গার্ল গাইডিং

গার্লস গাইড বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৮ সালে

গার্ল গাইডিং হলো একটি আন্তর্জাতিক, অরাজনৈতিক, শিক্ষা ও সমাজ সেবামূলক যুবা আন্দোলন। স্বাস্থ্য ও চরিত্ৰ গঠনে এবং মানবিক গুণাবলি বিকাশে এবং একজন বালিকা বা কিশোরীকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আন্দোলনের সৃষ্টি।

যুক্তরাজ্যের কয়েকজন গার্ল গাইড , ১৯১৮

পটভূমি

সম্পাদনা

লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউট ও গাইড আন্দোলনের প্ৰতিষ্ঠাতা। তিনি জাতিতে একজন ইংরেজ এবং পেশায় একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি মেয়েদের নিয়ে স্কাউট আন্দোলন আরম্ভ করার জন্য তার বোন এ্যাগনেস ব্যাডেন পাওয়েলকে অনুরোধ জানান। এতে তিনি উত্‍সাহিত হয়ে এই আন্দোলন শুরু করেন। এরপর তার স্ত্ৰী অলিভ লেডী ব্যাডেন পাওয়েল গাইড আন্দোলনকে ফলপ্ৰসূ করে তোলেন এবং এই আন্দোলনকে সম্প্ৰসারিত করার জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী ভ্ৰমণ করেন। এর উন্নয়নের জন্য এবং এই আন্দোলনটিকে জনপ্ৰিয় করে তোলার জন্য তিনি বিশ্বনন্দিত হন। এরপর আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে এই গার্ল গাইডিং আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯১০ সালে গার্লগাইড প্রতিষ্ঠিত হয়।

গার্ল গাইডিং এর প্ৰতিজ্ঞা ও নিয়মাবলী

সম্পাদনা

গার্ল গাইডের প্ৰতিজ্ঞা

সম্পাদনা

আমি আমার আত্মসম্মানের ওপর নির্ভর করে প্ৰতিজ্ঞা করছি যে-

  1. আমি যথাসাধ্য স্ৰষ্টা ও দেশের প্ৰতি আমার কর্তব্য পালন করিব।
  2. সর্বদা পরের উপকার করিব।
  3. গাইডের নিয়মাবলি মানিয়া চলিব।[]

গার্ল গাইডের নিয়মাবলী

সম্পাদনা

গাইডের জন্য ১০টি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী আছে। সেগুলো তাদের মানতে হয় এবং নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে হয়।

  1. গাইডেরর আত্মমর্যাদা নির্ভরযোগ্য।
  2. গাইড বিশ্বস্ত
  3. গাইডের কর্তব্য নিজে কার্যোপযোগী হওয়া এবং অপরকে সাহায্য করা।
  4. গাইড সকলের বন্ধু এবং গাইড মাত্রই সকলের ভগ্নি।
  5. গাইড মাত্রই বিনয়ী।
  6. গাইড জীবের বন্ধু।
  7. গাইড আদেশ পালন করে।
  8. গাইড হাসিমুখে প্রতিকূল অবস্থার মোকাবেলা করে।
  9. গাইড মিতব্যয়ী।
  10. গাইড কথা, কাজে ও চিন্তায় নির্মল।

গার্ল গাইডিং এর মূলমন্ত্ৰ

সম্পাদনা

গার্ল গাইডিং এর মূলমন্ত্ৰ হলোঃ সদা প্ৰস্তুত থাকা। এর অর্থ- একজন গাইড, তার মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে এমনভাবে উপযুক্ত ও উপযোগী থাকবে, যাতে করে সে, যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারে।[]

গার্ল গাইডের বিশ্ব পতাকা

সম্পাদনা

গার্ল গাইডের বিশ্ব সংগীত

সম্পাদনা
 
২০০৭ সালে জার্মানিতে গাইডরা সংগীত পরিবেশন করছে

সারা বিশ্বে গাইডেরর জন্য একটি অনুুমোদিত সংগীত আছে।এটি তারা তাদের নিজ নিজ অনুষ্ঠানে এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে পরিবেশন করে থাকে।

গার্ল গাইডের পোশাক

সম্পাদনা

গার্ল গাইডদের পোশাক হলো কলারসহ ফুলহাতা সাদা কামিজ, সাদা পায়জামা, সাদা বেল্ট, সবুজ ওড়না ও সবুজ স্কার্ফ, সাদা কেডস। এছাড়াও তাদের চুলে সাদা ফিতা বা রাবার ব্যান্ড দিয়ে দুটি কলা বেণী বাঁধা থাকে।

গার্ল গাইডের কর্মসূচী

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, সপ্তম শ্ৰেণী, ৫ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ৮৬
  2. শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, সপ্তম শ্ৰেণী, ৫ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ৮৮

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা