মোল্লা বাড়ীর বউ

সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ২০০৫-এর চলচ্চিত্র

মোল্লা বাড়ির বউ ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র[]। জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু এই ছবিটি পরিচালনা করেন এবং এই ছবিটি পরিচালনার মধ্যে দিয়েই তিনি চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। সম্পূর্ণ পারিবারিক ও সামাজিক কুসংস্কার বেড়াজালের গল্প নিয়ে নির্মিত হয় এই ছবিটি। ছবিতে প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ এর বিখ্যাত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, মৌসুমী, রিয়াজ, শাবনূরপ্রাণ রায় । ছবিটিতে হাসি আর কান্নার কিছু রেশ থাকার কারণে, বাংলাদেশের কৌতূহলি দর্শকদের দারুণ আনন্দ দিতে সক্ষম হয়।

মোল্লা বাড়ীর বউ
চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক পোস্টার
পরিচালকসালাউদ্দিন লাভলু
প্রযোজকআব্বাস উল্লাহ শিকদার
রচয়িতাএ টি এম শামসুজ্জামান
শ্রেষ্ঠাংশেমৌসুমী
রিয়াজ
শাবনূর
এ টি এম শামসুজ্জামান
প্রান রায়
চিত্রলেখা গুহ
কেরামত মাওলা
খায়রুল আলম সবুজ
ওয়াহিদা মল্লিক জলি
মাসুদ আলী খান
সুরকারইমন সাহা
চিত্রগ্রাহকহাসান আহম্মেদ
সম্পাদকফজলে হক
পরিবেশকছায়াছন্দ চলচ্চিত্র
মুক্তি২০০৫
স্থিতিকাল১৬০ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

কাহিনী সংক্ষেপ

সম্পাদনা

হোতাপাড়া গ্রাম ২০০ বিঘা জমির মালিক “গাজী এবাদত মোল্লা” (এ টি এম শামসুজ্জামান) পরিবারের বসবাস। মোল্লার একমাত্র ছেলে “জোয়ান গাজী” (রিয়াজ) ছোট বেলা থেকে এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে, সে পৃথিবীতে বাবা ছাড়া কোন কিছু বোঝেনা এমনকি বউকে ভালোবাসতে বোঝেনা। আর পুত্রবধু “বকুল” (মৌসুমী) হচ্ছে প্রকৃতির প্রেমিক, তার সুখ, দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্না, সব কিছু প্রকৃতিকে ঘিরে। প্রকৃতির সাথে তার রয়েছে গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক। শ্বশুর গাজী সাহেব পুত্রবধুর উপর অত্যাচার করে। ইতিমধ্য তার ছেলের মাধ্যমে গাজী তার সংসারে নতুন বংশধর আসার খবর পেয়ে খুব খুশি হয় এবং বৌমার গলায় তাবিজ পরিয়ে দেন ও বৌমা বকুলকে প্রকৃতির প্রেম ছিন্ন করে হামামখানা (গোসলখানা) বানিয়ে দেন। বকুল হামামখানায় না গিয়ে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে। এই ঘটনায় বকলের পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই বকুলের উপর শুরু হয় গাজীর অত্যাচারের আর এক নতুন অধ্যায়। বকুলকে জ্বীনে ধরেছে বলে জ্বীন ছাড়ানোর নামে ওঝাঁকে দিয়ে বকুলের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।

গাজী পুনরায় ছেলেকে বাপ-মা মরা পরের বাড়িতে কাজ করে খাওয়া “পারুল”কে (শাবনূর) দ্বিতীয় বউ হিসেবে ঘরে আনে। কিন্তু পারুল প্রচন্ড চালাক ও বুদ্ধিমতি মেয়ে । সে এই বাড়ীতে বউ হয়ে আসার পূর্বেই এ বাড়ীর সকল কাহিনী জানে এবং পরিকল্পনা করে শ্বশুর গাজীকে কীভাবে উচিত শিক্ষা দেয়ে যায়। গাজী ছোট বউ পারুলের আচরনে মুগ্ধ হয়ে এ বাড়ীর পুরো দায়িত্ব তাকে দেয় এবং এই সুযোগটা পারুল কাজে লাগায়। এক পর্যায়ে বড় বউ বকুল পাগল হয়ে ঘরের বাহিরে চলে আসে। গাজী তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকুলকে বেঁধে রাখে। ছেলে জোয়ান গাজী জোর গলায় কথা বলে বকুলের বাঁধন খুলে দেয় এবং সবাইকে হুকুম দেয় বকুলকে যেন আর কেউ বেঁধে না রাখে। ছেলের হঠাৎ এমন আচরনে ক্ষিপ্ত হয় গাজী এমনি এক সময় ছোট বউ পারুল গাজীকে বলে উঠে- আমারতো মনে হয় আপনাকেও জ্বীনে ধরেছে। এ কথা শুনে গাজী ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে “মাষ্টার” (প্রান রায়) এর হাতে ধরা পড়ে। তখন জোয়ান বাবার সুরে ওঝাঁ ডেকে জ্বীন তাড়ানোর নামে গাজীকে বাঁশের চাপা দেয়।

গাজী অচেতন হয়ে শুয়ে থাকে আর মে মনে ভাবে ছোট বউতার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলো। তখন সে পরিকল্পনা করে ছোট বউকে কীভাবে মারা যায়। সযোগ বুঝে সে একদিন দা হাতে ডুকে পড়ে পারুের ঘরে। পারুলকে জোরে কোপ দিতেই বড় বউ বকুলের দায়ের কোপে গাজী নিজেই চিৎ হয়ে পড়ে যায়। ছোট বউ পারুল বড় বউ বকুলের হাত থেকে দা কেড়ে নিয়ে সব দোষ নিজের কাঁধে নিয়ে বড় বউ বকুলকে জোয়ান গাজীর হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ছোট বউ পারুলকে ধরে নিয়ে যায়।

শ্রেষ্ঠাংশে

সম্পাদনা
অভিনেতা/অভিনেত্রী ভুমিকা
এ টি এম শামসুজ্জামান গাজী এবাদত মোল্লা
মৌসুমী বকুল
রিয়াজ জোয়ান গাজী
শাবনূর পারুল
প্রাণ রায় মাষ্টার
চিত্রলেখা গুহ
কেরামত মাওলা
খায়রুল আলম সবুজ
ওয়াহিদা মল্লিক জলি
মাসুদ আলী খান নিবারন
মোল্লা বাড়ীর বউ
 
ইমন সাহা
কর্তৃক
মুক্তির তারিখ২০০৫ (বাংলাদেশ)
শব্দধারণের সময়২০০৫
ঘরানাচলচ্চিত্রের গান
সঙ্গীত প্রকাশনীজি-সিরিজ
প্রযোজকজি-সিরিজ

মোল্লা বাড়ীর বউ ছবিটির গীতিকার শাহ আলম সরকার এবং সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন ইমন সাহা

সাউন্ড ট্র্যাক

সম্পাদনা
ট্র্যাক গান গীতিকার সুর ও সংগীত কণ্ঠশিল্পী পর্দায়
খরকুটার এক বাসা বাঁধলাম শাহ আলম সরকার ইমন সাহা মনির খান কেরামত মওলামৌসুমী
অন্তর দিলাম বিছাইয়া এন্ড্রু কিশোরকনক চাঁপা রিয়াজশাবনূর
বনের কোকিল সাবিনা ইয়াসমিন মৌসুমী
থেমে গেল বুঝি আগুনবেবী নাজনীন রিয়াজশাবনূর
বান্ধিলাম পিরিতের ঘর মমতাজ চিত্রলেখা গুহমৌসুমী
যন্ত্রণার আগুন মমতাজসাবিনা ইয়াসমিন চিত্রলেখা গুহমৌসুমী

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বাংলা চলচ্চিত্র মোল্লা বাড়ীর বউ"। ১৪ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা