সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ
সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ (সংক্ষেপে এসএসএসি) একটি দ্বি-শিফট বিশিষ্ট স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার টঙ্গীতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের অধীনে বিদ্যালয়-স্তরে পাঁচ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ বছরের নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা এবং দুই বছরের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সকল প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডের ভাষা বাংলা। ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় ৮,০০০ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হয়েছে।[২] প্রতিষ্ঠানটিতে জুনিয়র শিক্ষক থেকে সহকারী শিক্ষকসহ প্রায় ১৭০ জন শিক্ষা কর্মচারী কর্মরত আছেন।.[১]
সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
১৭১১ | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৪′৩৫″ উত্তর ৯০°২৩′৪৮″ পূর্ব / ২৩.৯০৯৭৩° উত্তর ৯০.৩৯৬৫৪৩° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৮ |
বিদ্যালয় বোর্ড | ঢাকা শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১০৯০৬৩ |
কর্মকর্তা | ২০৭ |
শ্রেণী | প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী |
ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | ssaac |
ইতিহাসসম্পাদনা
প্রাক্তন সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে "টঙ্গী পৌর কিন্ডারগার্টেন" হিসাবে চালু হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে অনুমোদন দেয়। বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের প্রথম ব্যাচ ১৯৮৬ সালে তাদের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ বিভাগ চালু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অবস্থানসম্পাদনা
সফিউদ্দিন সরকার একডেমি এন্ড কলেজ গাজীপুর সদর উপজেলার টঙ্গীতে ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে কলেজ গেইট বাসস্ট্যান্ডের পিছনে অবস্থিত। এর ঠিক পাশেই টঙ্গী সরকারি কলেজ অবস্থিত। টঙ্গীর সবচেয়ে পুরোনো উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ এর অত্যন্ত নিকটে অবস্থিত।[২]
প্রতিষ্ঠানটির তিনটি ৪তলা বিশিষ্ট ভবন ও একটি মাঠ রয়েছে। সর্বশেষ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ভবন (আইসিটি ভবন) উদ্ধোধন করা হয় ২০১৯ সালে। প্রতিষ্ঠানটির মূল সীমানার ভিতর একটি মাঠ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখে একটি বিশাল মাঠ রয়েছে, যা টঙ্গী সরকারি কলেজের অংশ।
শিক্ষাক্রমসম্পাদনা
প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রদত্ত জাতীয় পাঠ্যক্রমটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদ্যমান সকল শ্রেণি ও পরীক্ষার জন্য অনুসরণ করে। বাংলা এবং ইংরেজি শিক্ষা সকল অনুষদের জন্য বাধ্যতামূলক। এই পাঠ্যক্রমটিতে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সম্প্রতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মানবিক, ব্যাবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান- এই তিনটি প্রধান শাখার মধ্যে একটি বেছে নিতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনা
গত দশ বছর যাবত প্রতি বছরই সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজের গাজীপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অর্জন করা প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি ঐতিহ্যগত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৫-২০০৬, ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে এটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষস্থানীয় দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি হিসাবেও স্বীকৃতি লাভ করেছিল। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মদক্ষতায় বিশতম স্থানে ছিল।[৩]
চিত্রশালাসম্পাদনা
সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ শহীদ মিনার।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "Academics"। Safiuddin Sarker Academy & College। ৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "SSAC"। Safiuddin Sarker Academy & College। ৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Rajuk school tops Dhaka board"। bdnews24.com। ২৮ ডিসেম্বর ২০১১।