এস. এ. বারী
এস. এ. বারী এটি (২৮ মার্চ ১৯২৭ - ৩ মার্চ ১৯৮৭)[১] একজন রাজনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় জীবনে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[২][৩]
এস এ বারী এ.টি | |
---|---|
বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৩ আগস্ট ১৯৭৯ – ২৭ নভেম্বর ১৯৮১ | |
পূর্বসূরী | জামাল উদ্দিন আহমেদ |
উত্তরসূরী | এম এ মতিন |
দিনাজপুর-৮ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | শাহ মাহাতাব আহমদ |
উত্তরসূরী | আসন বিলুপ্ত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৮ মার্চ ১৯২৭ দিনাজপুর জেলা |
মৃত্যু | ৩ মার্চ ১৯৮৭ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | উম্মে সাহারা |
পিতামাতা | মোহাম্মদ তাইমুর (পিতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০২) |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাএস. এ. বারী ২৮ মার্চ ১৯২৭ সালে দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ তাইমুর। তার স্ত্রী উম্মে সাহারা।
কর্মজীবন
সম্পাদনাএস. এ. বারী ১৯৬১ সালে দিনাজপুর বারের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি দিনাজপুর আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাএস.এ বারী ১৯৪১ সাল থেকে প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি সিভিল লিবার্টি লীগের সদস্য হন। তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।
বারী ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ “ডাকসু”-এর ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত প্রথম ভিপি (সহ-সভাপতি)।[৪] ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। ১৯৫৫ সালে তিনি কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ছাত্র সম্মেলনের আহবায়ক এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের তিনি অন্যতম সংগঠক। এ সময় তিনি মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) রাজনীতিতে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুজিববাহিনীর ডালিমগা ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ভারতীয় শরণার্থী শিবিরে ত্রাণকার্যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।
তিনি ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ১৯৮৭ সালের ৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
পুরস্কার ও সম্মননা
সম্পাদনাএদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৫][৬][৭] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এস এ বারীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। দৈনিক নয়াদিগন্ত অনলাইন। ৩ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "'ডাকসু' ও 'ডাকসু সংগ্রহশালা': ইতিহাস আর প্রজন্মস্মৃতির ধারক"। প্রিয়.কম অনলাইন। ১৪ জুলাই ২০১৪। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭।