গৌরনদী
গৌরনদী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ছোট শহর। এটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত বরিশাল জেলায় অবস্থিত গৌরনদী উপজেলার প্রধান শহর। প্রশাসনিকভাবে শহরটি গৌরনদী উপজেলার সদর দফতর। এটি জনসংখ্যার বিচারে বরিশাল জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
গৌরনদী | |
---|---|
পৌরশহর ও উপজেলা সদর | |
বাংলাদেশে গৌরনদী শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′২৫″ উত্তর ৯০°১৩′২৬″ পূর্ব / ২২.৯৭৩৭২° উত্তর ৯০.২২৩৭৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | বরিশাল জেলা |
উপজেলা | গৌরনদী উপজেলা |
উপজেলা সদর | ১৯৮২ |
পৌরশহর | ১৯৯৬ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | গৌরনদী পৌরসভা |
• পৌরমেয়র | মো. হারিছুর রহমান [১] |
আয়তন | |
• মোট | ১৬.৮৩ বর্গকিমি (৬.৫০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৪২,৪৩৮ |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৫০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনাগৌরনদী শহরের অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৫৮′২৫″ উত্তর ৯০°১৩′২৬″ পূর্ব / ২২.৯৭৩৭২° উত্তর ৯০.২২৩৭৬° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ৮ মিটার।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৭৭৪ সালে মূলত গৌরনদী থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৬ সালে ঢাকা জেলা হতে গৌরনদী ও বুড়ীরহাট থানা তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৩০ সালের ৫ মার্চ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি. গ্যারেটের সুপারিশে গৌরনদী থানা পালরদী বন্দরে স্থাপিত হয়। ১৯৮২ সালে থানাটি উপজেলায় উন্নীত হয়।[২] তখন গৌরনদীকে উপজেলা সদর করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে গৌরনদী পৌরসভা গঠিত হলে গৌরনদী পৌর শহরের মর্যাদা লাভ করে। গৌরনদীতে জেলা করার জন্য আন্দোলন চলছে দির্ঘ বছর, গৌরনদীর সাথে মহকুমা সকল এখন জেলায় রুপান্তর করা হয়েছে। তথ্য টি এম তুহিন
প্রশাসন
সম্পাদনাগৌরনদী শহরটি গৌরনদী পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ১৭টি মহল্লায় বিভক্ত। ১৬.৮৩ বর্গ কি.মি. আয়তনের গৌরনদী শহরের ১১.৫ বর্গ কি.মি. গৌরনদী পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়।[৩]
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাবাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী গৌরনদী শহরের মোট জনসংখ্যা ৪২,৪৩৮ জন যার মধ্যে ২১,২০৫ জন পুরুষ এবং ২১,২৩৩ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০০:১০০৷ [৪]
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাগৌরনদী শহরের স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৬৮.৯ শতাংশ। উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে ১টি সরকারি কলেজ ও ১টি বেসরকারি মহিলা কলেজ রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মাদ্রাসা রয়েছে।
খেলাধুলা
সম্পাদনাএখানকার জনপ্রিয় খেলার মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবলের আধিপত্য দেখা যায়। গৌরনদী বেশ কয়েকটি খেলার মাঠ রয়েছে। এর মধ্যে গৌরনদী সরকারী কলেজ খেলার মাঠ , বাটাজোর হাই স্কুল মাঠ, মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ, গৌরনদী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ইত্যাদি। প্রতি বছর এসব মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট সহ নানান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।[৫]
নদ-নদী
সম্পাদনাগৌরনদীর উল্লেখযোগ্য নদী পালরদী ও আড়িয়াল খাঁ। পালরদী নদীটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। গৌরনদী উপজেলা পরিষদ এ নদীর তীরে অবস্থিত।[৬]
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- কসবা মসজিদ
- কমলাপুর জামে মসজিদ
- মাহিলারা মঠ[৭]
- শাহি পার্ক
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গৌরনদী পৌরসভার মেয়র"। ২০১৯-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।
- ↑ "গৌরনদী শহরের পটভূমি"। বরিশালপিডিয়া। ২০২২-০৬-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।
- ↑ "এক নজরে পৌরসভা"। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।
- ↑ "Urban Centers in Bangladesh"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৫: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ১৭২। ২০১৯-০৪-১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।
- ↑ "খেলাধুলা ও বিনোদন"। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।
- ↑ "নদ-নদী"। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।
- ↑ "উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা"। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮।