মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (জন্ম: ১ জুলাই ১৯৬৪[১]) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম উপাচার্য।[২] ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আখতারুজ্জামানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। [৩][৪] উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের পূর্বে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১ জুলাই ১৯৬৪ |
পেশা | অধ্যাপক |
নিয়োগকারী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য |
উপাধি | উপাচার্য |
মেয়াদ | ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ - বর্তমান |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
আখতারুজ্জামানের জন্ম বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালিপুর গ্রামে। তার ডাকনাম অরুণ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার বাবার নাম আবুল হাশেম খান এবং মায়ের নাম ঈরন বানু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক(সম্মান) ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে তিনি ফার্সি ভাষায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭-এ ইতিহাস বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন কলেজে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে ‘রিলিজিয়ন ইন আমেরিকান পাবলিক লাইফ’ বিষয়ে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল গবেষক হিসেবে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহাম-এর সেন্টার ফর খ্রীষ্টান – মুসলিম রিলেশনস-এ 'মুসলিম কমিউনিটি ইন ইউকে' বিষয়ে গবেষণা করেন। [৫]
কর্মজীবনসম্পাদনা
১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ বিষয়ের এবং ২০১৫-সালে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলা অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। পেশাগত জীবনে ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ২০০০ সালের ২ জানুয়ারি সহযোগী অধ্যাপক এবং জানুয়ারি ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। আখতারুজ্জামান ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [৬] তিনি ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ মেয়াদে তিন দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ ও ২০১১ এ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
প্রকাশিত বইসম্পাদনা
অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের মোট ৪২টি গবেষণাপত্র বিভিন্ন জার্নালে এবং সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নিম্নোক্ত সাতটি বই লিখেছেন / সম্পাদনা ও পরিমার্জন করেছেন । [৭][৮]
- মুসলিম ইতিহাসতত্ত্ব , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৮
- সোসাইটি অ্যান্ড আর্বানাইজেশন ইন মেডিয়াভ্যাল বেঙ্গল (মধ্যযুগীয় বাংলার সমাজ ও নগরায়ন), বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: প্রেক্ষাপট ও ঘটনা (সম্পাদিত), বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, ঢাকা, ২০০৯
- এ কোয়েস্ট ফর ইসলামিক লার্নিং: এসেস ইন মেমরি অফ প্রফেসর সিরাজুল হক (ইসলামী শিক্ষার জন্য অনুসন্ধান: অধ্যাপক সিরাজুল হকের স্মৃতিতে রচনা) (সম্পাদিত), বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০১১
- প্রবন্ধ সংকলন [সম্পাদিত], ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১১
- ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা [সম্পাদিত], পাঠ্যপুস্তক, ৬ষ্ঠ - ১০ম শ্রেণি
- বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় [সম্পাদনা ও পরিমার্জন], পাঠ্যপুস্তক, ৯ম - ১০ম শ্রেণি
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "আমার নয়, ঢাবির জন্মদিনই মুখ্য : উপাচার্য"। dhakapost.com। ১ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২২।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট"।
- ↑ "উপাচার্যের দায়িত্বে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান"। দৈনিক প্রথম আলো।
- ↑ "অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ঢাবির নতুন উপাচার্য"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান"। দ্য ডেইলি স্টার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ বাংলা ট্রিবিউন
- ↑ "ঢাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান"। বিবার্তা২৪।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আখতারুজ্জামান"। দৈনিক আমাদের সময়।