প্রথম উসমান
প্রথম উসমান বা উসমান গাজী (উসমানীয় তুর্কি: عثمان غازى উসমান গাজী, উসমান বে বা উসমান আল্প; মৃত্যু ১৩২৩/১৩২৪)[১][৩][ক] ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তার জীবনের শুরুর দিকে ছোট একটি তুর্কমেন রাজত্ব ছিল।[৫] তার বেইলিক তার মৃত্যুর পর কয়েক শতাব্দীতে একটি বিশাল সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছিল।[৬] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই সালতানাত বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ সাম্রাজ্য টিকে ছিল।
উসমান গাজী عثمان غازى | |||||
---|---|---|---|---|---|
উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান | |||||
কার্যকাল | আনু. ১২৯৯ – ১৩২৩/১৩২৪ | ||||
পূর্বসূরি | পদ স্থাপিত | ||||
উত্তরসূরি | প্রথম ওরহান | ||||
কায়ি গোত্রের বে | |||||
কার্যকাল | ১২৮০ - ১২৯৯ | ||||
পূর্বসূরি | আরতুগ্রুল | ||||
উত্তরসূরি | পদ বিলুপ্ত | ||||
আনাতোলিয়ান সেলজুক রাজ্যের সুগুতের বে | |||||
কার্যকাল | আনু. ১২৮০ – আনু. ১২৯৯ | ||||
পূর্বসূরি | আরতুগ্রুল | ||||
উত্তরসূরি | পদ বিলুপ্ত | ||||
জন্ম | অজানা,[১] সম্ভবত আনু. ১২৫৪/১২৫৫ খ্রিষ্টাব্দ[২] সুগুত, আনাতোলিয়া | ||||
মৃত্যু | ১৩২৩/১৩২৪ খ্রিষ্টাব্দ[৩] (বয়স ৬৮–৭০) বুরসা, উসমানীয় বেয়লিক | ||||
সমাধি | ওসমান গাজীর সমাধি, ওসমানগাজী, বুরসা প্রদেশ, তুরস্ক | ||||
স্ত্রী | রাবিয়া বালা হাতুন মালহুন খাতুন | ||||
বংশধর | প্রথম ওরহান আলাউদ্দীন পাশা | ||||
| |||||
রাজবংশ | উসমানীয় রাজবংশ | ||||
পিতা | আরতুগ্রুল | ||||
মাতা | হালিমা হাতুন[৪] | ||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
ঐতিহাসিক সূত্রের অভাবের কারণে, তার জীবনের ঘটনাবলি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। উসমানের রাজত্বের একটি লিখিত উৎসও এখন পর্যন্ত টিকে নেই[৭] এবং উসমানীয়রা ১৫শ শতাব্দী পর্যন্ত অর্থাৎ তার মৃত্যুর পর ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত তার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে কোনো তথ্য লিপিবদ্ধ করেনি।[৮][৯] একজন ইতিহাসবিদ উসমানের জীবনের সময়কালকে "ব্ল্যাক হোল" অর্থাৎ "কৃষ্ণগহ্বর" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[১০]
উসমানীয় ইতিহাস অনুযায়ী, উসমানের পূর্বপুরুষরা ওঘুজ তুর্কিদের কায়ি গোত্রের বংশধর ছিলেন।[১১] তবে, উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনেক ইতিহাসবিদ এটিকে রাজবংশীয় বৈধতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে পরবর্তীকালের মনগড়া হিসাবে বিবেচনা করেন।[১১]
১৩শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভূত অনেক আনাতোলীয় বেইলিকদের মধ্যে উসমানীয় রাজত্ব ছিল অন্যতম। এশিয়া মাইনরের উত্তরে বিথিনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত উসমানের রাজত্ব দুর্বল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত ছিল, যেটাকে তার বংশধররা শেষ পর্যন্ত জয় করতে পেরেছিল।
নাম
সম্পাদনাঅনেক ইতিহাসবিদ বলেন, উসমানের আসল নাম ছিল তুর্কি। সম্ভবত আত্মান বা আতামান এবং পরে কেবল আরবি উৎস থেকে উসমানে পরিবর্তিত হয়েছিল। গ্রীক ইতিহাসবিদ জর্জ প্যাচিমারেস তার নামের বানান Ἀτουμάν (আতৌমান) বা Ἀτμάν (আত্মা) হিসাবে বানান করেছিল।[১২] তুর্কি ইতিহাসবিদ হালিল ইনালসিক বলেন, উসমান আসলে আতামান নামে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি কৃষ্ণ সাগরের উত্তরে দেস্ত-ই কিপচাক থেকে এসেছিলেন।[১৩]
আরব ইতিহাসবিদ শিহাব আল-উমারি এবং ইবনে খালদুন উসমান নামটি ব্যবহার করেছিলেন। ওরহানের রাজত্বকালে ইবনে বতুতা এই অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং দেখলেন তাকে ওসমানচিক (উসমানজিক বা উসমানজিকও বানান করা হয়েছিলো) বলে ডাকতেন।[১৪][১৫]
ঐতিহাসিক পটভূমি
সম্পাদনাবেশিরভাগ সূত্রে দেখা যায় যে, উসমানীয় তুর্কিরা কায়ি গোত্রের ওঘুজ তুর্কি বংশের অন্তর্গত ছিল। যারা উসমানীয় ইতিহাস অনুযায়ী, ১৩ শতকের গোড়ার দিকে মঙ্গোলদের আক্রমণের কারণে মধ্য এশিয়ায় তাদের জন্মভূমি ছেড়ে গিয়েছিল এবং এই গোষ্ঠীটি রুমের সেলজুক সালতানাতের অন্তর্গত একটি অঞ্চলে আনাতোলিয়ায় বসতি স্থাপন করেছিল।[১৬] অন্যান্য সূত্র দাবি করে যে, কায়ি গোত্র সেলজুকদের পাশাপাশি পূর্বে উল্লিখিত তারিখের দুই শতাব্দী আগে আনাতোলিয়ায় চলে এসেছিল, যখন তারা ১০৪০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ট্রান্সক্সিয়ানা ছেড়ে খোরাসানের মার্ভ শহরের কাছে বাস করেছিল। অতঃপর কায়ি গোত্র ১০৭১ খ্রিস্টাব্দের পরে পূর্ব আনাতোলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়,[১৭] যেখানে এটি অন্যান্য তুর্কি গোষ্ঠীকে স্থানচ্যুত করে। পরবর্তীতে যারা সেলজুক ভূমিতে আক্রমণ করছিল, তখন সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ তার সেনাবাহিনী নিয়ে জড়িত হয় এবং খোয়ারাজমিয়ান, মঙ্গোল এবং বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিভিন্ন সূত্র অনুসারে, কায়ি যোদ্ধারা যুদ্ধে প্রথম লাইন পূরণের জন্য পরিচিত ছিল এবং তাদের লড়াইয়ের দক্ষতা এবং সাহসিকতা সেলজুকরা অনেক যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রধান কারণ ছিল। এই সত্যটি সুলতান কায়কোবাদকে বংশের আমির আরতুগ্রুলকে মোকাদ্দাম (লেফটেন্যান্ট) হিসাবে নিয়োগ দিতে এবং কায়িদের আঙ্কারার কাছে কিছু উর্বর জমি পুরস্কৃত করতে প্ররোচিত করেছিল, যেখানে তারা বসতি স্থাপন করেছিল এবং বেশ কয়েক বছর ধরে সুলতানের সেবায় ছিল।[১৮][১৯]
পরে আরতুগ্রুলকে বাইজেন্টাইন সীমান্তের উত্তর-পশ্চিম আনাতোলিয়ার সুগুত শহরের উপর কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়।[২০] তিনি উচ বে উপাধিও অর্জন করেছিলেন। এই উপাধি প্রদান সেলজুক সালতানাতের ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। সাধারণত এ উপাধি বেশ কয়েকটি ছোট ছোট গোষ্ঠীর বংশের প্রধানকে দেওয়া হয়। তবে আরতুগ্রুলের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। তাকে পুরস্কৃত জমির বাইরেও তিনি প্রসারিত করার চেষ্টা করেছিলেন। এভাবে তিনি সুলতানের নামে বাইজেন্টাইন সম্পত্তিতে অভিযান চালাতে শুরু করেন এবং বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম সফলভাবে জয় করেন এবং সেলজুক গভর্নর হিসাবে কাটানো শতাব্দীর অর্ধেক সময় ধীরে ধীরে তার আধিপত্য প্রসারিত করেন। ৬৮০ হিজরি/১২৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রায় ৯০ বছর বয়সে আরতুগ্রুল মৃত্যুবরণ করেন।[২১]
বংশ পরিচয়
সম্পাদনাযদিও উসমানের জন্মের সঠিক তারিখ অনির্দিষ্ট, কিছু সূত্র ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ৮ সফর ৬৫৬ হিজরি / ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ঠিক একই দিনে মঙ্গোল বাহিনী বাগদাদ আক্রমণ করেছিল এবং বাগদাদের বাসিন্দাদের হত্যা করেছিল এবং এর ল্যান্ডমার্কগুলি ধ্বংস করেছিল।[২২] ১৬শ শতাব্দীর উসমানীয় ইতিহাসবিদ ইবনে কামাল এর মতো অন্যান্য সূত্র বলে যে, উসমান সম্ভবত ১৩ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সম্ভবত ১২৫৪/১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে।[২৩] উসমানের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কিত তথ্য সীমিত। তবে কয়েকটি উপলভ্য সূত্র সম্মত হয় যে, তিনি সুগুত শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা তার পিতা আরতুগ্রুল তার আমিরাতের রাজধানী হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।[২৪] উসমানের জীবনের এই পর্যায় সম্পর্কে সহজলভ্য তথ্যের অভাবের কারণ হলো এই সময়কাল সম্পর্কে প্রাচীনতম সূত্রটি উসমানের মৃত্যুর প্রায় একশ বছর পরে লেখা হয়েছিল। এই উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে: দেস্তান-ই তেভারিহ-ই আল-ই উসমান (উসমানীয়দের মৌখিক ইতিহাস), ১৪শ শতাব্দীতে উসমানীয় কবি এবং আদালতের চিকিৎসক তাসেদ্দিন ইব্রাহিম বিন হাজির দ্বারা রচিত আহমদী (১৩৩৪-১৪১৩ খ্রিস্টাব্দ), শুকরুল্লাহ (মৃত্যু ১৪৬৪ খ্রিস্টাব্দ) রচিত বেহসেতুত তেভারিহ (ইতিহাসের আনন্দ) এবং দেরভিস আহমেদ সিকি রচিত তেভারিহ-ই আল-ই ওসমান (উসমানীয়দের ইতিহাস)। অতিরিক্তভাবে, এই অবশিষ্ট উৎসগুলি মূল নয়, বরং অনুলিপিগুলির অনুলিপি যা বছরের পর বছর ধরে পুনরায় লেখা হয়েছিল, যার ফলে সম্ভাব্য ক্ষতি বা তথ্যে পরিবর্তন ঘটে।[২৫] প্রকৃতপক্ষে, এটি গৃহীত হয় যে উসমান এবং তার বংশের উৎস বিবেচনা করার সময় উসমানীয়, ইউরোপীয় এবং বাইজেন্টাইন উৎসগুলি খুব নির্ভরযোগ্য নয়। একদিকে, মূলত উসমানীয়দের দ্বারা লিখিত প্রাচীনতম পরিচিত নথিগুলি কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের (১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ) পরবর্তী সময়ের। অন্যদিকে, বাইজেন্টাইন ঐতিহাসিকদের কেউই তাদের লেখায় উসমানীয়দের উৎপত্তির কথা উল্লেখ করেননি। ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের মতে, এই তুর্কি মুসলিম জাতিগুলো ছিলো তাদের আগ্রহের বাইরে। যাইহোক, এই সময়ের এক শতাব্দী পরে এটি পরিবর্তিত হয়েছিলো, যখন উসমানীরা ইউরোপের জন্য হুমকি হতে শুরু করেছিল।[২৬]
উসমানীয় ঐতিহাসিক কামালপাসাজাদে উল্লেখ করেন যে, উসমান ছিলেন আরতুগ্রুলের কনিষ্ঠ পুত্র এবং তিনি ঐতিহ্যবাহী যাযাবর তুর্কি উপায়ে বেড়ে উঠেছেন: তিনি অল্প বয়স থেকেই কুস্তি, তলোয়ার চালানো, ঘোড়ায় চড়া, তীর নিক্ষেপ এবং বাজপাখি চালানো শিখেছিলেন। তিনি দ্রুত পূর্বে উল্লিখিত দক্ষতাগুলি আয়ত্ত করেছিলেন এবং তার সমস্ত ভাইদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ইসলামের নীতিগুলিও শিখেছিলেন এবং সুফি শেখদের শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, বেশিরভাগ তাঁর পরামর্শদাতা শেখ এদেবালি, এবং এটি তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং জীবনযাত্রায় প্রতিফলিত হয়েছিল।[২৪]
অনুপাতের দিক থেকে, সর্বাধিক জনপ্রিয় বর্ণনাটি হলো উসমান হলেন সুলেইমান শাহের নাতি, যিনি ঘোড়ায় চড়ে ফোরাত নদী পার হওয়ার সময় ডুবে মারা গিয়েছিলেন। তুর্কি ঐতিহাসিক ইলমাজ ওজতুনা উসমানের দাদা এবং আরতুগ্রুলের পিতাকে গুন্দুজ আল্প বলে মনে করেন এবং বলেন যে, সুলেইমান শাহ আনাতোলিয়ার জনপ্রিয় স্মৃতিতে আটকে থাকা একটি নাম এবং এটি আসলে সুলাইমান ইবনে কুতুলমিশকে বোঝায় যিনি রুমের সেলজুক সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ওজতুনা আরও বলেন যে, এটা সম্ভব যে উসমানীয় ঐতিহাসিকরা উসমানীয় ও সেলজুকদের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন, বিশেষ করে যেহেতু উসমানীয়রা ইতিহাসের মঞ্চে আবির্ভূত হয়ে সেলজুকদের বৈধ উত্তরসূরি বলে দাবি করেছিল। এর উপর ভিত্তি করে ওসমানের অনুমান করা বংশ নিম্নরূপ: উসমান বিন আরতুগ্রুল বিন গুন্দুজ আল্প বিন আল্প বিন আল্প বিন গোকাল্প বিন সারকুক ইবনে আল্প বিন কায়ি আল্প।[১৭] অন্যান্য গবেষকরা একমত যে আরতুগ্রুল, উসমান এবং সেলজুকদের মধ্যে সংযোগটি মূলত এক শতাব্দী পরে আদালতের ইতিহাসবিদদের দ্বারা উদ্ভাবিত হতে পারে এবং উসমানীয়দের আসল উৎস এইভাবে অস্পষ্ট রয়ে গেছে।[২৭]
অন্যদিকে, কিছু উসমানীয় উৎস উসমান এবং ওঘুজ তুর্কিদের আরও বংশের ইঙ্গিত দেয়, যা বাস্তবতার চেয়ে পৌরাণিক কাহিনীর কাছাকাছি, এই বলে যে এই লোকেরা নূহের পুত্র ইয়াফেসের বংশধর এবং ওসমানের বংশবৃক্ষে ৫২ বা তারও বেশি পূর্বপুরুষ রয়েছে এবং নবী নূহের সাথে শেষ হয়। এই বংশের মধ্যে রয়েছে গোকাল্প এবং ওঘুজ খান (যাকে গোকাল্পের পিতা বলা হয়) এবং সেলজুক সহ সমস্ত ওঘুজ তুর্কি জনগণ।[২৬]
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উৎপত্তি
সম্পাদনাউসমানের জন্মের সঠিক তারিখটি অজানা এবং তার প্রাথমিক জীবন এবং উৎস সম্পর্কে খুব কমই জানা যায় কারণ উৎসের অভাব এবং পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে উসমানীয়দের দ্বারা তার সম্পর্কে অনেক কল্পকাহিনী ও কিংবদন্তি বলা হয়েছিল।[১][২৮] তিনি সম্ভবত ১৩শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সম্ভবত ১২৫৪/১২৫৫ সালে, যা ১৬শ শতাব্দীর উসমানীয় ইতিহাসবিদ ইবনে কামাল প্রদত্ত তারিখটি উল্লেখ করেন।[২] উসমানীয় ঐতিহ্য অনুসারে, উসমানের পিতা আরতুগ্রুল মঙ্গোল আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মধ্য এশিয়া থেকে পশ্চিমে আনাতোলিয়ায় তুর্কি কায়ি গোত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপরে তিনি আনাতোলিয়ার সেলজুকদের সুলতানের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তাকে বাইজেন্টাইন সীমান্তের সুগুত শহরের উপর আধিপত্য দিয়েছিলেন।[২৯] আরতুগ্রুল এবং সেলজুকদের মধ্যে এই সংযোগটি মূলত এক শতাব্দী পরে আদালতের ইতিহাসবিদদের দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল এবং উসমানীয়দের আসল উৎস তাই অস্পষ্ট রয়ে গেছে।[৩০] কারামান বেয়লিকের ঐতিহাসিক মতে, উসমান ছিলেন একজন নিম্নবংশীয় যাযাবর এবং রাখাল।[৩১]
উসমানের প্রাথমিক ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছুই জানা যায় না, কেবল তিনি সুগুত শহরের আশেপাশের অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন এবং সেখান থেকে প্রতিবেশী বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন। উসমানের জীবনের প্রথম ঘটনাটি হলো ১৩০১ বা ১৩০২ সালে বাফিয়াসের যুদ্ধ, যেখানে তিনি তাকে প্রতিহত করার জন্য প্রেরিত একটি বাইজেন্টাইন বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন।[৩২]
উসমান তার আরও শক্তিশালী তুর্কি প্রতিবেশীদের সাথে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে বাইজেন্টাইনদের ব্যয়ে তার অঞ্চল বাড়ানোর কৌশল অনুসরণ করেছিলেন বলে মনে হয়।[২৯] তার প্রথম অগ্রগতি ছিলো গিরিপথের মধ্য দিয়ে যা আধুনিক এসকিশেহিরের নিকটবর্তী উত্তর ফ্রিগিয়ার অনুর্বর অঞ্চল থেকে বিথিনিয়ার আরও উর্বর সমভূমিতে নিয়ে যায়। স্ট্যানফোর্ড শয়ের মতে, এই বিজয়গুলি স্থানীয় বাইজেন্টাইন অভিজাতদের বিরুদ্ধে অর্জন করা হয়েছিল, "যাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল, অন্যরা ক্রয়ের চুক্তি, বিবাহ চুক্তি এবং এর মতো শান্তিপূর্ণভাবে শোষিত হয়েছিল"।[৩৩]
নেতৃত্বে আরোহণ
সম্পাদনা৬৮০ হিজরি/১২৮১ খ্রিষ্টাব্দে পিতার মৃত্যুর পর উসমান কায়ি গোত্রের বে হন।[২০] কিছু ঐতিহাসিকের মতে, উসমানের ক্ষমতায় আরোহণ শান্তিপূর্ণ ছিলো না কারণ তার বংশের নেতৃত্ব ধরে রাখার আগে তাকে তার আত্মীয়দের সাথে লড়াই করতে হয়েছিল। উসমানের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার চাচা দুন্দার বে, যিনি সম্ভবত তার ভাগ্নেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন যখন পরবর্তীকালে একটি ছোট গ্রীক দ্বীপ আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুন্দার বে উসমানের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে হুমকি হিসাবে দেখেছিলেন যা পুরো বংশকে বিপদে ফেলতে পারে। তবে অবাধ্য হওয়ার জন্য চাচাকে হত্যা করার জন্য উসমানকে তার তলোয়ার বের করতে হয়েছিল।[৩৪]
ভিলায়েতনামে উসমানের ছোট চাচা হাজী বেকতাশ ভেলি সম্পর্কে বর্ণনা সম্বলিত একটি বই ছিলো যিনি আরতুগ্রুলের মৃত্যুর পরে বে হয়েছিলেন। সেই সময়ে উসমান এবং অন্যান্য বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সুগুত সংলগ্ন বাইজেন্টাইন ভূমিতে অভিযান পরিচালনা করতে শুরু করে, যেমন: ইয়ারহিসার, বিলেসিক, ইনিগোল এবং ইজনিক। ফলস্বরূপ, বুরসার বাইজেন্টাইন টেকফুর (গভর্নর) উত্তেজিত হয়েছিলেন এবং তিনি এই ক্রমাগত আক্রমণ সম্পর্কে অভিযোগ করে সেলজুক সুলতান তৃতীয় আলাউদ্দিন কায়কোবাদের কাছে দূত প্রেরণ করেছিলেন। অতঃপর সুলতান গুন্দুজ আল্পকে তার তরুণ ভাগ্নেকে তার সামনে দাঁড় করানোর জন্য আদেশ দিয়েছিলেন এবং তাই উসমানকে গ্রেপ্তার করে কোনিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছিল। এই বর্ণনা অনুসারে, সুলতান কায়কোবাদ উসমানের সাহস ও কাজের প্রশংসা করেছিলেন এবং তাকে শাস্তি দিতে চাননি। পরিবর্তে, উসমানকে তার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য হাজী বক্তাস ওয়ালির কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল। উসমানকে সুফি রহস্যবাদী উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছিলেন, যিনি তখন তার মুক্তির আদেশ দিয়েছিলেন: "আমি বছরের পর বছর ধরে তাঁর মতো কারও জন্য অপেক্ষা করছি"। এর পরে, হাজি বাক্তাস ওয়ালী সুফি শেখদের সাথে সম্পর্কিত একই পাগড়ি দিয়ে ওসমানের মাথা জড়িয়ে দেন এবং সুলতানের কাছে একটি বার্তা দিয়ে তাকে কোনিয়ায় ফেরত পাঠান, যাতে উসমানকে কায়ি আমির হতে বলা হয়। এভাবে ওসমান গোত্রের নেতা হয়ে ওঠেন।[৩৫]
উসমানীয় বেইলিক অবস্থানের গুরুত্ব
সম্পাদনাসামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে, উসমানের বেইলিকের অবস্থান বিজয়ী যোদ্ধা হিসাবে তাঁর সাফল্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। কনস্টান্টিনোপল থেকে কোনিয়া যাওয়ার প্রধান সড়কের মধ্যস্থতা করে তার রাজধানী সুগুত একটি ভালো সুরক্ষিত অবস্থানে একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত ছিল। আনাতোলিয়ার রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে এই স্থানের গুরুত্ব আবির্ভূত হয়েছিল যা ছোট রাজ্যগুলিকে তাদের মূলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল।[৩৬] বাইজেন্টাইন ভূমির সীমান্তবর্তী বেলিকের আমির হওয়ার কারণে উসমান তার সমস্ত প্রচেষ্টা যুদ্ধ ও জিহাদের দিকে পরিচালিত করার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং সেলজুকদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমস্ত বাইজেন্টাইন অঞ্চল জয় করেন এবং ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাচীন সাম্রাজ্যের দুর্বলতা এবং ইউরোপে এর চলমান যুদ্ধ দ্বারা উৎসাহিত হয়ে উসমান পশ্চিম আনাতোলিয়ার দিকে প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, যা দার্দানেলেস ফেরিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে গিয়েছিল।[৩৬] এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মন্তব্য করে কিছু ঐতিহাসিক যুক্তি দেখান যে, বাইজেন্টাইনদের ব্যয়ে উসমানের অঞ্চল বাড়ানোর কৌশলটি ছিল তার আরও শক্তিশালী তুর্কি প্রতিবেশীদের সাথে দ্বন্দ্ব এড়ানোর উদ্দেশ্যে।[২০]
রাজনৈতিকভাবে, ওসমান তার বেইলিক অঞ্চলে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠন ও প্রয়োগ করার দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। তার রাজত্বকালে, উসমানীয়রা যাযাবর উপজাতি ব্যবস্থা থেকে স্থায়ী বসতিতে বসতি স্থাপনের দিকে দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছিল। এটি তাদের অবস্থান সুসংহত করতে এবং দ্রুত একটি প্রধান শক্তি হিসাবে বিকাশ করতে সহায়তা করেছিল।[৩৬] অধিকন্তু, খ্রিস্টীয় জগতের পাশে উত্তর-পশ্চিম আনাতোলিয়ায় বেইলিকদের অবস্থান উসমানীয়দের উপর একটি সামরিক নীতি চাপিয়ে দেয়, যা তাদের অভ্যন্তরের বেইলিয়াকদের তুলনায় বৃদ্ধি ও প্রসারিত হওয়ার আরও ভালো সুযোগ দেয়। উসমানের বেইলিক মঙ্গোল আক্রমণ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম আনাতোলিয়ায় শক্তিশালী তুর্কোমান বেইলিকদের প্রভাব উভয়ই থেকে তুলনামূলকভাবে দূরে ছিল। সিল্ক রোডের সান্নিধ্য পশ্চিমে বাইজেন্টাইন ভূমিগুলিকে পূর্বের মঙ্গোলদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর সাথে সংযুক্ত করে, এটিকে বিশিষ্ট কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। এছাড়াও, ওসমানীয় বেইলিক ছিল একমাত্র ইসলামী ঘাঁটি যা এখনও অপরাজেয় বাইজেন্টাইন অঞ্চলগুলির মুখোমুখি হয়েছিল, যা এটিকে মঙ্গোলদের কাছ থেকে পালিয়ে আসা অনেক তুর্কোমেন কৃষক, যোদ্ধা এবং দরবেশদের কাছে একটি চুম্বক করে তুলেছিল এবং অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে নতুন অঞ্চল জয় করার আকাঙ্ক্ষা করেছিল।[৩৭]
উসমানের স্বপ্ন
সম্পাদনাউসমান শেখ এদেবালি নামে স্থানীয় একজন দরবেশদের এক ধর্মীয় নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, যার মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। পরবর্তীকালে উসমানীয় লেখকদের মধ্যে দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য একটি গল্প উদ্ভূত হয়েছিল, যেখানে শেখের বাড়িতে থাকাকালীন উসমান একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন।[৩৮] গল্পটি ১৫শ শতাব্দীর শেষের দিকে আকপাসাজাদে নিম্নরূপে উপস্থিত হয়:
তিনি বলেন, "আমার শাইখ, স্বপ্নে আমি আপনাকে দেখেছি। একটি চাঁদ আপনার বুকে দেখা দিয়েছে। এটি উঠতে থাকে এবং আমার বুকে এসে অবতীর্ণ হয়। আমার নাভি থেকে একটি গাছ উঠে। এটি বৃদ্ধি পায় এবং শাখাপ্রশাখা এত বেশি হয় যে এর ছায়া পুরো পৃথিবীকে আবৃত করে ফেলে। এই স্বপ্নের অর্থ কী??”
কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার পর এদিবালি ব্যাখ্যা দেন:
“অভিনন্দন উসমান! সর্বশক্তিমান আল্লাহ তোমার এবং তোমার বংশধরদেরকে সার্বভৌমত্ব প্রদান করেছেন। আমার কন্যা তোমার স্ত্রী হবে এবং সমগ্র বিশ্ব তোমার সন্তানদের নিরাপত্তাধীন হবে।”[৩৯]
স্বপ্নটি সাম্রাজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিগত পৌরাণিক কাহিনী হয়ে ওঠে, পৃথিবীর উপর আল্লাহর প্রদত্ত কর্তৃত্বের সাথে উসমানের পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করে এবং এর ১৫শ শতাব্দীর শ্রোতাদের উসমানীয় সাফল্যের ব্যাখ্যা সরবরাহ করে।[৪০] স্বপ্নের গল্পটি একটি রূপ হিসাবেও কাজ করতে পারে: যেমন আল্লাহ ওসমান এবং তার বংশধরদের সার্বভৌমত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এটিও অন্তর্নিহিত ছিল যে তার প্রজাদের সমৃদ্ধি সরবরাহ করা ওসমানের কর্তব্য ছিল।[৪১]
উসমানের রাজত্বের শুরুতে রাজনৈতিক সম্পর্ক
সম্পাদনাবেকতাশি বর্ণনা অনুসারে, যার যথার্থতা নিশ্চিত করা যায় না কারণ এটি কেবল বেকতাশি উৎসগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, পাশাপাশি এটি বেশিরভাগ গবেষকদের কাছ থেকে খুব বেশি সমর্থন পায়নি। হাজী বেকতাশ ওয়ালী ছিলেন ওয়াফাইয়া তরিকাহ দরবেশদের মধ্যে একজন, যিনি বাবা এলিয়াস আল-খোরাসানীর একজন মুরিদ।[৪২] বাবা এলিয়াস মারা যাওয়ার পরে, হাজী বেকতাশ ওয়ালী এবং শেখ এদেবালি উভয়ই তাঁর ৬০ জন উত্তরসূরি এবং যোদ্ধা ও কৃষকদের আহিয়ান রুম ভ্রাতৃত্বের গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন, যারা জনগণের মধ্যে দুর্দান্ত প্রভাব উপভোগ করেছিলেন। উসমান যখন শেখ এদেবালির মেয়েকে বিয়ে করেন, তখন তিনি ভ্রাতৃত্বের উপর তার নিয়ন্ত্রণ সুরক্ষিত করেন এবং শীঘ্রই তাদের নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার হন। এই বিবাহের ফলে সকল আহয়ান শেখ উসমানীয় নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এটি তার পুত্র ওরহানের রাজত্বকালে উসমানের মৃত্যুর পরে উসমানীয় বেইলিক প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে একটি বড় প্রভাব ফেলে।[৩৫] কেউ কেউ যুক্তি দেন যে, শেখ এদাবালির মেয়ের সাথে উসমানের বিয়ে ছিল তার প্রথম উজ্জ্বল রাজনৈতিক উদ্যোগ।[৪৩] অন্যদিকে তুর্কি ঐতিহাসিক অধ্যাপক কামাল কাফাদার বিবেচনা করেন যে, উসমানিক এবং এদাবেলির বাড়ির মধ্যে আন্তঃবিবাহ পরবর্তীকালে উসমানীয় এবং জার্মিয়ানদের মধ্যে যে শত্রুতা দেখা দিয়েছিল তা ব্যাখ্যা করে। যেহেতু জার্মিয়ান তুর্কমেন বাড়িটি ১২৪০ খ্রিস্টাব্দে বাবাই বিদ্রোহকে দমন করার ক্ষেত্রে তাদের পরিষেবার কারণে সেলজুকদের দ্বারা জমি ও উপাধি পুরস্কৃত হয়েছিল এবং যেহেতু শেখ এদেবালিকে তাঁর অনুসারীরা বাবা ইসহাকের নেতা এবং উত্তরসূরি হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন, তারা সকলেই জার্মিয়ানদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।[৪৪]
কাফাদার আরও বলেন, উসমানের শাসনামলের প্রথম দিকে তরুণ আমির তার প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার রাজনৈতিক দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। উসমানের জোট গোত্রীয়, জাতিগত ও ধর্মীয় সীমারেখা অতিক্রম করেছিল এবং তিনি তার প্রবৃত্তি এবং তার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রয়োজনীয়তাগুলি অনুসরণ করতে পারেন। তিনি পরে তার পুত্রের জন্য যে পারিবারিক সংযোগ তৈরি করেছিলেন এবং সুরক্ষিত করেছিলেন তার ভবিষ্যতের ফলাফলগুলি ভুল করেননি। উসমান তার বেইলিকের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রুমের সেলজুক সালতানাতের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পুনর্গঠন করেন। তিনি তুর্কি, ইসলামী এবং বাইজেন্টাইন ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে তাঁর তুর্কমেন প্রতিবেশীদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল ছিলেন।
আমির পার্শ্ববর্তী শহর ও গ্রামগুলির বাইজেন্টাইন টেকফুরদের সাথেও সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি একটি চুক্তি তৈরি করেছিলেন, তাই তার বংশ যখনই তারা গ্রীষ্মে চারণভূমির মধ্যে চলে যায়, তাদের জিনিসপত্র বিলেসিকের বাইজেন্টাইন দুর্গে রেখে যায় এবং ফিরে আসার পরে তারা এর গভর্নরকে প্রশংসার একটি চিহ্ন দেয়। যেগুলো ছিল ভেড়ার দুধ থেকে তৈরি পনির এবং মাখনের আকারে এবং পশুর চামড়ায় সংরক্ষিত বা উল থেকে তৈরি একটি ভালো কার্পেট। এই চুক্তি উসমানের শাসনামলে পশুপালক, কৃষক এবং শহুরে বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার প্রতিফলিত করেছিল।[৪৪] চিরমেনকিয়ার (আধুনিক হারমানকোয়) গভর্নর কোসে মিহালের সাথে উসমানের বন্ধুত্ব ছিল মুসলিম ও বাইজেন্টাইনদের মধ্যে এই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের চূড়ান্ত পরিণতি। অন্যান্য জাতির সাথে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে, যেমন- মঙ্গোলরা, যাদের বেশিরভাগই পশ্চিম আনাতোলিয়া ও জার্মিয়ান তুর্কমেনদের সীমান্তে চলে এসেছিল। কারণ তুর্কিরা সাধারণভাবে মঙ্গোলদের ঘৃণা করতো এবং জার্মিয়ানরা সম্ভবত ওঘুজ খানের বংশোদ্ভূত ছিল।[৪৪] উসমান আহিয়ান রুম ভ্রাতৃত্বের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে তারা সংগঠিত দল গঠন করেছিল, যার প্রত্যেকটির সদস্য একক বাণিজ্যে কাজ করেছিল। ভ্রাতৃত্ব তাদের অধিকার এবং ন্যায়বিচার রক্ষা, অন্যায় প্রতিরোধ, জুলুম বন্ধ করা, শরিয়া আইন অনুসরণ করা, ভালো নৈতিকতা নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে সামরিক দায়িত্ব পালন করা তাদের অধিকার এবং তারা মুসলমানদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিল।[৪৫][৪৬]
আমির আনাতোলিয়ায় নতুন আগত তুর্কমেন গোষ্ঠীর সাথেও মিত্রতা করেছিলেন। সাধারণভাবে, যাযাবরদের সর্বদা শহরে স্থাপিত লোকদের তুলনায় একটি শক্তিশালী সামরিকায়িত মনোভাব ছিল। সুতরাং, বংশগুলি তাদের শহরবাসী আত্মীয়দের চেয়ে বেশি সক্রিয় এবং কার্যকর ছিল। খুব শীঘ্রই, তারা সামগ্রিকভাবে সেলজুক সীমান্ত প্রদেশগুলির এবং বিশেষত ওসমানিক বেইলিকের স্পন্দিত হৃদয়ে পরিণত হয়। উসমান পাফলাগোনিয়া অঞ্চল থেকে অনেক তুর্কমেনকে তার বাহিনীতে যোগদানের জন্য প্রলুব্ধ করেছিলেন।[৩৬] এই তুর্কমেনরা ভালো যোদ্ধা ছিল। তারা শহীদ ও বিজয়ের জন্য আগ্রহী ছিল। তাদের প্রত্যেকে তরিকা (সুফিবাদের একটি আদেশ) অনুসরণ করেছিল এবং একজন শেখ তত্ত্বাবধান করেছিলেন যিনি তাদের অনেক ইসলামী নীতির পাশাপাশি জিহাদের অর্থ শিখিয়েছিলেন। তবে এই তুর্কমেনদের আরেকটি অংশের বিভিন্ন কারণে ইসলামের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না। তাই উসমান তাদেরকে বেশ কয়েকজন শেখ ও দরবেশকে যথাযথ ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং ইসলামের বাণী প্রচারের লক্ষ্যে বিজয়কে গৌরবান্বিত করে এমন মূল্যবোধে পরিতৃপ্ত হন। বস্তুত এই শেখ ও দরবেশরা খোরাসানী ওয়ালিদের তুরুকের প্রচারে অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন এবং উসমানের অনুরোধে তারা এই সুযোগ পেয়েছিলেন।[৪৭]
শাসক শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষেত্রে, উসমান প্রথমে কাস্তামনুতে চোবানিদ আমিরের অধীনস্থ ছিলেন। পরে সেলজুক সুলতান কুতাহিয়ার জার্মিয়ান বে এর অধীনস্থ ছিলেন এবং কুতাহিয়ার জার্মিয়ান বে তাবরিজের মঙ্গোল ইলখানের অধীনস্থ ছিলেন। এই সময়কালে সেলজুক সুলতানরা তাদের স্থানীয় আমিরদের উপর তাদের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল এবং মঙ্গোল ইলখান তার নিযুক্ত জেনারেলদের মাধ্যমে আনাতোলিয়ায় তার কর্তৃত্ব অনুশীলন করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন উসমানসহ প্রত্যেক স্থানীয় গভর্নরকে যখনই সৈন্য দেওয়ার অনুরোধ করবেন তখনই যেনো তাকে সৈন্য প্রেরণ করা হয়।[৪৮] খুতবায় নাম প্রদানের শ্রেণিবিন্যাস হিসাবে, ইমামরা হেদায়েতের জন্য প্রার্থনা করতেন: প্রথমে মিশরে আব্বাসীয় খলিফা, তাবরিজে মঙ্গোল ইলখান, কোনিয়ায় সেলজুক সুলতান এবং অবশেষে স্থানীয় বে বা আমির।[৪৮]
বেইলিক সম্প্রসারণ
সম্পাদনা১৩শ শতাব্দীর শেষ অবধি প্রথম উসমানের বিজয়ের মধ্যে বিলেসিক, ইয়েনিসিহির, ইনিগোল এবং ইয়ার্হিসার এবং বাইজেন্টাইন দুর্গ অঞ্চলগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪৯][৫০][৫১]
শ এর মতে, উসমানের প্রথম সত্যিকারের বিজয় সেলজুক সাম্রাজ্যের পতনের পরে ঘটেছিল এবং তখন তিনি কুলাসা হিসার এবং এসকিশেহিরের দুর্গ দখল করতে সক্ষম হন। এরপর তিনি তার অঞ্চলের প্রথম উল্লেখযোগ্য শহর ইয়েনিশেহির দখল করেন যা উসমানীয় রাজধানীতে পরিণত হয়।[৩৩]
১৩০২ খ্রিষ্টাব্দে নাইসিয়ার কাছে একটি বাইজেন্টাইন বাহিনীকে পরাজিত করার পর উসমান তার বাহিনীকে বাইজেন্টাইন নিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছাকাছি নিয়ে যেতে শুরু করেন।[৫২]
উসমানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে বাইজেন্টাইনরা ধীরে ধীরে আনাতোলিয়ার গ্রামাঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাইজেন্টাইন নেতৃত্ব উসমানীয় সম্প্রসারণকে ধারণ করার চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের প্রচেষ্টা দুর্বলভাবে সংগঠিত এবং অকার্যকর ছিল। এদিকে উসমান তার রাজত্বের অবশিষ্ট সময় দুটি দিকে তার নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করতে ব্যয় করেছিলেন। যেগুলো ছিলো উত্তরে সাকারিয়া নদীর গতিপথ বরাবর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মার্মারা সাগরের দিকে। ১৩০৮ সালের মধ্যে তার এ লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন।[৩৩]
উসমানের শেষ অভিযান ছিল বুরসা শহরের বিরুদ্ধে। বুরসা শহর বিজয় উসমানীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উসমানীয় ইতিহাস অনুযায়ী, বুরসা দখলের পরপরই উসমান মারা যান। তবে কিছু ইতিহাসবিদ বলেন, ১৩২৪ সালে তার ছেলে ওরহান যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন, ঐ বছর তিনি মারা গিয়েছিল।
যুদ্ধসমূহ
সম্পাদনাকায়ী বসতির অধীনে সংঘটিত যুদ্ধসমূহ (১২৮১-১২৮৯)
রুম সালতানাতের অধীনস্থ বেইলিক/ উসমানীয় বেইলিকের অধীনে যুদ্ধসমূহ (১২৮৯-১২৯৯)
স্বাধীন উসমানীয় বেইলিকের অধীনে সংঘটিত যুদ্ধসমূহ (১২৯৯-১৩২৬)
সামরিক বিজয়
সম্পাদনাস্ট্যানফোর্ড শর বক্তব্য অনুযায়ী সেলজুকদের কর্তৃত্ব ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর উসমানের প্রথম বাস্তব সামরিক বিজয় এসেছে। এসময় তিনি এসকিশেহির ও কারাজাহিসার দুর্গ অধিকার করতে সক্ষম হন। এরপর তিনি তার অঞ্চলের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ শহর ইনেগুল জয় করেন।
এরপর ইয়েনিশেহির অধিকার করেন এবং তা উসমানীয়দের রাজধানী হয়।[৫৩]
১৩০২ সালে নাইসিয়ার নিকটে সংঘটিত বাফিয়াসের যুদ্ধে বাইজেন্টাইনদের পরাজিত করার পর উসমান তার বাহিনীকে বাইজেন্টাইন নিয়ন্ত্রিত এলাকার নিকটে অবস্থান করান।[৫২] বিপুল সংখ্যক গাজি যোদ্ধা, ইসলামি পণ্ডিত ও দরবেশ উসমানের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বসতি শুরু করে। অভিবাসীদের অনেকেই তার সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। বিভিন্ন পটভূমি থেকে উঠে আসা গাজি যোদ্ধা ও অভিযাত্রীদের সম্মেলনক্ষেত্র হওয়ায় পরবর্তী উসমানীয় শাসকরা নিজেদেরকে "গাজিদের সুলতান" বলতেন।[৫২]
উসমানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে বাইজেন্টাইনরা ক্রমান্বয়ে আনাতোলিয়ার গ্রামাঞ্চল ত্যাগ করে। বাইজেন্টাইন নেতৃত্ব উসমানীয়দের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল তবে তারা সুসংগঠিত এবং কার্যকরী ছিল না। ইতোমধ্যে উসমান (কনুর আল্প ও আঁকচাকোচা কে দিয়ে) উত্তর দিকে সাকারিয়া নদী ও দক্ষিণদিকে মার্মারা সাগরের দিকে সীমানা বিস্তার করে ফেলেন ফলে।[৫৩] এছাড়াও তার অনুসারীরা এজিয়ান সাগরের নিকটে বাইজেন্টাইন শহর ইফেসাস জয়ে অংশ নেয়। ফলে শেষ উপকূলীয় বাইজেন্টাইন শহর তার হস্তগত হয়। তবে এই শহর আইদিনের আমিরের অধীন হয়েছিল।[৫২]
বুরসার বিরুদ্ধে উসমান তার শেষ অভিযান চালান।[৫৪] তিনি এতে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নেননি। তবে বুরসা জয় উসমানীয়দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে পরবর্তী অভিযানসমূহের ক্ষেত্রে এই শহর ভিত্তিভূমি হিসেবে কাজ করেছে। পরে উসমানের পুত্র প্রথম ওরহান এখানে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
শেষ ইচ্ছা
সম্পাদনাশাইখ এদিবালি কর্তৃক প্রদর্শিত প্রশাসনিক নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা হিসেবে উসমান বলেন:
পুত্র! অন্য সকল দায়িত্বের পূর্বে ধর্মীয় দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন হও। ধর্মীয় নিয়ম শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন কর। দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিশ্বাসহীন, ও পাপী বা অপচয়কারী, উদাসীন বা অনভিজ্ঞদেরকে ধর্মীয় দায়িত্ব দেবে না। একইসাথে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এমন লোকদের দেবে না। কারণ যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভয় করে সে কোনো সৃষ্টকে ভয় করে না। যে বড় পাপ করে এবং পাপ করতে থাকে সে অনুগত হতে পারে না। পণ্ডিত, গুণী ব্যক্তি, শিল্পী ও সাহিত্যিক ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর শক্তি। তাদের সাথে দয়া ও সম্মানসূচক আচরণ করবে। কোনো গুণী মানুষের কথা জানতে পারলে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরী করবে এবং তাকে সম্পদ ও বৃত্তি প্রদান করবে...রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্বে শৃঙ্খলা প্রদান করবে। আমার কাছ থেকে শিক্ষা নাও কারণ আমি এই স্থানে একজন দুর্বল নেতা হিসেবে এসেছিলাম এবং আল্লাহর সহায়তায় পৌছেছি যদিও তা আমার প্রাপ্য ছিল না। তুমি আমার পথ অনুসরণ কর এবং দীন-ই-মুহাম্মদি ও বিশ্বাসী সেসাথে তোমার অনুসারীদের রক্ষা কর। আল্লাহ ও তার দাসদের অধিকারকে সম্মান করবে। এই পন্থায় নিজের উত্তরসুরিদেরকে উপদেশ দিতে দ্বিধা করবে না। আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভর কর। ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার মূল্য, নিষ্ঠুরতা দূরীকরণ, প্রত্যেক কাজের প্রচেষ্টায় আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভর করবে। শত্রুর আক্রমণ এবং নিষ্ঠুরতা থেকে নিজের জনগণকে রক্ষা করবে। অন্যায় সহকারে কোনো মানুষের সাথে হীন আচরণ করবে না। জনগণকে সন্তুষ্ট করবে এবং তাদের সকল উদ্দেশ্য রক্ষা করবে।[৫৫]
উসমানের তলোয়ার
সম্পাদনাউসমানের তলোয়ার উসমানীয় সুলতানদের অভিষেকের সময় ব্যবহৃত রাষ্ট্রীয় তলোয়ার ছিল।[৫৬] উসমান তার পৃষ্ঠপোষক ও শ্বশুর শাইখ এদিবালি কর্তৃক প্রদত্ত তলোয়ার গ্রহণের মাধ্যমে এই প্রথা শুরু হয়।[৫৭] সুলতানের ক্ষমতা গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিষেক অনুষ্ঠান হত। আবু আইয়ুব আনসারির মাজার কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হত। তলোয়ার প্রদানের প্রতীকি অর্থ রয়েছে। এর দ্বারা বোঝানো হত সুলতানের প্রথম ও প্রধানতম যোদ্ধার দায়িত্বপালন করতে হবে। মেভলেভি তরিকার দরবেশ কোনিয়ার শরিফ নতুন সুলতানকে এই তলোয়ার প্রদান করতেন এবং এই দায়িত্বপালনের জন্য তাকে কোনিয়া থেকে কনস্টান্টিনোপলে আসতে হত।
স্ত্রী ও সন্তান
সম্পাদনাস্ত্রী
সম্পাদনা- রাবিয়া বালা হাতুন (বিয়ে. ১২৮০), শাইখ এদেবালির কন্যা[৫৮][৫৯]
- মালহুন খাতুন (বিয়ে. ১২৮৯), উমর বের কন্যা [৫৮]
পুত্র
সম্পাদনা- প্রথম ওরহান (১২৯১-১৩৬২) — মালহুন খাতুনের সন্তান।
- আলাউদ্দিন পাশা (১২৯২-১৩৩১) — ১৩৩২ সালে মৃত্যু, বালা হাতুনের সন্তান
- চোবান বে
- পাজারলু বে
- হামিদ বে
- মেলিক বে
কন্যা
সম্পাদনামিডিয়ায় উপস্থাপন
সম্পাদনাফেতিহ ১৪৫৩ চলচ্চিত্রে অগুজ ওকতাই উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এতে দেখানো হয় যে উসমান সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের স্বপ্নে আসেন এবং তাকে বলেন যে সুলতান মুহাম্মদ হলেন কনস্টান্টিনোপল বিজয়ী সেই নেতা যার কথা মুহাম্মাদ (সঃ) ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন। ২০১৯ সালে তুরষ্কের বেসরকারি টিভি চ্যানেল ATV তে ওসমান গাজীর উপর কুরুলুশ: উসমান নামে একটি সিরিয়াল সম্প্রচার শুরু হয় যেখানে ওসমান গাজীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তুরষ্কের অভিনেতা Burak Özçivit.
আরও দেখুন
সম্পাদনা- দিরিলিস: আরতুগরুল (তুর্কি টেলিভিশন ধারাবাহিক)
- কুরুলুস: উসমান (তুর্কি টেলিভিশন ধারাবাহিক)
- উসমানীয় সাম্রাজ্য
- উসমানীয় রাজবংশ
- সেলযুক সাম্রাজ্য
- রুম সালতানাত
টীকা
সম্পাদনা- ↑ Sometimes transliterated archaically as Othman
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Kermeli, Eugenia (২০০৯)। "Osman I"। Ágoston, Gábor; Masters, Bruce। Encyclopedia of the Ottoman Empire। পৃষ্ঠা 444।
Reliable information regarding Osman is scarce. His birth date is unknown and his symbolic significance as the father of the dynasty has encouraged the development of mythic tales regarding the ruler's life and origins; however, historians agree that before 1300, Osman was simply one among a number of Turkoman tribal leaders operating in the Sakarya region.
- ↑ ক খ Murphey, Rhoads (২০০৮)। Exploring Ottoman Sovereignty: Tradition, Image, and Practice in the Ottoman Imperial Household, 1400–1800। London: Continuum। পৃষ্ঠা 24। আইএসবিএন 978-1-84725-220-3।
A reasonable, plausible and, among its peers, probably most reliable account of the early career of Osman by the paragon of Ottoman historians, Kemal Paşa-zade (1468-1534), identifies the hijri year 652 (21 February 1254 to 9 February 1255) as the date of Osman's birth.
- ↑ ক খ Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা 16।
By the time of Osman's death (1323 or 1324)...
- ↑ Lowry, Heath W. (২০০৩)। The Nature of the Early Ottoman State। Albany: SUNY Press। পৃষ্ঠা 153। আইএসবিএন 978-0-7914-8726-6।
- ↑ "Osman I"। Encyclopedia Britannica। ১৮ মে ২০২৩। ২৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২৪। Osman I, also called Osman Gazi, (born c. 1258—died 1324 or 1326), ruler of a Turkmen principality in northwestern Anatolia who is regarded as the founder of the Ottoman Turkish state.
- ↑ The Ottoman Empire, 1700–1999, Donald Quataert, page 4, 2005
- ↑ Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা xii।
There is still not one authentic written document known from the time of ʿOsmān, and there are not many from the fourteenth century altogether.
- ↑ Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা 93।
- ↑ Finkel, Caroline (২০০৫)। Osman's Dream: The Story of the Ottoman Empire, 1300–1923। Basic Books। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 978-0-465-02396-7।
Modern historians attempt to sift historical fact from the myths contained in the later stories in which the Ottoman chroniclers accounted for the origins of the dynasty[.]
- ↑ Imber, Colin (১৯৯১)। Zachariadou, Elizabeth, সম্পাদক। The Ottoman Emirate (1300–1389)। Rethymnon: Crete University Press। পৃষ্ঠা 75।
Almost all the traditional tales about Osman Gazi are fictitious. The best thing a modern historian can do is to admit frankly that the earliest history of the Ottomans is a black hole. Any attempt to fill this hole will result simply in more fables.
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;kayi
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা 124।
- ↑ টেমপ্লেট:TDV İslâm Ansiklopedisi
- ↑ Ahmet Yaşar Ocak, (2000), Osmanli Devleti'nin kuruluşu: efsaneler ve gerçekler, p. 45 (in Turkish)
- ↑ Kenje Kara, Daniel Prior, (2004), Archivum Ottomanicum, Volume 22, p. 140
- ↑ Hōca Efendi, Saʿd al-Dīn b. Ḥasan (১৮৬৩)। Tâcü't-Tevârih [The Crown of Histories] (অটোমান তুর্কি ভাষায়)। Istanbul: Matbaa-i Âmire। পৃষ্ঠা 13–15।
- ↑ ক খ Öztuna, Yılmaz (১৯৮৮)। Mawsūʻat tārīkh al-Imbarāṭūrīyah al-ʻUthmānīyah al-siyāsī wa-al-ʻaskarī wa-al-ḥaḍārī [Encyclopedia of the political, military and cultural history of the Ottoman Empire] (আরবি ভাষায়)। I। Salman, Adnan Mahmud কর্তৃক অনূদিত (1st সংস্করণ)। Istanbul: Faisal Finance Institution। পৃষ্ঠা 83–84।
- ↑ Farīd, Muḥammad (২০০৬)। Tārīkh al-Dawlah al-ʻAlīyah al-ʻUthmānīyah [History of the Exalted Ottoman State] (আরবি ভাষায়) (10th সংস্করণ)। Beirut: Dar al-Nafa'is। পৃষ্ঠা 115–116। ৯ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ al-Qaramani, Ahmed bin Yusuf bin Ahmed (১৯৮৫)। Tārīkh salāṭīn Āl ʻUthmān [History of the Ottoman Sultans] (আরবি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Damascus: Dār al-baṣāʼir। পৃষ্ঠা 9–10।
- ↑ ক খ গ Shaw, Stanford (১৯৭৬)। History of the Ottoman Empire and Modern Turkey (illustrated, reprinted সংস্করণ)। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 13–14। আইএসবিএন 9780521291637।
- ↑ Ṭaqqūsh, Muḥammad Suhayl (২০১৩)। Tārīkh al-ʻuthmānīyīn min qiyām al-Dawlah ilá al-inqilāb ʻalá al-khilāfah [History of the Ottomans: from the rise of the Empire to the coup against the caliphate] (আরবি ভাষায়) (3rd সংস্করণ)। Beirut: Dar al-Nafa'is। পৃষ্ঠা 92। আইএসবিএন 9789953184432। ২৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ Armağan, Mustafa (২০১৪)। al-tārīkh al-sirrī lil-Imbarāṭūrīyah al-ʻUthmānīyah; Jawānib ghayr Maʻrūfa min ḥayāt Salāṭīn Banī ʻUthmān [The Secret History of the Ottoman Empire: Unrecognized Aspects of the Life of the Ottoman Sultans] (আরবি ভাষায়)। Hamza, Mustafa কর্তৃক অনূদিত (1st সংস্করণ)। Beirut: al-Dār al-ʻArabīyah lil-ʻUlūm Nāshirūn। পৃষ্ঠা 11। আইএসবিএন 9786140111226।
- ↑ Murphey, Rhoads (২০০৮)। Exploring Ottoman Sovereignty: Tradition, Image, and Practice in the Ottoman Imperial Household, 1400–1800। London: Continuum। পৃষ্ঠা 24। আইএসবিএন 978-1-84725-220-3।
- ↑ ক খ Sakaoğlu, Necdet (১৯৯৯)। Yaşamları ve Yapıtlarıyla Osmanlılar Ansiklopedisi, C.2 [Encyclopedia of the Lives and Works of the Ottomans] (তুর্কি ভাষায়)। Yapı Kredi Kültür Sanat Yayıncılık। পৃষ্ঠা 392–395। আইএসবিএন 9789750800719।
- ↑ Zachariadou, Elizabeth A. (১৯৯৭)। Osmanlı Beyliği, 1300–1389 [Ottoman Beylik, 1300 - 1389] (তুর্কি ভাষায়)। İstanbul: Türkiye Ekonomik ve Toplumsal Tarih Vakfı। পৃষ্ঠা 150। আইএসবিএন 9789753330671।
- ↑ ক খ Ḥallāq, Ḥassān (২০০০)। Tārīkh al-shuʻūb al-Islāmīyah al-ḥadīth wa-al-muʻạṣir [Modern and Contemporary History of the Muslim peoples] (আরবি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Beirut: Dar al-nahḍah al-ʻArabīyah। পৃষ্ঠা 16–17। ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Fleet, Kate। "The rise of the Ottomans"। The New Cambridge History of Islam। 2: The Western Islamic World, Eleventh to Eighteenth Centuries। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 313। আইএসবিএন 9780521839570।
The origins of the Ottomans are obscure. According to legend, largely invented later as part of the process of legitimising Ottoman rule and providing the Ottomans with a suitably august past, it was the Saljuq ruler ʿAlāʾ al-Dīn who bestowed rule on the Ottomans.
- ↑ Finkel, Caroline (২০০৫)। Osman's Dream: The Story of the Ottoman Empire, 1300–1923। Basic Books। পৃষ্ঠা 12।
Beyond the likelihood that the first Ottoman sultan was a historical figure, a Turcoman Muslim marcher-lord of the Byzantine frontier in north-west Anatolia whose father may have been called Ertuğrul, there is little other biographical information about Osman.
- ↑ ক খ Stanford Shaw, History of the Ottoman Empire and Modern Turkey (Cambridge: University Press, 1976), vol. 1 আইএসবিএন ৯৭৮০৫২১২৯১৬৩৭, p. 13
- ↑ Fleet, Kate (২০১০)। "The rise of the Ottomans"। Fierro, Maribel। The New Cambridge History of Islam, Volume 2: The Western Islamic World, Eleventh to Eighteenth Centuries। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 313। আইএসবিএন 978-0-521-83957-0।
The origins of the Ottomans are obscure. According to legend, largely invented later as part of the process of legitimising Ottoman rule and providing the Ottomans with a suitably august past, it was the Saljuq ruler ʿAlāʾ al-Dīn who bestowed rule on the Ottomans.
- ↑ Yıldırım, Rıza (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। Aleviliğin Doğuşu: Kızılbaş Sufiliğinin Toplumsal ve Siyasal Temelleri 1300-1501। İletişim Yayınları। পৃষ্ঠা 121। আইএসবিএন 9789750525018। ৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২৩।
Şikarî daha da ileriye giderek Osman'ı Selçuklunun bir çobanı olarak ifade eder. (...) Şikarî genellikle Osmanlıları soylu kanından olmamak, sadık olmamak, sözlerini tutmamak gibi şeylerle suçlar. (...) "[Karamanoğlu] Osman'ı bir gedā iken şah eyledi. [Osman] Aslı cinsi yok bir yürükoğlu iken bey oldı.
- ↑ Imber, Colin (২০০৯)। The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power (2 সংস্করণ)। New York: Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 8।
- Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা 129।
Of [military undertakings] we know nothing with certainty until the Battle of Bapheus, Osman's triumphant confrontation with a Byzantine force in 1301 (or 1302), which is the first datable incident in his life.
- Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা 129।
- ↑ ক খ গ Shaw, Ottoman Empire, p. 14
- ↑ Sakaoğlu, Necdet (২০০৮)। Bu mülkün kadın sultanları: Vâlide sultanlar, hâtunlar, hasekiler, kadınefendiler, sultanefendiler [The Queen Women of the Sultanate: Vâlide sultans, wives, hasekis, women's children, sultan's children] (তুর্কি ভাষায়)। Istanbul: Oğlak Yayıncılık। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 978-9-753-29623-6।
- ↑ ক খ Ibrāhīm, Aḥmad Maḥmūd (২০১৬)। "ẓuhūr al-Biktāshīyah wa-al-ishrāf ʻalá al-Inkishariyya"। al-Islām al-muwāzī fī Turkiyā: al-Biktāshīyah wa-jadal al-taʼsīs [Parallel Islam in Turkey: Bektashi Order and Janissary Supervision] (পিডিএফ) (আরবি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Dubai: Al-Mesbar Studies and Research Center। পৃষ্ঠা 4। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ Ṭaqqūsh, Muḥammad Suhayl (২০১৩)। Tārīkh al-ʻuthmānīyīn min qiyām al-Dawlah ilá al-inqilāb ʻalá al-khilāfah [History of the Ottomans: from the rise of the Empire to the coup against the caliphate] (আরবি ভাষায়) (3rd সংস্করণ)। Beirut: Dar al-Nafa'is। পৃষ্ঠা 25–28। আইএসবিএন 9789953184432। ২৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ Collins, Paul (১৯৯৩)। al-Uthmānīyūn fī Ūrūbbā [The Ottomans in Europe] (আরবি ভাষায়)। al-Shaykh, ʻAbd al-Raḥmān কর্তৃক অনূদিত। Cairo: General Egyptian Book Organization। পৃষ্ঠা 26। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২০।
- ↑ Kermeli, Eugenia (২০০৯)। "Osman I"। Ágoston, Gábor; Masters, Bruce। Encyclopedia of the Ottoman Empire। পৃষ্ঠা 445।
Apart from these chronicles, there are later sources that begin to establish Osman as a mythic figure. From the 16th century onward a number of dynastic myths are used by Ottoman and Western authors, endowing the founder of the dynasty with more exalted origins. Among these is recounted the famous "dream of Osman" which is supposed to have taken place while he was a guest in the house of a sheikh, Edebali. [...] This highly symbolic narrative should be understood, however, as an example of eschatological mythology required by the subsequent success of the Ottoman emirate to surround the founder of the dynasty with supernatural vision, providential success, and an illustrious genealogy.
- Imber, Colin (১৯৮৭)। "The Ottoman Dynastic Myth"। Turcica। 19: 7–27। ডিওআই:10.2143/TURC.19.0.2014268।
The attraction of Aşıkpasazade's story was not only that it furnished an episode proving that God had bestowed rulership on the Ottomans, but also that it provided, side by side with the physical descent from Oguz Khan, a spiritual descent. [...] Hence the physical union of Osman with a saint's daughter gave the dynasty a spiritual legitimacy and became, after the 1480s, an integral feature of dynastic mythology.
- Imber, Colin (১৯৮৭)। "The Ottoman Dynastic Myth"। Turcica। 19: 7–27। ডিওআই:10.2143/TURC.19.0.2014268।
- ↑ Finkel, Caroline (২০০৫)। Osman's Dream: The Story of the Ottoman Empire, 1300–1923। Basic Books। পৃষ্ঠা 2।, citing Lindner, Rudi P. (১৯৮৩)। Nomads and Ottomans in Medieval Anatolia। Bloomington: Indiana University Press। পৃষ্ঠা 37। আইএসবিএন 0-933070-12-8।
- ↑ Finkel, Caroline (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। Osman's Dream: The Story of the Ottoman Empire, 1300–1923। Basic Books। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 978-0-465-02396-7।
First communicated in this form in the later fifteenth century, a century and a half after Osman's death in about 1323, this dream became one of the most resilient founding myths of the empire
- ↑ Kafadar, Cemal (১৯৯৫)। Between Two Worlds: The Construction of the Ottoman State। পৃষ্ঠা 132–3।
- ↑ Gül, Mehmet Zahir (২০১৪)। al-Taḥawwulāt al-fikrīyah fī al-ʻālam al-Islāmī: aʻlām, wa-kutub wa-ḥarakāt wa-afkār, min al-qarn al-ʻāshir ilá al-thānī ʻashar al-Hijrī [Intellectual transformations in the Islamic world: people, books, movements and ideas, from the tenth to the twelfth century AH] (আরবি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Herndon, Virginia: International Institute of Islamic Thought। পৃষ্ঠা 378। আইএসবিএন 9781565646216। ৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Mantran, Robert (১৯৮৬)। "A Turkish or Mongolian Islam"। Fossier, Robert। The Cambridge Illustrated History of the Middle Ages: 1250–1520। 3। trans. Hanbury-Tenison, Sarah। Cambridge, UK; New York City, USA: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 298। আইএসবিএন 978-0-521-26646-8।
- ↑ ক খ গ Kafadar, Cemal (১৯৯৯)। al-Ḥarith, ʻAbd al-Laṭīf কর্তৃক অনূদিত। "Takawwun al-dawla al-Uthmānīya" [Formation of the Ottoman Empire]। Al-Ijtihād (Arabic ভাষায়)। Beirut: Dār al-Ijtihād lil-Abḥāth wa-al-Tarjamah wa-al-Nashr। 16 (41–42): 65–66। ২০১৭-০২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ al-Dūrī, ʻAbd al-ʻAzīz (১২ মে ১৯৫২)। "al-aṣnāf wa-al-ḥiraf al-Islāmīyah"। Al-Risālah (Arabic ভাষায়)। Beirut: Maʻhad al-Mursil। 984 (984): 520–523। ২০২০-০২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ibn Baṭūṭah, Shams al-Dīn ʾAbū ʿAbd al-Lāh Muḥammad ibn ʿAbd al-Lāh l-Lawātī ṭ-Ṭanǧī (১৯৮৭)। Tuhfat al-nuẓẓār fī gharāʼib al-amṣār wa-ʻajāʼib al-asfār [A Gift to Those Who Contemplate the Wonders of Cities and the Marvels of Traveling] (আরবি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Beirut: Dār Iḥyāʼ al-ʻulūm। পৃষ্ঠা 134। ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Öztuna, Yılmaz (১৯৮৮)। Mawsūʻat tārīkh al-Imbarāṭūrīyah al-ʻUthmānīyah al-siyāsī wa-al-ʻaskarī wa-al-ḥaḍārī [Encyclopedia of the political, military and cultural history of the Ottoman Empire] (আরবি ভাষায়)। I। Salman, Adnan Mahmud কর্তৃক অনূদিত (1st সংস্করণ)। Istanbul: Faisal Finance Institution। পৃষ্ঠা 88।
- ↑ ক খ Öztuna, Yılmaz (১৯৮৮)। Mawsūʻat tārīkh al-Imbarāṭūrīyah al-ʻUthmānīyah al-siyāsī wa-al-ʻaskarī wa-al-ḥaḍārī [Encyclopedia of the political, military and cultural history of the Ottoman Empire] (আরবি ভাষায়)। I। Salman, Adnan Mahmud কর্তৃক অনূদিত (1st সংস্করণ)। Istanbul: Faisal Finance Institution। পৃষ্ঠা 91।
- ↑ Korobeĭnikov, Dimitri (২০১৪)। Byzantium and the Turks in the Thirteenth Century। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 284। আইএসবিএন 978-01-98-70826-1। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Akgündüz, Ahmed; Öztürk, Said (২০১১)। Ottoman History - Misperceptions and Truths। IUR Press। পৃষ্ঠা 43। আইএসবিএন 978-90-90-26108-9। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Rudi Paul Lindner (২০০৭)। Explorations in Ottoman Prehistory। University of Michigan Press। পৃষ্ঠা 87। আইএসবিএন 9780472095070। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ Steven Runciman, The Fall of Constantinople 1453 (Cambridge: University Press, 1969) p. 32
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Shaw-14
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Runciman, The Fall of Constantinople, p. 33
- ↑ "His testament"। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ Frederick William Hasluck, [First published 1929], "XLVI. The Girding of the Sultan", in Margaret Hasluck, Christianity and Islam Under the Sultans II, pp. 604–622. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০৬৭-৫৮৮৭-০
- ↑ Frank R. C. Bagley, The Last Great Muslim Empires (Leiden: Brill, 1969), p. 2 আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-০৪-০২১০৪-৪
- ↑ ক খ Peirce, Leslie P. (১৯৯৩)। The Imperial Harem: Women and Sovereignty in the Ottoman Empire (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-508677-5। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Duducu, Jem (২০১৮-০১-১৫)। The Sultans: The Rise and Fall of the Ottoman Rulers and Their World: A 600-Year History (ইংরেজি ভাষায়)। Amberley Publishing Limited। আইএসবিএন 978-1-4456-6861-1। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৭।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Pierce
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Lowry, Heath W. (২০০৩)। The nature of the early Ottoman state। SUNY series in the social and economic history of the Middle East। Albany: State University of New York Press। পৃষ্ঠা 73, 77। আইএসবিএন 978-0-7914-5635-4।
- ↑ Öcal, Sefa (১৯৮৭)। Devlet kuran kahramanlar। Türk Dünyası Araştırmaları Vakfı। পৃষ্ঠা 74। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে প্রথম উসমান সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
প্রথম উসমান জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২৫৮ মৃত্যু: ১/৯ আগস্ট ১৩২৬ [বয়স: ৬৮]
| ||
শাসনতান্ত্রিক খেতাব | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী এরতুগরুল গাজি |
কায়ি তুর্কিদের নেতা ১২৮১ – ১৭ জানুয়ারি ১২৯৯ |
সুলতান (বে) হিসেবে অভিষেক |
নতুন পদবী |
উসমানীয় সুলতান (বে) ১৭ জানুয়ারি ১২৯৯ – ২৯ জুলাই ১৩২৬ |
উত্তরসূরী প্রথম ওরহান |