আহলে বাইত বিশ্ববিদ্যালয়
আহলে বাইত বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি বেসরকারী ইরাকি বিশ্ববিদ্যালয়, যা ২০০৩ সালে ইরাকের কারবালায় মুহসিনুল কাযভিনি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[১]
جامعة أهل البيت | |
নীতিবাক্য | باسم أهل البيت صرحٌ شامخٌ يطوي الزَّمانا |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | "আহলে বাইত নামে এই উচ্চ কাঠামোটি সময়কে অতিক্রম করে" |
ধরন | বেসরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ২০০০ |
আচার্য | মুহসিনুল কাযভিনি |
শীর্ষ | আব্বাস হুসাইন জাওয়াদ |
শিক্ষার্থী | ৭,৩২০ (২০১৮/১৯) |
স্নাতক | ৬,৩০৯ (২০১৮/১৯) |
স্নাতকোত্তর | ১,০১১ (২০১৮/১৯) |
অবস্থান | |
ওয়েবসাইট | abu.edu.iq |
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমে একটি অপার্থিব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সূচনা করে, যা ২০০০ সালে আহলে বাইত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইন্টারনেটে উপস্থাপিত হয় এবং এটি ব্যবস্থাপনা, আইন, আরবি সাহিত্য এবং ইসলামি আইন শেখায়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টি অপার্থিব ছিল, এটির লন্ডন, বৈরুত, কুয়েত, দামেস্ক এবং মানামার মতো বিভিন্ন শহরে দপ্তর ছিল, যেন ছাত্ররা তাদের পর্ব-মধ্য এবং সমাপনী পরীক্ষা দিতে যেতে পারে।
২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইরাকে ফিরে আসেন এবং কারবালায় বসতি স্থাপন করেন। সেখানে তিনি উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এটি ২০০৪ সালে মন্ত্রী ড. আব্দুল রাজ্জাক আল-আসওয়াদের কাছ থেকে চুক্তি লাভ করে।[২]
বিশ্ববিদ্যালয়টি তিনটি কলেজ নিয়ে শুরু হয়: আইন, ইসলামি বিজ্ঞান এবং কলা কলেজ।[৩] ২০০৭ সালে, মুহসিনুল কাযভিনি ইমাম হোসেনের মাজার থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কারবালার পুরনো বিনোদন পার্কের কাছে একটি ৭০০০ বর্গমিটারের জমি কিনেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও বিস্তৃত সম্প্রসারণের এবং আরও অনুষদ খোলার সুযোগ পায়।[৪] [৫]
বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈজ্ঞানিক সংযমের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার স্তরকে উন্নীত করতে এবং কর্মক্ষমতায় উচ্চস্তর অর্জন ও আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর চেষ্টা করে৷[৬]
অনুষদ
সম্পাদনা- আইন অনুষদ
- কলা অনুষদ
- ইসলামি বিজ্ঞান অনুষদ
- ফার্মেসি অনুষদ
- চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তি অনুষদ
- দন্তচিকিৎসা অনুষদ
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Establishment Of The University"। Ahl al-Bayt University (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।
- ↑ "al-I'timad al-Akadimi"। Ahl al-Bayt University Website (আরবি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ al-Timimi, Abbas (২০১৯-০১-০১)। Mahfathat Ta'adul al-Mukhatara (আরবি ভাষায়)। Al Manhal। পৃষ্ঠা 257। আইএসবিএন 9796500325583।
- ↑ al-Saidi, Dr. Hazim (২০১৮-০১-০১)। al-Tamathulat al-Falsafiya Fi al-A'mal al-Fikhariya al-Nahtiya Li Hadhartey al-Iraq Wa Misr al-Qadimatayn (আরবি ভাষায়)। Markaz al-Kitab al-Acadimi। পৃষ্ঠা 419–20। আইএসবিএন 978-9957-35-257-8।
- ↑ al-Rubeyi, Akram (২০১৬-০১-০১)। al-Tadaruj al-Balaghi Fi al-Risala al-Sahafiya (আরবি ভাষায়)। Al Manhal। আইএসবিএন 9796500326023।
- ↑ "Vision, Mission And Aims"। Ahl al-Bayt University (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।