ফিরোজ খান নুন
স্যার মালিক ফিরোজ খান নুন, কেসিএসআই কেসিআইই ওএসটিজ (উর্দু: ملک فیروز خان نون; ৭ মে ১৮৯৩ – ৯ ডিসেম্বর ১৯৭০)[১] ছিলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে তিনি বেশ কিছু সরকারি পদে দায়িত্বপালন করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ব্যক্তিত্ব।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাফিরোজ খান নুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছেন। ১৯৩৬ সাল থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে ভারতের হাই কমিশনার ছিলেন।
১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি ভাইসরয়ের কাউন্সিলে প্রতিরক্ষা বিষয়ক দায়িত্বপালন করেছেন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম এই পদ লাভ করেন। ১৯৪২ সালে তাকে পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সিকান্দার হায়াত খানের সম্ভাব্য উত্তরসুরি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
১৯৪৫ সালে তিনি লন্ডনে চার্চিলের যুদ্ধ মন্ত্রীসভায় ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আরকোট র্যামসেমি মুডালিয়ারের সাথে অংশ নিয়েছেন।[২]
১৯৪৫ সালে তিনি সান ফ্রান্সিস্কো সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৪৭ সালে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তাকে কিছু মুসলিম রাষ্ট্রে প্রেরণ করা হয়। এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের প্রেরণ করা প্রথম সরকারি মিশন। পাকিস্তানকে পরিচিত করা, এর প্রতিষ্ঠার কারণ ব্যাখ্যা, মুসলিম বিশ্বে সমর্থন আদায় এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৩৩ সালের নববর্ষ সম্মাননা তালিকায় ফিরোজ খান নুন নাইট উপাধিতে ভূষিত হন।[৩] পরবর্তীতে তিনি ১৯৩৭ সালের রাজ্যাভিষেক সম্মাননা তালিকায় কেসিআইই[৪] এবং ১৯৪১ সালের অক্টোবরে কেসিএসআই উপাধি লাভ করেন।[৫] ১৯৩২ সালে তিনি ভেনেরেবল অর্ডার অব সেইন্ট জনের সহযোগী অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান।[৬]
পূর্ব বাংলার গভর্নর
সম্পাদনাফিরোজ খান নুন ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী
সম্পাদনা১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ফিরোজ খান নুন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ১৯৫৭ সালে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন।
প্রধানমন্ত্রী
সম্পাদনা১৯৫৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। এরপর ইস্কান্দার মীর্জা সামরিক আইন জারি করেছিলেন।
পরবর্তী জীবন
সম্পাদনাফিরোজ খান পাঁচটি বই লিখেছেন। এরমধ্যে তার আত্মজীবনী ফ্রম মেমরি অন্যতম। তার স্ত্রী ভিকার উন নিসা নূন একজন খ্যাতনামা সমাজকর্মী ছিলেন এবং ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
ফিরোজ খান নুন ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর তার পৈতৃক নিবাস নুরপুর নুন গ্রামে মারা যান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Noon and Border Dispute TIME MAGAZINE আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে
- Noon warns America[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Chronicles Of Pakistan
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফ্র্যাডেরিক চালমার্স বোর্ন |
পূর্ব বাংলার গভর্নর ১৯৫০–১৯৫৩ |
উত্তরসূরী চৌধুরী খালিকুজ্জামান |
পূর্বসূরী মমতাজ দৌলতানা |
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ১৯৫৩–১৯৫৫ |
উত্তরসূরী আবদুল হামিদ খান দাস্তি |
পূর্বসূরী হামিদুল হক চৌধুরী |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৫৬–১৯৫৮ |
উত্তরসূরী মনজুর কাদির |
পূর্বসূরী ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড় |
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ১৯৫৭–১৯৫৮ |
উত্তরসূরী নুরুল আমিন |
পূর্বসূরী মমতাজ দৌলতানা |
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ১৯৫৭–১৯৫৮ |
উত্তরসূরী মুহাম্মদ আইয়ুব খুহরো |