শুরু করে আজীবন কারাদণ্ড এবং সাথে জরিমানাও হতে পারে।[৭১]
৩৭৭. প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ: কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোন পুরুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করে, তবে তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে, অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে যা দশ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে, এবং এর সাথে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে। ব্যাখ্যা: ধারা অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণে যৌনসঙ্গমের প্রয়োজনীয় প্রমাণ হিসেবে লিঙ্গপ্রবেশের প্রমাণ যথেষ্ট হবে।[৭১][৭২]
৩৭৭ ধারার ব্যাখ্যায় পায়ুসঙ্গমজনিত যে কোন যৌথ যৌন কার্যকলাপকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একারণে, পরস্পর সম্মতিক্রমে বিপরীতকামী মুখকাম ও পায়ুমৈথুনও উক্ত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে।[৭৩][৭৪]
বাংলাদেশে প্রথম এলজিবিটি সংক্রান্ত জনসচেতনতা গড়ে তোলার বৃহত্তর উদ্যোগ শুরু হয় ১৯৯৯ এ। ঐ সময়ে রেংগ্যু নামক এক উপজাতীয় ব্যক্তি বাংলাদেশের সমকামীদের জন্য প্রথম অনলাইন গ্রুপ "গে বাংলাদেশ" সৃষ্টি করেন।[৭৫] বর্তমানে বয়েজ অফ বাংলাদেশ হল দেশের বৃহত্তম সমকামী সংগঠন। এটি ২০০৯ থেকে ঢাকায় এলজিবিটি সচেতনতাবর্ধক অনুষ্ঠান করে আসছে। এই দল বাংলাদেশে একটি সুসংহত এলজিবিটি সমাজ গড়তে চায়, এবং চায় ৩৭৭ ধারার অবসান।[৭৬]
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হল মুক্তমনা ব্লগ, যাকে পরিচালকরা "বাঙালী মানবতাবাদী ও মুক্তচিন্তার সমর্থকদের জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্থান" বলে বর্ণনা করে। ২০১০ এ এই ব্লগের অন্যতম অবদানকারী তথা গবেষক ও বিজ্ঞান-লেখক অভিজিৎ রায় সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান নামে একটি বই প্রকাশ করেন।
ইউরোপ
সম্পাদনাধ্রুপদী যুগ
সম্পাদনাপাশ্চাত্য সভ্যতায় সমকামিতার সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন পাওয়া যায় সাহিত্য, শিল্পকীর্তি ও পুরাণের উপাদান থেকে। প্রাচীন গ্রিসের পেডেরাস্টি থেকে এই ধরনের নিদর্শনের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়।
মধ্যপ্রাচ্য
সম্পাদনা১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বহু আরব ভ্রমণকারী ইউরোপ সফর করেন।এদের মাঝে দুজন ভ্রমণকারী, রিফালাহ আল তাহতাভি ও মুহাম্মাদ আল সাফফার, এই ঘটনায় অবাক হন যে, ফরাসিগণ অনেক সময় তরুণ বালক সম্পর্কে ভালোবাসার কবিতাকে সামাজিক রীতিনীতি ও নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য তাকে সুচিন্তিতভাবে ভুল অনুবাদ করে তার বদলে তরুণী বালিকার কথা লিখেছেন।[৭৮]
ইসরায়েলকে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সমকামীদের প্রতি সবচেয়ে সহনশীল দেশ বলে মনে করা হয়,[৭৯] এবং তেল আবিবকে একারণে "মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষ সমকামী রাজধানী" নামে ডাকা হয়,[৮০] যা বিশ্বের সমকামীদের প্রতি সবচেয়ে বন্ধুসুলভ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়।[৮১] সমকামিতার সমর্থনে তেল আভিভে প্রতি বছর বার্ষিক গৌরব মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।[৮২]
অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক সরকার প্রায়শই সমকামিতাকে এড়িয়ে যায়, এর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং একে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। মুসলিম দেশসমূহের সবগুলোতেই সমকামিতা অবৈধ।[৮৩] বহু মুসলিম দেশে সমলিঙ্গীয় যৌনসংগমের ফলে আইনগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান করা হয়, এরা হল: সৌদি আরব, ইরান, মোরিতানিয়া, উত্তর নাইজেরিয়া, সুদান, এবং ইয়েমেন।[৮৪] ইরানের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমেদিনেজাদ ২০০৭ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বক্তব্য প্রদানকালে বলেন যে, ইরানে কোন সমকামী লোকজন নেই। সম্ভবত, এর একটি কারণ হতে পারে যে, তারা সরকারি তহবিল না পাওয়া অথবা পরিবার কর্তৃক ত্যাজ্য হওয়ার ভয়ে তাদের যৌন পরিচয়কে লুকিয়ে রাখে।[৮৫]
সৌদি আরব
সম্পাদনাসৌদি আরবে সমকামিতা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। নারী ও পুরুষ উভয় সমকামী কর্ম সেখানে অবৈধ। সৌদি আরবের সরকার কর্তৃক সমকামী আইন স্বীকৃত নয়। সৌদি সামাজিক বিধান ও আইন উভয়েই অধিক রক্ষণশীল মুসলিমদের দ্বারা প্রভাবিত। সমকামিতা ও রূপান্তরকামিতাকে অনৈতিক ও অশ্লীল কাজ বলে মনে করা হয়, আর সরকারি আইনে সমকামিতা ও বিপরীত লিঙ্গের বেশ ধারণ করলে অর্থদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,[৮৬] ও মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে।[৮৭]
প্রাক-ইসলামী সময়কাল
সম্পাদনাজনমিতি
সম্পাদনাজরিপ
সম্পাদনা২০০৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, ব্রিটিশ জনগণের ১৩% লোকের জীবনের কোন না কোন সময়ে সমলিঙ্গীয় যৌন অভিজ্ঞতা রয়েছে আর এদের মধ্যে ৬% নিজেদেরকে সমকামী বা উভকামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।[৮৮] একইভাবে, ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের অফিস ফোর ন্যাসন স্ট্যাটিস্টিকস করা এক সমীক্ষায় ৯৫% ব্রিটিশ ব্যক্তি নিজেদের বিপরীতকামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, ১.৫% বলেছেন যে "আমি জানি না", "অন্য কিছু" এথবা প্রশ্নের উত্তর দেন নি।[৮৯][৯০]
বয়স/লিঙ্গ | হ্যাঁ | না | জানেন না প্রত্যাখ্যান |
---|---|---|---|
১৮-২৯ | ৬.৪% | ৯০.১% | ৩.৫% |
৩০-৪৯ | ৩.২% | ৯৩.৬% | ৩.২% |
৫০-৬৪ | ২.৬% | ৯৩.১% | ৪.৩% |
৬৫+ | ১.৯% | ৯১.৫% | ৬.৫% |
১৮-২৯, নারী | ৮.৩% | ৮৮.০% | ৩.৮% |
১৮-২৯, পুরুষ | ৪.৬% | ৯২.১% | ৩.৩% |
স্বাস্থ্য
সম্পাদনাশারীরিক
সম্পাদনামানসিক
সম্পাদনামনোবিজ্ঞান
সম্পাদনাবিগত শতাব্দীগুলোতে, মনোবিজ্ঞান ছিল সমকামিতাকে একটি স্বতন্ত্র দশা হিসেবে গবেষণা করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান পন্থা। বিংশ শতাব্দী জুড়ে, মনোবিজ্ঞানের সাধারণ মানদণ্ড অনুযায়ী রোগনির্ণয়ক আদর্শসমূহের পরিভাষায় সমকামিতাকে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে দেখা হত। গবেষণায় এই সিদ্ধান্ত যাচাইকরণ শুরু হওয়ার পর, তা সমকামিতাকে অসুস্থতা হিসেবে যথেষ্ট প্রমাণাদি উদ্ভাবনে ব্যর্থ হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আচরণিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের বহু অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ একে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে গ্রহণ করার মাঝে আবদ্ধ থাকেন। পরবর্তী বছরগুলোতে, অনেকেই এই সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলে দাবি করতেন, এবং মানসিক অসুস্থতার ডিএসএম নির্দেশিকার সঙ্গায়নেও প্রচলিত প্রভাবশালী সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা-ভিত্তিক বিশ্বাস এবং পুনর্বাসন সংস্থা ও অপরাধমূলক আইনি বিচার-সংস্থাগুলোর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।[১৯]
১৯৭০-র পর থেকে, বিশ্বজুড়ে বহু স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং আচরণগত-সমাজবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ সমকামিতাকে মানব যৌন অভিমুখিতার একটি স্বাস্থ্যকর প্রকরণ হিসেবে দেখেন, এবং বাদবাকি বিশেষজ্ঞরা একে অসুস্থতা হিসেবে বহাল রাখেন।[৯১] ১৯৭৩ সালে, সমকামী অধিকার সংগঠনগুলোর ব্যাপক লবিং-এর ফলশ্রুতিতে[৯২] মার্কিন মনোচিকিৎসক সমিতি মানসিক অসুস্থতা হিসেবে সমকামিতার সংজ্ঞাকে বাতিল করে।[৯৩] মার্কিন মনোচিকিৎসক সমিতির প্রতিনিধি কাউন্সিল ১৯৯৫ সালে[৯৪] এবং এরপর অন্যান্য সংস্থাগুলো এই নতুন সংজ্ঞা অনুসরণ শুরু করে, যার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা গ্রহণ করে ১৯৯০ সালে।[৯৫]
কারণ
সম্পাদনাজৈবিক কারণ বনাম পরিবেশগত কারণ
সম্পাদনাযদিও বিজ্ঞানীরা যৌন অভিমুখিতার কারণ হিসেবে জৈবিক মডেলকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে করেন,[৪] তবে তারা এও বিশ্বাস করেন যৌন অভিমুখিতার বিকাশের জন্য একাধিক উপাদান দায়ী। বিজ্ঞান সমকামিতার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে, আর ফলস্বরূপ জৈবিক ও পরিবেশগত কারণগুলিই এর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। যে সমস্ত জৈবিক কারণ সম্বন্ধে গবেষণা করা হয়েছে সেগুলো হল জিনগত ও হরমোনগত, বিশেষ করে ভ্রূণের পরিণতির সময় যে সমস্ত পরিবর্তনের ফলে মস্তিষ্কের গঠনগত ও কার্যগত পরিবর্তন ঘটে এবং ডান-হাতি বা বাঁ-হাতি হওয়ার প্রবণতা ইত্যাদি অন্য কোনো কোনো স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যও নির্ধারিত হয়।[৪][৭] পরিবেশের বহুসংখ্যক নিয়ামক প্রভাব (সামাজিক, মানসিক) এবং জৈবনিক বিষয় রয়েছে যা যৌন অভিমুখিতাকে প্রভাবিত করতে পারে; যদিও অনেক গবেষক মনে করেন মূলত প্রকৃতি ও প্রতিপালন — এই দুইয়ের জটিল বোঝাপড়া বা অন্যোন্যক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক-শৈশবে (আট বছর বয়স অবধি) এটি নির্ধারিত হয়।[২][৪][৫][৬] পরিবেশগত ফ্যাক্টরের তুলনায় জৈবিক কারণ বিশেষত পুরুষের যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে বেশিরভাগ গবেষণায় উঠে এসেছে।[৯৬]
সন্তান প্রতিপালন অথবা শৈশবের কোনো অভিজ্ঞতার দরুন যৌন অভিমুখিতায় প্রভাব পরে এজাতীয় ফলাফল কোনো গবেষণাতে পাওয়া যায়নি।[৭] বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যৌন অভিমুখিতা ইচ্ছাকৃত কোনো প্রবৃত্তি নয়।[৪][৫][৯৭]
মার্কিন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আকাদেমি ২০০৪ এ পেডিয়াট্রিক্সে বলে:
“ | যৌন অভিমুখিতা সম্ভবত কোনো একটা কারণে নির্ধারিত হয় না,বরং তা জিনগত, হরমোনগত ও পরিবেশগত একাধিক কারণের সমষ্টিগত প্রভাবেরই ফল। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে বিশেষজ্ঞেরা জীববিদ্যা ভিত্তিক তত্ত্বগুলি সমর্থন করেন। [...] নানা প্রকার মানব যৌনতার উৎপত্তির ব্যাপারে প্রচুর বিতর্ক ও অনিশ্চয়তা থাকলেও এখনও এই ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে অস্বাভাবিক সন্তানপালন, যৌন অত্যাচার বা অন্যান্য পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা যৌন অভিমুখিতাকে প্রভাবিত করে। বর্তমানে জ্ঞাত তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, সাধারণত শৈশবের সূচনাতেই (আটবছর বয়স) যৌন অভিমুখিতা নির্ধারিত হয়।[৪][৯৮] | ” |
মার্কিন মনোবিদ্যা সমিতি, মার্কিন মনোচিকিৎসক সমিতি এবং জাতীয় সমাজ সেবক সমিতি ২০০৬ এ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায়:
“ | আপাতত একজন মানুষের সমকামী, বিপরীতকামী বা উভকামী হয়ে ওঠার পিছনে নির্দিষ্ট কী কী কারণ থাকতে পারে সেই ব্যাপারে, তথা সম্ভাব্য জৈবিক, মানসিক বা বাবা-মায়ের যৌন অভিমুখিতার ভূমিকার ব্যাপারে কোনো বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত্য নেই। যদিও, উপস্থিত প্রমাণ থেকে এইটুকু বোঝা যায় যে প্রাপ্তবয়স্ক সমকামী জনসাধারণের মধ্যে অধিকাংশই বিপরীতকামী মা-বাবার সন্তান এবং সমকামী মা-বাবাদের সন্তানদের মধ্যে অধিকাংশই বড় হয়ে বিপরীতকামী হন।[১৯] | ” |
২০১৪ তে রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট্স জানায়:
“ | রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট্স মনে করে যে যৌন অভিমুখিতা হল একাধিক জৈবিক ও জন্ম-পরবর্তী পরিবেশগত কারণের মিলিত প্রভাবের ফল। এর চেয়ে বেশি বলার মত আর যৌন অভিমুখিতার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে দায়ী করার মত কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।[৯৯] | ” |
মার্কিন মনোবিদ্যা সমিতির মতে "ব্যক্তিবিশেষের যৌন অভিমুখিতার অনেক সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে, যে কারণগুলো ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।" তারা এ'কথাও বলেন যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের যৌন অভিমুখিতা অল্প বয়সেই নির্ধারিত হয়ে যায়।[২] পুরুষদের মধ্যে জিনগত বা জন্ম-পূর্ববর্তী অন্যান্য প্রভাবকের দ্বারা কীভাবে যৌন অভিমুখিতা নির্ধারিত হয়, সেই সংক্রান্ত গবেষণা সমকামিতার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং চিকিৎসা-জিনতত্ত্ব ও প্রিন্যাটাল ডায়াগ্নসিস সম্বন্ধেও নতুন করে ভাবায়।[১০০]
প্রফেসর মাইকেল কিং-এর মতে: "যে সমস্ত বিজ্ঞানী যৌন অভিমুখিতার উৎপত্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁদের সিদ্ধান্ত হল এই যে, যৌন অভিমুখিতা এমন একটি মানবীয় বৈশিষ্ট্য যা জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ধারিত হয় এবং যা অপরিবর্তনীয়। সমকামিতার উৎপত্তি সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি ধর্মীয় ও সামাজিক বিতর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে সমকামিতা ব্যক্তির সচেতন পছন্দ মাত্র নয়।"[১০১]
"গে জিন"
সম্পাদনাঅসংখ্য গবেষণা সত্ত্বেও কোনো "গে জিন" পাওয়া যায়নি। যদিও জমজ গবেষণার উপর ভিত্তি করে গবেষণালব্ধ প্রমাণের সাপেক্ষে বলা যায় অন্তত পুরুষের ক্ষেত্রে সমকামিতার জিনগত ভিত্তি আছে। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৮ নং ক্রোমোজম, এক্স ক্রোমোজমের লোকাসে উপস্থিত এক্সকিউ২৮ এবং অসংখ্য ক্রোমোজমের অন্যান্য এলাকার সাথে সমকামিতার সংযোগ আছে।[১০২]
1কোন সম্পর্কের জন্য প্রাথমিক গবেষণার এই ফলাফল গুলো অকাট্য প্রমাণ নয়।
2আকস্মিক/ধারাবাহিকতাহীন হওয়ার মতো বিশ্বাসযোগ্য নয়
২০১০ সালে সম্ভাব্য এপিজেনেটিক ফ্যাক্টর যৌন অভিমুখিতা নিয়ে জিনগত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। ২০১৫ খ্রিষ্ঠাব্দে মানব জিনের আমেরিকান সংগঠনের বার্ষিক মিটিং এ দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মানব জিনের নয়টি এলাকায় মিথাইলেশনের বিন্যাসের সাথে সমকামিতার গভীর সংযোগ আছে। গবেষকরা একটা দলের উপর মিথাইলেশন বিন্যাস ব্যবহার করে কম্পিউটার এলগরিদম দিয়ে হিসাব করে দেখেছেন ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে যৌন অভিমুখিতা তারা নির্ধারণ করতে পেরেছেন।[১০৫][১০৬]
তবে এভাবে জেনেটিক প্রোফাইল করে অথবা জন্মপূর্ব টেস্টের মাধ্যমে কারো যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণ করার যৌক্তিকতা/নৈতিকতা নিয়ে সামাজিকভবে বিতর্ক আছে।[১০০][১০৭]
বিবর্তনীয় প্রেক্ষাপট
সম্পাদনা২০০৮ এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিবৃতি দেওয়া হয়: "মানুষের যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণে যে জিনের প্রভাব আছে সেই সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই বোঝা যায় না প্রজননগত সাফল্যের হার কমিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও সমকামিতা কীভাবে জনসংখ্যার অপেক্ষাকৃত বেশি অংশে দেখা যায়।" তারা অনুমান করেন যে "সমকামিতার জিন সমকামীদের প্রজননগত সাফল্যের হার কমিয়ে দিলেও যে সমস্ত বিপরীতকামী ঐ জিনসমূহ বহন করেন তাঁদের নিশ্চয়ই কিছু সুবিধে করে দেয়।" এই গবেষণার ফলাফল থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে "সমকামিতার জন্য দায়ী জিনসমূহ সম্ভবত বিপরীতকামীদের কোনো প্রজননগত সুবিধে দেয়, যার ফলে জনসংখ্যায় সমকামীদের বিবর্তন ও ধারাবাহিকতা সম্ভব হয়েছে।"[১০৮] ২০০৯ এর একটা গবেষণায় এ-ও দেখা যায় যে মায়ের দিক থেকে (বাবার দিক থেকে নয়) সমকামী ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত মহিলাদের যৌন ফলপ্রসূতা বেশি হয়।[১০৯]
প্রাণীজগতে সমকামী যৌনাচরণ সম্পর্কিত বেইলি এবং জুকের একটি রিভিউয়ে সমকামিতার প্রজনন-হ্রাসের তত্ত্বটিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। সমকামী যৌনাচার কেমনভাবে অভিযোজিত হতে পারে তার অনেক সম্ভাব্য কারণ এখানে উল্লেখ করা হয়। প্রজাতিভেদে এই কারণগুলো আলাদা আলাদা হতে পারে। বেইলি এবং জুক আরও বলেন যে ভবিষ্যতে গবেষকদের শুধুমাত্র সমকামিতার উৎস অনুসন্ধান না করে তার বিবর্তনীয় পরিণতি সম্বন্ধে আরও গবেষণা করা উচিত।[১১০]
লেসবিয়ান অভিজ্ঞতা ও যৌন অভিমুখিতা সচেতনতা
সম্পাদনালেসবিয়ান নারীদের যৌনতার অভিজ্ঞতা প্রায়ই গে পুরুষদের থেকে আলাদা হয়, আর কার্যকারণগত দিক থেকেও শুধুমাত্র সমকামী পুরুষ সম্পর্কিত গবেষণা থেকে স্ত্রী সমকামিতার সঠিক ধারণা পাওয়া দুঃসাধ্য।
শেরে হিতের তত্ত্বাবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১৯৭০ এর একটি চিঠি-ভিত্তিক সমীক্ষায় লেসবিয়ানরা তাদের যৌনতার কারণের নিজস্ব ব্যাখ্যা দেন। ১৯৫৩ এ কিন্সির গবেষণার পর সেটাই ছিল নারী যৌনতার উপর প্রথম গবেষণা যেখানে নারীরা নিজেরা তাদের সমকামিত্বকে কীভাবে দেখেন, তা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরুষের তুলনায় অন্য নারীদের সাথে যৌন সংসর্গ করতে বেশি পছন্দ করার বিভিন্ন তত্ত্ব এই গবেষণায় উঠে আসে, যেমন অন্যের অনুভূতির প্রতি নারীদের বেশি সংবেদনশীলতা।[১১১]
তার গবেষণার পর শেরে হিতে স্বীকার করেন কোনো কোনো মহিলা রাজনৈতিকভাবে লেসবিয়ান পরিচিতি গ্রহণ করে থাকতে পারেন। ২০০৯ তেও যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক জুলি বিন্ডেল পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন যে "রাজনৈতিক লেসবিয়ানিজ্মের প্রাসঙ্গিকতা অব্যাহত আছে, কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যায় যৌনতা একটা মুক্ত সিদ্ধান্তের বিষয় আর আমরা ক্রোমোজোমের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নিয়তিতে আবদ্ধ নই।"[১১২]
যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের কর্মসূচী
সম্পাদনাগবেষণায় এমন কোন যথাযথ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে, যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের কর্মসূচি কোন ব্যক্তির যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনে কাজ করে। এই সকল কর্মসূচি প্রায়শই সমালোচিত হয়েছে কারণ এগুলোর মূলে ছিল একদিকে এই কর্মসূচি গ্রহণকারী কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠন এবং অন্যদিকে কিছু এলজিবিটি অধিকার সংগঠন, পেশাজীবী, এবং বৈজ্ঞানিক সংস্থা এবং কিছু অন্যান্য ধর্মভিত্তিক সংগঠনের মধ্যকার মূল্যবোধের পার্থক্য সংক্রান্ত অস্থিরতা।[১১] আচরণিক ও সমাজবিজ্ঞান এবং মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের দীর্ঘদিনের ঐকমত্য্য এই যে, "এসই" অনুসারে সমকামিতা একটি স্বাভাবিক ও ইতিবাচক যৌন অভিমুখিতা, এবং একারণে এটি কোন মানসিক বৈকল্য নয়।[১১] মার্কিন মনোচিকিৎসক সমিতির ভাষ্যমতে, "অধিকাংশ মানুষেরই তাদের যৌন অভিমুখিতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন সচেতন কারণ নেই অথবা থাকলে তা মুখ্য নয়।"[১১৩] কিছু ব্যক্তি ও দল সমকামিতার মতবাদটিকে বর্ধনকালীন অসম্পূর্ণতা বা আধ্যাত্মিক ও নৈতিক অপরিপক্বতার লক্ষণ হিসেবে প্রচার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের কর্মসূচি, যার অন্তর্গত হল মানসিক থেরাপি ও কিছু ধর্মীয় কর্মসূচি, এগুলো সমকামী অনুভূতি ও আচরণ পরিবর্তনে সক্ষম। এই সকল ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অনেককেই রক্ষণশীল ধর্মীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের বিশাল পরিমণ্ডলের সঙ্গে যোগসূত্রে আবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায় যারা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে সমকামিতার নিষিদ্ধকরণকে সমর্থন দিয়েছে।[১১]
কোন প্রধান মানসিক স্বাস্থ্যের পেশাগত সংস্থাই যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের কর্মসূচিসমূহে অর্থায়ন করে নি এবং বাস্তবে তাদের সকলেই যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনকারী এসকল চিকিৎসা প্রদানে নিয়োজিত পেশা ও পেশাজীবীদের ব্যাপারে সাবধান করে নীতিগত বিবৃতি দিয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো হল মার্কিন মনোচিকিৎসা সমিতি, মার্কিন মনস্তত্ত্ব সমিতি, মার্কিন কাউন্সেলিং সমিতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সমাজকর্মী সমিতি,[১১৪] রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস,[১১৫] এবং অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটি।[১১৬] মার্কিন মনস্তত্ত্ব সমিতি এবং রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন ফর রিসার্চ অ্যান্ড থেরাপি অব হোমোসেক্সুয়ালিটি বা নার্থ বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত নয় এবং এটি এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করছে যাতে মতান্ধতা ও বৈষম্য বৃদ্ধি পেতে পারে।[১১৫][১১৭]
তবে মার্কিন মনোবিদ্যা সমিতি "মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদেরকে নিজ বা অন্যের যৌন অভিমুখিতা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা কোন ব্যক্তিকে সহায়তা প্রদানের সময় যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি বা প্রচারণার মাধ্যমে যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের কর্মসূচির ফলপ্রসূতাকে তার কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করাকে এড়িয়ে যেতে উৎসাহিত করে এবং এই সিদ্ধান্ত দেয় যে, যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সেই সকল পদক্ষেপের মাধ্যমে এই কর্মসূচির ফল অর্জন করা সম্ভব, যেগুলোতে যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় না।"[১১]
অভিমুখিতার তারল্য
সম্পাদনামার্কিন মনোচিকিৎসক সমিতি (এপিএ)-র ভাষ্যমতে, "কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে, যৌন অভিমুখিতা জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ও স্থায়ী; তবে যেভাবেই হোক, কোন ব্যক্তির জীবদ্দশার পুরোটা সময় জুড়েই যৌন অভিমুখিতার উন্নয়ন ঘটে থাকে।"[১১৮] আসক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র-র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: "কিছু লোকের ক্ষেত্রে, যৌন অভিমুখিতা হল তাদের সমস্ত জীবনকাল ব্যাপী চলমান ও নির্দিষ্ট। বাকিদের ক্ষেত্রে, যৌন অভিমুখিতা নমনীয় ও তা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।"[১১৯] অপর একটি গবেষণায় "উভকামী, পরিচয়বিহীন ও সমকামী নারীদের আকর্ষণ, আচরণ ও পরিচয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তনশীলতার" সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।[১২০][১২১]
২০০২ সালের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ২৫৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীর একটি নমুনার ২% ১০ বছরের একটি সময়কালের পর তাদের যৌন অভিমুখিতার পরিচয়ে একটি পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে, ০.৭৮%-এ একটি পরিবর্তন এসেছে যারা বিপরীতকামী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন, সমকামী হিসেবে চিহ্নিতদের মধ্যে ৯.৫২% এবং উভকামিদের মধ্যে ৪৭%। নারীদের ক্ষেত্রে, বিপরীতকামী হিসেবে চিহ্নিতদের মধ্যে ১.৩৬%, সমকামীদের মধ্যে ৬৩.৬% এবং উভকামীদের মধ্যে ৬৪.৭% নারীর মাঝে কোন একটি পরিবর্তন ঘটেছে। গবেষকগণ মনে করেন যে বিপরিতকামিতা হয়তো একটি অধিক স্থিতিশীল পরিচয় যার পেছনে কারণ হল সমাজে স্বাভাবিক হিসেবে বিপরিতকামিতার মর্যাদাগত অবস্থান।[১২২]
লিসা এম. ডায়মন্ড কর্তৃক ৮০ জন অ-বিপরীতকামী নারী কিশোরী(বয়স ১৬-২৩)র উপরে করা ২ বছরের একটি গবেষণায় পেয়েছেন যে, এদের অর্ধেক অংশগ্রহণকারীই এই দুই বছরে একাধিকবার নিজেদের সংখ্যালঘু-যৌন পরিচয় পরিবর্তন করেছেন, এদের এক তৃতীয়াংশ পরবর্তী দুই বছরেও একই কাজ করেছেন। ডায়মন্ড এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, "যদিও যৌন আকর্ষণকে যথেষ্ট স্থিতিশীল বলে মনে হয়, যৌন পরিচয় এবং আচরণসমূহ এর চেয়েও বেশি পরিবর্তনশীল।"[১২৩]
২০০৪ সালের একটি গবেষণায়, বিভিন্ন অভিমুখিতার নারীগণকে (বিপরীতকামী ও সমকামী) বিপরীতকামী ও সমকামী যৌন উত্তেজক চলচ্চিত্র দেখানোর সময় তারা উভয় ক্ষেত্রেই যৌন উত্তেজনা লাভ করেছেন। তবে পুরুষদের মধ্যে, বিপরিতকামীগণ শুধুমাত্র নারীঘটিত উত্তেজক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পুলকিত হয়েছেন, আর সমকামীগণ পুরুষদের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। গবেষণার বয়োজ্যেষ্ঠ গবেষক বলেন যে, নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা পুরুষদের তুলনায় কোন নির্দিষ্ট লিঙ্গের প্রতি কম দৃঢ়ভাবে পরিচালিত হয়, এবং সময়ের সাথে সাথে এটি আরও অধিক পরিবর্তনযোগ্য হয়।"[১২৪]
সন্তান প্রতিপালন
সম্পাদনানারী এবং পুরুষ সমকামীরা পিতামাতা হিসেবে বিষমকামী পিতামাতার মতই সক্ষম এবং যোগ্য- এবিষয়ে প্রায় সব গবেষণাগুলো একই ফলাফল দেখিয়েছে। প্রাপ্ত গবেষণার ফলাফল অনুসারে উভয়ক্ষেত্রেই সন্তানেরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকে বলে দেখানো হয়েছে।[১২৫][১২৬][১২৭] বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন অনুসারে এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো প্রমাণ নেই।[১৯][১২৮][১২৯][১৩০][১৩১] ২০০১ সালের মুল্যায়ন অনুসারে নারী অথবা পুরুষ সমকামীদের সাথে থাকা সন্তানেরা লিঙ্গ নিয়ে প্রথাগত ধারণা থেকে এবং সমকামী সম্পর্ক নিয়ে মুক্ত চিন্তা লালন করে। আংশিক জিনগত (যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী দম্পতিদের সন্তানদের ৮০ শতাংশ দত্তক নেওয়া নয়, তাদের পূর্বোক্ত বিষমকামী বিবাহের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তান[১৩২]) এবং পারিবারিকভাবে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া (মুক্তচিন্তা বা লিঙ্গ নিয়ে সহনশীল বিদ্যালয়ে যায়, প্রতিবেশীরা উদার হয়) সত্ত্বেও সমকামী দম্পতি সন্তানদের অধিকাংশ বিষমকামী হয়। [১৩৩] ২০০৫ সালে শার্লে জে পিটারসন মার্কিন মনস্তাত্বিক সংগঠনের অধীনে গবেষণা করে জানান সমকামী পিতামাতার বেশিরভাগ সন্তানের মধ্যে সমকামিতা দেখা যাবে- এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।[১৩৪]
মানব সমাজে সমকামিতা
সম্পাদনাবিপরীতকামী-সমকামী অনবচ্ছেদ অনুসারে যৌন অভিমুখিতার প্রধান তিনটি বর্গের অন্যতম হল সমকামিতা (অপর বর্গদুটি হল উভকামিতা ও বিপরীতকামিতা)। বিভিন্ন কারণে গবেষকেরা সমকামী রূপে চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা বা সমলৈঙ্গিক যৌন সম্পর্কে অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অনুপাত নির্ধারণ করতে সক্ষম হন নি।[১৩৫]।
আধুনিক পাশ্চাত্য জগতে বিভিন্ন প্রধান গবেষণার ফলে অনুমিত হয় সমকামী বা সমলৈঙ্গিক প্রণয় ও রতিক্রিয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা মোট জনসংখ্যার ২% থেকে ১৩%।[১৩৬][১৩৭][১৩৮][১৩৯][১৪০][১৪১][১৪২][১৪৩][১৪৪][১৪৫][১৪৬] ২০০৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, জনসংখ্যার ২০% নাম প্রকাশ না করে নিজেদের মধ্যে সমকামী অনুভূতির কথা স্বীকার করেছেন; যদিও এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে খুব অল্পজনই নিজেদের সরাসরি সমকামীরূপে চিহ্নিত করেন।[১৪৭]
মানব ইতিহাসের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন রুপে সমকামিতার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়। কোন কোন জায়গায় সমকামী যৌনাচরণের চর্চা হত গুপ্ত বিনোদন হিসেবে, আবার কোন কোন জায়গায় সমকামিতা উদ্যাপন করা হত সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। প্রাচীন গ্রীসে পাইদেরাস্ত্রিয়া, কিংবা এরাস্তেস এবং এরোমেনোস-এর সম্পর্কগুলো উল্লেখযোগ্য। সমকামিতার প্রছন্ন উল্লেখ আছে প্রাচীন বহু সাহিত্যে। হোমারের বর্ণিত আকিলিস এবং পেট্রোক্লুসের সম্পর্ক, প্লেটোর দার্শনিক গ্রন্থ সিম্পোজিয়ামে ফায়াডেরাস, পসানিয়াস, এগাথন, অ্যারিস্টোফেনেস, এরিক্সিমাচুসের নানা বক্তব্য এবং সক্রেটিসের সাথে আলকিবিয়াডসের প্লেটোনিক সম্পর্ককে বহু বিশেষজ্ঞ সমকামিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে হাজির করেন। খ্রীস্টপূর্ব ছয় শতকের গ্রিসের লেসবো দ্বীপের উল্লেখযোগ্য বাসিন্দা স্যাপো নারীদের নিয়ে, তাদের সৌন্দর্য নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন [১৪৮]। এই লেসবো থেকেই লেসবিয়ান (নারী সমকামিতা) শব্দটি এসেছে। বহু রোমান সম্রাট - যেমন জুলিয়াস সিজার, হাড্রিয়ান, কমোডাস, এলাগাবালাস, ফিলিপ দ্য এরাবিয়ান সহ অনেক সম্রাটেরই সমকামের প্রতি আসক্তি ছিলো বলে ইতিহাসে উল্লিখিত আছে[১৪৯]। রেনেসাঁর সময় বহু খ্যাতনামা ইউরোপীয় শিল্পী যেমন, দোনাতেল্লো, বত্তিচেল্লী, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং মাইকেলেঞ্জেলোর সমকাম প্রবণতার উল্লেখ আছে। চৈনিক সভ্যতা এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতেও সমকামিতার উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন বিষ্ণুর মোহিনী অবতাররূপে ধরাধামে এসে শিবকে আকর্ষিত করার কাহিনী এর একটি দৃষ্টান্ত। বিষ্ণু (হরি) এবং শিবের (হর) মিলনের ফসল অয়াপ্পানকে হরিহরপুত্র নামেও সম্বোধন করা হয়। এ ছাড়া অষ্টাবক্র, শিখন্ডী এবং বৃহন্নলার উদাহরণগুলো সমকামিতা এবং রূপান্তরকামিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে উঠে এসেছে। এছাড়া আব্রাহামীয় ধর্মসমূহের প্রথাগত ইতিহাসেও লূত নবীর সম্প্রদায় সডোম ও গোমোরাহ নামক জাতির নেতিবাচক যৌনাচার হিসেবে ইঙ্গিত করে সমকামিতার কথা খুজে পাওয়া যায়, যেখানে সমকামিতা ও অজাচার ত্যাগ না করার অপরাধে ঐশী বিপর্যয় কর্তৃক তাদেরকে ধ্বংস করার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।[২৯][৩০]
সামাজিকতা ও আইন
সম্পাদনামানবজাতির ইতিহাসের প্রায় সমগ্র সময়কাল জুড়ে সমকামী সম্পর্ক ও আচরণ নিন্দিত হয়ে এসেছে। তবে কখনো-কখনো সামাজিক ঔদার্য ও আনুকূল্যও পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রশংসা ও নিন্দা নির্ভর করেছে স্থানভেদে সমকামিতার বহিঃপ্রকাশের রূপ, সমসাময়িক বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের প্রভাব ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার উপর।[১৫০] তবে অধিকাংশ সমাজে এবং সরকার ব্যবস্থায় সমকামী আচরণকে দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ (দশ বছরের থেকে শুরু করে আমরণ সশ্রম কারাদণ্ড)[১৫১] সহ দখন এশিয়ার ৬ টি দেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারা এবং ১৯টি দেশে সমপর্যায়ের ধারা এবং সম্পূরক ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পশুকামিতা প্রকৃতিবিরোধী যৌনাচার হিসেবে শাস্তিযোগ্য ও দন্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ।[১৫১] ২০১৫ সালে জুলাইয়ের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট ৭২টি দেশে [ক] এবং পাঁচটি দেশের উপ-জাতীয় আইনি বিধিমালায় [খ] সমকামিতা সরকারীভাবে অবৈধ, যার অধিকাংশই এশিয়া ও আফ্রিকাতে অবস্থিত এবং এদের মধ্যে বেশ কিছু দেশে সমকামী আচরণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু আছে।
সমকামিতা আবহমানকাল ধরে অসামাজিক বিবেচিত হয়েছে যার প্রধান কারণ হলো, এটি এমন একটি যৌনাচরণ যার মাধ্যমে সন্তানের জন্মদান সম্ভব নয়, ফলে মানুষের বংশরক্ষা সম্ভব নয়। এছাড়া সকল প্রধান ধর্ম সমকামী যৌনাচরণ নিষিদ্ধ করেছে।[১৫২] বর্তমান সমাজেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমকামী যৌনাচরণ একপ্রকার যৌনবিকৃতি হিসাবে সাধারণভাবে পরিগণিত। তবে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে পাশ্চাত্য মনস্তাত্ত্বিকরা 'সমকাম প্রবণতাকে' মনোবিকলনের তালিকা থেকে বাদ দেন। ১৯৭৫-এ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মনস্তত্ত্ব ফেডারেশন 'সমকাম প্রবণতাকে' স্বাভাবিক বলে দাবি করে। তবে পাশ্চাত্য ও উন্নত কিছু দেশ ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে সমকামী যৌনাচারণের প্রতি সাধারণ মানুষের বৈরীভাব বহাল আছে। অধিকাংশ সমাজে সমকামী যৌনাচারণ একটি অস্বাভাবিক ও নেতিবাচক প্রবৃত্তি হিসেবে লজ্জার ব্যাপার এবং ধিক্কারযোগ্য। ধর্ম[১৫২][১৫৩] এবং আইনের বিধান এবং সামাজিক অনুশাসনের কারণে কার্যকলাপ তথা সমকামী যৌনসঙ্গম বিশ্বের অধিকাংশ স্থানেই একটি অবৈধ ও গুপ্ত আচরণ হিসাবেই সংঘটিত হয়।
বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় পদে ইউরোপ ও পাশ্চাত্যের বেশ কিছু দেশে সমকামী যৌনাচারণের অবৈধতা তুলে নেয়া হয়। কয়েকটি দেশ সমকামী ব্যক্তিদের বিবাহও আইনসিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০১৫ সাল অনুযায়ী এই দেশসমূহের সংখ্যা ১৮ (পূর্ণ বা আংশিক, কিছু অঙ্গরাজ্য ব্যতীত), যার অধিকাংশই আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত[জ]। স্টোনওয়াল দাঙ্গার পর থেকে[১৫৫] সমকামী ব্যক্তিরা এলজিবিটি সামাজিক আন্দোলনের সূচনা ঘটায়। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল সমকামীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ, স্বীকৃতি, আইনি অধিকারদান এবং একই সঙ্গে সমলিঙ্গের বিবাহ, দত্তকগ্রহণ, সন্তানপালন, বৈষম্যবিরোধী আইন প্রয়োগ, পরিষেবা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে অধিকার প্রদানের দাবি উত্থাপন। এছাড়া একই সময়ে ধর্ম ও রাজনীতি প্রভাবিত বেশ কিছু প্রাক্তন সমকামী বা এক্স-গে সংগঠনের সূচনা ঘটে যারা সমকামী অভিমুখিতা পরিবর্তনের মাধ্যমে মনোভাব দুরীকরণ ও সমকামী প্রবণতা প্রতিকারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করে।[১১]
বৈষম্য
সম্পাদনাপুরুষ সমকামীদের বলপ্রয়োগ করে পীড়ন বা বুলিং
সম্পাদনাযদি আগ্রাসী পীড়ন কারী মনে করে, তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বিষমকামী হলেও গে, লেসবিয়ান, উভকামী অথবা রুপান্তরকামী হিসেবে তার কাছে প্রতীয়মান হয় তবে তাদেরকে মৌখিকভাবে অথবা শারীরিকভাবে আক্রমণের মাধ্যমে গে বুলিং করা হয়। ১৯৯৮ সালের মেন্টাল হেলথ আমেরিকার গবেষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের তরুণরা গড়পরতায় দিনে ২৬ বার এর মত "হোমো", "সিসি", "ফ্যাগোট" এর মত অপবাদ অর্থে শব্দগুলো শুনে থাকেন।[১৫৬]
সমকামীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা
সম্পাদনাযুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে আইন শৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগের মধ্যে ২০.৪ শতাংশ অভিযোগ হচ্ছে যৌন অভিমুখিতা বিরোধী ঘৃণা উদ্রেককারী অপরাধ (হেট ক্রাইম)। তার মধ্যে ৫৬.৭ শতাংশ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী পুরুষ ছিলেন। ১১.১ শতাংশ সশতাংশ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী নারী ছিলেন। বাকি ২৯.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির লিঙ্গ ব্যতিরেকে সমকামী বিরোধী দৃষতিভঙ্গী কাজ করেছে।[১৫৭] ১৯৯৮ সালে ম্যাথিউ শেপার্ড নামে একজন সমকামী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের এলজিবিটি মানুষদের কাছে একটি কুখ্যাত। বিশেষ করে সমকামী নারীদের অনেকসময় বিষমকামী করার প্রয়াসে "সংশোধনী ধর্ষণের" শিকার হন। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এলজিবিটি মানুষজন পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন কর্তৃক "সম্মান রক্ষার্থে হত্যার" ঝুঁকিতে আছেন।[১৫৮][১৫৯][১৬০]
মরোক্কতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ইসলামী আইন অনুসরণ করে। এ আইন অনুযায়ী সমকামিতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই দেশে প্রকাশ্যে সমকামীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রকাশ্য সমালোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দেশে সমকামী সম্প্রদায়ভূক্ত কারো পরিচয় যদি প্রকাশ পেয়ে যাবে; তবে সে দুরাগ্রহ, সামাজিকভাবে প্রত্যাখান এবং সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকে। এমনকি তার পুলিশ কর্তৃক নিরাপত্তা পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।[১৬১]
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মত উপমহাদেশীয় রাষ্ট্র গুলোতে সমকামীদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা এবং হুমকি পরিদর্শিত হয়। ভারতের আদালত ২০১৮ সালে সমকামিতাকে আইনি স্বীকৃতি দিলেও সমকামী সম্পর্কে জড়াতে গেলে পরিবার থেকে বাধা আসে। হুমকির শিকার হয় তারা।[১৬২] বাংলাদেশে সমকামীদের অবস্থা ভারতের চেয়ে করুণ। ২০১৬ সালে ঢাকায় সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশে সমকামীরা নিজেদের আরো লুকিয়ে ফেলেন।[১৬৩] পেনাল কোডের ৩৭৭ ধারা অনুসারে বাংলাদেশে সমকামীতা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।[১৬৪] ২০১৭ সালে ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে ২৭ জন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র সমকামী হবার জন্য গ্রেফতার করা হয়।[১৬৫] রাষ্ট্রীয়ভাবে অসহযোগীতা এবং সামাজিকভাবে প্রত্যাখান হবার ভয়ে তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখেন এবং দ্বৈত জীবনযাপনে বাধ্য হন[১৬৩][১৬৬] এছাড়াও তারা দেশটিতে বিভিন্ন সময় তাদের যৌম অভিমুখিতার জন্য অনলাইন ফাঁদের মাধ্যমে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।[১৬৭] পাকিস্তানেও সমকামী সম্প্রদায়কে খুবই নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। সমলিঙ্গের মানুষ একসাথে থাকতে চাইলে তাদের যৌন অভিরুচি গোপন করে তবেই থাকতে হয়।[১৬৮]
অন্যান্য প্রাণীতে সমকামিতা
সম্পাদনাঅন্যান্য বহু প্রজাতির প্রাণিতে সমকামী, উভকামী এবং রূপান্তরকামী আচরণ সঙ্ঘটিত হয়ে থাকে।[১৬৯] এসব আচরণের অন্তর্গত হল যৌন কর্মকাণ্ড, প্রেম, স্নেহ, যুগলবন্ধন ও সন্তানপালন,[১৬] এবং এই আচরণগুলো প্রাণীদের মাঝে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত; গবেষক ব্রুস ব্যাগমিলের ১৯৯৯-র একটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, ফিতাকৃমি থেকে শুরু করে প্রাইমেট পর্যন্ত প্রায় পাঁচশ' প্রজাতিতে সমকামিতার অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।[১৬][১৭] প্রাণীর যৌন আচরণে বিভিন্ন রূপ পরিলক্ষিত হয়, এমনকি একই প্রজাতির প্রাণিদের মাঝেও তা দেখা যায়। এই আচরণগুলোর কারণ ও তা থেকে উপনীত সিদ্ধান্তগুলো এখনো সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায় নি, কারণ এখনো অধিকাংশ প্রজাতির উপর পূর্ণ গবেষণা করার অনেক কিছু বাকি আছে। [১৭০] ব্যাগমিলের বক্তব্য অনুযায়ী, "পূর্বে অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় ও সমাজ যতটুকু স্বীকার করতে চাইত, প্রাণিজগৎ এই কাজটি তারচেয়েও ব্যাপক যৌন বিচিত্রের সঙ্গে করে থাকে - যার অন্তর্ভুক্ত হল সমকামী, উভকামী এবং অ-প্রজননশীল যৌনতা।"[১৭১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সমপ্রেম"। Bangla Dictionary। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১২, ২০১৬।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Sexual orientation, homosexuality and bisexuality"। American Psychological Association। আগস্ট ৮, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১০, ২০১৩।
- ↑ "Case No. S147999 in the Supreme Court of the State of California, In re Marriage Cases Judicial Council Coordination Proceeding No. 4365(...) – APA California Amicus Brief — As Filed" (PDF)। পৃষ্ঠা 30। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Frankowski BL; American Academy of Pediatrics Committee on Adolescence (জুন ২০০৪)। "Sexual orientation and adolescents"। Pediatrics। 113 (6): 1827–32। ডিওআই:10.1542/peds.113.6.1827। পিএমআইডি 15173519।
- ↑ ক খ গ Mary Ann Lamanna; Agnes Riedmann; Susan D Stewart (২০১৪)। Marriages, Families, and Relationships: Making Choices in a Diverse Society। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 82। আইএসবিএন 1305176898। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
The reason some individuals develop a gay sexual identity has not been definitively established – nor do we yet understand the development of heterosexuality. The American Psychological Association (APA) takes the position that a variety of factors impact a person's sexuality. The most recent literature from the APA says that sexual orientation is not a choice that can be changed at will, and that sexual orientation is most likely the result of a complex interaction of environmental, cognitive and biological factors...is shaped at an early age...[and evidence suggests] biological, including genetic or inborn hormonal factors, play a significant role in a person's sexuality (American Psychological Association 2010).
- ↑ ক খ Gail Wiscarz Stuart (২০১৪)। Principles and Practice of Psychiatric Nursing। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 502। আইএসবিএন 032329412X। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
No conclusive evidence supports any one specific cause of homosexuality; however, most researchers agree that biological and social factors influence the development of sexual orientation.
- ↑ ক খ গ ঘ "Submission to the Church of England's Listening Exercise on Human Sexuality"। The Royal College of Psychiatrists। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩।
- ↑ দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1007/s10508-008-9386-1, এর পরিবর্তে দয়া করে
|doi=10.1007/s10508-008-9386-1
সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন। - ↑ Robinson, B. A. (২০১০)। "Divergent beliefs about the nature of homosexuality"। Religious Tolerance.org। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ ""Therapies" to change sexual orientation lack medical justification and threaten health"। Pan American Health Organization। ১৩ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২।archived here .
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ American Psychological Association: Resolution on Appropriate Affirmative Responses to Sexual Orientation Distress and Change Efforts
- ↑ LeVay, Simon (1996). Queer Science: The Use and Abuse of Research into Homosexuality. Cambridge: The MIT Press আইএসবিএন ০-২৬২-১২১৯৯-৯
- ↑ "Same-sex Behavior Seen In Nearly All Animals, Review Finds"। ScienceDaily।
- ↑ "1,500 animal species practice homosexuality. The Medical News, 23 October 2006"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১০।
- ↑ Sommer, Volker & Paul L. Vasey (2006), Homosexual Behaviour in Animals, An Evolutionary Perspective. Cambridge University Press, Cambridge. আইএসবিএন ০-৫২১-৮৬৪৪৬-১
- ↑ ক খ গ (Bagemihl 1999)
- ↑ ক খ Harrold, Max (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)। "Biological Exuberance: Animal Homosexuality and Natural Diversity"। The Advocate, reprinted in Highbeam Encyclopedia। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- ↑ *Census statistics show quarter of California same-sex couples raising kids
- Region Saw Increase In Same-Sex Households ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে
- Census 2010: One Quarter of Gay Couples Raising Children
- Minnesota Sees 50% Rise in Number of Gay Couples ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে
- Census:Dutchess, Ulster Gay Households Increase ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে
- Same Sex Couples' Numbers Soar In N.Y, 2010 Census Finds ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে
- 87% Increase in Same-Sex Nevada Households Since 2000 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে
- 2010 Census indicates increase among same-sex homeowners in Oklahoma আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে
- Spike In Number of City's Same-Sex Couples ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে
- ↑ ক খ গ ঘ Case No. S147999 in the Supreme Court of the State of California, In re Marriage Cases Judicial Council Coordination Proceeding No. 4365(…)
- ↑ Sexual Orientation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে. American Psychiatric Association.
- ↑ অভিধানে 'সম' শব্দার্থ
- ↑ অভিধানে 'কাম' শব্দার্থ
- ↑ "The word homosexual combined a GreekThe Greek prefix, homo, meaning "same" with a Latin noun, sexus, meaning sex"
- ↑ Krafft-Ebing, Richard von (1840–1902) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে. glbtq.com.
- ↑ "Psychopathia Sexualis", Kino.com, ৪ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭
- ↑ (Campbell 1982, পৃ. x-xi)
- ↑ Page, Sappho and Alcaeus, p. 224-5.
- ↑ Adolescence and puberty By John Bancroft, June Machover Reinisch, p.162
- ↑ ক খ Bishop Soto tells NACDLGM: 'Homosexuality is Sinful' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে catholic.org, accessed 29 September 2008
- ↑ ক খ Help topics[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Assemblies of God (USA), accessed 6 July 2009
- ↑ "... sow illegitimate and bastard seed in courtesans, or sterile seed in males in defiance of nature." Plato in THE LAWS (Book VIII p.841 edition of Stephanus) or p.340, edition of Penguin Books, 1972.
- ↑ Roman Homosexuality By Craig Arthur Williams, p.60
- ↑ (Foucault 1986)
- ↑ Hubbard Thomas K (২২ সেপ্টেম্বর ২০০৩)। "Review of David M. Halperin, How to Do the History of Homosexuality."। Bryn Mawr Classical Review।
- ↑ Halperin, David M. (১৯৯০)। One Hundred Years of Homosexuality: And Other Essays on Greek Love। New York: Routledge। পৃষ্ঠা 41–42। আইএসবিএন 0-415-90097-2।
- ↑ Honderich, Ted (২০০৫)। The Oxford Companion to Philosophy। Oxford: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 399। আইএসবিএন 0-19-926479-1।
- ↑ The mastaba of Niankhkhnum and Khnumhotep by J. Hirst on Osirisnet.net
- ↑ Murray, Stephen (ed.) (১৯৯৮)। Boy Wives and Female Husbands: Studies of African Homosexualities। New York: St. Martin's Press। আইএসবিএন 0-312-23829-0। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Evans-Pritchard, E. E. (December 1970). Sexual Inversion among the Azande. American Anthropologist, New Series, 72(6), 1428–1434.
- ↑ Pablo, Ben (২০০৪), "Latin America: Colonial", glbtq.com, ১১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৭
- ↑ Murray, Stephen (২০০৪)। "Mexico"। Claude J. Summers। glbtq: An Encyclopedia of Gay, Lesbian, Bisexual, Transgender, and Queer Culture। glbtq, Inc.। ২ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৭।
- ↑ Mártir de Anglería, Pedro. (1530). Décadas del Mundo Nuevo. Quoted by Coello de la Rosa, Alexandre. "Good Indians", "Bad Indians", "What Christians?": The Dark Side of the New World in Gonzalo Fernández de Oviedo y Valdés (1478–1557), Delaware Review of Latin American Studies, Vol. 3, No. 2, 2002.
- ↑ "Bowers v. Hardwick"। Law.cornell.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০১।
- ↑ Lambda Legal। "Baehr v. Miike"। lambdalegal.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-৩০।
- ↑ "Haw. Atty. Gen. Op. No. 13-1" (পিডিএফ)। অক্টোবর ১৪, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-১২।
- ↑ Kang, Wenqing. Obsession: male same-sex relations in China, 1900–1950, Hong Kong University Press. Page 2
- ↑ Song Geng (২০০৪)। The fragile scholar: power and masculinity in Chinese culture। Hong Kong University Press। পৃষ্ঠা 144। আইএসবিএন 978-962-209-620-2।
- ↑ Hinsch, Bret. (1990). Passions of the Cut Sleeve. University of California Press. p. 77-78.
- ↑ Kang, Wenqing. Obsession: male same-sex relations in China, 1900–1950, Hong Kong University Press. Page 3
- ↑ Elizabeth Floyd Ogata (২০০১-০৩-২৪)। "'Selectively Out:' Being a Gay Foreign National in Japan"। The Daily Yomiuri (on Internet Archive)। ২০০৬-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-৩০।
- ↑ "Singapore's Top Court Upholds Anti-Gay Law"। অক্টোবর ২৯, ২০১৪। নভেম্বর ১১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৫, ২০১৫।
- ↑ "Difficult for Indonesia to legalize gay marriage: Minister"। The Jakarta Post। Jakarta। ২ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Sodomylaws.Org"। Sodomylaws.Org। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Indonesia Seeks to Imprison Gays ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে, 365Gay.com, 30 September 2003
- ↑ Laurent, Erick (মে ২০০১)। "Sexuality and Human Rights"। Journal of Homosexuality। Routledge। 40 (3&4): 163–225। আইএসএসএন 0091-8369। ডিওআই:10.1300/J082v48n03_09।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৫।
- ↑ Indonesia: Gays Fight Sharia Laws ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে, (Doug Ireland]
- ↑ "In response to anti-LGBT fatwa, Jokowi urged to abolish laws targeting minorities"। The Jakarta Post। ১৮ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Hera Diani (১৬ এপ্রিল ২০১০)। "Being Gay, Muslim and Indonesian"। Jakarta Globe। ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Gayatri Suroyo and Charlotte Greenfield (২৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Strict sharia forces gays into hiding in Indonesia's Aceh"। reuters। ১১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Homosexuality and Hinduism"।
- ↑ "Same Sex love in India" by Ruth Vanita and Saleem Kidwai (MacMillan, Delhi, 2000)
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৫।
- ↑ UN body slams India on rights of gays The Times of India, 24 April 2008
- ↑ "Fear and loathing in gay India"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৭।
- ↑ Why should homosexuality be a crime? The Times of India, 18 September 2003
- ↑ "Queering Bollywood"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৫।
- ↑ It's OK to be gay in India: Delhi High Court decriminalises homosexual sex Examiner.com, 2 July 2009
- ↑ http://edition.cnn.com/2013/12/11/world/asia/india-same-sex-relationship/
- ↑ "পুস্তক পরিচয় ৪ (বেস্টসেলার)"। আনন্দবাজার পত্রিকা।
- ↑ ক খ "Sodomy Laws Around the World"। ২৪ এপ্রিল ২০০৭। ৮ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- ↑ "Indian Penal Code" (পিডিএফ)। District Court Allahabad। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh: Treatment of homosexuals including legislation, availability of state protection and support services"। www.unhcr.org। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "Bangladesh_Penal_Code_1860_Full_text.pdf (application/pdf Object)" (পিডিএফ)। www.unodc.org। ১২ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "The Boys of Bangladesh"। pink-pages.co.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-০৯।
- ↑ "Bangladesh: Treatment of homosexuals including legislation, availability of state protection and support services"। www.unhcr.org। ২০১৮-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-০৯।
- ↑ Nahavandi and Bomati, illustration opposite p.162
- ↑ El-Rouayheb, Khaled (২০০৫)। Before Homosexuality in the Arab-Islamic World, 1500–1800। The University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 0-226-72988-5।
- ↑ "The five most improved places for gay tolerance"। The Independent। London। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০০৯।
Israel is the only Middle-Eastern country to support gay rights legislation, and the country attracts gay people from Palestine and Lebanon.
- ↑ James Kirchick। "Was Arafat Gay?"। Out।
- ↑ "The world's most gay-friendly places"। Calgary Herald। ২৯ জুন ২০১১।
- ↑ Grant, Anthony (২ জুলাই ২০১০)। "Gay Tel Aviv"। The New York Times।
- ↑ Steven Eke (২৮ জুলাই ২০০৫)। "Iran 'must stop youth executions'"। BBC News।
- ↑ "7 countries still put people to death for same-sex acts"। ILGA। ২৯ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Fathi, Nazila (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Despite Denials, Gays Insist They Exist, if Quietly, in Iran"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০০৭।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;bbc.co.uk
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Bearak, Max; Cameron, Darla (১৬ জুন ২০১৬)। "Analysis - Here are the 10 countries where homosexuality may be punished by death"। Washingtonpost.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Sex uncovered poll: Homosexuality"। London: Guardian। ২৬ অক্টোবর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Harford, Tim (১ অক্টোবর ২০১০)। "More or Less examines Office for National Statistics figures on gay, lesbian and bisexual people"। BBC।
- ↑ "Measuring Sexual Identity : Evaluation Report, 2010"। Office for National Statistics। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ American Psychological Association: Appropriate Therapeutic Responses to Sexual Orientation
- ↑ Former president of APA says Organization controlled by gay rights movement lobbed for the removal of homosexuality as disorder. LifeSiteNews.com
- ↑ This American Life
- ↑ Bayer, Ronald (১৯৮৭)। Homosexuality and American Psychiatry: The Politics of Diagnosis। Princeton: Princeton University Press। আইএসবিএন 0-691-02837-0।[পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- ↑ Bayer, Ronald (১৯৮৭)। Homosexuality and American Psychiatry: The Politics of Diagnosis। Princeton: Princeton University Press। আইএসবিএন 0-691-02837-0।[পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Bailey
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Kersey-Matusiak
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Perrin, E. C. (২০০২)। Sexual Orientation in Child and Adolescent Health Care। New York: Kluwer Academic/Plenum Publishers। আইএসবিএন 0-306-46761-5।
- ↑ "Royal College of Psychiatrists' statement on sexual orientation" (পিডিএফ)। Royal College of Psychiatrists' statement on sexual orientation। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ Mitchum, Robert (১২ আগস্ট ২০০৭), "Study of gay brothers may find clues about sexuality", Chicago Tribune, ২৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০০৭
- ↑ "How much is known about the origins of homosexuality?"। Church Times। ১৬ নভেম্বর ২০০৭। ৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Ngun, TC; Vilain, E (২০১৪)। "The biological basis of human sexual orientation: is there a role for epigenetics?"। Adv Genet। 86: 167–84। ডিওআই:10.1016/B978-0-12-800222-3.00008-5। পিএমআইডি 25172350।
- ↑ ক খ গ ঘ PriceOct. 20, Michael; 2018; Pm, 10:25 (২০১৮-১০-১৯)। "Giant study links DNA variants to same-sex behavior"। Science | AAAS (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- ↑ ক খ গ ঘ Saey, Tina Hesman (২০১৮-১০-৩১)। "These DNA differences may be linked to having same-sex partners"। Science News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- ↑ Balter, Michael (২০১৫-১০-০৯)। "BEHAVIORAL GENETICS. Can epigenetics explain homosexuality puzzle?"। Science। 350 (6257): 148। আইএসএসএন 1095-9203। ডিওআই:10.1126/science.350.6257.148। পিএমআইডি 26450189।
- ↑ "Epigenetic Algorithm Accurately Predicts Male Sexual Orientation | ASHG"। www.ashg.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২১।
- ↑ "How much is known about the origins of homosexuality?"। Church Times। ১৬ নভেম্বর ২০০৭। ৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Zietsch et al. (2008)
- ↑ Iemmola, Francesca and Camperio Ciani, Andrea (২০০৯)। "New Evidence of Genetic Factors Influencing Sexual Orientation in Men: Female Fecundity Increase in the Maternal Line"। Archives of Sexual Behavior। Springer Netherlands। 38।
- ↑ Bailey, N. W., & Zuk, M. (2009). Same-sex sexual behavior and evolution. Trends In Ecology & Evolution, 24(8), 439–446. doi:10.1016/j.tree.2009.03.014 [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মে ২০১৩ তারিখে
- ↑ Shere Hite, The Hite Report: A Nationwide Study of Female Sexuality (N.Y.: Seven Stories Press, 2004 ed. pbk. [1st printing?] © 1976, 1981, 2004), pp. 325–328 & 330 (আইএসবিএন ১-৫৮৩২২-৫৬৯-২).
- ↑ Bindel, Julie (৩০ জানুয়ারি ২০০৯)। "My sexual revolution"। The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১০।
- ↑ "Answers to Your Questions. For a Better Understanding of Sexual Orientation & Homosexuality" (পিডিএফ)। American Psychological Association। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ "Expert affidavit of Gregory M. Herek, Ph.D." (পিডিএফ)। ২০১০-০৮-২৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১০।
- ↑ ক খ Royal College of Psychiatrists: Statement from the Royal College of Psychiatrists' Gay and Lesbian Mental Health Special Interest Group ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ মে ২০১০ তারিখে
- ↑ Australian Psychological Society: Sexual orientation and homosexuality ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জুলাই ২০০৯ তারিখে
- ↑ "Statement of the American Psychological Association" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১০।
- ↑ American Psychiatric Association (মে ২০০০)। "Gay, Lesbian and Bisexual Issues"। Association of Gay and Lesbian Psychiatrics। ৩ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "ARQ2: Question A2 – Sexual Orientation"। Centre for Addiction and Mental Health। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০০৭।
- ↑ Diamond, Lisa M. (জানুয়ারি ২০০৮)। "Female bisexuality from adolescence to adulthood: Results from a 10-year longitudinal study." (পিডিএফ)। Developmental Psychology। 44 (1): 5–14। ডিওআই:10.1037/0012-1649.44.1.5। পিএমআইডি 18194000। ১০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Bisexual women – new research findings"। Women's Health News। ১৭ জানুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Mock, S. E., & Eibach, R. P. (২০১২)। "Stability and change in sexual orientation identity over a 10-year period in adulthood" (পিডিএফ)। Archives of Sexual Behavior। 41 (3): 641–648। ডিওআই:10.1007/s10508-011-9761-1।
- ↑ Diamond, L. M. (২০০০)। "Sexual identity, attractions, and behavior among young sexual-minority women over a 2-year period" (পিডিএফ)। Developmental Psychology। 36 (2): 241–250। ডিওআই:10.1037/0012-1649.36.2.241। পিএমআইডি 10749081। ১০ জুন ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Why women are leaving men for other women"। CNN। ২৩ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০০৯।
- ↑ "Marriage of Same-Sex Couples – 2006 Position Statement Canadian Psychological Association" (পিডিএফ)। ১৯ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "Elizabeth Short, Damien W. Riggs, Amaryll Perlesz, Rhonda Brown, Graeme Kane: Lesbian, Gay, Bisexual and Transgender (LGBT) Parented Families – A Literature Review prepared for The Australian Psychological Society" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১০।
- ↑ "Brief of the American Psychological Association, The California Psychological Association, The American Psychiatric Association, and the American Association for Marriage and Family Therapy as Amici Curiae in support of plaintiff-appellees" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ 21December 2010। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Pawelski JG, Perrin EC, Foy JM, ও অন্যান্য (জুলাই ২০০৬)। "The effects of marriage, civil union, and domestic partnership laws on the health and well-being of children"। Pediatrics। 118 (1): 349–64। ডিওআই:10.1542/peds.2006-1279 । পিএমআইডি 16818585।
- ↑ Herek GM (সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "Legal recognition of same-sex relationships in the United States: a social science perspective" (পিডিএফ)। The American Psychologist। 61 (6): 607–21। ডিওআই:10.1037/0003-066X.61.6.607। পিএমআইডি 16953748। ১০ জুন ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Biblarz, Timothy J.; Stacey, Judith (২০১০)। "How Does the Gender of Parents Matter"। Journal of Marriage and Family। 72: 3–22। ডিওআই:10.1111/j.1741-3737.2009.00678.x।
- ↑ "Brief presented to the Legislative House of Commons Committee on Bill C38 by the Canadian Psychological Association" (পিডিএফ)। ২ জুন ২০০৫। ১৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ DONALDSON JAMES, SUSAN (২৩ জুন ২০১১)। "Census 2010: One-Quarter of Gay Couples Raising Children"। ABC News। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৩।
Still, more than 80 percent of the children being raised by gay couples are not adopted, according to Gates.
- ↑ Stacey J, Biblarz TJ (২০০১)। "(How) Does the Sexual Orientation of Parents Matter?" (পিডিএফ)। American Sociological Review। 66 (2): 159–183। জেস্টোর 2657413। ডিওআই:10.2307/2657413। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
This may be partly due to genetic and family socialization processes, but what sociologists refer to as "contextual effects" not yet investigated by psychologists may also be important...even though children of lesbian and gay parents appear to express a significant increase in homoeroticism, the majority of all children nonetheless identify as heterosexual, as most theories across the essentialistt" to "social constructionist" spectrum seem (perhaps too hastily) to expect.
- ↑ American Psychological Association Lesbian & Gay Parenting
- ↑ LeVay, Simon (1996). Queer Science: The Use and Abuse of Research into Homosexuality. Cambridge: The MIT Press আইএসবিএন ০-২৬২-১২১৯৯-৯
- ↑ ACSF Investigators (1992). AIDS and sexual behaviour in France. Nature, 360, 407–409.
- ↑ Billy, J. O. G., Tanfer, K., Grady, W. R., & Klepinger, D. H. (1993). The sexual behavior of men in the United States. Family Planning Perspectives, 25, 52–60.
- ↑ Binson, D., Michaels, S., Stall, R., Coates, T. J., Gagnon, & Catania, J. A. (1995). Prevalence and social distribution of men who have sex with men: United States and its urban centers. Journal of Sex Research, 32, 245–254.
- ↑ Bogaert, A. F. (2004). The prevalence of male homosexuality: The effect of fraternal birth order and variation in family size. Journal of Theoretical Biology, 230, 33–37. [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ আগস্ট ২০০৯ তারিখে Bogaert argues that: "The prevalence of male homosexuality is debated. One widely reported early estimate was 10% (e.g., Marmor, 1980; Voeller, 1990). Some recent data provided support for this estimate (Bagley and Tremblay, 1998), but most recent large national samples suggest that the prevalence of male homosexuality in modern western societies, including the United States, is lower than this early estimate (e.g., 1–2% in Billy et al., 1993; 2–3% in Laumann et al., 1994; 6% in Sell et al., 1995; 1–3% in Wellings et al., 1994). It is of note, however, that homosexuality is defined in different ways in these studies. For example, some use same-sex behavior and not same-sex attraction as the operational definition of homosexuality (e.g., Billy et al., 1993); many sex researchers (e.g., Bailey et al., 2000; Bogaert, 2003; Money, 1988; Zucker and Bradley, 1995) now emphasize attraction over overt behavior in conceptualizing sexual orientation." (p. 33) Also: "...the prevalence of male homosexuality (in particular, same-sex attraction) varies over time and across societies (and hence is a ‘‘moving target’’) in part because of two effects: (1) variations in fertility rate or family size; and (2) the fraternal birth order effect. Thus, even if accurately measured in one country at one time, the rate of male homosexuality is subject to change and is not generalizable over time or across societies." (p. 33)
- ↑ Fay RE, Turner CF, Klassen AD, Gagnon JH (১৯৮৯)। "Prevalence and patterns of same-gender sexual contact among men"। Science। 243 (4889): 338–48। পিএমআইডি 2911744। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Johnson AM, Wadsworth J, Wellings K, Bradshaw S, Field J (১৯৯২)। "Sexual lifestyles and HIV risk"। Nature। 360 (6403): 410–2। ডিওআই:10.1038/360410a0। পিএমআইডি 1448163। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Laumann, E. O., Gagnon, J. H., Michael, R. T., & Michaels, S. (1994). The social organization of sexuality: Sexual practices in the United States. Chicago: University of Chicago Press.
- ↑ Sell RL, Wells JA, Wypij D (১৯৯৫)। "The prevalence of homosexual behavior and attraction in the United States, the United Kingdom and France: results of national population-based samples"। Arch Sex Behav। 24 (3): 235–48। পিএমআইডি 7611844। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Wellings, K., Field, J., Johnson, A., & Wadsworth, J. (1994). Sexual behavior in Britain: The national survey of sexual attitudes and lifestyles. London, UK: Penguin Books.
- ↑ "Norway world leader in casual sex, Aftenposten"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৯।
- ↑ Sex uncovered poll: Homosexuality, Guardian
- ↑ McConaghy et al., 2006
- ↑ Crompton, Louis (২০০৩)। Homosexuality and Civilization। Cambridge, Massachusetts: Belknap Press। আইএসবিএন 067401197X।
- ↑ [Edward Gibbon. History of the Decline and Fall of the Roman Empire. Vol. 1, London. 1898, p. 313.]
- ↑ Murray, Stephen O. (২০০০)। Homosexualities। University of Chicago।
- ↑ ক খ State-sponsored Homophobia: A world survey of laws prohibiting same sex activity between consenting adults ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে The International Lesbian, Gay, Bisexual, Trans and Intersex Association, authored by Lucas Paoli Itaborahy, May 2014
- ↑ ক খ McDermott, Ryon C.; Schwartz, Jonathan P.; Lindley, Lori D.; Proietti, Josiah S. (২০১৪)। "Exploring men's homophobia: Associations with religious fundamentalism and gender role conflict domains"। Psychology of Men & Masculinity। 15 (2): 191–200। ডিওআই:10.1037/a0032788।
- ↑ "Code of Ethics, American Association of Christian Counselors" (পিডিএফ)। www.aacc.net। American Association of Christian Counselors। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ May 2015। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Locke Concedes In Mayor's Race – Politics News Story – KPRC Houston"। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ Adam, p. 82.
- ↑ "Mental Health American, Bullying and Gay Youth"। "Mental Health America" formerly National Mental Health Association। ১৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১২।
- ↑ "Victims", FBI, সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৩
- ↑ ""Honor killings" target Turkey's LGBT community"। CBS News। ১২ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ Di Piero Russo। ""Sei il disonore della famiglia" e accoltella il fratello gay"। bari.repubblica.it। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Father confesses to killing his own son in landmark homosexual murder case"। hurriyetdailynews.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Morocco Situation of LGBT Persons" (পিডিএফ)। Danish Immigration Service। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "সুপ্রিম কোর্টের স্বীকৃতিতেও বদলায়নি সমাজ, সমকামী ছেলেকে খুনের হুমকি এবার পরিবারের"। Asianet News Network Pvt Ltd। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ ক খ Welle (www.dw.com), Deutsche। "কেমন আছেন বাংলাদেশের সমকামীরা | DW | 26.05.2019"। DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ Welle (www.dw.com), Deutsche। "'সমকামীদের অধিকারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে' | DW | 28.10.2015"। DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ "কেরানীগঞ্জে ২৭ জন 'সমকামী' আটক করেছে র্যাব"। বিবিসি বাংলা। ১৯ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ "দ্বৈত জীবনে আটক বাংলাদেশের সমকামী সমাজ"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ হোসেন, আকবর (২২ নভেম্বর ২০১৯)। "অপরাধী চক্রের ফাঁদে জিম্মি হচ্ছে সমকামীরা"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ "পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজের ছায়ায় এক সমকামী দম্পতির জীবন"। বিবিসি বাংলা। ৮ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০।
- ↑ Roughgarden, Joan (২০০৪)। Evolution's Rainbow: Diversity, Gender, and Sexuality in Nature and People। Berkeley, CA: University of California Press। আইএসবিএন 0520240731। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Gordon, Dr Dennis (১০ এপ্রিল ২০০৭)। "'Catalogue of Life' reaches one million species"। National Institute of Water and Atmospheric Research। ১৩ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- ↑ "Gay Lib for the Animals: A New Look At Homosexuality in Nature – 2/1/1999 – Publishers Weekly"। Publishersweekly.com। ২৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
টীকা
সম্পাদনা- ↑ Countries with laws criminalizing homosexuality are: Afghanistan, Algeria, Angola, Antigua and Barbuada, Bangladesh, Barbados, Belize, Bhutan, Botswana, Brunei, Burundi, Cameroon, Comoros, Dominica, Egypt, Eritrea, Ethiopia, Gambia, Ghana, Grenada, Guinea, Guyana, India, Iran, Jamaica, Kenya, Kiribati, Kuwait, Liberia, Libya, Malawi, Malaysia, Maldives, Mauritania, Morocco, Myanmar, Namibia, Nauru, Nigeria, Oman, Pakistan, Papua New Guinea, Qatar, Saint Kitts and Nevis, Saint Lucia, Saint Vincent and the Grenadines, Samoa, Saudi Arabia, Senegal, Seychelles, Sierra Leone, Singapore, Solomon Islands, Somalia, South Sudan, Sri Lanka, Sudan, Swaziland, Syria, Tanzania, Togo, Tonga, Trinidad and Tobago, Tunisia, Turkmenistan, Tuvalu, Uganda, United Arab Emirates, Uzbekistan, Yemen, Zambia and Zimbabwe.
- ↑ These five sub-national jurisdictions are: the provinces of Aceh and South Sumatra (Indonesia), the Cook Islands (New Zealand), Gaza (Palestine) and Marawi City (the Philippines).
- ↑ Excluding the Faroe Islands
- ↑ Excluding Aruba, Curaçao and Sint Maarten
- ↑ Excluding Niue, Tokelau and the Cook Islands
- ↑ Exlcuding Northern Ireland, the Crown dependencies and most British Overseas Territories. (Same-sex marriage is legal in the Pitcairn Islands).
- ↑ Excluding most Native American tribes. (Same-sex marriage is legal in at least 24 of them). Application to American Samoa unclear.
- ↑ Countries with same-sex marriage recognized nationwide are: Argentina, Belgium, Brazil, Canada, Denmark,[গ] France, Iceland, Luxembourg, the Netherlands,[ঘ] New Zealand,[ঙ] Norway, Portugal, South Africa, Spain, Sweden, the United Kingdom,[চ] the United States [ছ] and Uruguay.
আরও পড়ুন
সম্পাদনাগ্রন্থ
সম্পাদনা- Kenneth J. Dover, Greek Homosexuality, Gerald Duckworth & Co. Ltd. 1979, আইএসবিএন ০-৬৭৪-৩৬২৬১-৬ (hardcover), আইএসবিএন ০-৬৭৪-৩৬২৭০-৫ (paperback)
- John d'Emilio, Sexual Politics, Sexual Communities: The Making of a Homosexual Minority in the United States, 1940-1970, University of Chicago Press 1983, আইএসবিএন ০-২২৬-১৪২৬৫-৫
- Norman Roth. The care and feeding of gazelles - Medieval Arabic and Hebrew love poetry. IN: Lazar & Lacy. Poetics of Love in the Middle Ages, George Mason University Press 1989, আইএসবিএন ০-৯১৩৯৬৯-২৫-৭
- Allan Bérubé, Coming out under Fire: The History of Gay Men and Women in World War Two, New York: MacMillan 1990, আইএসবিএন ০-০২-৯০৩১০০-১
- Bret Hinsch, Passions of the Cut Sleeve: The Male Homosexual Tradition in China, The University of California Press, 1990, আইএসবিএন ০-৫২০-০৬৭২০-৭
- Dynes, Wayne R. (ed.) The Encyclopedia of Homosexuality New York and London, Garland Publishing 1990, আইএসবিএন ০-৮২৪০-৬৫৪৪-১
- Foucault, Michel, The History of Sexuality vol. 1: An Introduction, p. 43. Trans. Robert Hurley. New York: Vintage 1990
- George Rousseau, Perilous Enlightenment: Pre- and Post-Modern Discourses--Sexual, Historical, Manchester University Press 1991, আইএসবিএন ০-৭১৯০-৩৩০১-২
- Lillian Faderman, Odd Girls and Twilight Lovers: A History of Lesbian Life in Twentieth Century America, Penguin 1992
- Arno Schmitt & Jehoeda Sofer (eds). Sexuality and Eroticism Among Males in Moslem Societies. Haworth Press, 1992
- George Chauncey, Gay New York: Gender Urban Culture and the Making of the Gay Male World, New York: Basic Books, 1994
- Juanita Ramos, Compañeras: Latina Lesbians : An Anthology, Routledge 1994
- Johansson, Warren and Percy, William A., (1994), Outing: Shattering the Conspiracy of Silence, Harrington Park Press
- Robert T. Michael, John H. Gagnon, Edward O. Laumann, and Gina Kolata. Sex in America: A definitive survey. Boston: Little, Brown, 1995. আইএসবিএন ০-৩১৬-০৭৫২৪-৮
- Percy, William A Pederasty and Pedagogy in Archaic Greece. University of Illinois Press, 1996
- Lester G. Brown, Two Spirit People, 1997, Harrington Park Press, আইএসবিএন ১-৫৬০২৩-০৮৯-৪
- Bullough et al. (eds.) (1996). Handbook of Medieval Sexuality. Garland Publishing. আইএসবিএন ০-৮১৫৩-১২৮৭-৩.
- Jennifer Terry, An American Obsession: Science, Medicine, and Homosexuality in Modern Society, University of Chicago Press 1999, আইএসবিএন ০-২২৬-৭৯৩৬৭-২
- Bullough, Vern L. Before Stonewall: Activists for Gay and Lesbian Rights in Historical Context, Harrington Park Press 2002
- Ruth Vanita, Queering India: Same-Sex Love and Eroticism in Indian Culture and Society, Routledge 2002
- Joanne Meyers, Historical Dictionary of the Lesbian Liberation Movement: Still the Rage, Scarecrow Press 2003
- David K. Johnson, The Lavender Scare: The Cold War Persecution of Gays and Lesbians in the Federal Government, Chicago: University of Chicago Press, 2004
পত্রিকা প্রবন্ধ
সম্পাদনা- Bowman, Karl M.; Eagle, Bernice The Problem of Homosexuality, Journal of Social Hygiene 1953
- Norton, Rictor and Crew, Louis The Homophobic Imagination ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ এপ্রিল ২০০৬ তারিখে, College English 1974
- Simon LeVay, A difference in hypothalamic structure between homosexual and heterosexual men, Science Magazine 1991
- Christopher Bagley and Pierre Tremblay, On the Prevalence of Homosexuality and Bisexuality, in a Random Community Survey of 750 Men Aged 18 to 27, Journal of Homosexuality, Volume 36, Number 2, pages 1–18, 1998
অনলাইন প্রবন্ধ
সম্পাদনা- BBC News (Feb 1998): Fingerprints Study
- BBC News (Apr 1999): Doubt cast on 'gay gene'
- WebMD (March 2000): Pointing the Finger at Androgen as a Cause of Homosexuality
- BBC News (Oct 2004): Genetics of homosexuality
- James Davidson, London Review of Books, June 2, 2005, "Mr and Mr and Mrs and Mrs" - detailed review of The Friend, by Alan Bray, a history of same-sex marriage and other same-sex formal bonds
- Murray, Stephen; Homosexuality in traditional Sub-Saharan Africa
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কার্লিতে Gay, Lesbian and Bisexual/History (ইংরেজি)
- Stanford Encyclopedia of Philosophy – Homosexuality
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |