কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুষ্টিয়া পৌরসভায় অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৮৭৬ সালে।[১]
কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
![]() প্রাতিষ্ঠানিক লোগো | |
ঠিকানা | |
![]() | |
মজমপুর , ৭০০০ | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১২ জুলাই ১৮৭৬ |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর |
বিদ্যালয় জেলা | কুষ্টিয়া |
সেশন | জানুয়ারি–ডিসেম্বর |
ইআইআইএন | ১১৭৭৫৯ |
প্রধান শিক্ষক | মহাঃ মোজাম্মেল হক |
অনুষদ | বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৫৮ |
শ্রেণি | ৩য়–১০ম |
লিঙ্গ | বালিকা |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে |
রং | লাল, নীল এবং সাদা |
ওয়েবসাইট | kusgghs |
![]() এনএস রোড থেকে বিদ্যালয়ের সামনের দিক |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাবু রামলাল সাহা ও স্থানীয় অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন সেই ব্রিটিশ শাসনামলেই। ১৮৭৬ সালে বিদ্যালয়টিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে তৎকালীন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এর নামকরণ করেন "চারুলতা বালিকা বিদ্যালয়।" স্বাধীনতার পর বিদ্যালয়ের পুনঃনামকরণ করে বর্তমান নামে রাখা হয়।[১]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাবিদ্যালয়টিতে শুধুমাত্র মেয়েদের অধ্যয়নের সুযোগ থাকে। মূলত, বিদ্যালয়টি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয়।
ইউনিফর্ম
সম্পাদনা- প্রাথমিক শাখার লাল কামিজ , কামিজের উপর সাদা ক্রস বেল্ট , কোমরে সাদা বেল্ট এবং সাদা কেডস্
- মাধ্যমিক শাখার নীল কামিজ , কামিজের উপর সাদা ক্রস বেল্ট , কোমরে সাদা বেল্ট , সাদা অ্যাপ্রোন এবং সাদা কেডস্
ফলাফল
সম্পাদনাবিদ্যালয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পাশের হারের তালিকাঃ[২]
সাল | পরীক্ষার নাম | পরীক্ষার্থী | উত্তীর্ণ | পাশের হার |
---|---|---|---|---|
২০১৯ | এসএসসি | ৩১১ | ৩০৭ | ৯৮.৭১ |
২০২০ | এসএসসি | ৩৫২ | ৩৩৯ | ৯৬.৩১ |
২০২১ | এসএসসি | ২৯৭ | ২৯৫ | ৯৯.৩৩ |
ল্যাবরেটরি
সম্পাদনাবিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য রয়েছে ল্যাব। এসব ল্যাবে বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক বিষয়ে জ্ঞান লাভের জন্য এসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়।
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাবিদ্যালয়টিতে রয়েছে বিশাল একটি গ্রন্থাগার। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নামী-দামী কয়েক হাজার বই। শিক্ষার্থীরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে বসে পড়তে পারে এবং তাদের পছন্দের বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে পারে।
খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড
সম্পাদনাশিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য মাঠ রয়েছে, যা মূল ভবনের সামনেই অবস্থিত। মাঠটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃশ্রেণী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃহাউজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনে ব্যবহৃত হয়। বছরজুড়েই বিদ্যালয়ে নানা রকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পালন করা হয়। শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, জাতির জনকের জন্মদিন ও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়। বর্ষবরণ, বাসন্তী উৎসব ইত্যাদি নানা রকম অনুষ্ঠান শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্মিলিতভাবে পালন করে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাকুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম সাফল্যের সাথে পরিচালিত হয়।
ক্লাব কথন
সম্পাদনা- আইসিটি ক্লাব
- বিজ্ঞান ক্লাব
- বিতর্ক ক্লাব
- সংগীত ও নাট্য ক্লাব
- ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব
অন্যান্য কার্যক্রম
সম্পাদনা- বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত বইপড়া কর্মসূচি
- ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত বইপড়া কর্মসূচি
- বিএনসিসি
- গার্লস্ গাইড
- স্কাউট
- রেড ক্রিসেন্ট
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- ফরিদা পারভীন, বাংলাদেশী সংঙ্গীতশিল্পী
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "পরিক্রমা, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা"। kusgghs.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৪।
- ↑ "ফলাফল"। banbeis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৪।