জামিয়া ইসলামিয়া মোমেনশাহী

ময়মনসিংহ জেলার একটি কওমি মাদ্রাসা

আল জামিয়া আল ইসলামিয়া ময়মনসিংহ (জামিয়া ইসলামিয়া মোমেনশাহী নামেও পরিচিত) ময়মনসিংহ জেলার চরপাড়ায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৪২ সালে মনজুরুল হক ও নেওয়াজ আলীর নেতৃত্বে শহর ও শহরতলীর আলেম ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসার জমি দান করেন নেওয়াজ আলীর সহধর্মিণী রহমজান খাতুন। শুরুতে মাদ্রাসার নাম ছিল ‘দারুল উলুম’। ১৯৭৬ সালে আশরাফ আলী থানভীর খলিফা আতহার আলী মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব গ্রহণের পর মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নামটি রাখা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মাদ্রাসার অগ্রগতিতে ফয়জুর রহমান, মিয়া হোসাইন সহ প্রমুখ আলেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক আনওয়ারুল হক।

জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহ
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
প্রাক্তন নাম
দারুল উলুম মাদ্রাসা
ধরনকওমি মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯৪২ ইং
প্রতিষ্ঠাতামনজুরুল হক[১][২]
মূল প্রতিষ্ঠান
দারুল উলুম দেওবন্দ
অধিভুক্তিআল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
আচার্যআনওয়ারুল হক
অবস্থান
চরপাড়া, ময়মনসিংহ
শিক্ষাঙ্গনশহর

ইতিহাস সম্পাদনা

ডাক্তার নেওয়াজ আলীর সহধর্মিণী রহমজান খাতুনের দানকৃত জমিতে ১৯৪২ সালে মঞ্জুরুল হক দারুল উলুম নামে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এসময় তার সহযোগী ছিলেন আশরাফ আলী। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। এটি ময়মনসিংহ অঞ্চলে কওমি ধারার প্রথমদিকের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা হওয়ায় অল্পসময়েই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। ১৯৬৪ সালে এখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) চালু করা হয়। এ সময় মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন ছিলেন নূর উদ্দিন। তিনি ২৫ বছর এ দায়িত্ব পালন করেছেন। দাওরায়ে হাদিস চালুর পর ফয়জুর রহমান ও জালালুদ্দিন কুরাইশি এখানে কিছুদিন নিয়মিত হাদিসের পাঠদান করেন। ১৯৭৬ সালে আতহার আলী মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব গ্রহণের পর মাদ্রাসায় আমূল পরিবর্তন আসে। তিনি মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন সহ বর্তমান সাততলা ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন। মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং পাঠদান পদ্ধতিতেও ব্যপক পরিবর্তন নিয়ে আসেন। ৬ মাস পর তিনি মৃত্যুবরণ করলে এখানেই তাকে দাফন করা হয়। তখন মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন মিয়া হোসাইন। এরপর মহাপরিচালকরা হলেন যথাক্রমে: মুজিবুর রহমান, শরফুদ্দিন, আবদুল গণি, ফয়সাল আহমদ (ভারপ্রাপ্ত), শওকত হোসাইন (ভারপ্রাপ্ত) এবং বর্তমানে আনওয়ারুল হক।

তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, আযহার আলী আনোয়ার শাহ সহ প্রমুখ আলেম এখানে শিক্ষকতা করেছেন।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. গোলাম ছরোয়ার, মুহাম্মদ (নভেম্বর ২০১৩)। "বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৩০৮। 
  2. আবদুল করিম, মোহাম্মদ। ময়মনসিংহ জেলায় ইসলাম। বাংলাদেশ: ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পৃষ্ঠা ১৮১। 
  3. সাইয়েদ, আহসান (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদীছ চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। সেগুনবাগিচা, ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১০৬। আইএসবিএন 9842000184