ইরানি বিপ্লব
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(আগস্ট ২০১৬) |
ইরানি বিপ্লব (যা ইসলামি বিপ্লব বা ১৯৭৯ সালের বিপ্লব নামেও পরিচিত)[৩][৪][৫][৬][৭][৮] হচ্ছে ১৯৭৯ সালে ঘটা একটি যুগান্তকারী বিপ্লব যেটা ইরানকে পাশ্চাত্যপন্থি দেশ থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রে পরিণত করে। এ বিপ্লবকে বলা হয় ফরাসি এবং বলশেভিক বিপ্লবের পর ইতিহাসের তৃতীয় মহান বিপ্লব।
ইসলামিক বিপ্লব (ইরানি বিপ্লব, ১৯৭৯-র বিপ্লব) انقلاب اسلامی | |||
---|---|---|---|
তারিখ | জানুয়ারি ১৯৭৮ – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ | ||
অবস্থান | |||
কারণ |
| ||
লক্ষ্য | পালভী রাজবংশকে পরাস্ত করা | ||
পদ্ধতি | |||
ফলাফল |
| ||
পক্ষ | |||
| |||
নেতৃত্ব দানকারী | |||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||
3,164-60,000 killed in demonstrations[১][২] |
ঘটনা
৪০ বছর আগে আয়াতোল্লাহ খোমেনি ফ্রান্সে তার নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফিরে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল সেটি। প্যারিসের বাইরে নফলে-ল্য শাতো নামের গ্রামটিতে থাকতেন আয়াতোল্লাহ খোমেনি। সেখানে বসেই ইরানে তার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। গত ৪০ বছরে গ্রামটির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। শুধু আয়াতোল্লার প্রস্থানের কিছুদিন পরেই তার আস্তানাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। নফেলের তেমন পরিবর্তন না হলেও গত ৪০ বছরে এই গ্রামের বাইরের বিশ্ব অনেক বদলে গেছে। এবং চার দশক আগে এই গ্রামে নীরবে নিভৃতে যা হয়েছিল, বিশ্বের পরিবর্তনের পেছনে তার ভূমিকা অনেক। ভুল সিদ্ধান্ত এবং বিপর্যয় ১৯৭৮ সালে ইরানে যখন চরম অস্থিরতা এবং সহিংসতা শুরু হয়, আয়াতোল্লাহ খোমেনি তখন ইরাকে শিয়াদের পবিত্র নগরী নাজাফে কড়া পাহারায় নির্বাসিত জীবনে ছিলেন।
ইরাকে তখন সাদ্দাম হোসেনের শাসন। । ইরানের শাহ আয়াতোল্লাহ খোমেনিকে ইরাক থেকে বহিষ্কারের জন্য সাদ্দাম হোসেনকে অনুরোধ করেন। চরম ভুল করেছিলেন শাহ। বহিষ্কৃত আয়াতোল্লাহ ফ্রান্সে পাড়ি জমালেন এবং সেখান থেকে সহজে সারা পৃথিবীর উদ্দেশ্যে কথা বলার সুযোগ পেয়ে গেলেন। তার আপোষহীন এবং জোরালো সব বক্তব্যের কারণে দ্রুত তিনি সারা বিশ্বের নজর কাড়েন। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৯ সালে জানুয়ারিতে যখন শাহ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, আয়াতোল্লাহ দেশে ফেরার সুযোগ পান এবং ফিরেই রাজতন্ত্র উপড়ে ফেলেন। ভাড়া করা যে বিমানে করে তিনি প্যারিস থেকে তেহরানে এসেছিলেন, সেখানে বিবিসির জন সিম্পসন এবং তার এক ক্যামেরাম্যান টিকেট জোগাড় করতে পেরেছিলেন।
বিবিসি তখন মি সিম্পসনকে তেহরানে যেতে বারণ করেছিল, কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করেছিলেন। তবে সাথে সাথেই পরিণতি টের পেয়েছিলেন এই সাংবাদিক। মাঝ আকাশে আয়াতোল্লাহর একজন মুখপাত্র জানালেন যে ইরানের বিমান বাহিনী, যারা তখনও শাহ'র প্রতি অনুগত ছিল, পরিকল্পনা করছে আয়াতোল্লাহকে বহন করা বিমানটি ইরানের আকাশসীমায় ঢুকলেই সেটিকে গুলি করে নামানো হবে। সে কথা শুনে, বিমানে বিদেশী সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু বিমানটিতে আয়াতোল্লাহর বিপ্লবী যেসব সঙ্গী ছিলেন, তারা হাততালি দিতে শুরু করেন। কেউ কেউ আবেগে কাঁদতে শুরু করেন। তাদের বক্তব্য ছিল- শহীদ হওয়ার সুযোগ তারা পেয়েছেন। ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বিমানের প্রথম শ্রেণীতে বসে ছিলেন আয়াতোল্লাহ। সাংবাদিকরা তার কাছে গেলেন। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের দিকে নজর না দিয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলেন - এতদিন নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরতে তার কেমন লাগছে। আয়াতোল্লাহ উত্তর দেন - 'কিছুই মনে হচ্ছেনা'। বিমানটিকে গুলি করা হয়নি। কিন্তু বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে দীর্ঘ দেন-দরবার চলতে থাকার কারণে বিমানটি বেশ কিছুক্ষণ ধরে তেহরানের ওপর চক্কর খেয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত বিমনাটি নামে। এত মানুষ তাকে অভিবাদন জানাতে বিমানবন্দরে বাইরে হাজির হয়েছিল যে দেখে মনে হয়েছিল এত বড় জমায়েত বিশ্বে আর কোনোদিন কোথাও হয়নি। তারপরের ইতিহাস সবারই জানা। রাজতন্ত্র ধ্বংস হয়ে ইরানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো। মুসলিম বিশ্ব পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়লো এবং পশ্চিমা উদারপন্থার প্রধান চ্যালেঞ্জার হয়ে পড়লো আয়াতোল্লাহ খোমেনির নতুন ইরান। এই পুরো পরিকল্পনাটি করা হয়েছিল প্যারিসের বাইরে ছোট শান্ত একটি গ্রামে বসে।
প্রাথমিক অবস্থা
সম্পাদনাইরানের শেষ সম্রাট মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভী। দুনিয়ার সবচেয়ে পুরোনো, ঐতিহ্যবাহী আর প্রভাবশালী শাহী রক্তের ধারক ছিলেন তিনি। তার বংশ গত আড়াই হাজার বছর ধরে সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো। শুরুটা করেছিলেন তারই পূর্বপুরুষ মহান কুরুশ আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে। সেই বংশের শেষ সম্রাট ১৯৭৯ সালের ১৬ জানুয়ারি বিপ্লবী দেশবাসীর কাছে পরাজিত হয়ে মিশর পলায়ন করে। কিছু দশক আগে রেজা শাহ পাহলভী ছিলেন নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান। সর্বময় ক্ষমতা ছিলো পার্লামেন্টের হাতে এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সেই ক্ষমতা ভোগ করতেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরই ইরানে ব্যাপক আকারে তেল ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয় যার মালিক ছিলো ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো। ঠিক এই সময়টিতে মোসাদ্দেক নামক জনপ্রিয় এক রাজনৈতিক নেতা দেশের সব তেল সম্পদ জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ব্রিটেনে তখন উইনস্টন চার্চিল ক্ষমতায় আর যুক্তরাষ্ট্রে হেনরি ট্রুম্যান। মোসাদ্দেকের জয়লাভের ফলে দুই ক্ষমতাশালীর মাথায় বাজ পড়লো। শুরু হলো মুসাদ্দেককে ক্ষমতাচ্যুত করার নীল নকশা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‘এসআইএস’- লন্ডনে বসে যৌথ পরিকল্পনা করলো। প্রেসিডেন্ট থিউডর রুজভেল্টের নাতি কার্মিট রুজভেল্ট তখন সিআইএ প্রধান। তিনি উড়ে এলেন লন্ডনে। প্রণীত হলো অপারেশন ‘এ্যাজাক্স’ এর নীল নকশা। পরিকল্পনা মতে ইরানি সেনাবাহিনীতে ঘটানো হলো অভ্যুত্থান।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ মুসাদ্দেক পদচ্যুত হলেন। তার স্থানে আজ্ঞাবহ জেনারেল ফজলুল্লাহ জাহেদীকে নিয়োগ দেয়া হলো। কিন্তু মূল ক্ষমতা রাখা হলো ইঙ্গো মার্কিন সাম্রাজ্যের অণুগত শাহ মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভীর নিকট। এই ঘটনার একদিনের মাথায় সেনাবাহিনীতে একটি কাউন্টার অভ্যুত্থান হলো। অভ্যুত্থানকারীরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেককে উদ্ধার করলেন। অন্যদিকে শাহ পালিয়ে গেল বাগদাদে এবং তারপর ইতালিতে। কিন্তু এর দুই দিন পর আরো একটি রক্তাক্ত পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটানো হয় সেনাবাহিনীতে। ফলে মার্কিন-বৃটেনের নীল নকশা অপারেশন এ্যাজাক্স সফল হয় শতভাগ।
পরবর্তী
সম্পাদনাশাহ ইরানে ফিরে আসে চটজলদি। এসব ঘটনা ঘটেছিল ১৯৫৩ সালে। পতনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৭৯ সালের ১৬ ই জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নিরষ্কুশ সর্বময় ক্ষমতা ছিলো শাহের হাতে। তার ইঙ্গো-মার্কিন মদদ দাতারা অনবরত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলেন তাকে। ফলে তার পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রতিদিন রাজপথে শত শত মানুষকে গুলি করে মারছিলো। অথচ ১৯৫৩ সালের পর থেকে ইরানে যে অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছিলো তাতে জনগণের খুশি বা সন্তুষ্ট থাকার কথা ছিলো এবং তারা তা ছিলোনা। শাহের কতিপয় ব্যক্তিগত আচরণ, অভ্যাস আর পশ্চিমা সংস্কৃতির অবাধ প্রচলন দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধীরে ধীরে বিক্ষুদ্ধ করে তোলে। এই বিক্ষোভই অগ্নিগর্ভে রূপ নেয় ১৯৭৭ সালের শেষ দিকে। তেহরান শহরে কোন পাবলিক বাসে কোন ধর্মীয় লেবাযধারী মানুষ উঠলেই কনট্রাকটর টিটকারী করে বলতো- আমরা আলেম আর বেশ্যাদের বাসে চড়াই না।
শাহ নিজেও ছিলেন পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত। তার স্ত্রী, সন্তানরাও পশ্চিমা ধাঁচে চলতেন। শাহ এবং তার স্ত্রী সকল রাজকীয় অনুষ্ঠান এবং দেশী বিদেশী সরকারী অনুষ্ঠানসমূহে পশ্চিমাদের পোশাক পড়তেন। এসব কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ দিনকে দিন ফুঁসে উঠতে থাকেন। আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনী ছিলেন একজন অপরিচিত ধর্মীয় ইমাম। মুসলমানদের এই মনের কষ্ট তিনি বুঝতে পেরে ইরাকের পবিত্র নাজাফ শহরে একটি জনসভা আহ্বান করেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ হয় সেখানে। শাহের সরকার প্রথমে এই বিশাল সমাবেশকে মোটেই গুরুত্ব দিলেন না। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকলো দ্রুত। শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে বিক্ষুদ্ধ মুসলমানেরা নেমে এলো তেহরানের রাস্তায়। সংখ্যায় ছিলো তারা অগণিত। সেদিন ছিলো শুক্রবার। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ লোক তেহরানে জমায়েত হয়। তারিখটি ছিলো ১৯৭৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। শাহের বাহিনী বিশাল জনসমাবেশের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে।
আপাতত লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় কিন্তু দিবসটিকে ইরানের ইতিহাসে কুখ্যাত ব্লাক ফ্রাইডে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ব্লাক ফ্রাইডের পর তেহরানে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত সিআইএ এজেন্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে সিআইএ হেড কোয়াটারে রিপোর্ট করেন যে- ৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর শাহের শাসন ক্ষমতা এতটাই সূদৃঢ় হয়েছে যে- আগামি ১০ বছরে বিরোধীপক্ষ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অথচ এর মাত্র ৩ মাসের কিছু সময় পর অর্থ্যাৎ ১৬ জানুয়ারি ১৯৭৯ সালে মাত্র একদিনের গণঅভ্যূত্থানে শাহের পতন হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে শাহ দেশ থেকে পালিয়ে যান। তার দীর্ঘদিনের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন তাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে। তিনি প্রথমে ইটালি যান। কিন্তু ইতালি তাকে অসম্মান জনকভাবে বিদেয় করে দেয়। এরপর তার বিমান উড়াল দিলো পানামায়। সেখানকার সরকারও গ্রহণ করলো না। অনেক দেন দরবার এবং অণুনয় বিনয় করার পর মিশর তাকে সাময়িকভাবে সেই দেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলো একটি কারণে, প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে বোঝানো হলো যে- শাহের প্রথম স্ত্রী ফৌজিয়া ছিলেন মিশরের প্রয়াত এবং ক্ষমতাচ্যুত বাদশা ফারুকের বোন। এই রাজপরিবারের প্রতি তখনো মিশরের জনগণের বেশ সহানুভুতি অবশিষ্ট ছিলো। কাজেই মিশরের রাজকণ্যার স্বামী ভিক্ষুকের মতো দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবে সেটা মিশরবাসীর জন্য হয়তো অস্বস্তিকর হয়েছিল।
শাহ ফিরে এলেন কায়রোতে। ইতিমধ্যে তার শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। ফলে কায়রোর একটি হোটেলে তিনি মারা যান ১৯৮০ সালের ২৭ জুলাই- যখন তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৬০ বছর।
ফলাফল
সম্পাদনাইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ বিপ্লবের পর মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ইসলামী বিপ্লবের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে যুবকরা ইসলামী বিপ্লবের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হতে থাকে।
চিত্রমালা
সম্পাদনাপদটীকা
সম্পাদনা- ↑ A Question of Numbers Web: IranianVoice.org August 08, 2003 Rouzegar-Now Cyrus Kadivar
- ↑ E. Baqi, `Figures for the Dead in the Revolution`, Emruz, July 30, 2003
- ↑ Islamic Revolution ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১১ তারিখে, Iran Chamber.
- ↑ Islamic Revolution of Iran, MS Encarta. October 31, 2009.
- ↑ The Independence and Liberty Revolution ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে, Internews.
- ↑ "iranian.com: Revolution"।
- ↑ Iran Profile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ আগস্ট ২০০৬ তারিখে, PDF.
- ↑ The Shah and the Ayatollah: Iranian Mythology and Islamic Revolution (Hardcover), আইএসবিএন ০-২৭৫-৯৭৮৫৮-৩, by Fereydoun Hoveyda, brother of Amir Abbas Hoveyda.