চার্লস কভেন্ট্রি (ইংরেজ ক্রিকেটার)

ইংরেজ ক্রিকেটার

কর্নেল চার্লস জন কভেন্ট্রি, সিবি (ইংরেজি: Charles Coventry; জন্ম: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ২ জুন, ১৯২৯) লন্ডনের মেরিলেবোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। এছাড়াও, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

দ্য অনারেবল
চার্লস কভেন্ট্রি
১৮৯৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে চার্লস কভেন্ট্রি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কর্নেল চার্লস জন কভেন্ট্রি
জন্ম২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৭
মেরিলেবোন, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২ জুন, ১৯২৯
আর্লস ক্রুম, ওরচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কএইচটি কভেন্ট্রি (ভাই), জেবি কভেন্ট্রি (ভাইপো)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬২)
১২ মার্চ ১৮৮৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্টদক্ষিণ আফ্রিকা ১৮৮৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ১৩ ১৩
ব্যাটিং গড় ১৩.০০ ১৩.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১২ ১২
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন চার্লস কভেন্ট্রি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে চার্লস কভেন্ট্রি প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ওরচেস্টারশায়ার দলের পক্ষে মাইনর কাউন্টিতে ক্রিকেট খেলতেন। ঐ সময়ে দলটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মর্যাদাবিহীন ছিল। অকুতোভয় অবস্থায় মুক্তভাবে ব্যাটিং করতেন।

১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। মেজর ওয়ারটন একাদশের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের জন্যে আমন্ত্রিত হন। পরবর্তীকালে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকায় এমসিসি দলের প্রথম সফর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এ সফরের দুইটি খেলা পরবর্তীকালে টেস্টের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়। দলটিতে ব্যবস্থাপক হিসেবে ছিলেন মেজর হোয়ারটন। বিএএফ গ্রিভ, এসি স্কিনার, এজে ফদারগিল, জেএম রিড, আর অ্যাবল, সিএ স্মিথ, মেজর ওয়ারটন, সম্মানীয় সিজে কভেন্ট্রি, জেইপি ম্যাকমাস্টার, এমপি বাউডেন, জেএইচ রবার্টস, এইচ উড, জে. ব্রিগস, জি ইউলিটএফ হার্ন

স্বাগতিক দলটি দূর্বলতম ছিল। ফলে, ইংরেজ দলেও দূর্বলতর খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্বমূলক দলের বিপক্ষে খুব সহজেই সফরকারীরা দুই খেলায় জয় পায়। তাসত্ত্বেও, কভেন্ট্রি কোন খেলাতেই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ও কোন বল করার সুযোগ পাননি। এ দুই টেস্ট বাদে আর কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি তিনি।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লস কভেন্ট্রি। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৫ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে কেপ টাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। প্রথম খেলার মাধ্যমে চার্লস কভেন্ট্রি’র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১২ ও অপরাজিত ১ রান তুলেন।

বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ

সম্পাদনা

নবম কভেন্ট্রি আর্ল জর্জ কভেন্ট্রি’র দ্বিতীয় সন্তান তিনি। ওরচেস্টারশায়ার রেজিমেন্টে কাজ করেছেন। ১৮৮৮-৯৬ সময়কালে বেচুয়ানাল্যান্ড মাউন্টেড পুলিশ বাহিনীতে সেকেন্ডেড পদবীপ্রাপ্ত হন। ১৮৯৩ সালে মাতাবেল্যান্ড যুদ্ধে অংশ নেন ও ১৮৯৬ সালে জেমসন অবরোধে অংশ নিলেও সাময়িকভাবে কারারুদ্ধ হন। এরপর, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পশ্চিম আফ্রিকান ফ্রন্টিয়ার ফোর্সে যোগ দেন। তবে, একই সময়ে ওরচেস্টারশায়ার ইউম্যানরিতে কমিশন্ডপ্রাপ্ত হন। ১৯১৫ সালে গ্যালিপলির যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এপ্রিল, ১৯১৬ সালে মিশরের কাটিয়ার যুদ্ধে রেজিমেন্টের অনেকের সাথে আটক হন। এরপর বাদ-বাকী সময় তুরস্কে যুদ্ধবন্দী ছিলেন। ১৯২২ সালে ওরচেস্টারশায়ার ও অক্সফোর্ডশায়ার ইউম্যানরি ব্রিগেড পুণর্গঠনের দায়িত্বে ছিলেন। এটি বর্তমানে ১০০ ফিল্ড ব্রিগেড, রয়্যাল আর্টিলারি নামে পরিচিতি পাচ্ছে। ১৯২৫ সালে ইউম্যানরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[]

১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যান। সেখানে তিনি জেমসন অবরোধে আটক হন। ভুলবশতঃ তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। ফলে, ইংল্যান্ডে তার শোকসভা আয়োজনের প্রস্তুতি চলে। কিন্তু, সংবাদে তাকে জীবিত হিসেবে প্রকাশ করা হলে তা বাদ দেয়া হয়। পাঁচ মাসের জন্যে কারাবন্দী হন। তবে, অসুস্থতার কারণে ২৪ দিন বাদেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মহান যুদ্ধে ডার্ডানেলেস অভিযানে অংশ নেন। পরবর্তীতে ফিলিস্তিনে আটক হন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

অনেকগুলো বছর জকি ক্লাবে মনোনীত উদ্বোধনকারীর দায়িত্বে ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউপোর্টের ফিটজহিউ হোয়াইটহাউজের কনিষ্ঠা কন্যা লিলি হোয়াইটহাউজের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[] এ দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র ফ্রান্সিস কভেন্ট্রি দ্বাদশ কভেন্ট্রি আর্ল হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দায়িত্বে ছিলেন। ২ জুন, ১৯২৯ তারিখে ৬২ বছর বয়সে ওরচেস্টারশায়ারের আর্লস ক্রুম এলাকায় চার্লস কভেন্ট্রি’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Atkin, Susanne (Spring ১৯১৬)। "C.J. Coventry: Katia and Beyond"। Friends of Croome Newsletter: 6–7। 
  2. "Court circular" (ইংরেজি ভাষায়) দ্য টাইমস (লন্ডন)। Wednesday, 17 January 1900। (36041), পৃ. 7।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা