তাজুল ইসলাম (রাজনীতিবিদ)
মোঃ তাজুল ইসলাম (জন্ম: ৩০ জুন ১৯৫৫) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি কুমিল্লা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১] ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি দেশ থেকে পলায়ন করেন।
তাজুল ইসলাম | |
---|---|
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ জানুয়ারি ২০১৯ – ৫ আগস্ট, ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | খন্দকার মোশাররফ হোসেন |
উত্তরসূরী | এ. এফ. হাসান আরিফ |
কুমিল্লা-৯ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৫ আগস্ট, ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | মনিরুল হক চৌধুরী |
কুমিল্লা-১০ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১২ জুন ১৯৯৬ – ১ অক্টোবর ২০০১ | |
পূর্বসূরী | এ টি এম আলমগীর |
উত্তরসূরী | আনওয়ারুল আজিম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মোঃ তাজুল ইসলাম ৩০ জুন ১৯৫৫ কুমিল্লা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফৌজিয়া ইসলাম |
সন্তান | ২ ছেলে ও ২ মেয়ে |
পিতামাতা |
|
প্রাক্তন শিক্ষার্থী |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনামোঃ তাজুল ইসলাম ৩০ জুন ১৯৫৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের পোমগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জুলফিকার আলী এবং মাতা আনোয়ারা বেগম দম্পতির ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়।[১][২]
তিনি পোমগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করে পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল অব স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম। এই দম্পতীর ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। ছেলেরা শিক্ষাজীবন শেষ করে নিজেদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেয়েদের মধ্যে একজন ব্যারিস্টার আর অন্যজন উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় বসবাস করছেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাতাজুল ইসলাম ফেবিয়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ সহ ২০ টি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী। তিনি যমুনা ব্যাংকসহ ২টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা করছেন। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক তিনি।
তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাতাজুল ইসলাম ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩] ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪][৫][৬]
একাদশ জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে ৭ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ১৯ মে ২০১৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে তিনি ১৯ মে ২০১৯ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হোন।[৭][৮]
বিগত জাতীয় সংসদের মেয়াদগুলিতে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি কমিটিতে তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "মাননীয় মন্ত্রী (জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম)"। স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩। ১৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Constituency 257_10th_Bn"। www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২।
- ↑ "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"। জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "মন্ত্রিগণের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন"। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "দুই মন্ত্রীর দায়িত্ব কমালেন প্রধানমন্ত্রী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৯।