জ্ঞানমতী মাতাজি
জ্ঞানমতি হলেন একজন ভারতীয় জৈন আৰ্যিকা।[২] তিনি উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুরে জম্বুদ্বীপ মন্দির কমপ্লেক্সসহ বেশ কিছু জৈন মন্দির নির্মাণের জন্য পরিচিত।[৩][৪]
জ্ঞানিনী প্রমুখ আৰ্যিকা শ্রী জ্ঞানমতি মাতাজি | |
---|---|
হিন্দি: ज्ञानमति | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | কুমারী ময়না দেবীজি ২২ অক্টোবর ১৯৩৪[১] |
ধর্ম | জৈনধর্ম |
পিতামাতা |
|
সম্প্রদায় | দিগম্বর বিসপন্থী |
সামরিক সেবা | |
মর্যাদাক্রম | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
শিক্ষক | আচার্য দেশভূষণ |
দীক্ষা | ২ অক্টোবর ১৯৫২কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা) | (
ওয়েবসাইট | www |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাতিনি উত্তর প্রদেশের বড়বাঁকী জেলার তিকৈতনগরে এক জৈন পরিবারে মোহিনী দেবী এবং ছোটেলালের কাছে ২২ অক্টোবর ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম রাখা হয়েছিলো ময়না। তিনি তাঁর মায়ের বিবাহের জন্য দাদা-দাদীর দেয়া উপহার প্রাচীন জৈন ধর্মগ্রন্থ পদ্মানন্দী পঞ্চবিংশতিকার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন । ২ অক্টোবর ১৯৫২ সালে শারদ পূর্ণিমার দিনে তিনি শ্রী মহাবীরজিতে দেশভূষণ কর্তৃৃক ব্রহ্মচারিণী হিসেবে দীক্ষা নেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষা
সম্পাদনাশৈশবকাল থেকেই গ্রামার আইন্দ্র স্কুল নামে পরিচিত বিদ্যালয়ে তিনি কতন্ত্র লিপি দিয়ে সংস্কৃত শিখতে শুরু করেছিলেন। তিনি গোমৎসার, অষ্টসহস্রী, তত্ত্বার্থ বর্ণিকা (রাজভারতিক), মুলাচর, ত্রৈলোকসর, সমায়সার ইত্যাদিসহ কিছু জৈন সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও অন্বেষণ চালিয়ে যান এবং শীঘ্রই হিন্দি, সংস্কৃত, প্রাকৃত, কন্নড়, মারাঠি, গুজরাটি প্রভৃতিতে দক্ষতা অর্জন করেন। গভীরভাবে গবেষণা এবং শেখার ক্ষেত্রে তিনি প্রায়শই প্রবীণতম আচার্য, পণ্ডিত ও জৈন সন্ন্যাসীদের মধ্যে কারও সাথে পরামর্শ করতেন। [৪]
লেখক
সম্পাদনাতিনি "সহস্ত্রনাম" এর ১০০৮ মন্ত্র রচনা দিয়ে তাঁর দক্ষতা অনুশীলন করেছিলেন যা তার সক্ষমতার উন্নতি করে। [কীভাবে?] বলে তিনি ইতিহাসের প্রথম ক্ষুল্লিকা বা জৈন সাধ্বী হিসাবে বেশ কয়েকটি জৈন সাহিত্য, ধর্মগ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপি অনুবাদ ও রচনা করেছেন । [৫] ১৯৬৯ সালে বিখ্যাত ন্যায়-অষ্টসহস্রী নামক এক বিখ্যাত সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থকে হিন্দিতে অনুবাদ করে তিনি পুরো বিশ্বকে অবাক করেন [কীভাবে?] । তার পর থেকে তিনি শুভ উক্তি এবং চিন্তাভাবনা থেকে শুরু করে বই এবং খণ্ড পর্যন্ত ২৫০ টিরও বেশি প্রকাশনা লিখেছেন এবং রচনা করেন। তিনি প্রথম দুটি সহ ১৪টি বড় বই লিখেছেন এবং প্রকাশ করেছেন যেগুলো হিন্দি এবং সংস্কৃত উভয় অনুবাদেই উপলব্ধ। [৪] তিনি সুতখণ্ডগম গ্রন্থের ষোলটি গ্রন্থ আকারে সূত্রের সংস্কৃত টীকাও (ভাষ্য) রচনা করেছেন। [৬][৭] তিনিপাঁচ মেরুদের জন্য আচার নামে একটি আধুনিক গ্রন্থও রচনা করেছেন [স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]। [৮]
- ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য অবাধ বিশ্ববিদ্যালয়, ফৈজাবাদ থেকে অবৈতনিক ডি লিট ডিগ্রী লাভ করেন [৯] ।
- ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর হস্তিনাপুরে অধ্যয়নের ভিত্তিতে জৈন ধর্মের ভিত্তি উপস্থাপন ও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক উপাচার্য সম্মেলন আয়োজিত হয়। [স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] [১০]
আর্যিকা হিসাবে দীক্ষা
সম্পাদনাশান্তিসাগরের নির্দেশে ১৯৫৬ সালে রাজস্থানের মাধোরজপুরে বৈশাখ কৃষ্ণদূজে তিনি বীরসাগর কর্তৃক আর্যিকার পদমর্যাদায় উন্নীত হন। [১১]
নির্মাণ কার্যক্রম
সম্পাদনা- তিনি ১৯৭২ সালে জৈন বিশ্বজগতের আরও ভাল ধারণা পাওয়ার জন্য জম্বুদ্বীপের একটি স্মৃতিসৌধ মডেল তৈরির লক্ষ্যে দিগম্বর জৈন ইনস্টিটিউট অফ কসমোগ্রাফিক রিসার্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৮২ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়েছিল এবং এর নাম রাখা হয়েছিল জম্বুদ্বীপ জ্ঞান জ্যোতি। [১২]
- ভগবান ঋষভদেব শম্ভূসরণ শ্রীবিহারকে দিল্লির দীক্ষা তীর্থ-প্রয়াগের কেবলজ্ঞান কল্যাণক মন্দিরে ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে গোটা ভারত ভ্রমণ করানোর পরে পবিত্র করা হয়েছিল।
- ভাগলপুরের চম্পাপুরে ৩১ ফুট ভাসুপুজ্যের মূর্তিটি তাঁর নির্দেশনায় নির্মিত হয়েছিল। এটি ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০১৪ এ পবিত্র হয়েছিল।
- তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম জৈন মূর্তি মঙ্গি-টুঙ্গিতে ঋষভনাথের ১০৮ ফুট মূর্তির অনুপ্রেরণা ছিলেন । এই মূর্তিটি সর্বোচ্চ জৈন প্রতিমার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করেছে। সনদপত্রটি জ্ঞানমতি, চন্দনমতি এবং রবীন্দ্রকীর্তিকে ৬ই মার্চ ২০১৬-এ প্রদান করা হয়েছিল। [১৩] ১১-১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত পঞ্চ কল্যাণক মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hans Bakker 2011, পৃ. 182।
- ↑ Yoga in Jainism, Ed Christopher Key Chapple, Routledge, 2015, p. 246
- ↑ Asian Religions, Technology and Science, Ed. István Keul, Routledge, 2015, p. 83
- ↑ ক খ গ The History of Sacred Places in India As Reflected in Traditional Literature
- ↑ Religion and Women
- ↑ Jinaagam Saar
- ↑ Read Online Books
- ↑ Cort 2010।
- ↑ "Welcome To Dr. Ram Manohar Lohia Avadh University"।
- ↑ "tribuneindia..."।
- ↑ Historical Dictionary of Jainism
- ↑ "Jambudweep Complex"। Jain Heritage Centres - Celebrating Jain Heritage.....Globally!। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ 108-Ft Tall Jain Teerthankar Idol Enters 'Guinness Records'
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- World Sanskrit Conference (7th : 1987 : Kern Institute) (১৯৯০)। The History of sacred places in India as reflected in traditional literature : papers on pilgrimage in South Asia। E.J. Brill (USA)। আইএসবিএন 90-04-09356-7। ওসিএলসি 80814025।
- Cort, John E., 1953- (২০১০)। Framing the Jina narratives of icons and idols in Jain history। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-538502-1। ওসিএলসি 804846778।
- Balajiwale, Vaishali (২০১৬-০২-১১)। "World's tallest idol of Jain teerthankar Lord Rishabhdeva to be sanctified"। DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৬।
- Feb 17, TNN; 2016; Ist, 10:56। "CM takes aerial view of 108-ft idol"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৬।