জম্বুদ্বীপ (সংস্কৃত: जम्बुद्वीप; পালি: Jambudīpa) একটি নাম যা প্রায়শই প্রাচীন ভারতীয় পৌরাণিক সাহিত্যে বৃহত্তর ভারতের অঞ্চল বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। শব্দটি দ্বীপ ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যার অর্থ প্রাচীন ভারতীয় বিশ্বজগতের "দ্বীপ" বা "মহাদেশ"। জম্বুদ্বীপ শব্দটি অশোক খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে তাঁর রাজ্যের উল্লেখে ব্যবহার করেছিলেন। একই পরিভাষা পরবর্তী গ্রন্থে ব্যবহার করা হয়েছিল, উদাহরণস্বরূপ দশম শতাব্দীর কন্নড় শিলালিপি এই অঞ্চলটিকে, সম্ভবত প্রাচীন ভারতকে জম্বুদ্বীপ হিসাবে বর্ণনা করেছে। [৩]

২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক দ্বারা প্রাকৃত (ব্রাহ্মী লিপিতে) খোদিত জম্বুদ্বীপ(সংস্কৃত "जम्वुद्वीप) শব্দ। [১][২]

জম্বুদ্বীপ শব্দটি আক্ষরিক অর্থে "জম্বু বৃক্ষের দ্বীপ" কে বোঝায় যেখানে জম্বু বৃক্ষ জন্মে থাকে।

পৌরাণিক বিবরণ সম্পাদনা

 
জম্বুদ্বীপের মানচিত্র

পৌরাণিক ভূ-গোলের বিবরণ অনুসারে, পৃথিবী সাতটি কেন্দ্রীভূত দ্বীপে বিভক্ত (সপ্ত-দ্বীপা বসুমতি), সাতটি বৃত্তকার মহাসাগর দ্বারা বিভক্ত, প্রত্যেকটি মহাসাগর পূর্ববর্তী মহাসাগরের দ্বিগুণ। পুরাণে সাতটি দ্বীপকে জম্বুদ্বীপ, প্লক্ষদ্বীপ, শাল্মলীদ্বীপ, কুশদ্বীপ, ক্রৌঞ্চদ্বীপ, শাকদ্বীপ এবং পুষ্করদ্বীপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৪][৫] সাতটি মধ্যবর্তী মহাসাগর যথাক্রমে লবণ জল, আখের রস,সুরা, ঘি, দই, দুধ ও মিঠা পানির সমুদ্র দিয়ে গঠিত।[৬][৭] লোকালোক নামক পর্বতশ্রেণী (আলো নেই বা আলো রয়েছে এমন স্থান) এই সর্বশেষ সমুদ্র জুড়ে প্রসারিত। এটি অন্ধকার শূন্যতা থেকে পরিচিত বিশ্বকে চিত্রিত করে।[৮]

মহাদেশীয় জম্বুদ্বীপ (গোলাপ বৃক্ষের দ্বীপ) সুদর্শনদ্বীপ নামেও পরিচিত।এটি উপরোক্ত ক্রমবিন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে আন্তঃকেন্দ্রিক দ্বীপ। বিশ্বাস আছে যে, এই দ্বীপটি সম্বভ নামে পরিচিত এই দ্বীপে বসবাসকারী লোকদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এর নাম জম্বু বৃক্ষ(ভারতীয় কালোজাম ফলের অন্য নাম) থেকে এসেছে বলে জানা যায়। জম্বু গাছের ফলগুলিকে বিষ্ণু পুরাণে (অধ্যায়,২) হাতির মতো বৃহৎ বলা হয়েছে,এবং যখন ফলগুলো গলে গিয়ে পর্বতচূড়ায় পতিত হয়, তখন তাদের প্রকাশিত রস থেকে রসের নদী তৈরি হয়। এইভাবে গঠিত নদীটিকে জম্বুনদী বলা হয় এবং এটি জম্বুদ্বীপের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।জম্বুদ্বীপের বাসিন্দারা এর রস পান করে। অন্তর্বর্তী মহাদেশ জম্বুদ্বীপ নয়টি বর্ষ (অঞ্চল) এবং আটটি উল্লেখযোগ্য পর্বত দ্বারা গঠিত।

মার্কণ্ডেয় পুরাণ জম্বুদ্বীপকে এর দক্ষিণ ও উত্তরে অবনমিত এবং মাঝখানে উন্নত ও প্রশস্ত হিসাবে বর্ণনা করেছে। উন্নত স্থানটির ইলাবৃত বা মেরুবর্ষ। ইলাবৃতের কেন্দ্রে রয়েছে পর্বতের রাজা স্বর্ণের পর্বত মেরু। পর্বতের চূড়ায়, ব্রহ্মার বিশাল শহর রয়েছে, যা ব্রহ্মপুরী নামে পরিচিত। ব্রহ্মপুরীর চারপাশে ৮টি শহর রয়েছে - একটি দেবরাজ ইন্দ্রের, সাতটি অন্য দেবতার

মার্কণ্ডেয় পুরাণ ও ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ মতে, জম্বুদ্বীপেন চারটি বিস্তীর্ণ বর্ষ রয়েছে যা একটি পদ্মের চারটি পাপড়ির মতো আকৃতিবিশিষ্ট, মেরু পর্বতটি একটি পদ্মকর্ণিকার মতো জম্বুদ্বীপের কেন্দ্রে অবস্থিত। ব্রহ্মপুরী শহরটি আকাশ গঙ্গা নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। আকাশ গঙ্গা ভগবান বিষ্ণুর চরণ থেকে প্রকাশিত হয় এবং চন্দ্রলোক প্লাবিত করার পর "আকাশের মধ্য দিয়ে" পতিত হয় ও ব্রহ্মপুরীকে পরিবেষ্টিত করার পর "চারটি শক্তিশালী স্রোতে বিভক্ত হয়ে চারটি বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।গঙ্গা মেরু পর্বত থেকে পতিত হয়ে উত্তর,দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে জম্বুদ্বীপের বিস্তীর্ণ ভূমিতে ভিন্ন ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়। পরে গঙ্গা নদী থেকে বিভিন্ন শাখা নদী উৎপন্ন হয়। সুমেরু পর্বত থেকে গঙ্গা দক্ষিণে পতিত হয়ে অলকানন্দা নামে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে।[৯]

পুরাণে দ্বীপ বলতে বহু বর্ষসমন্বিত স্থানকে বোঝায় (জম্বু-দ্বীপের ৯টি বর্ষ, অন্যান্য দ্বীপের ৭টি বর্ষ), প্রতিটি বর্ষে একটি বর্ষ পর্বত, একটি নদীর বর্ণনা বেশ কয়েকটি পুরাণে দেওয়া আছে।[১০] [১১] তবে অন্যান্য পুরাণে বর্ষ,পর্বত,নদীগুলোর নামের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পর্যায় রয়েছে। সবচেয়ে বিস্তারিত ভূ-মণ্ডলের বর্ণনা বায়ু পুরাণে বর্ণিত হয়েছে।[১২]

বৌদ্ধধর্মে জম্বুদ্বীপ সম্পাদনা

বৌদ্ধ সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী, ভূ-মণ্ডল (বৃত্তাকার পৃথিবী) তিনটি পৃথক স্তরে বিভক্ত: কামধাতু (আকাঙ্ক্ষার রাজ্য), রূপধাতু (রূপ রাজ্য), এবং অরূপধাতু (নিরাকার রাজ্য)। কামধাতুতে সুমেরু পর্বত অবস্থিত যা চারটি দ্বীপ-মহাদেশ দ্বারা বেষ্টিত। "দক্ষিণে অবস্থিত দ্বীপটির নাম জম্বুদ্বীপ"। সুমেরুর চারপাশে বৌদ্ধ বিবরণের অন্তর্ভুক্ত অন্য তিনটি মহাদেশ জম্বুদ্বীপবাসী মানুষের কাছে প্রবেশযোগ্য নয়। জম্বুদ্বীপ একটি ত্রিভুজের মতো আকৃতিবিশিষ্ট স্থান, যার একটি তীক্ষ্ণ বিন্দু দক্ষিণ দিকে মুখ করে রয়েছে কিছুটা ভারতীয় উপমহাদেশের মতো। এর কেন্দ্রে একটি বিশাল জম্বু গাছ রয়েছে যেখান থেকে মহাদেশটির "জম্বু দ্বীপ" নামকরণ হয়েছে।

জম্বুদ্বীপ চারটি মহাদ্বীপের মধ্যে একটি মহান মহাদেশ যা চক্রবালের অন্তর্ভুক্ত এবং একজন চক্রবর্তী দ্বারা শাসিত হয়।চক্রবালগুলো সুমেরু পর্বতের চারিদিকে দলবদ্ধভাবে রয়েছে। জম্বুদ্বীপে চুরাশি হাজার চূড়া বিশিষ্ট রয়েছে হিমবা যাতে হ্রদ, পর্বতশ্রেণী ইত্যাদি বিদ্যমান।

এই মহাদেশটির নাম জম্বু-গাছ (বা নাগ) থেকে এসেছে যা জম্বুদ্বীপে জন্মে থাকে, এর কাণ্ড পনেরো যোজন পরিধিপরিমিত, এর বিস্তৃত শাখাগুলি দৈর্ঘ্যে পঞ্চাশ যোজন, এর ছায়া একশো যোজন ব্যাপ্ত ও উচ্চতা একশো যোজন (বিন, ১.৩০; স.ন.অ.২.৪৪৩; ভ.স ম.১.২০৫ফ; সূ.পি.১১৯, ইত্যাদি) এই গাছের নামানুসারে, জম্বুদ্বীপ জম্বুসন্দ নামেও পরিচিত (সূ.নি.ভ.স.৫৫২; স.ন.অ.১.১২১)। জম্বুদ্বীপের ব্যাপ্তি দশ হাজার যোজন ; এই দশ হাজারের মধ্যে চার হাজার যোজন পরিমাণ স্থান সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত, তিন হাজার যোজন হিমালয় পর্বত দ্বারা আবৃত,অবশিষ্ট তিন হাজার যোজন স্থান জুড়ে মানুষ বাস করে (স.ন.অ.২.৪৩৭; উ.দ.অ.৩০০)।

জম্বুদ্বীপ হল এমন একটি অঞ্চল যেখানে মানুষ বাস করে। এটিই একমাত্র স্থান যেখানে একজন জীব মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে আলোকিত করতে পারে। এই জম্বুদ্বীপে যে কেউ ধর্মের পথ গ্রহণ করতে পারে এবং চতুরার্য সত্য, আদর্শ অষ্টমুখী বা অষ্টশীল ধর্মপথ অনুধাবন করেজন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হওয়ার উপলব্ধি করতে পারে। আরেকটি উল্লেখ বৌদ্ধ গ্রন্থ মহাবংশ থেকে পাওয়া যায়, যেখানে সম্রাট অশোকের পুত্র মহেন্দ্র নিজেকে শ্রীলঙ্কার রাজা দেবানাম্পিয়তিস্যকে জম্বুদ্বীপ থেকে এসেছেন বলে পরিচয় দেন যা বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশকে নির্দেশ করে। মহাযানের ক্ষিতিগর্ভ সূত্রে এইপ্রকার বর্ণনা আছে।

জৈনধর্মে জম্বুদ্বীপ সম্পাদনা

 
জৈন সৃষ্টিতত্ত্ব অনুসারে জম্বুদ্বীপের মানচিত্র

জৈন সৃষ্টিতত্ত্ব অনুসারে, জম্বুদ্বীপ মধ্যলোকের কেন্দ্রে বা মহাবিশ্বের মধ্যভাগে অবস্থিত, যেখানে মানুষ বাস করে। জম্বুদ্বীপপ্রজ্ঞাপ্তি বা জাম গাছের দ্বীপ নামক গ্রন্থে জম্বুদ্বীপের বর্ণনা ও ঋষভ ও রাজা [[ভরত (দ্বর্থ্যতা নিরসন)|ভরত) জীবনী রয়েছে। ত্রিলোকসার (তিন জগতের সারবস্তু), ত্রিলোকপ্রজ্ঞাপ্তি (তিন জগত ভিত্তিক গ্রন্থ), ত্রিলোকদীপিকা (তিন জগতের দীপান্বয় বা ব্যাখ্যা) ক্ষেত্রসমাস (জৈন ভূগোলের সংক্ষিপ্তসার) গ্রন্থে জম্বুদ্বীপ এবং জৈন সম্প্রদায়ের বিবরণ প্রদান করা হয়েছে। মধ্যলোক সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত অনেক মহাদেশ-দ্বীপ নিয়ে গঠিত। প্রথম আটটি দ্বীপের নাম:

মহাদেশ/ দ্বীপ সমুদ্র
জম্বুদ্বীপ লবণোদক ( লবণ সমুদ্র)
ধাতকি খণ্ড কালোদক (কালো সমুদ্র)
পুষ্করদ্বীপ পুষ্করোদক (পদ্ম সমুদ্র)
বরুণদ্বীপ বরুণোদক (বরুণ সমুদ্র)
ক্ষীরবরদ্বীপ ক্ষীরোদ (দুধের সমুদ্র)
ঘৃতদ্বীপ ঘৃতোদক (ঘি সমুদ্র)
ইক্ষুবরদ্বীর ইক্ষুবরোদক (আখের রসের সমুদ্র)
নন্দীশ্বরদ্বীপ নন্দীশ্বরোদক

বৃত্তাকার জম্বুদ্বীপ দ্বারা বেষ্টিত মেরু পর্বত বিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত, যার ব্যাস ১,০০,০০ যোজন।[১৩]

জম্বুদ্বীপ মহাদেশে ৬টি পর্বত রয়েছে, যা এই মহাদেশকে ৯টি অঞ্চলে (ক্ষেত্র) বিভক্ত করেছে। এই অঞ্চলগুলির নাম হল:

  1. ভারতক্ষেত্র
  2. মহাবিদেহ ক্ষেত্র
  3. ঐরাবত ক্ষেত্র
  4. রম্যকবস
  5. হরিবস
  6. হৈরণ্যবত ক্ষেত্র
  7. হৈমবত ক্ষেত্র
  8. দেবকুরু
  9. উত্তরকুরু

স্থাপত্য সম্পাদনা

হস্তিনাপুরের জম্বুদ্বীপ জৈন তীর্থ হচ্ছে জ্ঞানমতী মাতাজীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে জম্বুদ্বীপের একটি স্থাপত্য।

ভূ-রাজনৈতিক অর্থে জম্বুদ্বীপ সম্পাদনা

জম্বুদ্বীপ শব্দটি অশোক সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে তাঁর রাজ্যের বর্ণনা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। একই পরিভাষাটি পরবর্তী শিলালিপিতে ব্যবহার করা হয়েছিল, উদাহরণস্বরূপ, খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর মহীশূরিয়ান শিলালিপি সম্ভবত ভারতকে, জম্বুদ্বীপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।[১৪]

কুন্তল রাজ্য (যার মধ্যে মহীশূরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং বোম্বে প্রেসিডেন্সির দক্ষিণ অংশ ছিল) নব-নন্দ, গুপ্ত, মৌর্য রাজদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল; তারপর রট্টগণ এটি শাসন করেন: তারপরে চালুক্যরা; তারপর কালচুর্য রাজবংশ; এবং তাদের পরে (হয়সল)বল্লালগণ এটি শাসন করেন। আরেকটি কুবাতুরে, স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, চন্দ্র গুপ্ত জম্বু দ্বীপের ভারত-ক্ষেত্রের দক্ষিণে নাগ-খণ্ড শাসন করতেন: অনেকগুলি শিলালিপির সত্তরটির মধ্যে প্রাপ্ত নাগর-খণ্ডে বন্দনিক্কে (শিমোগায় বন্দলিকে) প্রধান শহর বলে মনে হয়। নীচে প্রদত্ত একটি রেকর্ড অনুযায়ী, কদম্ব রাজার কন্যাদের গুপ্তদের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়েছিল।

— ১৮৮৬ থেকে ১৯০৩ পর্যন্ত মহীশূরের বার্ষিক প্রতিবেদন

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Inscriptions of Asoka. New Edition by E. Hultzsch (সংস্কৃত ভাষায়)। ১৯২৫। পৃষ্ঠা 169–171। 
  2. Lahiri, Nayanjot (২০১৫)। Ashoka in Ancient India (ইংরেজি ভাষায়)। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 37। আইএসবিএন 9780674057777 
  3. Annual Report Of Mysore 1886 To 1903 
  4. "Paradise Found: Appendix: Section IV. The Earth and World of the Hindus"www.sacred-texts.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৪ 
  5. Mahabharata 6.604
  6. Agni Purana 108.1-2.
  7. Matsya Purana 121-122.
  8. Dallapiccola, A. L. (নভেম্বর ২০০৩)। Hindu Myths (ইংরেজি ভাষায়)। University of Texas Press। আইএসবিএন 9780292702332 
  9. Geographical Data in the Early Puranas. A Critical Study, Dr M. R. Singh: University of Rajasthan/Jaipur. Punthi Pustak, Calcutta. 1972. p. 5
  10. "Astika cosmography"texts.00.gs 
  11. "alternative names in Astika cosmography"texts.00.gs 
  12. "cosmography of the Vayu Purana"texts.00.gs 
  13. Schubring, Walther (1995)Pp. 204-246
  14. Annual Report Of Mysore 1886 To 1903 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা