ওয়াজিল খান

সুলতানী আমলে বাকলার হাকিম

উজায়ের খান (ফার্সি: عزیر خان), যিনি ওয়াজিল খান নামে পরিচিত,[১] সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহের শাসনামলে বাংলা সালতানাতের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাকলার (বর্তমান বরিশাল, বাংলাদেশ ) নিযুক্ত খান-ই-আজম ছিলেন। [২]

খান-ই-আজম
ওয়াজিল খাঁন
عزیر خان
১৪৬৫
বাকলার হাকিম
সার্বভৌম শাসকবারবক শাহ
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ ওয়াজিল খান কর্তৃক প্রবর্তিত।

পটভূমি সম্পাদনা

বলা হয় যে ওয়াজিল খান ছিলেন একজন আরব সওদাগর এবং খলিফাতাবাদের খান-ই-আজম খান জাহান আলীর অনুসারী।[৩] খান জাহান আলীকে খলিফাতাবাদের স্থাপত্য উন্নয়নের জন্য এবং বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।[৪] খান জাহান আলী পরে ওয়াজিল খানের নেতৃত্বে তার কিছু অনুসারীদের একটি দলকে ছড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। এরপর ওয়াজিল খান নৌকায় চলে যশোরের শেখেরঘাট থেকে চন্দ্রদ্বীপের গৌরনদীতে গিয়ে বসতি স্থাপন করেন। [৫]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ওয়াজিল খান ইলিয়াস শাহী খান্দানের সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহ (র. ১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রীঃ) এর অধীনে একজন কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাকলা অঞ্চলে (বর্তমান বরিশাল, বাংলাদেশ ) নিযুক্ত ছিলেন। ৮৭০ হিজরিতে (১৪৬৫-১৪৬৬ খ্রীঃ), তিনি বর্তমান পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি শাহী মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] মসজিদটিকে এই বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের প্রাচীনতম মসজিদ এবং প্রাচীনতম ইট-কাঠামো ইমারত বলে মনে করা হয়। [৭]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Ujjal, Ghulam Ashraf Khan (১১ জুলাই ২০১৫)। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর প্রাচীন মসজিদSamakal 
  2. Bangladesh DirectoryTimes Publications। ১৯৯৮। 
  3. Bulbul, Saiful Ahsan (২০১২)। "মসজিদবাড়ির মসজিদ, মির্জাগঞ্জ" [The mosque of Masjidbari, Mirzaganj]। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। Gotidhara। 
  4. CyArk। "Who Was Khan Jahan Ali?"Google Arts and Culture। ICOMOS Working Group on Cultural Heritage and Climate Change। 
  5. Amin, Ruhul। "খানজাহান আলী ও বিদ্যানন্দকাটী খানজাহান দীঘি"Panjia College 
  6. Khan, Ahmad Nabi (২০০৩)। Islamic Architecture in South Asia: Pakistan, India, BangladeshOxford University Press। পৃষ্ঠা 124আইএসবিএন 9780195790658 
  7. Ahmad Hasan Dani"Analysis of the Inscriptions"Asiatic Society Of Pakistan Vol-ii