ডেভিড লরেন্স

ইংরেজ ক্রিকেটার

ডেভিড ভ্যালেন্টাইন লরেন্স (ইংরেজি: David Lawrence; জন্ম: ২৮ জানুয়ারি, ১৯৬৪) গ্লুচেস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ডেভিড লরেন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডেভিড ভ্যালেন্টাইন লরেন্স
জন্ম (1964-01-28) ২৮ জানুয়ারি ১৯৬৪ (বয়স ৬০)
গ্লুচেস্টার, ইংল্যান্ড
ডাকনামসিড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৩৪)
২৫ আগস্ট ১৯৮৮ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ ১১৫)
২৭ মে ১৯৯১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ৬০
ব্যাটিং গড় ১০.০০
১০০/৫০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৪
বল করেছে ১,০৮৯ ৬৬
উইকেট ১৮
বোলিং গড় ৩৭.৫৫ ১৬.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/১০৬ ৪/৬৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘সিড’ ডাকনামে পরিচিত ডেভিড লরেন্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

জ্যামাইকীয় পরিবারের সন্তান হিসেবে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন ডেভিড লরেন্স। জন্মকালীন ডেভ ভ্যালেন্টাইন লরেন্স নামে নিবন্ধিত হন।

১৭ বছর বয়সে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম খেলেন। কোর্টনি ওয়ালশের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি। তার দূর্দান্ত বোলিং ভঙ্গীমায় বেশ পেসমিশ্রিত ছিল। তবে, সময়ে সময়ে নিশানাবিহীন অবস্থায়ও তাকে বোলিং করতে দেখা যায়।[২]

১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ডেভিড লরেন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বলে বেশ পেস আনতে সক্ষম হলেও নিখুঁততা তেমন ছিল না। তবে, ১৯৯১ সালে বলের উপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে ফিরে আসার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

ফাস্ট বোলার হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। মনপ্রাণ দিয়ে ও শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু, মারাত্মক হাঁটুর আঘাতের কবলে পড়ে তার খেলোয়াড়ী জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে তোলে।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড লরেন্স। ২৫ আগস্ট, ১৯৮৮ তারিখে লর্ডসে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও, ২৭ মে, ১৯৯১ তারিখে লর্ডসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার।

১৯৮৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে অংশ নেন। তবে, ১৯৯১ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে পাঁচ উইকেট পান। দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন ও ইংল্যান্ড সিরিজে সমতা আনে।

সবেমাত্র ইংল্যান্ড দলের প্রধান বোলিং আক্রমণকারীর অবতীর্ণ হবার সময়ে হাঁটুর আঘাতে আক্রান্ত হন। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলাকালীন এ আঘাতের কবলে পড়েন। বোলিংকালীন তিনি মাটিতে পড়ে যান ও তার আর্তচিৎকার বাউন্ডারিতে অবস্থানরত দর্শকদের মাঝে পৌঁছে। ‘পিস্তলের গুলির’ ন্যায় এ চিৎকারটি ছিল।[২] মাঠে গড়াগড়ি খান তিনি ও পরবর্তীতে স্ট্রেচারে কারে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। দলীয় সঙ্গী ইয়ান বোথাম তখন তার সাথে ছিলেন। ওয়েলিংটনের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলা টেস্টের শেষদিনে এ ঘটনা ঘটে।

অবসর সম্পাদনা

তেরো মাস বিশ্রামের পর মাঠে ফিরে আসেন। দুইবার কাউন্টি দলের পক্ষে খেলার চেষ্টা চালান। তবে, জিমন্যাসিয়ামে পুনরায় হাঁটুর আঘাতের ফলে চলে যেতে বাধ্য হন।[১] এরপর আর তাকে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে ২৯ বছর বয়সে খেলার জগৎ থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর, তিনি শরীর গঠনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 109আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Cricinfo.
  3. Wilson, Dean (১১ নভেম্বর ২০১৪)। "David 'Syd' Lawrence is a champion in a new sport after horror cricket injury"mirror 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা