আবদুর রউফ (বিচারপতি)
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ও বিচারপতি। তিনি অ্যাডভোকেট হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং তারপরে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। তারপরে তিনি আদালতের আপিল বিভাগের বিচারক হন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বর্তমানে ফারিস্ট ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কো লিমিটেড এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শরিয়াহ উপদেষ্টা। রাউফ জাতীয় শিশু সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | সরকারি কর্মচারী |
পূর্বসূরী | সুলতান হোসেন খান |
উত্তরসূরী | এ.কে.এম যাকারিয়া |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি পেয়ে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৫১ সালে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, আনন্দ মোহন কলেজ থেকে আই, এস, সি ও বি, এস, সি ডিগ্রী; সরকারি বৃত্তি নিয়ে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড ও এম এ, ইন এডুকেশন ডিগ্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এম,এ ও এল,এল,বি ডিগ্রী লাভ করেন।
কর্মজীবনসম্পাদনা
আবদুর রউফ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে তদানীন্তন ঢাকা হাইকোর্টে আইন-ব্যবসায় নিয়োজিত হন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২৯ জানুয়ারি ১৯৮২ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি পদে থাকাকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাকে ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেন, তিনি বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদ ত্যাগ করেন ও বিচারপতি এ কে এম সাদেক তার স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন।
পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন ও জুন ১৯৯৫ সালে আপীল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
বর্তমানে তিনি জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি।[১]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ফুলকুঁড়ির মাধ্যমেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল -বিচারপতি আবদুর রউফ"। দৈনিক সংগ্রাম। ২৩ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২২।