এ কে এম সাদেক (১০ আগস্ট ১৯২৮–১৫ জুন ২০১৬) বাংলাদেশী বিচারপতি যিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক ও বাংলাদেশের ষষ্ঠ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন।[][]

এ কে এম সাদেক
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কাজের মেয়াদ
২৭ এপ্রিল ১৯৯৫ – ৬ এপ্রিল ১৯৯৬
পূর্বসূরীআবদুর রউফ
উত্তরসূরীমোহাম্মদ আবু হেনা
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বিভাগ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১০ আগস্ট ১৯২৮
কুমিল্লা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৫ জুন ২০১৬
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
সন্তানদুই ছেলে, দুই মেয়ে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবিচারক

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

এ কে এম সাদেক ১০ আগস্ট ১৯২৮ সালে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবু মুসা আহমেদ ও মাতা নায়েমা বেগম। ঢাকা কলেজ হতে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও এলএলবি ২টি বিষয়ে অনার্স করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

এ কে এম সাদেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। চার বছর তিনি আইন ব্যবসা করে পরে জুডিশিয়াল বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে মুন্সেফ হিসেবে সরকারী চাকরি জীবন শুরু করেন। অতঃপর এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে লাহোরে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে চাকরি করেন। বাংলাদেশ হওয়ার পর তিনি টাঙ্গাইলের ডিস্ট্রিক্ট জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসরের আগে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২৭ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পান এবং ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বিতর্কিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তার কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়৷[][] তিনি আইন কমিশনেরও সদস্য ছিলেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

এ কে এম সাদেক ১৫ জুন ২০১৬ সালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের কার্যকাল"www.ec.org.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  2. "ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন"ডয়চে ভেলে বাংলা। ৬ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  3. "বিচারপতি সাদেক আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ জুন ২০১৬। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১