প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (সংক্ষেপে: পিইসিই) একটি সরকারি পরীক্ষা যা বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর-এর অধীনে নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদেরকে টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় এবং নির্ধারিত তারিখে মূল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদেরকে অংশ নিতে হয়।[১]
যদিও ২০০৫ সাল থেকে উপজেলা পর্যায়ে চলে আসছে। কিন্তু ২০০৯ সালে বাংলাদেশে প্রবর্তিত একটি পাবলিক পরীক্ষা যার মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের (পঞ্চম শ্রেণির) শিক্ষার্থীদের অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। ২০২২ সাল থেকে এই পরীক্ষা আর থাকছে না। কেবল এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীকালে নিম্ন মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।[২] গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিবছর এই পাবলিক পরীক্ষাটি আয়োজন করে থাকে। এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে। সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী দের এ-বছরেই প্রথম প্রাথমিক বৃত্তি ও সমাপনী পরীক্ষা একই প্রশ্ন পত্রে অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তীতে ২০০৯ সালে দেশব্যাপী প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। [৩]
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ৩য় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ দশমিক ২৬ শতাংশে উন্নীত হয়।[৪] প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।[৫][৬]
ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
সম্পাদনাইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা বা পি.ডি.সি. হলো প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সার্টিফিকেট সমমানের পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সরকারি পরীক্ষা যা প্রাথমিক বোর্ড বাংলাদেশের অধীনে নেওয়া হয়। এই পরীক্ষা প্রাথমিক ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত। ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা পি.ডি.সি পরীক্ষা ২০১০ সাল হতে চালু হয়। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ থেকে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।[৫][৭][৮]
পরীক্ষা পদ্ধতি
সম্পাদনান্যাপ (জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি) কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে সমগ্র দেশে একইসময়ে এই পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য অন্যান্য স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জে.এস.সি, এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি) বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডসমূহ কর্তৃক আয়োজিত হলেও কেবল প্রাথমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলো আয়োজন করে থাকে মন্ত্রণালয়। প্রায় প্রতিবছরই প্রশ্নকাঠামোতে পরিবর্তন আনা হলেও সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও সমমানের পরীক্ষা ৬টি বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় যার প্রতিটিতে সর্বমোট ১০০ নম্বর করে থাকে এবং পাস নম্বর থাকে ৩৩।
সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল
সম্পাদনাসাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "BBCBangla | খবর | বাংলাদেশে সমাপনী পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত"। www.bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩।
- ↑ "বিস্ময়কর সাফল্য"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "খুদে শিক্ষার্থীদের উল্লাস"। www.prothom-alo.com। ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯। ২০১৮-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-১৭।
- ↑ "কালের কণ্ঠ"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা প্রসঙ্গে"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "PSC Result 2014 Primary Education Board"। বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড। ১৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার নম্বরবন্টন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৩।
- ↑ "প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু ২৩ নভেম্বর"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪।
বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |