মারে পার্কার

নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার

নরম্যান মারে পার্কার (জন্ম: ২৮ আগস্ট, ১৯৪৮) মানাওয়াতু’র ডেনভার্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

মারে পার্কার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামনরম্যান মারে পার্কার
জন্ম (1948-08-28) ২৮ আগস্ট ১৯৪৮ (বয়স ৭৫)
ডেনভার্ক, মানাওয়াতু, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্ককেজে পার্কার (ভ্রাতা), জেএম পার্কার (ভ্রাতা), এমএম পার্কার (পুত্র), ইজে পার্কার (ভাগ্নী)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৭)
৩০ অক্টোবর ১৯৭৬ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১৮ নভেম্বর ১৯৭৬ বনাম ভারত
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ ২৪)
১৬ অক্টোবর ১৯৭৬ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৭/৬৮ - ১৯৬৯/৭০ওতাগো
১৯৭৩ - ১৯৭৯ক্যান্টারবারি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫২ ১০
রানের সংখ্যা ৮৯ ২,১০২ ৯৪
ব্যাটিং গড় ১৪.৮৩ ০.০০ ২৫.০২ ১১.৭৫
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ১/৮ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪০ ১৩৫ ৩৩
বল করেছে - - -
উইকেট - - - -
বোলিং গড় - - - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - - - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - - - -
সেরা বোলিং - - - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ১/- ৪৫/- ৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ এপ্রিল ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ও ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন মারে পার্কার। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত মারে পার্কারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটা খেলায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩৫ রান তুলেন। এটিই তার সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র শতরানের ইনিংস ছিল। ওয়েলিংটনের বিপক্ষে ঐ ইনিংসে তার দলের সংগ্রহ ছিল ২২৫।[১]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন মারে পার্কার। ৩০ অক্টোবর, ১৯৭৬ তারিখে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ নভেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান মারে পার্কারকে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে পাকিস্তান ও ভারত সফরে নেয়া হয়। বেশ বেকায়দায় পড়া ঐ সফরে করাচীতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দলীয় অধিনায়ক ও কনিষ্ঠ ভ্রাতা জন পার্কার তাকে ক্যাপ পরিধান করে দেন। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ৪০ রান তুলেন। কিন্তু, পরবর্তী দুই টেস্টে কোন আশানুরূপ ইনিংস খেলতে পারেননি।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তার আরও দুই ভাই - কেনেথ পার্কার ও জন পার্কার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, কনিষ্ঠ ভ্রাতা জন পার্কার নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন। তার সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চারটি খেলায় একত্রে তিনিও অংশ নিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার সন্তান মার্ক পার্কার উদীয়মান ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু, ২০০২ সালের বালিতে বোমা হামলার ফলে নিহত হলে সংক্ষিপ্ত পেশাদারী খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে।

তিমারু বয়েজ হাইস্কুলে বিজ্ঞান ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। সেখানে ১৯৭১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষাদান করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা