বৈলর ইউনিয়ন
বৈলর ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১][২]
বৈলর ইউনিয়ন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
২নং বৈলর ইউনিয়ন পরিষদ। | |
বাংলাদেশে বৈলর ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৭′৩৪″ উত্তর ৯০°২৪′৬″ পূর্ব / ২৪.৬২৬১১° উত্তর ৯০.৪০১৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
উপজেলা | ত্রিশাল উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | .খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান .আসাদুজ্জামান আসাদ(প্যানেল চেয়ারম্যান) বর্তমান |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪০.৫৮ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাএর অবস্থান ২৪°৫৯´ থেকে ২৪°৬৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৯´ থেকে ৯০°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে চুরখাই দক্ষিণে ত্রিশাল পৌরসভা পূর্বে কাঠাঁল ইউনিয়ন, পশ্চিমে ধানীখোলা ইউনিয়ন। ময়মনসিংহ শহর থেকে এর দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার এবং ত্রিশাল। থেকে ৫ কিলোমিটার।
ইতিহাস
সম্পাদনাব্রিটিশ - ভারতের সর্ববৃহৎ জেলা ময়মনসিংহের দক্ষিণ অঞ্চল পরিচালিত হত বৈলর জমিদার বাড়ি থেকে। তখন থেকেই বৈলর প্রসিদ্ধ ছিল। বৈলর নামকরণের গ্রহণযোগ্য তথ্য - জমিদারি আমলে ময়মনসিংহ দক্ষিণের বৈলরের লোকজন তৎকালীন লেখাপড়া করার বেশি সুযোগ পেত । তখনকার লোকজন বই একটার পর একটা লর বেধে রাখত তাই বইয়ের লর কথাটি পরবর্তীতে বইলর হয়ে যায় । এটাই বৈলর নামকরণের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য তথ্য । পরগণা জমিদারি স্টেট তথ্য অনুসারে জমিদারের সাথে গোটা রাজ্য পরিচালনার জন্য বৈলরের বেশ কয়েকজন বংশপরক্রমায় জমিদারদের সাথে নিযুক্ত ছিল । সর্বশেষ জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী'র সাথে একান্তভাবে জড়িত ছিল উজান বৈলরের কাদির বক্স সরকার ও তরিপ উল্লাহ সরকার অন্যতম (বর্তমান তরফদার বংশের পূর্বপুরুষ)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তারা জমিদারের রাজ্য পরিচালনা, দলিল লিখন ও রাজস্ব আদায়ের কাজ পরিচালনা করত। পরবর্তীতে বৃটিশরা উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশংকায় জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী দেশ ছেড়ে কলকাতা চলে যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্রয় করেন,এমনকি হেমচন্দ্রের প্রিয় বৈলর জমিদার বাড়ী । উল্লেখ্য তৎকালিন সময়ে এই বাড়ি ক্রয় করার জন্য সাত জন আবেদন করেছিল,জমিদার সকলকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এই বাড়িটি জমিদার হেমচন্দ্রের কাছে খুবই মায়ামাখা ছিল । হেমচন্দ্র চৌধুরী অবসর সময় কাটানোর জন্য প্রায়শই এই বাড়িতে আসতেন এবং থাকতেন । কাঠের তৈরি এই দ্বিতল বাড়িটি ছিল সুনিপুণ নকশা ও কারুকাজের এক নিদর্শন । দশটি মহল , নাট্যঘর , কারাগার সহ ছিল বেশ কয়েকটি লৌহ সিন্দুক ও ভূমি সংক্লান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র । এছাড়াও বাড়িতে জৌলুষ আসবাবপত্র সহ ছিল নানান প্রাণীর সংগ্রহশালা চিড়িয়াখানা । ষাটের দশকে কানিহারী রাজবাড়ির সেনবংশ কর্তৃক লুন্ঠিত হয় এই বাড়ির অনেক নথিপত্র ।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাআয়তন ও জনসংখ্যা
সম্পাদনাআয়তনঃ ৬২৯৫ একর। জনসংখ্যাঃ পুরুষ- ১৭২৬৪, মহিলা-১৬১৪২।
শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাশিক্ষার হার : ৫২.০৬%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- সম্মুখ বৈলর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কাজির শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়
- বৈলর কানহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বৈলর কানহর এডিএস আলিম মাদ্রাসা
- বৈলর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- কাজির শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়
- রোকেয়া আলাল মডেল হাই স্কুল
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- কাজিরশিমলা কবি নজরুল পাঠাগার
- বৈলর জমিদার বাড়ি [ বৈলর সম্মেলন মাঠের সাথে সুতিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত ]
- ড্রিম ভিলেজ পার্ক
- বিলবোকা/বোকা বিল
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাবর্তমান চেয়ারম্যান- খন্দকার মোঃ মশিহুর রহমান
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বৈলর ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২।
- ↑ "ত্রিশাল উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাক্রমিক নং | চেয়ারম্যানগণের নাম | মেয়াদকাল |
---|---|---|
১ | মোঃ গেদু মিয়া সরকার | |
২ | নকিব হোসেন আদিল সরকার | |
৩ | খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান | |
৪ | আসাদুজ্জামান আসাদ (প্যানেল চেয়ারম্যান) | |
৫ | খন্দকার মোঃ মশিহুর রহমান (বর্তমান) |
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |