ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ
ভিকারুননিসা নুন স্কুল ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত বাংলাদেশে মেয়েদের একটি স্বনামধন্য স্কুল। ১৯৫২ সালে তৎকালীন পাকিস্থানের পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের (বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ) গভর্নর ফিরোজ খান নুনের সহধর্মিনী ভিকার উন নিসা নূন ঢাকায় মেয়েদের একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করার লক্ষ্যে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন ও তার নামানুসারেই স্কুলটির নামকরণ করা হয়েছে। ভিকারুননিসা স্কুলের সাথে ক্ষেত্রবিশেষে উপমহাদেশের ইতিহাসের সংযোগ রয়েছে। এটি এখন বাংলাদেশের নামকরা স্কুলগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
তথ্য | |
ধরন | বেসরকারী |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫২ সাল |
অধ্যক্ষ | কামরুন নাহার[১] |
শ্রেণী | ১-১২ |
লিঙ্গ | বালিকা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১২,০০০ |
ভাষার মাধ্যম | বাংলা ও ইংরেজি |
রঙ | আকাশী ও সাদা |
প্রকাশনা | নূন প্রবাহ |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাসসম্পাদনা
স্কুলটির নামের উৎস জন্মসূত্রে অস্ট্রিয়ান মহিলা ভিকারুননিসা নুন। ১৯৪৫ সালে ফিরোজ খান নুনের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার সূত্রে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তার পূর্ববর্তী নাম ভিক্টোরিয়া পরিবর্তন করে ভিকারুননিসা নুন নাম গ্রহণ করেছিলেন।[২] নুন পরিবার সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন ভাবে তাদের অবদানের অংশ হিসেবে ১৯৫১ সালে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার সমসাময়িক সময়ে শিক্ষা বিস্তার ও প্রসারে অবদান হিসেবে নুন পরিবার একটি তহবিল গঠন করেন যা থেকে উচ্চশিক্ষা লাভে আগ্রহী তৎকালীন পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গমনের জন্য বৃত্তিসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দান করা হত। অবশ্য এই তহবিল ভিকারুননিসা নুন স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা।
শাখাসমূহসম্পাদনা
স্কুলটির কার্যক্রম মূলত এর প্রধান শাখা বেইলি রোডকে কেন্দ্র করে ঘটে থাকে। তবে একই প্রশাসনের অধীনে স্বতন্ত্র আরও তিনটি শাখা গড়ে তোলা হয়েছে যেগুলো রাজধানীর ধানমন্ডি, আজিমপুর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। সর্বমোট চারটি শাখা মিলিয়ে প্রায় ২৪০০০ এর অধিক ছাত্রী ভিকারুননিসা নূন স্কুলে নিয়মিতভাবে শিক্ষালাভ করে থাকে।
অন্যান্য কার্যক্রমসম্পাদনা
পাঠদানের পাশাপাশি অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য ভিকারুননিসা নুন স্কুল বিখ্যাত। স্কুলটির ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এখানে বেশ অনেকগুলি ক্লাব বা সংঘ গড়ে তোলা হয়েছে যেগুলোতে পরিবেশ গবেষণা, বিজ্ঞানচর্চা, বিতর্ক ইত্যাদি কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। এই ক্লাবগুলো স্কুলের অভ্যন্তরীণ সহ বিভিন্ন আন্তঃপ্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে। ক্লাবগুলো অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েও স্কুলের জন্য সম্মান বয়ে এনে থাকে।
এখানকার যে ক্লাব রয়েছে সবগুলই বেশ সক্রিয়। এবং তারা প্রতিবছরই পাঠ্যক্রমের বাইরের বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে সাফল্য লাভ করছে।
স্কুলটির একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার রয়েছে যেখানে বিভিন্ন বিষয়াবলীর উপর লেখকের বইসহ নানাবিধ প্রকাশনা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রকাশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্বভাবে প্রকাশিত ম্যাগাজিন সহ বহিঃর্বিশ্বের বিভিন্ন প্রকাশনা। প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিক সরঞ্জামমন্ডিত একটি সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ওএসডি"। প্রথম আলো। ২৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৮।
- ↑ "Begum Viqar-un-Nisa [1920-2000]"। Enterprise Team। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |