সাদ ইবনে মমতাজ হত্যাকাণ্ড

ছাত্রলীগ কর্তৃক সংগঠিত হত্যাকাণ্ড

সাদ ইবনে মমতাজ হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠিত একটি হত্যাকাণ্ড[] সাদ ইবনে মমতাজ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলো। তিনি বাকৃবির আশরাফুল হক হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ বাকৃবির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে একই কায়দায় ছাত্রলীগ ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে।[] এই হত্যাকাণ্ডের পর বাকৃবির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা টানা ১৪ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসুচী পালন করেছিলো।[][]

সাদ ইবনে মমতাজ হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহিংসতার অংশ
সাদ ইবনে মমতাজ
স্থানআশরাফুল হক হল, বাকৃবি
তারিখ৩১ মার্চ ২০১৪ (2014-03-31)
বিকাল থেকে রাত
লক্ষ্যসাদ ইবনে মমতাজ
হামলার ধরনস্টাম্প, লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে পেটানো
নিহত১ জন
আহতমারা যায়
ভুক্তভোগীসাদ ইবনে মমতাজ
হামলাকারী দল
  • রেজাউল করিম রেজা
  • সুজয় কুমার কুণ্ডু
  • রোকনুজ্জামান
  • ভাতিজা স্বপন প্রভৃতি
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা
১৪-১৮ জন
কারণঅভ্যন্তরীণ কলহ, নির্বাচনে দাড়ানো

প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী রেজাউল করিম রেজা হত্যাকাণ্ডের সময় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে সদ্য সাবেক হয়েছিলেন। তিনি আশরাফুল হক হলের ছাত্রলীগের একটি উগ্র ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিচালনা করতেন। রেজা ও সাদ একই বিভাগে পড়াশোনা করতো, একই হলে বসবাস করতো। সাদের সঙ্গে তার নিজেদের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটি নির্বাচন নিয়ে বিরোধ হয়। সাদের বন্ধু সুজয় ও রোকন তাকে ছাত্রলীগের নির্বাচনে দাঁড়াতে মানা করেছিলেন। তবে সাদ নির্বাচনে দাড়াতে ইচ্ছা পোষণ করলে তারা তাকে সতর্ক করে, এবং নিজেদের রাস্তা পরিস্কার করার হুমকি দেয়। এছাড়াও নিজেদের ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক হয়। তখনই রেজা ও তার গ্রুপ সাদকে আক্রমণের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলে। এবং রেজা ও তার গ্রুপ সাদকে বিতর্কিত ও আক্রমণের লক্ষ্য বানিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিথ্যা ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। এবং বিভিন্ন গ্রুপে ও মহলে প্রচার করতে থাকে।

আক্রমণ

সম্পাদনা

সাদ আশরাফুল হক হলের ৩১২ নং কক্ষে থাকতেন। ঘটনার দিন বিকালে রেজা তাকে একই হলের ২০৫ নং কক্ষে ডেকে পাঠান। বিকালে ডেকে নেওয়ার পরে রেজার নেতৃত্বে ও নির্দেশে তার গ্রুপের অন্য ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে স্টাম্প দিয়ে পেটাতে থাকে। তাকে কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে লোহার রড, লাঠি, হকিস্টিক প্রভৃতি দিয়ে কয়েক ঘন্টা যাবত নির্মমভাবে পেটানো হয়।[] আক্রমণকারী সদস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্বপন, পলাশ, শাহজালাল সুমন, মুফরাত, প্রশান্ত কুমার দে, রাহুল ও রিয়াদ। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আক্রমণকারী নিজেরাই তাকে তার কক্ষে রেখে আসে। তবে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে, ফলে আসামিরা চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ারের এক চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসেন। তার অবস্থার উন্নতি না হলে রাত ৯.১৫ এর দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপর দিন সকালে তাকে এক্সরে করতে ট্রমা মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষামান অবস্থান তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মহিউদ্দীন হাওলাদার ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।[] মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জুলাই পুলিশ ১৪ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।[] তার বাবাকে এই হত্যাকাণ্ডে মামলার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "আমি মামলা করবোনা, কারণ আমি জানি আদালত এই হত্যার বিচার করবেনা।" গ্রেপ্তারের পরে অভিযুক্ত আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।[] ২৮ এপ্রিল সাক্ষ্য নেওয়া হয়, সেইদিন আদালত অভিযুক্তদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে, জেলা জজকোর্টের কৌসুলি খালেকুজ্জামান আদালতের নিকট বলেন, "আপনি যাদেরকে অব্যাহতি দিচ্ছেন, তারা মূলত খুনি"। নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেওয়ার পর মামলাটি আর উচ্চ আদালতে সুপারিশ করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

সম্পাদনা

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক মহসীন আলীকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের একটি সম্পূরক তদন্ত কমিটি করা হয়। তবে অনুষদের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ এই কমিটির উপর অনাস্থা প্রকাশ করেন।[] তদন্ত শেষে এই কমিটি ছাত্রলীগের আরও সাতজন নেতা-কর্মীকে আদালতের নিকট শাস্তির সুপারিশ করে।[১০] তবে হাইকোর্ট নতুন এই সাতজনের ব্যপারে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।[] এছাড়াও ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৬ অভিযুক্ত ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে। এরমধ্যে প্রধান আসামি রেজাউল করিম রেজাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

অভিযুক্তদের তালিকা

সম্পাদনা

মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জুলাই পুলিশ ১৪ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।[] ১৭ মে ২০১৬ সালে অন্তর চৌধুরীকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়।[১১] এই মামলার পলাতক আসামি মো. মিজানুর রহমান আত্নগোপন করেছিলো এবং গোপনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তায় চাকরি নেন।[১২][১৩] তবে ৯ বছর পরে ১১ মে ২০২৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।[১৪]

নাম ছাত্রলীগের পরিচয় বর্তমান অবস্থা মন্তব্য
রেজাউল করিম রেজা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আশরাফুল হক হল অব্যাহতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে
সুজয় কুমার কুণ্ডু সাংগঠনিক সম্পাদক, আশরাফুল হক হল জামিনে মুক্তি
রোকনুজ্জামান সাংগঠনিক সম্পাদক, আশরাফুল হক হল জামিনে মুক্তি
নাজমুল শাহাদাত রাসেল সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অব্যাহতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪ বছরের জন্য বহিষ্কার করে
ভাতিজা স্বপন বাকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতির ভাজিতা জামিনে মুক্তি
সুমন পারভেজ কর্মী, শাহজালাল হল অব্যাহতি
ফয়সাল ইসলাম জয় কর্মী, জামাল হোসেন হল পলাতক
দেওয়ান মুনতাকা মুফরাত কর্মী, আশরাফুল হক হল অব্যাহতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪ বছরের জন্য বহিষ্কার করে
প্রশান্ত কুমার দে কর্মী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পলাতক
মাহমুদ হাসান কর্মী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পলাতক
মো. মনোয়ারুল ইসলাম কর্মী, পশুপালন অনুষদ পলাতক
মো. রোকনুজ্জামান কর্মী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জামিনে মুক্তি
মিজানুর রহমান শাওন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আশরাফুল হক হল পলাতক
অন্তর চৌধুরী কর্মী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অব্যাহতি

প্রতিবাদ-বিক্ষোভ

সম্পাদনা

এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশের পরপরই বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট, ক্লাস বর্জন প্রভৃতি নানামুখী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা শুরু করে।[১৫] শিক্ষকগণ এই আন্দোলনের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করেন।[১৬] শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে প্রধান ফটক আটকে দেয় এবং প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণ সংবাদ সম্মেলন করে দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। ছয় দফা দাবীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবীগুলো:

  1. সাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত সব অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করতে হবে।
  2. হত্যা মামলায় সঠিক বিচার করতে হবে
  3. অভিযুক্তদের ক্যাম্পাস থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে
  4. টর্চার সেল বন্ধ করতে হবে
  5. যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন
  6. সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট সবার সামনে উন্মোচন করতে হবে।

সাধারণ শিক্ষকগন শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হবার অভিযোগ তুলে ধরে এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্রবিষয়ক বিভাগের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্তদের পদত্যাগের দাবি জানান। ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগও এই সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগদান করতে ইচ্ছুক হলে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক সমিতি সেটার বিরোধিতা করেন। তারপরেও তারা আলাদা স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করে।[১৭]

এছাড়া ঢাকা জাতীয় জাদুঘরের সামনে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সমাবেশ ও কফিন মিছিলের আয়োজন করে।[১৬] এছাড়াও সামহোয়্যার ইন ব্লগ ওয়েবসাইটে অনলাইন সক্রিয়কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লেখালিখি করেন।[১৮]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "পিটিয়ে বাকৃবি ছাত্র হত্যা: আট বছরেও বিচার হয়নি ছাত্রলীগ নেতাদের"দৈনিক শিক্ষা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টে ২০২৪ 
  2. "Autopsy report: Abrar was beaten to death"ঢাকা ট্রিবিউন। ৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "সাদ হত্যা: ২ ছাত্রলীগ নেতা আটক"সমকাল। ২ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  4. "সাদ হত্যার ১৪ দিন পর বাকৃবিতে ক্লাস শুরু"banglanews24.com। ২০১৪-০৪-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  5. "ঝুলে আছে সাদ হত্যা মামলা: অভিযুক্ত ৬ জন পলাতক"www.bd24live.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  6. "২ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি বাকৃবির সাদ হত্যা মামলা"সবুজ বাংলাদেশ24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৪-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  7. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৯-১১-২৬)। "পাঁচ বছরেও সায়াদ হত্যার বিচার শুরু হয়নি"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  8. "সাদ হত্যাকাণ্ড : বহিস্কৃত আরেক ছাত্র গ্রেফতার"www.risingbd.com। ২০১৪-০৫-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  9. "সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  10. "সাদ হত্যাকাণ্ডের সম্পূরক তদন্ত কমিটিতে আরো ৭ শিক্ষার্থীর নাম"www.kalerkantho.com। ২৯ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  11. "বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  12. "পুলিশি তথ্য সংগ্রহের দুর্বলতার নমুনা"Daily Nayadiganta। ৩ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  13. "হত্যার পলাতক আসামি ব্রির কর্মকর্তা, পাচ্ছেন পদোন্নতি!"দৈনিক শিক্ষা। ২ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  14. "হত্যা মামলার ৯ বছর পর কারাগারে ব্রির সেই কৃষি বিজ্ঞানী"সমকাল। ১১ মে ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  15. "সাদ হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ"www.kalerkantho.com। ২১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  16. "ছাত্রলীগের ১৫-২০ জনে তটস্থ বাকৃবি ক্যাম্পাস"www.kalerkantho.com। ৪ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  17. "সাদ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন | শিক্ষা"Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  18. "'জবাবটা আবুলের খুব দরকার – DW – 03.04.2014"dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫