পরশুরাম রেলওয়ে স্টেশন
পরশুরাম রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় অবস্থিত একটি অব্যবহৃত রেলওয়ে স্টেশন।
পরশুরাম রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
বাংলাদেশের রেলওয়ে স্টেশন | |
অবস্থান | পরশুরাম উপজেলা ফেনী জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশ |
মালিকানাধীন | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
পরিচালিত | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
লাইন | |
ট্রেন পরিচালক | পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | পরিত্যাক্ত |
পার্কিং | নাই |
সাইকেলের সুবিধা | আছে |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | নাই |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯২৯ |
বন্ধ হয় | ১ আগস্ট ১৯৯৭ |
অবস্থান | |
ইতিহাস
সম্পাদনাফেনী জেলার পিছিয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলের জনগোষ্ঠির জেলা সদরের সাথে যাতায়াতের পাশাপাশি ত্রিপুরার বিলোনিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিলোনিয়া দিয়ে ফেনী থেকে আসামের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ১৯২৯ সালে এ রেলপথ চালু করে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি। ২৮ কিলোমিটার এই রেলপথে পরশুরামসহ ৯টি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে এ রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়। প্রথমদিকে এ লাইনে মালবাহী ট্রেন চলাচল করলেও ১৯৪৭ সালে ভারত বাংলাদেশ বিভাগের পর দুটি লাইন আলাদা হয়ে যায়। ভারতের অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ অংশে বিলোনিয়া থেকে ফেনী মহকুমা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি ট্রেন চালু করা হয়। সে সময় ফেনীর উত্তরাঞ্চলের মানুষের জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ রেলপথ।[১] ১৯৭১ সালের পর রেল যোগাযোগের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগের উন্নতি হওয়ায় কদর কমে যায় এ রেলপথের। ব্যাপক লোকসানের কারণে ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট কর্তৃপক্ষ ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।[২][৩]
পরিষেবা
সম্পাদনাপরশুরাম রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে ১৭ আগস্ট ১৯৯৭ সালের পর থেকে কোন ট্রেন চলাচল করে না।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ থেকে, মো: ওমর ফারুক, ফেনী। "ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ ২৩ বছর পর চালু হচ্ছে"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮।
- ↑ "২২ বছর পর চালু হচ্ছে ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮।
- ↑ "ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ উধাও"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৯।