নিদা ফাজলি

ভারতীয় কবি

নিদা ফাজলি নামে সুপরিচিত মুক্তিদা হাসান নিদা ফাজলি (১২ অক্টোবর ১৯৩৮ - ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬) একজন ভারতীয় উর্দুহিন্দি ভাষার কবি, গীতিকারচিত্রনাট্যকার[][] তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত গজল হল "কভি কিসি কো মুকাম্মল জহাঁ নহিঁ মিলতা", "আ ভি জা", "তু ইস তারাহ সে মেরি জিন্দগি মেঁ", "হোশ ওয়ালোঁ কো খবর ক্যায়া"।[] সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৩ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।[] তিনি ১৯৯৮ খোয়া হুয়া সা কুছ কাব্য সংকলের জন্য উর্দু ভাষা শাখায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।[] এছাড়া তিনি ইস রাত কি সুবহ নহিঁ (১৯৯৬)-এর "জীবন ক্যায়া হ্যায়" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সুর - দ্য মেলোডি অব লাইভ (২০০২)-এর "আ ভি জা" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কারবলিউড মুভি পুরস্কার অর্জন করেন।

নিদা ফাজলি
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি চণ্ডীগড়ে ফাজলি
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি চণ্ডীগড়ে ফাজলি
জন্মমুক্তিদা হাসান নিদা ফাজলি
(১৯৩৮-১০-১২)১২ অক্টোবর ১৯৩৮
দিল্লি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ভারত)
মৃত্যু৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬(2016-02-08) (বয়স ৭৭)
মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশা
  • কবি
  • ঔপন্যাসিক
  • গীতিকার
ভাষাউর্দু, হিন্দি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারপূর্ণ তালিকা
দাম্পত্যসঙ্গীমালতি জোশী
সন্তান

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

ফাজলি ১৯৩৮ সালের ১২ই অক্টোবর তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান ভারত) দিল্লিতে এক কাশ্মিরী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে বেড়ে ওঠেন এবং সেখানে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তার পিতা উর্দু ভাষার কবি ছিলেন।[] তার দুই ভাই তসলিম ফাজলি ও সাবা ফাজলিও কবিতা ও গান রচনার সাথে জড়িত ছিলেন।

১৯৬৪ সালে তিনি চাকরির খুঁজে বোম্বেতে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি ধর্মযুগ পত্রিকায় লেখা শুরু করেন। তিনি তৎকালীন প্রখ্যাত কবি কাইফি আজমিসাহির লুধিয়ানবিকে নিয়ে সমালোচনামূলক মুলাকাতেঁ প্রবন্ধ লিখেন।[] ১৯৬৫ সালে তার পিতা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মারা গেলে তার পরিবারের বাকিরা গোয়ালিয়র থেকে পাকিস্তানে চলে যান, কিন্তু তিনি ভারতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন দেশ ত্যাগ এই সমস্যা সমাধান নয়।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি মোহাম্মদ জহুর খৈয়ামআর. ডি. বর্মণের সাথে অধিক কাজ করেছেন। ১৯৮১ সালে খৈয়ামের সুরে নাখুদা চলচ্চিত্রের "তুমহারি পালকোঁ কি চিলমানো মেঁ" এবং বর্মণের সুরে হরজাই চলচ্চিত্রের "তেরে লিয়ে পালকোঁ কি ঝালর বুনোঁ" গান দুটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। আহিস্তা আহিস্তা (১৯৮১) চলচ্চিত্রের "কভি কিসি কো মুকাম্মল জহাঁ নহিঁ মিলতা" গানটি তার সিগনেচার গান হয়ে ওঠে।[] এসময় চলচ্চিত্র নির্মাতা কামাল আমরোহী তার কর্মজীবনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। রাজিয়া সুলতান (১৯৮৩) চলচ্চিত্র নির্মাণকালে এই চলচ্চিত্রের মূল গীতিকার জান নিসার আখতার মৃত্যুবরণ করলে তিনি ফাজলিকে এই চলচ্চিত্রের বাকি গান লেখার জন্য প্রস্তাব দেন। তিনি বাকি দুটি গান লিখেন, তন্মধ্যে খৈয়ামের সুরে মর্মস্পর্শী "তেরা হিজর মেরা নসিব হ্যায়" গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে, যা অন্যান্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আকৃষ্ট করে।[]

তিনি ইস রাত কি সুবহ নহিঁ (১৯৯৬)-এর "জীবন ক্যায়া হ্যায়" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি তনুজা চন্দ্র পরিচালিত সুর - দ্য মেলোডি অব লাইভ (২০০২)-এর "আ ভি জা" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কারবলিউড মুভি পুরস্কার অর্জন করেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Citizens decry petty politics"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ১০ নভেম্বর ২০০৯। ৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  2. "When writing poetry becomes a 'business'"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ আগস্ট ২০০৭। ২১ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Poet behind 'Hosh waalon Ko Khabar Kya', Nida Fazli, passes away at 78"ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  4. আফাকি, আলি সুফিয়ান; জাবেদ, রশিদ; আলি, মোহাম্মদ; শবনম; সাইকা; আনোয়ার, মাসরুর; ফাজলি, তসলিম; নূরজাহান, Aas, পাকিস্তান: সাদাফ ডিভিডি: ম্যাগনাম ভিডিও, ওসিএলসি 93500893, সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  5. "Noted Urdu poet and Bollywood lyricist Nida Fazli passes away"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। নয়াদিল্লি। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  6. মাজিদ, শারিক (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Noted Urdu poet Nida Fazli exhorts people to be human"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। লুধিয়ানা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  7. "SAHITYA Akademi Awards :Urdu"Sahitya Akademi Award। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা