নবরত্ন
নবরত্ন (সংস্কৃত শব্দ নব-রত্ন- বা "নয় রত্ন") অথবা নবরতন পরিভাষাটি ভারতের বিভিন্ন সম্রাটের দরবারের নয়জন অসামান্য জ্ঞানী মনীষীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। সর্বাধিক পরিচিত নবরত্ন এর মধ্যে রয়েছে কিংবদন্তী সম্রাট বিক্রমাদিত্য, মুঘল সম্রাট আকবর এবং সামন্তের রাজ্যপ্রধান রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিচার সভার সদস্য।
সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নবরত্নসম্পাদনা
সম্রাট বিক্রমাদিত্যের রাজসভায় নয়জন মনীষীকে সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন হিসাবে বিশেষায়িত করা হয়। বিক্রমাদিত্য ছিলেন উজ্জয়িনীর শাসক, তার রাজদরবারের নবরত্নগণ হলেনঃ
সম্রাট আকবরের নবরত্নসম্পাদনা
তৃতীয় মোঘল সম্রাট আকবরের রাজসভায় ছিলেন নয় অসামান্য জ্ঞানী মনীষী, স্ব-স্ব ক্ষেত্রে এরা ছিলেন শ্রেষ্ঠ ও অতুলনীয়। তারা ছিলেনঃ
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নবরত্নসম্পাদনা
মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০-১৭৮৩) নদীয়ার রাজা এবং কৃষ্ণনগর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভবানন্দ মজুমদারের বংশধর। কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন কূটকৌশলী ব্যক্তি।[নোট ১] তার রাজদরবারের নবরত্নগণ হলেনঃ
- পুরাণবিশারদ পণ্ডিত গদাধর তর্কালঙ্কার,
- সংস্কৃতজ্ঞ কালিদাস সিদ্ধান্ত ও কন্দর্প সিদ্ধান্ত,
- রাজজ্যোতিষী অনুকূল বাচস্পতি,
- রাজবৈদ্য আয়ুর্বেদাচার্য গোবিন্দরাম,
- বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার,
- কৃষ্ণানন্দ বাচস্পতি,
- হরিরাম তর্কসিদ্ধান্তর
- সভাকবি ভারতচন্দ্র
- বিদূষক- গোপাল ভাঁড় [৩]
টীকাসম্পাদনা
- ↑ তাঁর শাসনকালে বাংলায় ইংরেজ শাসন কায়েম হয় এবং মুসলমান রাজত্বের অবসান ঘটে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সার্থে তিনি ইংরেজদের সঙ্গে মিত্রতা করেন এবং ক্লাইভের পক্ষ নিয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন ত্বরান্বিত করেন। ইংরেজদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নবাব মীর কাশিম তাঁকে বন্দি করে মৃত্যুদন্ড দিলেও ইংরেজদের সহায়তায় তিনি মুক্তিলাভ করেন। ইংরেজদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের পুরস্কারস্বরূপ তিনি ইংরেজ কর্তৃক মহারাজা উপাধিতে ভূষিত হন একইসাথে ক্লাইভের নিকট থেকে উপঢৌকন হিসেবে পান পাঁচটি কামান।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ M. Srinivasachariar (1974). History of Classical Sanskrit Literature. Motilal Banarsidass. pp. 94–111. আইএসবিএন ৯৭৮৮১২০৮০২৮৪১
- ↑ "আকবরনামা - বাংলাপিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১০।
- ↑ "মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় - বাংলাপিডিয়া"। ২০১৫-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১০।