অটিস গিবসন
অটিস ডেলরয় গিবসন (ইংরেজি: Ottis Gibson; জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৬৯) বার্বাডোসের সেন্ট পিটার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। পেস বোলার হিসেবে পুরনো ক্রিকেট বলে দারুণ চমক দেখাতে পারতেন অটিস গিবসন। তিনি অস্থায়ীভাবে ইংল্যান্ড দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১][২] এর পূর্বে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল মেয়াদকালে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন।[৩] বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অটিস ডেলরয় গিবসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট পিটার, বার্বাডোস, বার্বাডোস | ১৬ মার্চ ১৯৬৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১০) | ২২ জুন ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ জানুয়ারি ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৩) | ২৮ মে ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ মে ১৯৯৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬–২০০৭ | ডারহাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০০৫ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–২০০১ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮–২০০০ | গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪–১৯৯৬ | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২–১৯৯৫ | বর্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০–১৯৯৮ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ |
খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের হয়ে গিবসন মাত্র দু’টি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ২২ জুন, ১৯৯৫ তারিখে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও ড্যারেন গফের উইকেট লাভ করেছিলেন। ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি করেছেন ২৯ ও ১৪ রান। ঐ টেস্টে তার দল ৭২ রানের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।[৪]
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নিয়ে কেবলমাত্র জ্যাক ক্যালিসের উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ঐ খেলায় তার সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে। খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৯ রানে বিজয়ী হয়েছিল।[৫]
কোচিং জীবন সম্পাদনা
দক্ষিণ আফ্রিকায় অ্যালান ডোনাল্ডের ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকায় গিবসনকে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ তারিখে ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে মনোনীত করা হয় ও শ্রীলঙ্কায় একদিনের সিরিজে দলের সাথে গমন করেন তিনি।[৬] সিরিজ শেষে তাকে ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে দেয়া হয়। এরফলে তার খেলোয়াড়ী জীবন কার্যত শেষ হয়ে যায়।[৭]
তার পূর্বে দুই মৌসুমে ন্যাশনাল একাডেমিতে পিটার মুরেজের সাথে কাজ করেছেন।[৮] ৩০ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি ইংল্যান্ডের দায়িত্ব ত্যাগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।[৩] এরফলে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল মেয়াদকালে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন।[৩] কিন্তু ছয় মাস পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ডেভ ক্যামেরন কর্তৃক তিনি পদচ্যুত হন যা বিশ্বকাপের পূর্ব পর্যন্ত শূন্য ছিল।[৯] এরপর ২৬ মার্চ, ২০১৫ তারিখ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে পুনরায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১০] বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Ottis Gibson becomes England bowling coach for second time". BBC Sport. 26 March 2015. Retrieved 26 March 2015.
- ↑ McGlashan, Andrew (১৫ এপ্রিল ২০১৫)। "England on top despite Blackwood and Taylor"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Gibson leaves England for West Indies ESPN cricinfo, 2 February 2010
- ↑ England v. West Indies scorecard from www.cricinfo.com
- ↑ South Africa v. West Indies scorecard from www.cricinfo.com
- ↑ Gibson named England bowling coach for Sri Lanka tour from www.cricinfo.com
- ↑ Gibson takes England bowling role BBC Sport
- ↑ Gibson relishes new England role BBC Sport
- ↑ espncricinfo
- ↑ "gibson-named-fast-bowling-coach-windies-tour"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫।
আরও দেখুন সম্পাদনা
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অটিস গিবসন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অটিস গিবসন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)