গেভিন রেনি

জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটার

গেভিন জেমস রেনি (ইংরেজি: Gavin Rennie; জন্ম: ১২ জানুয়ারি, ১৯৭৬) মাসভিঙ্গোর ফোর্ট ভিক্টোরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

গেভিন রেনি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগেভিন জেমস রেনি
জন্ম (1976-01-12) ১২ জানুয়ারি ১৯৭৬ (বয়স ৪৮)
ফোর্ট ভিক্টোরিয়া, মাসভিঙ্গো, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কজন রেনি (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯)
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২১ ফেব্রুয়ারি ২০০২ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৭)
৩০ অক্টোবর ১৯৯৬ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১০ এপ্রিল ২০০৩ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ৪০
রানের সংখ্যা ১,০২৩ ৬১৭
ব্যাটিং গড় ২২.৭৩ ১৯.৯০
১০০/৫০ ০/৭ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৯৩ ৭৬
বল করেছে ১২৬ ৯০
উইকেট
বোলিং গড় ৮৪.০০ ৩৭.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৪০ ১/১৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৩/– ১৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ নভেম্বর ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন গেভিন রেনি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত গেভিন রেনি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বুলাওয়ের গেভিন রেনি বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ধীরস্থির মস্তিষ্কের অধিকারী ছিলেন। ইনিংসের সূচনালগ্নে কিংবা মাঝারিসারিতে সামনের পায়ে ও পিছনের পায়ে সমানভাব বজায় রেখে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। লম্বা বাহুর অধিকারী হিসেবে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটেই কেবল বোলিংয়ে সফলতা পেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৩ টেস্ট ও ৪০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে হারারেতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ তারিখে নাগপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সহোদর একদিনের আন্তর্জাতিকে জন রেনি পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে দলে যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ভ্রাতা একত্রে খেলেন। এরফলে স্ট্র্যাং ও ফ্লাওয়ার - এই তিন জোড়া ভ্রাতৃদ্বয়ের সাথে একত্রে খেলে ইতিহাস গড়েন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমেও এ ত্রি-জোড়া একত্রে খেলেছিলেন।[১] গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের সাথে ওডিআইয়ের ২য় উইকেটে ১৫০ রানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের জিম্বাবুয়ীয় রেকর্ড গড়েন।[২]

টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটা বেশ দূর্দান্ত হয়েছিল তার। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের প্রথমে চার টেস্টের প্রত্যেক ইনিংসেই অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, কোন টেস্টেই সেঞ্চুরি করার সৌভাগ্য হয়নি তার। তবে, একবার নব্বুই রানের কোটা স্পর্শ করেছিলেন। ২০০০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৩ রান সংগ্রহ করেন। পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে ২৩ টেস্টে অংশগ্রহণ করে প্রত্যেক ইনিংসে সর্বাধিকসংখ্যক অংশ নেয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।[৩] ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। এ সফরেই প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে দল বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ে কৃতিত্ব দেখায়।

অবসর সম্পাদনা

মাত্র ২৭ বছর বয়সে ২০০৩ সালে গেভিন রেনি চুক্তি নবায়ণ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায় জগতে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তিনি জিম্বাবুয়েভিত্তিক সাফারি ক্যাম্পের যৌথ স্বত্ত্বাধিকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান তিনি। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা জন রেনি জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. First Test match, Zimbabwe v New Zealand, Wisden Cricketers' Almanack, 1999. Retrieved 2019-08-09.
  2. "Cricket Records | Records | / | Zimbabwe | One-Day Internationals | Highest partnerships by wicket | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১২ 
  3. Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley। পৃষ্ঠা 434। আইএসবিএন 0947540067 
  4. CricInfo

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা