কামাল আমরোহী

ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক

সৈয়দ আমির হায়দার কামাল নাকভী (ইংরেজি: Syed Amir Haider Kamal Naqvi; ১৭ জানুয়ারি ১৯১৮ - ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩), জনপ্রিয় পরিচিত হিসাবে কামাল আমরোহী ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, এবং সংলাপ লেখক। তিনি একজন শিয়া মুসলিম এবং একজন উর্দুহিন্দি কবি ছিলেন।[১] তিনি তার পরিচালিত হিন্দি ছায়াছবির হিসাবে জন্য বিখ্যাত; যেমন- মহল (১৯৪৯), পাকিজা (১৯৭২) এবং রাজিয়া সুলতান (১৯৮৩)। তিনি ১৯৫৩ সালে কামাল ছবি (মহল ফিল্মস) প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৫৮ সালে মুম্বাই-এ কামালিস্তান স্টুডিও নির্মাণ করেন।[২]

কামাল আমরোহী (আমরোহবী)
জন্ম
সৈয়দ আমির হায়দার কামাল নাকভী

১৭ জানুয়ারি ১৯১৮
মৃত্যু১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ (বয়স ৭৫)
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ লেখক
দাম্পত্য সঙ্গীআলেজাহেরা, মীনা কুমারী, বিলকিস
পুরস্কার১৯৬১: ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সংলাপ পুরস্কার: মুঘল ই আযম

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

কামাল আমরোহী ভারতের উত্তর প্রদেশ আমরোহায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে তার নাম কামাল 'আমরোহী' (আমরোহভী) গ্রহণ করেন। কামাল আমরোহীর চাচাত ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ তাকি, পাকিস্তানের দৈনিক পত্রিকা জাং এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন। আমরোহা থেকে অন্য ভালোভাবে পরিচিত উর্দু কবিদের মধ্যে পাকিস্তানে খ্যাতি পাওয়া উভয় রইচ আমরোহভী এবং জাউন ইলিয়া কামালের কাজিন হন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৩৮ সালে তিনি আমরোহা থেকে শিক্ষার জন্য লাহোরে যান যেখানে গায়ক কে এল সাইগাল তাকে আবিষ্কার করেন এবং, সোহরাব মোদী এর মিনারভা মুভিটুন ফিল্ম কোম্পানির কাজের জন্য মুম্বাই (বোম্বে) তাকে গ্রহণ করেন। যেখানে তিনি জেইলার (১৯৩৮), পুকার (১৯৩৯), ভরসা (১৯৪০) এবং এ,আর কার্দারের ছবি শাহাজান (১৯৪৬) এর মত জনপ্রিয় ছায়াছবিতে কাজের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে মহল ছবিতে পরিচালনার মাধ্যমে একজন পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। চলচ্চিত্রটিতে প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করেন মধুবালা ও অশোক কুমার, লতা মুঙ্গেলকাররাজকুমারী দুবের গাওয়ান গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৩]

তিনি মাত্র চারটি ছায়াছবিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন; এর মধ্যে ছিল বম্বে টকিজ এর মহল (১৯৪৯), দাইরা (১৯৫৩), পাকিজাহ, ১৯৫৮ সালে মুক্তির কথা থাকলেও কিন্তু ১৯৭২ সালে আগে পর্দার সম্মুখীন করা হয়নি। এছাড়াও তিনি চিত্রনাট্য, গান লেখা এবং প্রযোজনা করেন। রাজিয়া সুলতান (১৯৮৩) হল তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র। যদিও তিনি, প্রধান চরিত্র হিসাবে রাজেশ খান্না এবং রাখী সঙ্গে একটি চলচ্চিত্র মাজনুন শুরু করেন, যাহোক চলচ্চিত্রটি শেষ পর্যন্ত বেশীদুর এগুতো পারেনী।[৪]

তিনি আব্দুল রশিদ কারদার, কে আসিফ এবং সোহরাব মোদীর দ্বারা তৈরি সিনেমার জন্য স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন।[২] তিনি পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের বিখ্যাত চলচ্চিত্র মুঘল ই আজম এর জন্য চারটি সংলাপ লেখেন, যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন।

১৯৫৮ সালে তিনি তার ব্যানারে মহল ফিল্মস জন্য কামাল স্টুডিওস শুরু করেন, যদিও এটি তিন বছর পরে বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে তিনি নাটরাজ স্টুডিওস নামে পরিবর্তন করেন।[৫]

কামাল আমরোহী স্টুডিও সম্পাদনা

কামাল আমরোহী স্টুডিও (কামালিস্তান স্টুডিওস) ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ একর জায়গা জুড়ে।[৬] এবং তারপরে মোকদ্দমা অব্যাহত রাখেন।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আমরোহী তিনবার বিয়ে করেন: তার প্রথম স্ত্রীর ছিলেন বানো। তিনি হাঁপানি রোগে মারা যান। তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেহমোদী ছিলেন। তার তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন মিনা কুমারী। তারা ১৯৫২ সালে প্রেম এবং বিয়ে করেন। বিবাহ ১৯৬৪ সালে শেষ হয়। মিনা ৩১শে মার্চ ১৯৭২ সালে মারা যান এবং আমরোহী মুম্বাই-এ ১১ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ মারা যান।[৮]

চলচ্চিত্রের তালিকা সম্পাদনা

  • জেইলর (১৯৩৮) - গল্প
  • চালিয়া (১৯৩৮) - সংলাপ
  • পাকিজা

সাউন্ডট্র্যাক সম্পাদনা

১৯৩৮ সালে যেমন সাচ এ লং জার্নি (লেখক: "থারে রাহিও")

পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Century of Films, Guardian Unlimited, Derek Malcolm, Thursday 5 August 1999.
  2. Writer, Poet and Director Profile at webindia123.
  3. Mahal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে Review at upperstall.
  4. Sidharth Bhatia (মে ৪, ২০১৩)। "Kamal Amrohi Producer Kamal Amrohi was the master of old-world elegance and and heartache"। Mint। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০১৩ 
  5. I began my career at Natraj: Javed Akhtar[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Hindustan Times, 16 March 2007.
  6. "Buildings in place of Kamalistan Studios: buyer from city"। অক্টো ২২, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০১৩ 
  7. "Leisure: Checking in"। Pune Mirror। এপ্রিল ১৮, ২০১৩। ২ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০১৩ 
  8. YouTube ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মে ২০০৮ তারিখে Kamaal Amrohi's death.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা