আল্ফ ভ্যালেন্টাইন
আলফ্রেড লুইস আল্ফ ভ্যালেন্টাইন (ইংরেজি: Alf Valentine; জন্ম: ২৮ এপ্রিল, ১৯৩০ - মৃত্যু: ১১ মে, ২০০৪) জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলফ্রেড লুইস ভ্যালেন্টাইন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিংস্টন, জামাইকা | ২৮ এপ্রিল ১৯৩০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ মে ২০০৪ অর্ল্যান্ডো, ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট আর্ম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭১) | ৮ জুন ১৯৫০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ এপ্রিল ১৯৬২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ জুলাই ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। বামহাতে ধীরগতিতে বোলিংসহ ডানহাতে নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন আলফ্রেড ভ্যালেন্টাইন নামে পরিচিত আল্ফ ভ্যালেন্টাইন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৫০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড সফর করে। ঐ সফরে বিখ্যাত ‘থ্রী ডব্লিউ’ নামে খ্যাত ক্লাইড ওয়ালকট, এভারটন উইকস ও ফ্রাঙ্ক ওরেলের ন্যায় বিখ্যাত ব্যাটসম্যান থাকা স্বত্ত্বেও দলে দক্ষ বোলারের অভাব ছিল। ঐ দলে ২০ বছর বয়সী আল্ফ ভ্যালেন্টাইন ও ২১ বছরের সনি রামাদিন - এ দু’জন তরুণ স্পিনারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাত্র দুই খেলায় অংশ নিয়ে ৯৫ গড়ে দুই উইকেট পেলেও অধিনায়ক জন গডার্ডের সুপারিশক্রমে সফরের জন্য মনোনীত হন তিনি।[১]
সফরের প্রস্তুতিমূলক খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৮/২৬ ও ৫/৪১ পান। এরফলে দল ইনিংস ও ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়। ৮ জুন, ১৯৫০ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ৮ উইকেটের সবগুলোই তিনি পান। তন্মধ্যে মধ্যাহ্ন বিরতির পূর্বেই পাঁচটি উইকেট শিকার করেন। ঐ ইনিংসে ৮/১০৪ ও খেলায় ১১/২০৪ পান ১০৬ ওভার খরচায়।[২] টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট লাভের কীর্তিগাথা রচনা করেন তিনি। জুলাই ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] মাত্র তিনবার এ ঘটনা ঘটেছে। তাস্বত্ত্বেও দল পরাজিত হয়। কিন্তু লর্ডসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৩২৬ রানে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ালকটের দায়িত্বশীল অপরাজিত ১৬৮* এবং রামাদিনের ১১/১৫২ ও ভ্যালেন্টাইনের ৭/১২৭ লাভের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও এ জয়টি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের প্রথম জয় ছিল। তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে জয়ী হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জয় করে। তৃতীয় টেস্টে ৫ ও চতুর্থ টেস্টে ১০ উইকেট নেন তিনি। তৃতীয় টেস্টে ৯২ ওভার বোলিং করে রেকর্ড গড়েন। সিরিজসহ সফরের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় কৃতিত্বপূর্ণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া গমন
সম্পাদনা১৯৫১-৫২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ টেস্টে ২৪ উইকেট তোলেন। এরপর ১৯৫৩ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ৫ টেস্টের সিরিজে ২৮ উইকেট পান। ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে মাত্র ১৯ টেস্টে শত উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী ২০ টেস্টে তিনি মাত্র ৪৬ উইকেট পান ৪০.৬৩ গড়ে। তাস্বত্ত্বেও পরবর্তী বছরগুলোয় কার্যকরী বোলার হিসেবে ওভারপ্রতি ২.০৬ গড়ে রান দিয়েছেন। অভিষেকে নাটকীয়ভাবে উত্থান হলেও ১৯৫৭ সালের ইংল্যান্ড সফরটি তার জন্য ব্যর্থতার ষোলকলায় পূর্ণ ছিল।[৩] ১৮ এপ্রিল, ১৯৬২ তারিখে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ভারতের বিপক্ষে।[৩]
সম্মাননা
সম্পাদনা১৯৫১ সালের শুরুতে ভ্যালেন্টাইনকে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত করা হয়। ১৯৫০ সালের সাফল্যের প্রেক্ষিতে তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তার সাথে অন্য চারজন হচ্ছেন - ওয়েস্ট ইন্ডিজের সনি রামাদিন, এভারটন উইকস, ফ্রাঙ্ক ওরেল এবং ইংল্যান্ডের গডফ্রে ইভান্স।[৪][৫]
অবসর
সম্পাদনাখেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর জ্যামাইকার জাতীয় দলকে কোচিং করান।
ব্যক্তিগতভাবে তিনি দুইবার বিবাহ করেন। প্রথম স্ত্রী প্রয়াত ‘গুয়েনডলিনের’ গর্ভে চার কন্যা সন্তান ছিল। দ্বিতীয় স্ত্রী ‘জ্যাকুইলিনের’ সাথে ফ্লোরিডায় চলে যান। ২০০৪ সালে ৭৪ বছর বয়সে ফ্লোরিডার অর্ল্যান্ডোতে আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Alf Valentine's Cricinfo Profile"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "1st Test: England v West Indies at Manchester, Jun 8-12, 1950"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
- ↑ ক খ Manley, Michael (2002) A History of West Indian Cricket London: Andre Deutsch, আইএসবিএন ০-২৩৩-০৫০৩৭-X
- ↑ "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
- ↑ "Full List on Cricinfo"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আল্ফ ভ্যালেন্টাইন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে আল্ফ ভ্যালেন্টাইন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- [১] Obituary from Cricinfo
- [২] Obituary from Wisden Cricketers' Almanack
- [৩] Obituary from The Washington Post
- Wisden Cricketer of the Year citation[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Best bowling on debut from Cricinfo
- Fastest to 50 wickets from Cricinfo
- Fastest to 100 wickets from Cricinfo
- Most balls bowled in an innings from HowSTAT!
- Lyrics of the Victory Calypso