ডয়চে ভেলে বাংলা

ডয়চে ভেলের অধীনে বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত একটি বিভাগ

ডয়চে ভেলে বাংলা (জার্মান ভাষায় Deutsche Welle Bengali) জার্মানির প্রধান বেতার সার্ভিস ডয়চে ভেলের (Deutsche Welle, অর্থাৎ "জার্মান তরঙ্গ") বাংলাভাষী অনুষ্ঠান। এই বেতার সার্ভিসকে বলা হয় ইউরোপের হৃদয় থেকে। অনুষ্ঠানে জার্মানি, ইউরোপ-সহ বিশ্বের খবরাখবর পরিবেশন করা হয়।

ডয়চে ভেলে বাংলা
ধরনআন্তর্জাতিক গণমাধ্যম
দেশজার্মানি
প্রতিষ্ঠিত৩ মে ১৯৫৩
প্রধান কার্যালয়বার্লিন/বন, জার্মানি
প্রচারের স্থান
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক l
মালিকানাARD
আরম্ভের তারিখ
৩ মে ১৯৫৩
অন্তর্ভুক্তিবিশ্ব রেডিও নেটওয়ার্ক
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
ডিডাব্লিউ.ডিই

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৫৩ সালে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্র ডয়চে ভেলের প্রতিষ্ঠিত হয়। এই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, ইউরোপের কেন্দ্র থেকে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে নিরপেক্ষ, নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন তথ্য প্রদান৷

বাংলা বিভাগ প্রতিষ্ঠা

সম্পাদনা

ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ চালু হয় ১৯৭৫ সালে। প্রথম দিকে শর্ট ওয়েভে ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রচার করা হত। ২০১০ সালে বাংলাদেশে এফএম ব্যান্ডে অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে বেতার কেন্দ্রটি। এই বিভাগে প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন[][][]

জনপ্রিয় অনুষ্ঠান

সম্পাদনা

খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় টকশোটি ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান খালেদ মুহিইদ্দীন কর্তৃক পরিচালিত একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০। এটি প্রতি শুক্রবার সরাসরি 'DW খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সম্পসার করা হয়। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন উঠলেও পরবর্তীতে এটি বন্ধ করা হয়নি।[][][] খালেদ মুহিউদ্দীন ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ডয়চে ভেলে বাংলা ছেড়ে যান এবং এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।[][]

ওয়েবসাইট

সম্পাদনা

ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে জার্মানি ও বিশ্বের খবর প্রকাশ করা হয়এবং ই-মেইল ব্যবহারকারীদেরকে নিউজলেটার প্রদানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়েবসাইটে জার্মান ভাষা শেখার জন্য অনেক বাংলাভাষী ব্যবস্থা আছে। ডয়চে ভেলেতে সুপ্রভাত বন, এখানে সেখানে, জার্মানি প্রতিদিন, ভাষাশিক্ষার আসর, ক্রীড়াঙ্গন ছাড়াও আরও অনেক প্রোগ্রাম শোনা যায়।

বাংলা ছাড়াও ডয়চে ভেলের অনেক ভাষার অনুষ্ঠান আছে, আর ইংরেজি, জার্মান, আরবিস্পেনীয় ভাষায় অনলাইন টিভিও দেখা যায়।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বিভাগ ও কর্মীরা"ডয়চে ভেলে। ১৭ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "খালেদ মুহিউদ্দিন"। ডয়চে ভেল। ৭ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯ 
  3. "ডয়চে ভেলের নতুন শো 'খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'"dw.com। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০২০ 
  4. bvnews24.com। "বন্ধ হচ্ছে না 'খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো"BVNEWS24 || বিভিনিউজ২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-৩০ 
  5. Welle (www.dw.com), Deutsche। "'খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' নিয়ে পাঠকদের ভাবনা"DW.COM। ২০২০-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-৩০ 
  6. "'খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' বন্ধ হচ্ছে না"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-৩০ 
  7. "খালেদ মুহিউদ্দিন ডয়চে ভেলে বাংলা ছাড়ছেন"Dhakatimes News। ১৬ জুলাই ২০২৪। 
  8. "নতুন 'ঠিকানায়' খালেদ মুহিউদ্দীন"দৈনিক আমাদের সময়। ১৬ আগস্ট ২০২৪।