কমলাপুর মসজিদ

বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা

কমলাপুর মসজিদ বরিশাল বিভাগের গৌরনদী উপজেলার কমলাপুর গ্রামে অবস্থিত একটি মসজিদ। স্থানীয় ইতিহাস অনুসারে, এটি ১৬শ শতাব্দীতে মাসুম খান নির্মাণ করেছিলেন।[১] ১৯৭৫ সাল থেকে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে একটি সুরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে রয়েছে।

কমলাপুর মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
মসজিদ
মালিকানাবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
পবিত্রীকৃত বছর১৬শ শতাব্দী
অবস্থাসুরক্ষিত
অবস্থান
অবস্থানগৌরনদী, বরিশাল জেলা
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীমুঘল স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠাতামাসুম খান
গম্বুজসমূহ

মসজিদের নকশা ও কারুকাজ সম্পাদনা

ইট দিয়ে বানানো মসজিদটি একটি নিচু জায়গায় অবস্থিত এবং দেখতে আয়তকার। এর আয়তন হলো ১৭.২২ মি × ৮.০৮ মি। মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে মোট পাচটি প্রবেশ পথ রয়েছে।পূর্ব পাশের প্রবেশ পথটি অন্যগুলোর চেয়ে কিছুটা বড় হওয়ায় এটি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। মসজিদের কিবলার দিকে তিনটি অর্ধ-অষ্টভুজ মিহরাব আছে। এর মধ্যে মাঝখানের মিহরাবটি বাইরের দিকে অভিক্ষিপ্ত এবং দুপ্রান্তে দুটি ছোট অষ্টভুজ বুরুজ রয়েছে।ইটের তৈরি এই মসজিদকে খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক ভাগে একটি করে কন্দাকৃতির আকারের গম্বুজ রয়েছে।সুলতানি বৈশিষ্ট্যের পোড়ামাটির কাজ দিয়ে মসজিদটি সাজানো হয়েছে।প্রবেশপথের আয়তাকার অংশে প্যাঁচানো ফুলেল নকশা, গোলাপ নকশা, জালি নকশা প্রভৃতি মোটিফ সংবলিত পোড়ামাটির ফলক দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রধান প্রবেশপথে যে শিলালিপিটি ছিল তা বর্তমানে হারিয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্য অনুসারে এটি মাসুম খানের কীর্তি বলে মনে করা হয়। এর নির্মাণরীতি দেখে মসজিদটিকে সতেরো শতকের শেষ ভাগের কোনো ইমারত বলে ধারণা করা হয়।[২]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mosque architecture in Bangladesh [বাংলাদেশের মসজিদ স্থাপত্য]। ইউনেস্কো ঢাকা। ২০০৬। পৃষ্ঠা 204। আইএসবিএন 984-32-3469-3। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. "কমলাপুর মসজিদ" 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা