বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচার হলো ছাত্রলীগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রদের ক্যাম্পাস ও হলে চলাচলের আদব-কায়দা শেখানোর ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি।[১][২] তবে এই সংস্কৃতির সময় অনেক সময় শিক্ষার্থী উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছে, এইজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচারকে ভয় পায়।[৩][৪] সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশীয় পত্রিকাসমূহ এই সংস্কৃতিকে ছাত্রলীগের টর্চার সেল বলে আখ্যায়িত করেছে।[৫][৬][৭] ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচারের মূলকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা আবাসিক হল। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় হল নিজেদের দখলে রাখা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দলীয় কর্মী বানানোর উদ্দেশ্যে এই গেস্টরুম কালচার তৈরি করেছে।[৮][৯] তবে ছাত্রলীগের ছাত্রনেতারা বলেছে, আমরা গেস্টরুমে সবার সাথে সাধারণ মতবিনিময় করি, এখানে কাউকে জোর করে আনা হয়না।[৯]
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচার | |
---|---|
গেস্টরুম কালচার ও ছাত্রলীগের সহিংসতা অংশ | |
স্থান | |
লক্ষ্য |
|
হামলার ধরন |
|
আহত | ১৫০০+ শিক্ষার্থী |
কারণ |
|
গেস্টরুমের প্রকৃতি
সম্পাদনাবাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা হল গেস্টরুম নির্যাতন সংস্কৃতির কেন্দ্র বানিয়েছে।[৫] এছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের গেস্টরুমের নামে টর্চার সেল রয়েছে।[১০] যদি গেস্টরুম না থাকে, তাহলে ছাত্রলীগের ব্যক্তিগত কক্ষ টর্চার সেল হিসাবে ব্যবহার করে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে গেস্টরুম বা টর্চার সেল মোটামুটি দুই বা তিন ধরণের দেখা যায়। সেটি বড় গেস্টরুম এবং ছোট গেস্টরুম।[১১] বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় গেস্টরুম ব্যবহার করা হয়, এটি সপ্তাহে এক-দুইদিন হতে পারে। আর অল্প শিক্ষার্থীদের জন্য মিনি গেস্টরুম ব্যবহার করা হয়, এটি সপ্তাহে তিন-চারদিন হতে পারে। এটি সাধারণত রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা বা অধিক সময় পর্যন্ত চলতে পারে।[৯] প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, পর্যায়ক্রমে সিনিয়ররা বসার অনুমতি পান। শিক্ষার্থীদের কথা মোতাবেক গেস্টরুম কালচারের দুইটা পর্ব থাকে। প্রথম পর্বে এক ব্যাচ বা দুই ব্যাচ সিনিয়ররা জুনিয়রদের নানান আদব-কায়দা, ম্যানার, চলাফেরার নিয়মনীতি প্রভৃতি ধমের শুরে শেখান। দ্বিতীয় পর্বে সবচেয়ে সিনিয়রা সকল জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন।[১২]
নির্যাতনের ব্যপকতা
সম্পাদনাতদন্ত মোতাবেক ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ছাত্রলীগের শারীরিক নির্যাতনে কমপক্ষে ১৫০০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার নামক এক মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদনে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০টি ঘটনায় ২৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।[১৩][১৪] দৈনিক শিক্ষা পত্রিকার অনুসন্ধান মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩টি আবাসিক হলে ৫৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫০+ শিক্ষার্থী।[১৫] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে ছাত্রলীগের আক্রমণের শিকার হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ২৩ জন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এসবের মধ্যে অন্তত ৪২টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ১৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে প্রশাসন কাউকেই শাস্তি দিতে পারেনি।[১৬]
বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে একটা ওয়েবসাইট খোলে। ২.৫ বছর মধ্যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ১৬৬টি অভিযোগ পড়েছিলো।[১৭] ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-২০১৯ পর্যন্ত গেস্টরুমে ২৮২ জন শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।[১৮] এবং এই সময়কালে ৯২টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।[১৯] বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই র্যাগিং ও গেস্টরুম নির্যাতনের ফলে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বুয়েটের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী বুয়েট ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।[১৭]
উল্লেখযোগ্য ঘটনা
সম্পাদনাস্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার নামক এক মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য মোতাবেক, শুধুমাত্র ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০টি ঘটনায় ২৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এমনকি এই প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চারের নেতৃত্বদানকারীরাও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হন।[১৪][২০] এসব ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক ২০১৯ সালে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।[২১] এটি মূলত ছাত্রলীগের গেস্টরুম সংস্কৃতির একটা অংশ ছিলো,[২২] তাকে ইসলামি ছাত্রশিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের নির্বাচিত একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে, তার হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে স্টাম্প দিয়ে মারা হয়। সন্ত্রাসীরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাগলের মত স্টাম্প দিয়ে তাকে আঘাত করে মারতে থাকেন।[২১]
২০২৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুলপরী খাতুন নামক এক ছাত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।[২৩][২৪] এটিও ছাত্রলীগের গেস্টরুম সংস্কৃতির একটি উদাহরণ। ফুলপরীকে রাত ১১ টায় ডেকে নিয়ে রাত ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্যাতন করা হয়।[২৫] তাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর ও অশ্লীল গালিগালাজ করা হয়।[২৬] জোর করে ডাইনিংয়ের ময়লা গ্লাস চাটানো হয়, যৌন হয়রানি করা হয় এবং বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়।[২৭][২৮]
ইডেন মহিলা কলেজের কেলেঙ্কারি ২০২২ এর ছাত্রলীগের একটি অপকর্ম ও ধারাবাহিক ঘটনা। ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মেয়েদের রুমে ডেকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি ও নির্যাতন করতো।[২৯] ভিন্নমত পোষণকারী ছাত্রীরা যারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয় না এবং ছাত্রাবাসের বাসিন্দারা যারা মাসিক 'প্রটেকশন মানি' দিতে ব্যর্থ হয় তাদের উপর নির্ধারিত রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হতো।[৩০][৩১]
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলের ২০৫ নং কক্ষে সাদ ইবনে মমতাজকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।[৩২] তাকে কয়েক ঘন্টা সময় ধরে কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে লোহার রড, লাঠি, হকিস্টিক ইত্যাদি দিয়ে পেটানো হয়।[৩৩] পরে তিনি ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে মারা যান। সাদ নিজেও ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। হত্যার ৭ম দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে সমাবেশ এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল করে।[৩৪][৩৫] তদন্ত কমিটি অনুযায়ী ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।[৩৬]
হাফিজুর মোল্লা মৃত্যু
সম্পাদনাহাফিজুর দরিদ্র পরিবারের সন্তান, সে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রলীগ মাধ্যমে দোতলার দক্ষিণ পাশের বারান্দায় থাকতো।[৩৭] তবে শীতের মধ্যে বারান্দায় থাকা এবং রাতের বেলায় ছাত্রলীগের গেস্টরুম কর্মসূচিতে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডা রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।[৩৮] নিউমোনিয়া ও টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসায় চলে যায়,[৩৯] এবং এই রোগেই ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে মারা যায়।[৪০] তার মৃত্যুতে অন্তত ১০টি ছাত্রজোট একত্রে হত্যা বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।[৪১]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম কালচার
সম্পাদনাছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, এই ইউনিটের ছাত্রলীগই কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে। এইজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গেস্টরুম অত্যাচারের খবর পাওয়া যায়।[৪২][৪৩] ২৩ জানুয়ারি ২০২০ সালে ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের গেস্টরুমে ৪ জন শিক্ষার্থীকে ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আবাসিক শিক্ষকের সামনেই রাতভর মারধর করা হয়।[৪৪] পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।[৪৫] ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।[৪২] ২৪ এপ্রিল ২০২৪ সালে ঢাবিতে গেস্টরুম নির্যাতনে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে যায়।[৪৬][৪৭]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১৬০টি গণরুম আছে। এরমধ্যে ১৩টি হলের ৮০ শতাংশ কক্ষও ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করে। এরমধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের ২৯৬টির প্রায় সবগুলো কক্ষ, স্যার এ এফ রহমান হলের ১০৪টি কক্ষের ১০০টি কক্ষ, মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ৩৮৮টি কক্ষের ৭০ শতাংশ কক্ষ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৩৮৮ কক্ষের প্রায় সবগুলো কক্ষ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি গেস্টরুম নির্যাতন চালানোর জন্য অনেক হলেই "মন্ত্রীপাড়া" নামে রাজনৈতিক ব্লক আছে।[৪৮]
১৯৯০ দশকের পর থেকেই গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া যায়।[৪৯] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন,
“ | শীতের রাতে খালি গায়ে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরতে হবে। পুরো রাত হলের বাইরে থাকতে হবে, তবে অন্য কোনো হলে যাওয়া যাবে না। হাতিরঝিলে গিয়ে রাতে ছয় ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। এসবের আবার সেলফি তুলে এনে বড় ভাইদের প্রমাণ দিতে হবে। এছাড়াও হকিস্টিক, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে পেটানো হয়। কানধরে ওঠবস করানো হয়। শিবির ট্যাগের ভয় দেখানো হয়.... এগুলো সইতে না পেরে অনেক ছাত্র হল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। | ” |
— মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), https://www.dw.com/bn/a-52140839 |
ঢাবিতে গেস্টরুম অত্যাচার এতো বেরে গিয়েছিলো যে, ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ঢাবি সাদা দলের একজন শিক্ষক অধ্যাপক লুৎফর রহমান তার বক্তব্যে আবাসিক হলসমূহে গেস্টরুম কালচার ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন।[৫০] তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মাদ আখতারুজ্জামান গেস্টরুম নির্যাতন শব্দযুগল প্রত্যাহার করে দেন।[৫১] ফলে প্রতিবাদ হিসাবে দুইজন শিক্ষক তৎক্ষণাৎ সিনেট অধিবেশন বর্জন করেন।[৫২][৫৩] এই উপাচার্যের এই আচরণে অনেক দল সংগঠন প্রতিবাদ করেছে।[৫৪]
অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনাছাত্রলীগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হল দখল ও ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য নানা সময়ে ছাত্রদের উপর নির্যাতন করেছে।[৫৫] বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, ইবি প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলো।[৫৬] ১৯ জুন ২০২৩ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের পলিটিক্যাল ব্লকে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়।[৫৭] একই বছরের ২১ আগস্ট জাবিতে গেস্টরুম নির্যাতনের ভিডিও করেছে, এমন সন্দেহে এক সাংবাদিককে পেটানো হয়।[৫৮] ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের গেস্টরুমে এক ছাত্রকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করা হয়,[৫৯] এই ঘটনার প্রতিবাদে মানবাধিকার কমিশন প্রতিবাদ জানিয়েছে।[৬০] ১১ জুন ২০২৪ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন করে এবং গুলি করার হুমকি দেন।[৬১] ছাত্রলীগের এই নির্যাতনের কারণে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় হল ছেড়ে দিয়েছেন।[৬২][৬৩]
বুয়েট
সম্পাদনা২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার এক ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করে। সভাপতি তার মুখে লাথি মেরে রক্তাক্ত করে দেয়, আরেক ছাত্রলীগ নেতা ক্ষতস্থানে লবণ ছিটিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে সোহরাওয়ার্দী হলের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদ রহমানকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কঠিন নির্যাতন করা হয়। পরের বছর তিনি বুয়েট ছেড়ে একটি পাবলিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।[৬৪] ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, বুয়েটের আরাফাত হোসেনকে ইসলামি ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্টতার ট্যাগ দিয়ে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন ছাত্র তাকে জিমনেশিয়ামের নিকটে নিয়ে যায়। তাকে এলোপাথাড়িভাবে মারতে থাকে। ছাত্রলীগ স্ট্যাম্প-হকিস্টিক দিয়ে দফায় দফায় মারার ফলে সে চেতনাহীন হয়ে পরে এবং তার হাত ভেঙ্গে যায়।[৬৪] ৭ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দাইয়্যান নাফিজকে ২০১৮ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান করার জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে মারধর করা হয়।[১৭] রাসেল, রাজ ও দিহান নামক ছাত্রলীগ কর্মী তাকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পেটায়। ছাত্রলীগ কর্মীরা তার পায়ের পাতা থেকে ঊরু পর্যন্ত স্ট্যাম্প দিয়ে পেটায়।[৬৫] ২০১৯ সালের ২৭ জুন আহসানউল্লাহ হলে ছাত্র নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় অভিজিৎ কর নামে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে কানে আঘাত করা হয়, এতে সে একটি কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে।[১৭] ৩ অক্টোবর শেরে বাংলা হলের ২০২ নং কক্ষে এহতেশাম নামে এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি ছাত্রলীগ তার কক্ষে থাকা কাপড়, দামী কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিস লুটপাট করে।[৬৬]
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা২০১১ সালের ৩ এপ্রিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদের উপর অত্যাচার করে, তাকে নির্মমভাবে পেটানোর এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের এক নেতা তার পায়ের রগ কেটে দেয়।[৬৭] ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট, ১২ শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে মারপিট করে ছাত্রলীগ। তাদের থেকে ল্যাপটপ, নগত অর্থ কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি তাদের আবাসিক হল বের করে দেওয়া হয়। মারপিটের কারণে কয়েকজন গুরুতর আহত হলে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৬৮] ২০২২ ১৭ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী আল-আমিন নামকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে জোরপূর্বক ডেবিট কার্ড থেকে ৪৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়।[৬৯] ২৪ অক্টোবর, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামছুল ইসলামের গলায় ছুরি ধরে মানিব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন এবং রড ও স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এই আক্রমণে অংশ নেয় মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও তার চার সদস্যের একটি টিম।[৭০] ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। এই আক্রমণে অংশ নেয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের কিছু নেতা ও কর্মী।[৭১] ৪ আগস্ট, শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। হলের গেস্টরুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে এলোপাতাড়ি মারা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে যায় এবং কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।[৭২]
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা২০২৩ সালের ৩ জুন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। শিবিরের সদস্যের স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য এলোপাতাড়ি কিল, লাথি-ঘুষি মেরে জখম করা হয়। এমনকি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ছাত্রলীগ।[৭৩]
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা২০১৫ সালের ১২ মে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলামকে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী ডেকে নিয়ে যায়। রায়হানকে ম্যানার শেখানোর নাম করে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে তাকে মুরগি ও চেয়ার হতে বলে। মুরগি হওয়ার সময় তার পা কাঁপলে তাকে পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এই আক্রমণে অংশগ্রহণ করে ছাত্রলীগকর্মী জাহিদুল ইসলাম সজল ও তার অনুগত কিছু কর্মী। ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে এক বিকালের ৩টার দিকে শিক্ষার্থীকে মারথর করে ছাত্রলীগের এক নেতা এবং তার সাথে থাকা বান্ধবীকেও লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ কর্মী।[৭৪] ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর, শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের ২য় বর্ষের সিনিয়র ভাইয়েরা ম্যানার শেখানোর নামে শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাদের নানা মানসিক হেনস্থা ও মারধর করে।[৭৫] ২০২৩ সালের ২১ মার্চ, মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নং গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান গেস্টরুম চলাকালীন এক জুনিয়র ছাত্রকে চড় মেরে কান ফাটিয়ে দেয়।[৭৬] ২১ আগস্ট, বার্তা সংস্থা ইউএনবিরের প্রতিনিধি সাংবাদিক আসিফ আল মামুনকে গেস্টরুম নির্যাতনের ভিডিও করার সন্দেহে পিটানো হয়, সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরেক দফা মারধর করা হয়।[৭৭] ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, মীর মশাররফ হোসেন হলের ১৩৭ নং রুম হলো টর্চার সেল। স্থানীয় জিরানি এলাকার এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে কক্ষটিতে আটকে নির্যাতন করা হয়। এমনকি তার বউকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে আসে, ছাত্রলীগের একটি দল লোকটির স্ত্রীকে হলসংলগ্ন বনাঞ্চলে দলবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে।[৭৬]
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা২০১৪ সালের ৩১ মার্চ রাতে, আশরাফুল হক হলে, সাদ ইবনে মমতাজকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে তিনি ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে মারা যান।[৩৩] ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি পর্বে রাত। রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারণ ব্যবহার করা হয়। তবে রাত ১২টার পরে তাদের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম বর্ষের ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী ছিলো। ছাত্রলীগের সিনিয়রদের হাতে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, চাপাতি ছিলো। রাতভর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মুরগি হয়ে বসা, হাটু ভেঙ্গে বসা এরকম নানা র্যাগিং ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।[৭৮] ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের কিছু শিক্ষার্থীকে একত্রে র্যাগিং ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ২৭ তারিখ রাতে ঈশা খা হলের টিভি রুমে ছাত্রলীগের কিছু নেতা ও কর্মী মিলে একই হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।[৭৪] ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমানকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুম ডেকে নিয়ে যায় এবং ফোন তল্লাশি করে। পরে তাকে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা পাশবিক নির্যাতন করে। কানের উপর কয়েকটি থাপ্পর দেন এবং রড দিয়ে পেটাতে থাকেন। তার কানের পর্দা ফেটে যায় এবং সে ৭ দিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়।[৭৯] মো. তৌহিদুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ১২/১৩ জন সদস্য মিলে রড দিয়ে হাটুতে পেটানো থাকে। ফলে তৌহিদুল অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৭৯] একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিফাত বিন শায়েকুজ্জামানকে গেস্টরুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তার বুকে ১০/১২ বার লাথি মারা হয়, কানের উপর থাপ্পর দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে হটিস্টিক দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়।[৮০] ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলে মধ্যরাতে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়। মুরছালিন মুস্তাকি মাফি নামক শিক্ষার্থী ডাইনিংয়ের খাবারের নিম্নমান ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে গেস্টরুমে ডেকে গালিগালাজ ও নির্যাতন করা হয়।[৮১]
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনাঅন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনাবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনাসাম্প্রদায়িক নির্যাতন
সম্পাদনানারীদের উপর নির্যাতন
সম্পাদনাসাংবাদিকদের উপর নির্যাতন
সম্পাদনাহিন্দু শিক্ষার্থী নির্যাতন
সম্পাদনাপ্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাকুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আব্দুস সালাম গেস্টরুম নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে শাস্তির আশ্বাস প্রদান করেন।[৮২] শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম নির্যাতন, বুলিং র্যাগিং, হেনস্তা প্রতিহত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩ আইন জারি করেন এবং গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করেন।[৮৩]
২২ নভেম্বর ২০২৩ সালে গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতনের বিরোধিতা করে টিএসসিতে তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এক শিক্ষার্থী।[৮৪] ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করার এই সংস্কৃতি দ্রুত বন্ধে প্রয়োজনে আইন করা উচিত।[১২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।[৮৫] ইবিতে ছাত্র উলঙ্গ করে নির্যাতনের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবির নিন্দা জানিয়েছে।[৮৬] ১৫ মার্চ ২০২২ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদ গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।[৮৭] গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের জন্য সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।[৮৮] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ১২ ছাত্রসংগঠনের জোট সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।[৮৯] সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান আমরণ অনশন কর্মসূচি করেছিলেন।[৯০]
২০১৮ সাল এবং শিক্ষার্থীদের উপর অব্যাহত নির্যাতনের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ Change.org নামক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি পিটিশন শুরু করেছিল।[৯১][৯২] ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অন্যতম পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউন সংগঠনটিকে "লজ্জার ব্র্যান্ড" হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।[৯৩] ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রগোষ্ঠীর উপর ধারাবাহিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, ২৬ মে ২০২২ সালে বাংলাদেশের আটটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অভিহিত করে।[৯৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ছানাউল্লাহ, মো (২০২২-০২-০১)। "গেস্টরুম ও র্যাগিং কালচার: যার নেই আদবকায়দা, সেই শেখায় অন্যকে"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'গেস্ট রুম কালচার' আসলে কী?"। www.campustimes.press। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আতঙ্কের নাম গেস্টরুম"। www.shomoyeralo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "হলে হলে ছাত্রলীগের 'গেস্টরুম আদালত' – DW – 24.01.2020"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ আলদীন, আনোয়ার (১২ অক্টোবর ২০১৯)। "বিশ্ববিদ্যালয় হলে হলে 'টর্চার সেল' কালচার"। কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১১ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ হৃদয়, আমজাদ হোসেন (২০২২-০৩-১৪)। "গেস্টরুম যেন ছাত্রলীগের 'টর্চার সেল'!"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ "বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা: ছাত্রলীগ ও যুবলীগে 'টর্চার সেল' নিয়ে যে উদ্বেগ"। BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০১।
- ↑ "গেস্টরুম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের অধীনে নয়, থাকে 'ভাইদের আন্ডারে'"। বিবিসি বাংলা। ২০২১-১২-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ গ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলের 'গেস্টরুমে' কী হয়?"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি গেস্টরুমই যেন ছাত্রলীগের টর্চার সেল"। দৈনিক আমাদের সময়। ১১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "'৩ ধরনের গেস্টরুমের মাধ্যমে টর্চার সেল বানিয়েছে ছাত্রলীগ'"। banglanews24.com। ২০১৯-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ হাওলাদার, আসিফ (২০২২-০২-১২)। "নবীন শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক 'গেস্টরুম'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক, বিশ্ববিদ্যালয় (২০২৩-০২-২৮)। "ঢাবিতে ১ বছরে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার ২৭ শিক্ষার্থী"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক (২০২৩-০২-২৮)। "ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক বছরে ২৭ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩।
- ↑ "বন্ধ হোক টর্চার সেল"। দৈনিক শিক্ষা। ১৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে রাবি ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতন রক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষকরাও"। amader-protidin.com (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "নির্যাতনের কারণে ৫ বছরে বুয়েট ছেড়েছেন ৩০ ছাত্র"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ছাত্রলীগের নিপীড়নের শিকার ২৮২ শিক্ষার্থী: ভিপি নুর"। Bangladesh Journal Online। ৩০ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ঢাবির হলে সাত বছরে নির্যাতনের শিকার ২৮২ শিক্ষার্থী"। thedailycampus.com। ২০ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০১।
- ↑ "বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি: বাস্তবে শিক্ষার্থীদের কতটা কাজে আসছে ছাত্র রাজনীতি?"। বিবিসি বাংলা। ২০১৯-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ ক খ "9 held over Buet student Abrar murder"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরারকে পেটানোর সিদ্ধান্ত গেস্টরুমে"। www.kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০২-১৪)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নির্যাতন, নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেত্রী"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১।
- ↑ "অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ইবির অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা – DW – 23.02.2023"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মীর সিট বাতিল – DW – 27.02.2023"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; কুষ্টিয়া (২০২৩-০২-১৪)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন: হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন, ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত"। ভিওএ। ২০২৩-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০২-১৪)। "'চিনিস আমাদের, আমরা কত খারাপ? আমরা তোর কী করতে পারি জানিস?'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১।
- ↑ "Eden College principal believes solutions to students' 'mistakes' is in 'counselling'"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "'If I do not allot seats, which of your fathers will do?'"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ আগস্ট ২০২২। ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "'We were confined, tortured for six hours'"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের"। সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ "ঝুলে আছে সাদ হত্যা মামলা: অভিযুক্ত ৬ জন পলাতক"। www.bd24live.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "সাদ হত্যা : বাকৃবিতে মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত | শিক্ষা"। Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "সাদ হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ"। www.kalerkantho.com। ২১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১"। বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-০২-১০)। "হাফিজুরের মৃত্যুর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "হাফিজুর হত্যার বিচার দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-০২-০৭)। "বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের করুণ মৃত্যু"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "হাফিজুরের মৃত্যুর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৬-০২-১০।
- ↑ "ঢাবি ছাত্র হাফিজুর হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল"। banglanews24.com। ২০১৬-০২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ "ঢাবির 'গেস্টরুম নির্যাতন' সংস্কৃতি"। দৈনিক যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ "রাবিতে তিন দশকে ২৯ খুন, বিচার হয়নি একটিরও"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "বন্ধ করা হবে গেস্টরুম টর্চার ও প্রটোকল"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "ঢাবির গেস্টরুমে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর ছাত্রলীগের নির্যাতন"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৪-০৪-২৪)। "ছাত্রলীগের 'গেস্টরুমে' অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্তে কমিটি"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "গেস্টরুমে 'ছাত্রলীগের র্যাগিংয়ে' অচেতন ঢাবি শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ এপ্রিল ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ উদ্দিন, রাহাদ (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুম আতঙ্ক"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ১১ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "'গেস্টরুম' প্রথায় নির্যাতন"। দৈনিক যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "'গেস্ট রুম নির্যাতন' নিয়ে বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে বিতর্ক"। বিডি নিউজ.২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৩-০৬-২১)। "'গেস্টরুম নির্যাতনের' কথা বলায় বক্তব্য এক্সপাঞ্জ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ঢাবি সিনেটে 'গেস্টরুম নির্যাতন' শব্দযুগল এক্সপাঞ্জ, ২ শিক্ষকের ওয়াকআউট"। সমকাল। ২১ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "ঢাবির সিনেটে 'গেস্টরুম নির্যাতন' এক্সপাঞ্জ, সভা বর্জন বিএনপিপন্থী ২ শিক্ষকের"। Dainikbangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৩-০৬-২২)। "'গেস্টরুম নির্যাতনের আলোচনা এক্সপাঞ্জ করা দখলদারত্বের প্রতি প্রশাসনিক সমর্থনের প্রমাণ'"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:12
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ প্রতিবেদক, বিশ্ববিদ্যালয় (২০২২-০৩-১১)। "ছাত্রলীগের গেস্টরুম যেন একটি 'আদালত' : নির্যাতিত শিক্ষার্থী"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ BonikBarta। "জাবির গেস্টরুমে নির্যাতন গড়াল মামলায়, অভিযুক্ত আট ছাত্রলীগ নেতা"। বণিকবার্তা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "জাবিতে গেস্টরুমের 'ভিডিও করেছে' সন্দেহে সাংবাদিককে পেটাল ছাত্রলীগ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২১ আগস্ট ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "ইবি ছাত্রকে উলঙ্গ করে র্যাগিং, ধামাচাপার চেষ্টা ছাত্রলীগের"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ইবি ছাত্রকে র্যাগিং, কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৬ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ অফিস, যশোর (২০২৪-০৬-১১)। "শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি মানতে না পেরে ঢাবি ছাড়লেন শিক্ষার্থী"। Barta24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৩-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ছাত্রলীগের 'গেস্টরুম' অত্যাচারে হল ছাড়ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ ক খ "বুয়েটে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনের শিকার আরাফাত যে বর্ণনা দিলেন"। amarsangbad.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "আবরারের পরিণতি হয়নি 'ভাগ্যবান' দাইয়ানের"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০১।
- ↑ "বুয়েটে রাতে হলে হলে ছাত্রলীগের নির্যাতন"। www.shomoyeralo.com। ১১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ "ছাত্রলীগের নৈরাজ্যে কলুষিত শিক্ষাঙ্গন (২০০৯ - ২০২৩)"। PDF Host। সুশাসন বাংলাদেশ। মার্চ ২০২৩। পৃষ্ঠা ১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০২।
- ↑ "ছাত্রলীগের নৈরাজ্যে কলুষিত শিক্ষাঙ্গন (২০০৯ - ২০২৩)"। PDF Host। সুশাসন বাংলাদেশ। মার্চ ২০২৩। পৃষ্ঠা ১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০২।
- ↑ "ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি-নির্যাতনে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা, বিব্রত রাবি প্রশাসন"। রাজশাহী নিউজ২৪। ২৮ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ প্রতিনিধি (২০২২-১০-২৪)। "'কাউকে বললে আবরারের যে অবস্থা হয়েছে, সে অবস্থা হবে'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "রাবির হিন্দু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ রাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক (২০২৩-০৮-০৪)। "গেস্টরুমে রাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ চবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক (২০২৪-০৮-১৬)। "শিবির ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ "ছাত্রলীগের নৈরাজ্যে কলুষিত শিক্ষাঙ্গন (২০০৯ - ২০২৩)"। PDF Host। সুশাসন বাংলাদেশ। মার্চ ২০২৩। পৃষ্ঠা ১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০২।
- ↑ "জাবিতে মাঝরাতে ছাত্রলীগের 'বড়ভাই'দের নির্যাতন!"। দ্য ডেইলি স্টার। ইউটিউব ভিডিও। ২০২২-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ ক খ চৌধুরী, রাহাত। "টর্চার সেল ৩১৭"। Protidiner Sangbad। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "জাবিতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৯-১১-০৬)। "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ডার্ক নাইট-গেস্টরুম' আতঙ্ক"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ প্রতিনিধি, বাকৃবি। "শিক্ষার্থীদের মুখে বাকৃবি ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনের ঘটনা | কালবেলা"। কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ছাত্রলীগের নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা | ক্যাম্পাস"। Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩।
- ↑ প্রতিনিধি (২০২৩-১১-২৩)। "বাকৃবিতে গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবি, তদন্ত কমিটি গঠন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ইবিতে গেস্টরুম নির্যাতন হলেই ব্যবস্থা"। www.campustimes.press। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ব্যতিক্রম ঢাবির গেস্টরুম"। amarsangbad.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৩-১১-২২)। "'গেস্টরুমে' ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়ে টিএসসিতে অবস্থান, হলে তুললেন প্রাধ্যক্ষ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "জাবিতে গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৭ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "ইবিতে নবীন ছাত্রকে ছাত্রলীগের নির্যাতন, শিবির নেতৃবৃন্দের নিন্দা"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ"। জাগো নিউজ.২৪। ১৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:10
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকের অনশন"। আজকের পত্রিকা। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Awami League / Bangladesh Chhatra League (BCL)" । Terrorism Research & Analysis Consortium। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯।
- ↑ "Bloody Sunday in Bangladesh"। Democracy News। ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "The brand of shame that is Chhatra League"। ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Student orgs for holding meeting at DU for peaceful atmosphere on campus"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২২।