খোশনূর আলমগীর
খোশনূর আলমগীর একজন বাংলাদেশী গীতিকার, কবি এবং ঔপন্যাসিক। চলচ্চিত্রের জন্য যেমন দায়ী কে?(১৯৮৭), গরীবের বউ (১৯৯০), বাংলার বধূ (১৯৯৩) ইত্যাদি[১] ছবিতে গানের কথা লিখেছেন তিনি।
খোশনূর আলমগীর | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫৫ (বয়স ৬৮–৬৯) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | কবি, চলচ্চিত্র-গীতিকার |
কর্মজীবন | ১৯৮৭–বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ঝুমকা (১৯৮১) ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯) গরীবের বউ (১৯৯০) |
দাম্পত্য সঙ্গী | আলমগীর (১৯৭২–১৯৯৯) (বি.) |
সন্তান | আঁখি আলমগীর, ছাড়াও এক মেয়ে এক ছেলে আছে |
জীবনের প্রথমার্ধ
সম্পাদনাজনপ্রিয় লেখিকা জোবাইদা খাতুনের (১৯২৩-২০১৬) ঘরে খোশনূরের জন্ম। তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাকবি হিসেবে খোশনূরের কর্মজীবন শুরু হয়। পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তিনি ‘দৈনিক ইত্তেফাক’, ‘দৈনিক বাংলা’ এবং ‘সাম্পান’-এর মতো পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে তার কাব্যজীবন শুরু করেন। পরে তিনি চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখতে শুরু করেন। ঝুমকা (১৯৮১) ছবিতে সুরকার আলম খান তাকে প্রথম সুযোগ দেন। তিনি সাবিনা ইয়াসমিন এবং সৈয়দ আবদুল হাদীর জন্য “বিচারপতির বিচার হবে” গানটি লিখেছেন। গানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৯ সালে, তিনি ক্ষতিপূরণ চলচ্চিত্রে তিনটি হিট গান লিখেছিলেন - “এই দুটি ছোট্ট হাত”, “এই পথ চলি একা” এবং “এ যে দারুণ জ্বালা”, শেষেরটি গেয়েছিলেন রুনা লায়লা এবং অন্য দুটি গান গেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ৫০০টিরও বেশি গান লিখেছেন।[২] চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি অ্যালবামের জন্য গান লিখেছেন। তিনি প্রায় ২৫টি গান লিখেছেন যা তার মেয়ে আঁখি আলমগীর গেয়েছেন। শওকত আলী ইমনের সুরে আঁখির স্টুডিও অ্যালবাম তোমার কাছে’র শিরোনাম গানটি তিনি লিখেছেন।[৩]
একজন লেখিকা হিসেবে তিনি শিশু সাহিত্য, কবিতা ও উপন্যাসের ৫৫টিরও বেশি বই লিখেছেন।[২] তিনি অনুপ্রাস নামে কবিদের একটি জাতীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[২] ১৯৯৩ সালে, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান তার আসন্ন চলচ্চিত্র কেয়ামত থেকে কেয়ামতের জন্য একজন নতুন অভিনেতার সন্ধানে ছিলেন, গীতিকার খোশনূর তার স্বল্প পরিচিত মডেল সালমান শাহকে সুপারিশ করেছিলেন। ছবিটি মুক্তির পর তারকা বনে যান সালমান শাহ।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাখোশনূর ১৯৭৩ সালে আলমগীরকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা রয়েছে, আঁখি আলমগীর যার জন্ম ১৯ জানুয়ারি ১৯৭৪ সালে। আঁখি আলমগীর শিশুশিল্পী থেকে বর্তমানে একজন বিশিষ্ট গায়িকা এবং ২০১৮ সালে সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়কের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে আলমগীর ও খোশনূরের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং সে বছরই গায়িকা রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন তিনি।[২]
চলচ্চিত্র
সম্পাদনাগীতিকার
সম্পাদনা- ঝুমকা (১৯৮১)
- দায়ী কে? (১৯৮৭)
- ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯)
- বউমা (১৯৮৯)
- দাঙ্গা ফ্যাসাদ (১৯৯০)
- আন্ধো বিশ্বাস (১৯৯২)
- মায়ের আশির্বাদ (১৯৯৩)
- মায়ের দোয়া (১৯৯৩)
- অবুঝ সন্তান (১৯৯৩)
- চাঁদনী রাতে (১৯৯৩)
- নির্মম (১৯৯৬) [৫]
প্রযোজক
সম্পাদনা- নিষ্পাপ (1986)
- ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯)
- বউমা (১৯৮৯)
- ক্ষমা (১৯৯২)
- মায়ের দোয়া (১৯৯৩)
- নাচ নাগিনা নাচ (১৯৯৩)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মা-বাবাকে মিস করছেন আঁখি। Dhaka Times।
- ↑ ক খ গ ঘ তিন প্রজন্মের মেলবন্ধন...। Bangladesh Pratidin।
- ↑ মায়ের প্রিয় গান। Kaler Kantho।
- ↑ নব্বই দশকের তরুণীদের স্বপ্নের নায়ক সালমান। Risingbd.com।
- ↑ Nirmom (1996) movie songs
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে খোশনূর আলমগীর (ইংরেজি)