তিরুতণি
তিরুতণি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভেলুর জেলার একটি আবাসিক শহর ও তিরুতণি তালুকের সদর। শহরটিতে রয়েছে দেবসেনাপতি কার্তিকের মুরুগারূপে খ্যাত ছয়টি মন্দিরের একটি, তথা তিরুতণি মুরুগান মন্দির। এই ছয়টি মন্দির একত্রে মুরুগা ষণ্মন্দির বা অরুপটৈ বীড়ুগল নামে পরিচিত।
তিরুতণি திருத்தணி | |
---|---|
শহর | |
ভারত তথা তামিলনাড়ুতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৩°১১′ উত্তর ৭৯°৩৮′ পূর্ব / ১৩.১৮° উত্তর ৭৯.৬৩° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | তিরুভেলুর |
সরকার | |
• ধরন | দ্বিতীয় মানের পৌরসভা |
• শাসক | তিরুতণি পৌরসভা |
উচ্চতা | ৭৬ মিটার (২৪৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৪,৭৮১ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬৩১২০৯ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-20 (টিএন-২০) |
ওয়েবসাইট | www |
ভূগোল
সম্পাদনাতিরুতণির স্থানাঙ্ক ১৩°১১′ উত্তর ৭৯°৩৮′ পূর্ব / ১৩.১৮° উত্তর ৭৯.৬৩° পূর্বঅবস্থানে।[১] তিরুতণির গড় উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৬ মিটার (২৪৯ ফু) উঁচুতে।
ইতিহাস
সম্পাদনাতিরুতণি নামটি পূর্ণ তামিল শব্দ৷ ১লা নভেম্বর ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে অন্ধ্র রাজ্য গঠন হওয়ার পর ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটি ছিলো নবগঠিত অন্ধ্র রাজ্যের চিত্তুর জেলার একটি শহর। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ১লা এপ্রিল তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মাদ্রাজ সীমান্ত পরিবর্তন অধিনিয়ম, ১৯৫৯ লাগু হলে ভাষার ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুতণি ও রামকৃষ্ণরাজপেট্টাই বিধানসভা কেন্দ্র দুটি তৎকালীন মাদ্রাজ রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ডা.সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মস্থান।[২]
পরিবহন
সম্পাদনাতিরুতণি আশে পাশের গ্রাম ও শহরগুলির সাথে পরিবহন মাধ্যমে ভালোভাবে গম্য৷ বাস ডিপোর ৭৯ টি বাসের মধ্যে ৪২ টি গ্রামীণ এলাকায় পরিবহন পরিচালনা করে৷ কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের সময়ে বাসের সংখ্যা চাহিদা অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হয়৷ তামিল নাড়ু রাজ্য সরকার পরিবহন দপ্তর নিয়ন্ত্রিত বাসগুলি তিরুতণির সাথে চেন্নাই, সালেম, বেঙ্গালুরু, তিরুভেলুর, ভেলোর, আরক্কোণম, চিত্তুর, চেঙ্গলপট্টু, কাঞ্চীপুরম, তিরুবন্নামালাই, পোদট্টুরপেট, পল্লীপট্টু এবং তিরুপতিকে সড়কপথে যুক্ত করেছে৷[৩]
জনতত্ত্ব
সম্পাদনা২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে তিরুতণি লোকালয়ের জনসংখ্যা ছিল ৪৪,৭৮১ জন, যেখানে প্রতি হাজার পুরুষে ১,০০৩ জন নারী বাস করতেন।[৫] মোট শিশু সংখ্যা ৪,৬৫৬ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ২,৪৪১ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ২,২১৫ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি শতাংশ যথাক্রমে ১২.৪২ ও ২.৪০। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৮৪.০৬ শতাংশ যা জাতীয় সাক্ষরতার হারের তুলনায় বেশি।[৫] শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ১১,১২২ টি। মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ১৬,৪৫১ জন, যার মধ্যে কৃষক ৪৬২ জন, মূল কৃষিজীবী ৭১৫ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৫৫০ জন, অন্যান্য শ্রমজীবী ১২,৬৪৮ জন। মোট প্রান্তিক শ্রমজীবী সংখ্যা ২,০৭৬ জন, যার মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ৪৪ জন, প্রান্তিক কৃষিজীবী ১৮০ জন, প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ২০২ জন, অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী ১,৬৫০ জন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Tiruttani, India Page"। Falling Rain Genomics, Inc। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "THE ANDHRA PRADESH AND MADRAS (ALTERATION OF BOUNDARIES) ACT, 1959"। India Legislative Department। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Tamil Nadu State Transport Corporation (Villupuram) Ltd., Tiruvallur Region"। Tiruvallur District Website। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Population By Religious Community - Tamil Nadu" (XLS)। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ "Census Info 2011 Final population totals"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Census Info 2011 Final population totals - Tiruttani"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।