প্যাট পোকক

ইংরেজ ক্রিকেটার

প্যাট্রিক ইয়ান পোকক (ইংরেজি: Pat Pocock; জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬) গায়নেড এলাকার ব্যাঙ্গরে জন্মগ্রহণকারী ওয়েলসীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

প্যাট পোকক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
প্যাট্রিক ইয়ান পোকক
জন্ম (1946-09-24) ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ (বয়স ৭৮)
ব্যাঙ্গর, কেয়ার্নার্ভোনশায়ার, ওয়েলস
ডাকনামপার্সি
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৩৮)
২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৩১ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ভারত
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ ৮৪)
২৬ মার্চ ১৯৮৫ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
সারে১৯৬৪ - ১৯৮৬
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৫
রানের সংখ্যা ২০৬
ব্যাটিং গড় ৬.২৪ ৪.০০
১০০/৫০ –/– –/–
সর্বোচ্চ রান ৩৩
বল করেছে ৬৬৫০ ৬০
উইকেট ৬৭
বোলিং গড় ৪৪.৪১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৬/৭৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫/– –/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্ন ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘পার্সি’ ডাকনামে পরিচিত প্যাট পোকক

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

মারটন সি অব ই সেকেন্ডারি স্কুলে অধ্যয়নের পর উইম্বলডন টেকনিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্যাট পোককের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্যাট পোকক ক্রিকেট খেলতে বেশ পছন্দ করতেন। প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানের দূর্বলতার সুযোগে অনেক সময় পরীক্ষামূলকভাবে বোলিং করতেন। পুরো প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সারে দলের পক্ষে পার করে দেন।

১৯৬৪ সালে সারে দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৭২ সালে স্মরণীয় খেলা উপহার দেন। সাসেক্সের বিপক্ষে এগারো বলের ব্যবধানে সাত উইকেট পেয়েছিলন তিনি। প্রথম চার উইকেট চার বলে, পাঁচ উইকেট ছয় বলে, ছয় উইকেট নয় বলে ও সাত উইকেট এগারো বলে পান। তন্মধ্যে, শেষ দুইটি রেকর্ড হিসেবে রয়ে যায়।

১৯৮৬ সালে নিজস্ব শেষ মৌসুমে সারের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২৬.৫৩ গড়ে ১,৬০৭ উইকেট পান। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৯/৫৭।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পঁচিশ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন প্যাট পোকক। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এরপর ২৬ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলন।

১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফ্রেড টিটমাস নৌ দূর্ঘটনায় পায়ের চারটি আঙ্গুল কাটা পড়লে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন। এরপর, ১৯৬৮ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ আসে। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৬/৭৯ লাভ করেন। তাসত্ত্বেও, বাদ পড়েন ও ডেরেক আন্ডারউডকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ঐ সিরিজে তাকে আর খেলানো হয়নি। এরপর থেকেই আসা-যাওয়ার পালায় থাকতেন।

১৯৭৬ সালে পরবর্তী দুই টেস্ট নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। আট বছর পর ৮৬ টেস্ট ব্যবধানে সর্বশেষ টেস্ট খেলার জন্যে দলে আমন্ত্রিত হন। তার তুলনায় কেবলমাত্র ডেরেক শ্যাকলটন (১০৩ টেস্ট) ও লেস জ্যাকসন (৯৬ টেস্ট) এ অনাকাঙ্খিত রেকর্ড গড়ে এগিয়ে রয়েছেন।[]

ডেভিড গাওয়ারের নেতৃত্বে পোকক তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সফল সমাপ্তি টানেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ভারত গমন করেন। ঐ সফরে ফিল এডমন্ডসের সাথে সফলতম জুটি গড়েছিলেন।[]

মূ্ল্যায়ন

সম্পাদনা

জন এম্বুরির তুলনায় ওভারে অর্ধেক রান বেশি খরচ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, এম্বুরি দ্বিগুণ টেস্ট বেশি খেলেছিলেন। ১৭ বছরের অধিক সময়ে মাত্র পঁচিশ টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। তন্মধ্যে, শেষ নয়টি টেস্ট ধারাবাহিকভাবে খেলেছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে আট বছর পর বিস্ময়করভাবে ১৯৮৪ সালে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ৬৭ উইকেট লাভে ৪০-এর অধিক গড়ে রান খরচ করেন ও স্ট্রাইক রেট প্রায় তিন অঙ্কের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু, কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে সফলতম সময় অতিবাহিত করেছিলেন।

ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, দল নির্বাচকমণ্ডলী কখনো পূর্ণাঙ্গভাবে প্যাট পোককের উপর আস্থা রাখতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, তিনি তার সময়কালের অন্যতম সেরা নির্ভরযোগ্য স্পিন বোলার হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 133আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা