জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া
জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া, কাজির বাজার, সিলেট (সংক্ষেপে কাজির বাজার মাদ্রাসা) সিলেটের কাজির বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিকে সামনে রেখে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে ১৯৭৪ সালের ৫ জুন সিলেটের সুরমা নদীর তীর ঘেষে ছোট্ট ডালিম গাছের নিচে এই মাদ্রাসার গোড়াপত্তন করেন বিখ্যাত আলেম হাবিবুর রহমান। শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত বিস্তারের কারণে ছাত্র সংকুলান না হওয়ায় ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সিলেট পৌরসভা কর্তৃক দানকৃত প্রায় এক একর জমির উপর বর্তমান মাদ্রাসাটি স্থানান্তর করা হয়।
ধরন | কওমি মাদ্রাসা |
---|---|
স্থাপিত | ৫ জুন ১৯৭৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | হাবিবুর রহমান |
মূল প্রতিষ্ঠান | দারুল উলুম দেওবন্দ |
অধিভুক্তি | আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | ইসলাম |
আচার্য | সামীউর রহমান মূসা |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫৪ (২০১৬) |
শিক্ষার্থী | ১২৫০ (২০১৬) |
অবস্থান | ভি.আই.পি রোড, কাজির বাজার, সিলেট |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
সংক্ষিপ্ত নাম | কাজির বাজার মাদ্রাসা |
ওয়েবসাইট | jameamadania |
বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠাসহ নানারকম সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে মাদ্রাসাটি, যা কওমি মাদ্রাসায় পূর্বে ছিল না। এই কারণে প্রথম দিকে সমালোচনা হলেও পরবর্তীতে তা বিভিন্ন মাদ্রাসায় অনুসরণ করা হয়। তসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলন সহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে মাদ্রাসাটির নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৮২ সালে কানাইঘাটের বিখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাককে শায়খুল হাদিস হিসেবে নিয়ােগ দেওয়ার পর এখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) চালু হয়। ২০১৬ সালে এই মাদ্রাসার শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৫৪ জন, ছাত্র সংখ্যা ১২৫০ এবং কর্মচারী ৩৫।[১][২]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ গোলাম ছরোয়ার, মুহাম্মদ (নভেম্বর ২০১৩)। "বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৩১৮। ২৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২১।
- ↑ তাজুল, ইসলাম (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "ঐতিহ্যের স্মারক জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার, সিলেট"। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন (কমাশিসা)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৭।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |