এস. এম. গোলাম ফারুক

বাংলাদেশি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা

এস. এম. গোলাম ফারুক একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা যিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।[] ইতিপূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করেন।[] এর আগে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

এস. এম. গোলাম ফারুক
সদস্য
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
কাজের মেয়াদ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ – ৮ অক্টোবর ২০২৪[]
নিয়োগদাতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতিমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
সিনিয়র সচিব
স্থানীয় সরকার বিভাগ
কাজের মেয়াদ
১৩ নভেম্বর ২০১৮ – ২৯ মে ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীড. জাফর আহমেদ খান
উত্তরসূরীহেলালুদ্দীন আহমদ
সচিব
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ – ১৩ নভেম্বর ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
উত্তরসূরীমহিবুল হক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1960-06-01) ১ জুন ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
শরীয়তপুর, পূর্ব পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
সন্তানদুই পুত্র
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাসরকারী কর্মকর্তা

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

এস.এম. গোলাম ফারুক ১ জুন ১৯৬০ সালের শরীয়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৯৮১ বিএসএস ও ১৯৮২ সালে এমএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ইনস্টিটিউট, চীনের ন্যাশনাল স্কুল অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

গোলাম ফারুক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে ১৯৮৩ সালে যোগদান করেন। তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যুগ্মসচিব হিসেবে তিনি শিল্পজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।[][]

ফারুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালকসহ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাঠ প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে ১২ নভেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে ১২ নভেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[][]

এর পূর্বে তিনি ১৬ এপ্রিল ২০১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ পদে যোগদানের পূর্বে তিনি  তদপূর্বে তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সরকারের সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[][]

তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য নিযুক্ত হন।[][]

২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর তিনি পিএসসি'র সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "পিএসসি চেয়ারম্যানসহ পদত্যাগ করলেন ১২ সদস্য"প্রথম আলো। ২০২৪-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৭ 
  2. "সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুক"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৮ জানুয়ারি ২০১৯। ২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানু ২০২০ 
  3. "এস এম গোলাম ফারুক-বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব"priyo.com। ১ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. রিপোর্টার, স্টাফ। "১২ অতিরিক্ত সচিবকে জনপ্রশাসনে ন্যস্ত"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৩ 
  5. "পিএসসি'র সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন গোলাম ফারুক"চ্যানেল আই অনলাইন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  6. "পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন গোলাম ফারুক"জাগো নিউজ। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  7. "পিএসসি সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন এস এম গোলাম ফারুক | রাজধানী"ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৩ 
  8. BanglaNews24.com। "শপথ নিলেন পিএসসির নতুন সদস্য গোলাম ফারুক"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৩