শেন জার্গেনসেন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

শেন জন জার্গেনসেন (ইংরেজি: Shane John Jurgensen; জন্ম: ২৮ এপ্রিল, ১৯৭৮) অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রেডক্লিফে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। তিনি কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। এছাড়াও, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া এবং ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে সাসেক্স ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ নিয়েও খেলেছেন।

শেন জার্গেনসেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামশেন জন জার্গেনসেন
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাকোচ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৩/০৪–২০০৬/০৭কুইন্সল্যান্ড
২০০০/০১–২০০২/০৩তাসমানিয়া
১৯৯৯সাসেক্স
১৯৯৮/৯৯পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ১৪
রানের সংখ্যা ২৫১
ব্যাটিং গড় ১১.৪০ ৪.০০
১০০/৫০ –/১ –/–
সর্বোচ্চ রান ৫৬
বল করেছে ৪,৬৪৪ ৬৫৮
উইকেট ৭০
বোলিং গড় ৩০.৪২ ৬৮.৩৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৬৫ ২/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ জুলাই ২০১৪

ক্রিকেট জীবন সম্পাদনা

মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ফাস্ট বোলাররূপে তিনি কুইন্সল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু নিজ রাজ্যের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণে নেতৃত্বদানকারী বোলারদের জন্যে দলে ঠাঁই পাননি। ফলে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান এবং সেখানে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটাতে সক্ষমতা অর্জন করেন। কয়েক মৌসুম পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার পর তিনি তাসমানিয়ায় চলে যান। ঐ দলের পক্ষ তিনি তার সেরা খেলাগুলো প্রদর্শন করেন। তন্মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট দলের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে পুরা কাপের চূড়ান্ত খেলায় নিজ রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি উইকেট দখল করেছিলেন।

তাসমানিয়ায় তার এ সাফল্যে উজ্জ্বীবিত হয়ে পুনরায় কুইন্সল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করেন। নিজ রাজ্য দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু ২০০৫-০৬ মৌসুমে চুক্তিতে আবদ্ধ থাকা স্বত্ত্বেও রাজ্য দলের পক্ষ হয়ে নিয়মিত খেলতে পারেননি।

কোচিং সম্পাদনা

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর জুলাই মাসে জেমি সিডন্সের পদত্যাগের পর থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন।[১] কোচের দায়িত্ব পালনের পূর্বে ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের অধীনে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। অক্টোবর, ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রিচার্ড পাইবাস পদত্যাগ করলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। দায়িত্ব পালনের শুরুতেই বাংলাদেশ দল ৩-২ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজ জয় করে। কিন্তু টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ দল।

২০১৪ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার পর ১৯ মে, ২০১৪ তারিখে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।[২][৩] এরফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মে, ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সাবেক অল-রাউন্ডার চণ্ডিকা হাথুরুসিংহাকে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের জন্য নাম ঘোষণা করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

পূর্বসূরী:
রিচার্ড পাইবাস
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
২০১২-১৪
উত্তরসূরী:
চণ্ডিকা হাথুরুসিংহা