ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং

বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (সংক্ষেপে: ইউএসটিসি) হচ্ছে একটি বাংলাদেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়[] বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যক্তিগত অনুদানের মাধ্যমে ১৯৮৯ সালের ১৩ মে প্রতিষ্ঠিত হয়।[] প্রথমদিকে এটি প্রায়োগিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হিসাবে কাজ করে; পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।[]

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং
নীতিবাক্যপড়
ধরনবেসরকারি
স্থাপিত১৩ মে ১৯৮৯; ৩৫ বছর আগে (1989-05-13)
ইআইআইএন১৩৬৬৩৮ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যপ্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান
শিক্ষার্থীআনু. ৪,০০০[]
ঠিকানা
ফয়েজ লেক, জাকির হোসেন রোড
, , ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
পোশাকের রঙবন্য সবুজনীল
সংক্ষিপ্ত নামইউএসটিসি
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বাংলাদেশ)
ওয়েবসাইটwww.ustc.ac.bd
মানচিত্র
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রবেশদ্বার

উপাচার্য

সম্পাদনা

নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন:

শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা
  • বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি অনুষদ
  • চিকিৎসা অনুষদ
  • মৌলিক মেডিকেল ও ফার্মাসিউটিকেল বিজ্ঞান অনুষদ
  • ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
  • সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদ
  • ইংরেজি শিক্ষা অনুষদ
  • প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তিবিদ্যা অনুষদ

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

সম্পাদনা

ইউএসটিসিতে আছে ৬ তলা গ্রন্থাগার ভবন।[] গ্রন্থাগারটিতে ৩টি শাখা আছে যাতে একসাথে ১৫০জন পাঠক পড়তে পারেন। ইউএসটিসি এর সংগ্রহ খুব সমৃদ্ধ। যথা-

  • বই ৬৭৯১ +
  • জার্নাল ৫২২১ +
  • বই ব্রিটিশ কাউন্সিল দ্বারা দীর্ঘমেয়াদী ঋণের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম ৫০ কপি নবায়নযোগ্য।
  • অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট ১০০ +
  • রেফারেন্স উৎস ১৯০ +

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রীদের জন্য গুলমেহের নামে একটি হল রয়েছে। এটি বিদেশী ও দূর থেকে আগত ছাত্রীদের আবাসন সমস্যার সমাধান করে। ছাত্রদের জন্য রয়েছে সায়েদুর রহমান আন্তর্জাতিক হল। ইন্টার্নি করুয়াদের জন্য আলাদা হোস্টেল রয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

সম্পাদনা
 
একাডেমিক ব্লক (বামে) এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (ডানে), পুরাতন হাসপাতাল ভবন

১৯৮৯ এ ইউএসটিসি শুরুর সময় মাত্র দুইজন অধ্যাপক ও নয়জন প্রভাষক ছিলেন। কিন্তু এখন পূর্ণসময় পাঠদানকারী শিক্ষকের সংখ্যা ১৪৮জন। ইউএসটিসিতে ৫হাজার শিক্ষার্থী আছেন। তার মধ্যে ৮৫%বিদেশী যারা ভারত (প্রধানত কাশ্মীর, আসাম ও মনিপুর), নেপাল, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, জর্দান, যুক্তরাষ্ট্র, মালদ্বীপ (অল্পসংখ্যক) এবং ফিলিস্তিন থেকে এসেছেন।[] শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:২০।[]

মিলনায়তন

সম্পাদনা

ইউএসটিসির অন্যতম অদ্বিতীয় সুবিধা হচ্ছে এর মিলনায়তন কক্ষটি। কক্ষটি সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং এর ধারণক্ষমতা ১হাজার জন। এখানে ১হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার একটি গ্যালারিও আছে। মিলনায়তনটি সাধারণত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনফারেন্স ও সেমিনারের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে যেমন- খেলাধুলা, বিতর্ক, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল সহশিক্ষা কার্যক্রম "স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল অভ ইউএসটিসি" দ্বারা আয়োজিত হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. About USTC। "Relevant Informations"। ২০০৭-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-২৫ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 
  5. "ইউএসটিসির নতুন উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম"দৈনিক অধিকার। ১০ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২২ 
  6. Hasan Jahid Tusher, Back from Chittagong (২০০৫-০৪-২৭)। "An institute with a vision"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-১৯ 
  7. Background of USTC। "History of USTC"। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-২৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা