খালেদ মুহিউদ্দীন
খালেদ মুহিউদ্দীন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক ও লেখক যিনি বর্তমানে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[২][৩] তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের টকশো আজকের বাংলাদেশের উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পান।[৪][৫] ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা-তে প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৬]
খালেদ মুহিউদ্দীন | |
---|---|
![]() ২০১৯ সালে খালেদ | |
জন্ম | কুমিল্লা , বাংলাদেশ পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা মুরাদনগর ![]() | ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪
পেশা | সাংবাদিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক স্নাতকোত্তর |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
সময়কাল | ১৯৯৩ – বর্তমান |
দাম্পত্যসঙ্গী | ফারহানা শাওন |
সন্তান | ১ কন্যা[১] |
স্বাক্ষর | |
![]() |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাখালেদ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস কুমিল্লায়। ২০০১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএফআইসি ব্যাংক কর্মকর্তা ফারহানা শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কর্মরত অবস্থায় স্ত্রী ফারহানা শাওন ও কন্যাকে নিয়ে ঢাকার মিরপুরে কিছুকাল বসবাস করেন।তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়।[৭][৮]
শিক্ষা ও শিক্ষকতা
সম্পাদনাখালেদ মুহিউদ্দীন ১৯৯০ সালে নৌবাহিনী কলেজ, ঢাকা (তৎকালীন বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল ঢাকা) থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। এ বিভাগে খণ্ড-কালীন শিক্ষকতা করেন। এছাড়া তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৩ – ২০০৪ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[৭]
কর্মজীবন
সম্পাদনাসাংবাদিকতা দিয়ে তার পেশা জীবন শুরু হলেও খালেদ কয়েক মাস বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দৈনিক প্রথম আলোর নগর পাতা সম্পাদক এবং পত্রিকাটির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে আইন আদালত, খনিজ সম্পদ বিষয়ে প্রতিবেদন করেন। এছাড়া প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতার পরিকল্পনা ও সম্পাদনায় নিযুক্ত ছিলেন। কিছুকাল তিনি অনলাইন সংবাদপত্র ও বেসরকারি সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ২৪ডটকমে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাপ্তাহিক কাগজ ও মিডিয়া ওয়াচের সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের সংবাদ ভিত্তিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে ৭ বছর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একই চ্যানেলের টক-শো ‘আজকের বাংলাদেশ’ উপস্থাপনা করেছেন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সাংবাদিক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে এডওয়ার্ড আর মুরো ফেলো হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশীপ প্রোগ্রামে যোগ দেন। ২০০৮-২০০৯ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শক ছিলেন।[৭][৯][১০] তিনি ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।[১১] ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা-তে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন।[৬]
প্রকাশিত বই
সম্পাদনাখালেদ মুহিউদ্দীনের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে অধ্যাপক এ এস এম আসাদুজ্জামানের সাথে যৌথভাবে লেখা যোগাযোগের ধারণা ও যোগাযোগের তত্ত্ব শিরোনামের দুটি বই রয়েছে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।[১২][১৩] প্রকাশিত বইগুলো হলো:[৭]
- যোগাযোগের ধারণা
- যোগাযোগের তত্ত্ব
- কয়েকজন আমি
- এক মিলেনিয়াম আগের গল্প
- আমিনুল্লাহর একদিন’
- ১৪১৯- গল্পগ্রন্থ
- মানুষী দুর্বলতা
- ভ্রমণকাহিনী ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল’
- কন্ট্রোল সি কন্ট্রোল ভি[১৪]
- "মুখোমুখি খালেদ মহিউদ্দিন"
আরও পড়ুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "পোড়া ফর্মুলা : খালেদ মুহিউদ্দীন"। আমাদের সময়। ১৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "খালেদ মুহিউদ্দিন"। ডয়চে ভেল। ৭ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "সাংবাদিকতায় ঝোঁকের কারণেই ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি ছেড়েছি: খালেদ মুহিউদ্দীন (সাক্ষাতকার)"। প্রিয়.কম। ১৩ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Independent Television (২০১৯-০৫-১৫)। "আনকাট খালেদ মুহিউদ্দীন || UNCUT khaled Muhiuddin"।
- ↑ "Khaled Mohiuddin Independent Chanel"। World News। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ "'ঠিকানা'–তে যোগ দিলেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন"। ইত্তেফাক। ১৬ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "খালেদ মুহিউদ্দিন"। দৈনিক দেশে বিদেশে (কানাডা থেকে প্রকাশিত)। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশের জনপ্রিয় দশ সাংবাদিক"। এসডি এশিয়া। ১৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "'সেন্সরশিপের জন্য শুধু সরকার দায়ী নয়' (খালেদ মুহিউদ্দীন সাক্ষতকার)"। ডয়চে ভেলে। ১২ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের আলোচনা"। দৈনিক প্রথম আলো। ১২ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "ডয়চে ভেলে বাংলা ছাড়ছেন খালেদ মুহিউদ্দিন"। আজকের পত্রিকা। ১৪ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Curriculum for Bachelor of Social Science (BSS) programme in Mass Communication and Journalism"। ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "BSS Syllabus । Mass Communication And Journalism । University Of Barisal"। ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "বইমেলায় খালেদ মুহিউদ্দীনের উপন্যাস 'কন্ট্রোল সি কন্ট্রোল ভি'"। প্রিয়.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে খালেদ মুহিউদ্দীন সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।